Tag Archives: Bangalore

Incident: উত্তেজিত জনতা, ফ্লাইওভার থেকে ছুড়ে ফেলা হল বাইক, পুরো ঘটনা জানলে চমকে উঠবেন

বেঙ্গালুরু: বাইক নিয়ে নানারকম কারসাজির কত ঘটনাই শুনতে পাই৷ এর ফলে অনেকসময় স্থানীয় মানুষদের সমস্যা হয়৷ অনেক ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটে৷ কিন্তু তার পরও এই ধরনের ঘটনার বিরাম নেই৷ এমনই এক ঘটনা দেখা গেল বেঙ্গালুরুতে৷

তুমাকুরু ন্যাশানাল হাইওয়েতে ঘটনাটি ঘটে৷ এই রাস্তা ব্যস্ত সময়ে খুবই জনবহুল থাকে৷ এইখানেই কয়েকজন বাইকআরোহী নানারকম কারসাজি করতে থাকে৷ ফলে যানজট বাড়তে থাকে৷


আরও পড়ুন: ডাইনোসর-কালের ভয়ঙ্কর পোকা! হানা দিয়েছে ভারতেও, জানেন এই মারাত্মক পোকাটির নাম?

এমনিতেই বেঙ্গালুরু এই যানজটের বিখ্যাত৷ ফলে সেখানে আটকে থাকা জনগণদের মধ্যে ক্রমশ রাগ বাড়তে থাকে৷ তাঁদের সঙ্গে বাইকআরোহীদের রীতিমতো বাগবিতন্ডা শুরু হয়ে যায়৷

আরও পড়ুন: মৃত এইমস-এর চিকিৎসক, বাড়ি থেকে উদ্ধার মৃতদেহ, ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে দিল্লি পুলিশ

উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে থাকে৷ একসময় উত্তেজিত জনতা ফ্লাইওভার থেকে দু’টো বাইক ও একটা সাইকেল ফেলে দেয়৷

ঘটনা কখন হয় জানা যায়নি৷ কিন্তু ভাইরাল ভিডিওতে পুরো ঘটনাটি রেকর্ড হয়েছিল৷ এই ভিডিও পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই নেটিজেনরা বাইক আরোহী ও উত্তেজিত জনতা, উভয়েরই বিরুদ্ধে পুলিশি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য দাবি জানিয়েছেন৷

Farmer Earns Rs 95 Lakh: ফল চাষ করে লাভ ৯৫ লাখ টাকা, জেনে নিন কোন ফল চাষ করে হতে পারেন লাখপতি?

বেঙ্গালুরু: এলেন, দেখলেন, জিতে নিলেন৷ ব্যাপারটা ঠিক তেমনই৷ ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুর এক কৃষকের সঙ্গে৷ ফল চাষ করে প্রায় ৯৫ লাখ টাকা আয় করলেন তিনি৷

জেলার নাম কর্ণাটকের চিকমাগালু৷ চাষ করবেন বলে ৪৫ বছর বয়সের রমেশ প্রায় কুড়ি লাখ টাকা খরচ করেছিলেন৷ ৪ একর জমিতে বেদানা চাষের করলেন৷ তারপর বিক্রি করে ফেললেন সেই ফসল, আর তাতেই জ্যাকপট৷

রমেশ অনেক দিন ধরেই কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত৷ কিন্তু বেদানা চাষ শুএই প্রথম ৷ রমেশ বেঙ্গালুরুর কাদুর তালুকের হুল্লোরি গ্রামে প্রায় ৪ একর জমিতে ২৪,০০০ ডালিমের চারা রোপণ করেছিলেন৷ ফলনও খুব ভাল হয়৷ বিক্রি করার পর তিনি  দেখলেন তাঁর লাভের আয় ৯৫ লাখ টাকা ৷

 বেঙ্গালুরুর পাশাপাশি মহারাষ্ট্র, চেন্নাই প্রভৃতি রাজ্যেও বিক্রি হচ্ছে এই বেদানা৷ কেবল রাজ্য নয় ভিন দেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে এই ফসল৷ প্রতি কেজিতে ১৬০ টাকা দরে এই বেদানা দেশের বাইরে রপ্তানি করা হত৷

এই গ্রাম বেশ কয়েকদিন ধরেই, খরাগ্রস্ত ছিল৷ সেখানে এই ধরনের লাভে আশার আলোর দেখছেন গ্রামের অনান্য কৃষকেরাও৷

Bangalore Traffic Problem: ৬ কিলোমিটার রাস্তা যেতে ৪৬ ঘণ্টা সময়, বেঙ্গালুরুর ট্রাফিকে নাজেহাল শহরবাসী

বেঙ্গালুরু: বেঙ্গালুরুতে ট্রাফিক জ্যামের গল্প অনেকেই জানেন৷ আগেও সোশ্যাল মিডিয়াতে এই শহরের ট্র্যাফিক নিয়ে নানা ধরনের গল্প চালু রয়েছে৷ নানা মিমও প্রতিদিন শেয়া হচ্ছে৷ এবার একজন গুগল ম্যাপ শেয়ার করলেন৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে একটা জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যেতে গাড়ির থেকে পায়ে হেঁটে কম সময় লাগছে৷

আয়ুষ সিং বলে একজন তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে, মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে গাড়ির সময় লাগছে প্রায় ৪৪ মিনিট৷

আরও পড়ুন:বেঙ্গালুরু হত্যাকাণ্ডে পুলিশের জালে অভিযুক্ত, হত্যার কারণ প্রেমঘটিত নাকি অন্য কিছু?

তার চেয়ে হেঁটে যেতে অনেক কম সময় লাগে৷ ৪২ মিনিটেই হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছানো যাওয়া যাবে বলে জানা যায়৷ আয়ুষের যাত্রাপথ ছিল বিগ্রেড মোট্রোপলিস থেকে কেআর পুরম রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত৷

পোস্টটি কিছু ক্ষণের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়৷ অনেকেই কমেন্টে লেখেন, ‘‘এ কেবল বেঙ্গালুরুর সমস্যা নয়৷  দিল্লি, মুম্বই সব শহরেই পিক আওয়ারে একই গল্প৷’’ একজন আবার শহরের কাঠামো নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁর বক্তব্য, ‘‘শহরগুলোর ফুটপাতের যা অবস্থা, তাতে আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে কাটাতে রাজি৷ কিন্তু ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে পারব না৷’’

আরও পড়ুন: নিজের প্রাপ্য টাকা দিলেন অন্যজনকে, ফুড ডেলিভারি কর্মীর সৌজন্যে মুগ্ধ নেটিজেনরা

একজন আবার কমেন্ট সেকশনে রসিক মন্তব্য করে লিখেছেন,‘‘বেঙ্গালুরু আমাদের শরীরে ফিটনেস নিয়ে ভাবছে৷ তাই জন্য ট্রাফিক সিগন্যাল গুলোও চায় আমরা হেঁটেই গন্তব্যে পৌঁছে যাই৷’’

প্রসঙ্গত বেঙ্গালুরুর এই ট্র্যাফিক যন্ত্রণা নতুন কিছু নয়৷ প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অফিসের সময় ট্র্যাফিক জ্যামে মানুষজন ফেঁসে যায়৷ একবার একটা পোস্ট ভাইরাল হয়েছিল, সেখানে দেখা যায় একজন তাঁর বন্ধুকে এয়ারপোর্টে ছাড়তে এসেছিলেন৷ বন্ধুটি ফ্লাইট চেপে গন্তব্যে পৌঁছে যান, অথচ ব্যক্তিটি জ্যামে ফেঁসে কয়েক কিলোমিটারও এগোতে পারেননি৷

Bengaluru murder case: বেঙ্গালুরু হত্যাকাণ্ডে পুলিশের জালে অভিযুক্ত, হত্যার কারণ প্রেমঘটিত নাকি অন্য কিছু?

বেঙ্গালুরু: মঙ্গলবার, গভীর রাতে বেঙ্গালুরুর কোরমঙ্গলা এলাকায় এক পিজিতে কৃতি কুমারি নামে এক নির্যাতিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে৷

এই ঘটনার তদন্তে নেমে বেঙ্গালুরুর পুলিশ একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেন৷ ভোপাল থেকে আটক করে অভিযুক্তকে ট্রানজিট রিমান্ডে ব্যাঙ্গালুরু আনা হচ্ছে৷ বিচারে তাঁকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে৷

আরও পড়ুন:অনুপ্রবেশকারী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলির লড়াইয়ে নিহত ১ সেনা, আহত মেজর পদমর্যাদা সহ ৪ জন

সিসিটিভি ফুটেজে এই অভিযুক্তকে পিজিতে প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছিল৷ তারপর সে দরজায় ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢোকে, গলা কেটে মহিলাকে গলা কেটে হত্যা করে৷ মহিলাটি তখন সাহায্যের জন্য চিৎকারও করেছিল৷ ফুটেজ অনুযায়ী ঘটনাটি ১১: ১০ থেকে ১১: ৩০ টার মধ্যে ঘটেছিল৷

আরও পড়ুন: প্রযুক্তিই কাল হয়ে দাঁড়ালো! ধরা পড়ল প্রায় ৮ বছর আগের চোর!

এই নৃশংস হত্যাকান্ডের কারণ নিয়ে পুলিশের শীর্ষকর্তারা এখনও কোনও স্পষ্ট বিবৃতি দেন নি৷ বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘আমরা এখনও কারণ সম্বন্ধে সবটা জানি না৷ আগে আমরা অভিযুক্তকে আনি৷ তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তবে জানা যাবে৷’’

যদিও সূত্রের দাবী সম্পর্কজনিত কারণেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়েছিল৷

Bengaluru Woman Monthly Expense: গাড়িতে যাতায়াতের খরচ যাতায়াতের অর্ধেক! বিলের পরিমাণ শুনলে চোখ কপালে উঠবে

ব্যাঙ্গালুরু: শহরের মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হলে আমরা প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের অ্যােপর সাহায্য নিই৷ সেই সব অ্যাপের বিলের অঙ্কটাও বেশ ভালই হয়৷ কিন্তু তা বলে বিলের পরিমাণ এতটা! জেনে সত্যিই চক্ষুছানাবড়া হওয়ার উপক্রম৷

বংশিতা কাজের সূত্রে থাকেন ব্যঙ্গালুরু৷ সেখানে অফিসে যাতায়াতের জন্য যে অ্যাপ ব্যবহার করেন, সেই বিলের পরিমাণ মেয়েটির বাড়ি ভাড়ার অর্ধেক৷

আরও পড়ুন:আস্ত এক কোবরার সঙ্গে খেলছে যুবক! তারপর যে ভয়ঙ্কর ঘটনাটা ঘটল, জানলে চমকে উঠবেন!

তাঁর অ্যাপ ক্যাবের  বিল সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেন৷ সেখানেই দেখা যাচ্ছে, তিনি ১জুলাই থেকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে উবেরের জন্য প্রায় ১৬ হাজার টাকা দিয়েছেন৷  তিনি সেই অ্যাপ থেকে প্রায় ৭৪টি ট্রিপ বুক করেছিলেন৷


সোশ্যাল মিডিয়াতে এই বিপুল পরিমাণ বিলের ছবিটি শেয়ার করেছেন তিনি৷ সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না আমার অ্যাপ ক্যাবের খরচ এত বেশি! ব্যঙ্গালুরুতে আমার বাড়ি ভাড়ার অর্ধেক পরিমাণ টাকা এর জন্য খরচ করতে হয়েছে৷’’

আরও পড়ুন:সরকারি নথিতে মৃত, নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে ঘটালেন এই ভয়ঙ্কর ঘটনা!

সঙ্গে সঙ্গেই  পোস্টটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে৷ নেটিজেনদের মধ্যে অনেকেই তাঁকে নিজের গাড়ি কিনে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন৷ একজন তাঁর কমেন্ট সেকশনে লিখেছেন, ‘‘আমার মনে হয় আপনার নিজের গাড়ি কিনে ফেলা উচিত৷ ইএমআইও এর চেয়ে কম পড়বে৷’’

Caught On Cam: খেলা চলাকালীন বেঙ্গালুরুতে ভেঙে পড়ল ফুটবল স্টেডিয়ামের একাংশ! আহত ৮

বেঙ্গালুরু: ‘চিফ মিনিস্টার কাপ’ খেলার সময় বেঙ্গালুরু ফুটবল স্টেডিয়ামের (বিএফএস) একটি অংশ খসে পড়ে৷ ঘটনাটি ঘটে ২১ জুলাই৷ এই ঘটনায় কমপক্ষে ৮ জন দর্শক আহত হয়েছিল।

অনেকেই অভিযোগ করেছেন, প্রায় আট বছর ধরে এই স্টেডিয়ামের অংশটি খারাপ অবস্থাতে ছিল৷ সেইদিন শান্তি নগর বিধানসভা এবং সি ভি রমন নগর বিধানসভার মধ্যে খেলা হচ্ছিল৷ ম্যাচ চলাকালীন অবস্থাতেই স্টেডিয়ামের  একটি অংশ ভেঙে পড়ে।

আরও পড়ুন:বান্ধবীর দিকে রেনকোট ছুঁড়লেন যুবক, ব্যাহত মুম্বইয়ের রেল পরিষেবা! কারণ জানলে চমকে উঠবেন

দুর্ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিতে ভাইরাল হয়ে পড়েছে৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে খেলা চলা অবস্থাতে হঠাৎ করেই ওই অংশটি ভেঙে পড়ে৷ এক সংবাদ সংস্থার খবর অনুসারে, কর্ণাটক স্টেট ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (কেএফএসএ) জানিয়েছে যে, যখন ঘটনাটা ঘটেছিল, তখন কয়েকজন খেলোয়াড় ওখানেই ছিল৷ কিন্তু কেউ গুরুতর আহত হয়নি।


আরও পড়ুন: ডার্ক চকোলেটের ভিতর দাঁতের পাটি! পুরো ঘটনা জানলে চমকে উঠবেন

যদিও স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে খবর, কিছুজনের আঘাত গুরুতর হতেও পারে৷ সংবাদ সংস্থার সঙ্গে একটি কথোপকথনে হাসপাতালের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, “রবিবার ফুটবল স্টেডিয়ামে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের মধ্যে ৬জন এখানে আসে৷ একজনের আঙুল ভেঙে যায়৷ তবে বাকি সকলকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷

ভেঙে পড়ার সেই মুহূর্তের ভিডিও শেয়ার করে একজন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “বিএফএস ভেঙে পড়ার ভিডিও ক্লিপ এটি। লজ্জার ঘটনা। কেউ কেউ গুরুতর জখম, আমি নিজে শুনেছি।

ঘটনাটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে, BFS-এ উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদসূত্রকে জানিয়েছেন, “শান্তি নগর এবং সিভি রমন নগরের মধ্যে ফাইনাল দেখতে হাজার হাজার মানুষ এসেছিলেন। সামনের অংশের একটি অংশ ভেঙে পড়লে অনেকেই আহত হন। যদিও সঙ্গে সঙ্গে সমর্থকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ এর ফলে ম্যাচ কিছুক্ষণের জন্য ব্যাহত হয়।”

প্রশাসন থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ খুব দ্রুত শুরু হয়ে যাবে

Weather: বেঙ্গালুরুর আবহাওয়ায় মুগ্ধ হয়ে কলকাতা ছাড়তে চাইলেন এক ব্যক্তি, আর যা করতে চাইলেন জানলে চমকে যাবেন!

কলকাতা:এই ভরা বর্ষাতেও কলকাতার আবহাওয়াকে মনোরম তো বলা যাবে না! কখনও তাপপ্রবাহে পুড়ে যাওয়ার অবস্থা, কখনও বা অতিরিক্ত আর্দ্রতায় ঘেমে নেয়ে একেবারে যা তা অবস্থা৷ এই ভরা প্যাচপ্যাচে গরমে কেউ যদি হঠাৎ করেই বেঙ্গালুরুর বিমানবন্দরে নামেন, তাহলে তার যে অভিজ্ঞতা যে বেশ ভালই সুখকর হবে, তা কিন্তু নিশ্চিত৷

ভারতের এই সিলিকন ভ্যলিটি সমুদ্রের তলদেশ থেকে ৩০০০ফুট উচ্চতায় অবস্থিত৷ এই ভৌগলিক কারণেই বেঙ্গালুরুর আবহাওয়া ভারতের অন্যান্য মেট্রো সিটির তুলনায় বেশ ভাল৷ সেই অন্যান্য মেট্রো সিটির মধ্যে কলকাতাও পড়ে৷ এবার ধরুন এই আবহাওয়াকে কেন্দ্র করেই শুরু হল তর্ক-বিতর্ক৷

আরও পড়ুন: শারদোৎসব উপলক্ষে আগামী মঙ্গলে পুজো কমিটি ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতার এক বাসিন্দার পোস্টকে কেন্দ্র করে এমনই তর্ক বিতর্কের সূত্রপাত ঘটল সোশ্যালমিডিয়া জুড়ে৷ ১৪ জুলাই অনুরাগ দাস ভারতের সিলিকন বিমানবন্দরে পৌঁছান৷ সেখানকার আবহাওয়ায় মুগ্ধ হন তিনি৷ মুগ্ধতা এমন জায়গায় পৌঁছায়, যে সেখানে থাকার জন্য স্থানীয় ভাষা কান্নাড়ও শিখে ফেলতে রাজি তিনি৷

আরও পড়ুন: তৃতীয় শ্রেণীর ক্লাসরুমে ভেঙে পড়ল একটা আস্ত সিলিং ফ্যান! আহত ১ শিশু

সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি লেখেন, ‘‘এখানকার আবহাওয়া কী মনোরম৷ মনে হল যেন এসিতেই নামলাম৷ অন্য দিকে কলকাতার আবহাওয়া এত খারাপ, যে বিমানবন্দর থেকে বেরোলেই কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘামে জামা ভিজে যায়৷ বেঙ্গালুরুতে থাকার জন্য কন্নড় ভাষা শিখে তাতে পিএইচডিও করে ফেলতে পারি৷’’ সঙ্গে সঙ্গে পোস্টটি ভাইরাল হয়ে পড়ে৷

টুইটারে স্থানীয়ভাষা শেখা র জন্য অনেকে তাঁকে প্রশংসাও করেন৷ পোস্টটিতে প্রায় ৮৯,০০০ ভিউ হয়৷ একজন পোস্টে কমেন্ট করেন ‘‘বেঙ্গালুরুতে আপনাকে স্বাগত৷ আপনি যে এই স্থানীয় ভাষা শিখতে চেয়েছেন, তাই-ই অনেক৷’’

আবার অনেকে এই উদ্ভট তুলনায় সমালোচনাও করেছেন, ‘‘এখানে ৩০ মিনিটের রাস্তা যেতে দেড় ঘণ্টা লাগে৷ আর তাছাড়াও আবহাওয়াই যদি থাকার একমাত্র কারণ আবহাওয়া হয়, তাহলে পাহাড়ের কোনও শহরে যান৷ এখানে এমনিতেই জনসংখ্যা অনেক বেশি৷

প্রত্যেক শহরের ভৌগলিক আবহাওয়া আলাদা, বৈশিষ্ট্য আলাদা৷ সেই অনুযায়ী আবহাওয়াও আলাদা আলাদা৷ প্রত্যেকটা শহরের কিছু নিজস্বতা থাকেো, ভাল দিক থাকে, খারাপ দিকও থাকে৷ হঠাৎ করে দুই শহরের মধ্যে কষ্ট- কল্পনা করে খুব কোনও লাভ আছে কী? এই নিয়েই তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে৷

Viral News: প্রকাশ্য দিবালোকে মাঝরাস্তায় গাড়ির উপর হামলা স্কুটার-আরোহীর, ভাইরাল হল ভিডিও; তীব্র চাঞ্চল্য বেঙ্গালুরুতে

বেঙ্গালুরু: প্রকাশ্য দিবালোকে এক ব্যক্তির গাড়ি লক্ষ্য করে ডাবের খোলা ছুড়ে মারতে দেখা গেল এক স্কুটার-আরোহীকে। যা আগে থেকেই পরিকল্পিত বলে সন্দেহ। কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা ধরা পড়েছে গাড়িতে রাখা ড্যাশ ক্যামেরায়। আর সেই ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া ফুটেজ দেখে রীতিমতো শিউরে উঠছেন নেটিজেনরা।

আরও পড়ুনঃ ঘুম থেকে ওঠেই খালি পেটে ফল খাচ্ছেন? বড় বিপদের সংকেত! কী বলছেন বিশেষজ্ঞ জানুন

গাড়ির আরোহী দীপক জৈন এক্স (পূর্বে ট্যুইটার) প্ল্যাটফর্মে এই ঘটনার কথা ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি জানান যে, গত ২ জুন সকাল ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ ভিবজিওর হাই স্কুল রোডে এই ঘটনাটি ঘটেছে। দীপক জৈন লিখেছেন, “আজ আমি এক ভয়ঙ্কর এবং অপ্ররোচিত এক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি। ঘটনার প্রায় ৯ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও আমার আতঙ্ক কাটছে না। মনে হচ্ছে এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত।”

ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে দীপক জৈন জানিয়েছেন যে, তাঁর গাড়ির বাম দিক দিয়ে আচমকাই ওভারটেক করেছিল একটি ধূসর রঙা ওলা স্কুটার। কয়েকশো মিটার চলার পরে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, স্কুটার-আরোহী তাঁকে অনুসরণ করছে। এমনকী চেঁচিয়ে তাঁকে গাড়ি দাঁড় করাতেও বলে সে। এরপর স্কুটার-আরোহী দীপকের গাড়ির পথ আটকে দাঁড়ায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই উত্তেজিত ওই অভিযুক্ত রাস্তার পাশ থেকে একটি ডাবের খোলা তুলে নেয় এবং দীপকের গাড়ির ডান দিকের জানলা লক্ষ্য করে সেটি ছুড়ে মারে। এমনকী দীপককে গাড়ির দরজা খোলার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে এবং প্রচণ্ড রাগ-ক্ষোভে চিৎকার জুড়ে দেয় সে। সেই সঙ্গে দীপকের গাড়ির আউটার রিয়ারভিউ মিররটিও ভেঙে দেয় ওই হামলাকারী।

এখানেই শেষ নয়, এর আগেই ঘটে যাওয়া এক অস্বস্তিকর ঘটনার কথাও উল্লেখ করেছেন দীপক। তাঁর বক্তব্য, “এই ঘটনার প্রায় ৩০০ মিটার আগেই একটি ধূসর রঙা Renault Triber আমার গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করছিল। ওই চালকদের সন্দেহজনক আচরণ দেখে আমার মনে হয়, এরা ওই একই চক্রের সঙ্গে যুক্ত।”

যদিও ঘটনার পরে সঙ্গে সঙ্গেই ভার্থুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দীপক জৈন। তবে তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা ভাইরাল হতেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নেটাগরিকরা। একজনের মন্তব্য, “যেভাবে ওই লোকটা সঙ্গে সঙ্গে ডাবের খোলাটা তুলে নিল, তাতে মনে হচ্ছে যেন ও আগে থেকেই জানত যে, ডাবের খোলাটা ওখানেই রাখা থাকবে… নিশ্চিত ভাবে এটা পূর্ব-পরিকল্পিত…।”

আর এক নেটিজেনের বক্তব্য, “আপনি খুবই বুদ্ধিমান। কারণ নিজের গাড়িতে ড্যাশ ক্যামেরা লাগিয়েছেন। কর্নাটকে এই ধরনের ঘটনা খুবই সাধারণ। আর দেশের অন্যান্য প্রান্তেও এমন ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। এটা একটা বড়সড় চক্রের কাজ হতে পারে। যারা চুরি, ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। শীঘ্রই যাতে তারা ধরা পড়ে, এখন সেটাই আশা।”

Viral News: অন্ধকার সুনসান রাস্তায় সজোরে থাপ্পড় পথচারীদের; সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট দেখে ভয়ে কাঁটা নেটিজেনরা

বেঙ্গালুরু: এক ভয়াবহ চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকল বেঙ্গালুরু। দুই স্কুটার আরোহীর বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ তুললেন এক ব্যক্তি। এমনকী নিজের সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। সাবরেডিট ব্যাঙ্গালোর-এ ওই ভয়ঙ্কর ঘটনা ব্যাখ্যা করে লিখেছেন @avi1299 নামে এক ব্যবহারকারী। ওই ব্যক্তি লিখেছেন যে, কোরামঙ্গলা এলাকায় তিনি এবং তাঁর বন্ধুরা মিলে রাত ৯টা ৩০ মিনিট নাগাদ একটি শো দেখতে যাচ্ছিলেন। কোনও গাড়িতে না চেপে তাঁরা হেঁটেই গন্তব্যে পৌঁছনোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে তাঁরা জানতেন না, তাঁদের জন্য কোন বিপদ অপেক্ষা রয়েছে!

আরও পড়ুনঃ লিফটে ঢুকে কিশোরীকে কামড়, কুকুর-হানার নয়ডার ভিডিও আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়

ওই ব্যক্তি বলেন, “সেকেন্ড ক্রস রোড এবং সেভেন্টিন্থ এফ মেন রোডের মাঝামাঝি জায়গা দিয়ে হাঁটার সময় আমার মনে হয় কেউ যেন আচমকাই সজোরে আমায় থাপ্পড় মারল। বিষয়টা বোঝার জন্য আশপাশে তাকাই। দেখতে পাই, স্কুটি চেপে দুজন ব্যক্তি বেরিয়ে যাচ্ছে। তারা যেন কোনও প্র্যাঙ্ক করার চেষ্টা করছিল। তারা কারা তা শনাক্ত করার চেষ্টা করতে গিয়ে দেখি তাদের আমি চিনি না।”

কিন্তু বিষয়টা এখানেই থেমে থাকেনি। ওই দুই আগন্তুক পালিয়ে তো যায়ইনি, বরং সেখানে ঝামেলা করতে শুরু করে। ওই ব্যবহারকারী আরও লেখেন, “স্কুটার থেকে নেমে কন্নড় ভাষায় চিৎকার শুরু করে। আমায় ফের থাপ্পড় মারতে আসে। কিন্তু আমি সরে যাই। আমরা অনেকটা দূর থেকেই তাঁদের মুখ থেকে মদের গন্ধ পাচ্ছিলাম।” শুধু তা-ই নয়, ওই ব্যবহারকারী আরও বলেন, “আমরা যেহেতু ওঁদের দিকে তাকিয়েছিলাম, তাই আমাদের কন্নড় ভাষায় জিজ্ঞাসা করে, আমার দিকে তাকিয়ে থাকার সাহস হয় কী করে? এরপর আমার চোখ থেকে চশমা ছিনিয়ে নিয়ে বলে, এবার কী করে দেখবে তুমি। এরপর চিৎকার করতে শুরু করে, আমি একাই একশো। তোমাদের সকলকে দেখে নেব।” এভাবেই ওই ব্যবহারকারী এবং তাঁর বন্ধুদের ক্রমাগত লাঞ্ছনা করে গিয়েছে ওই হামলাকারী। আগন্তুকদের এহেন উস্কানিমূলক কার্যকলাপেও ঝামেলায় জড়াতে চায়নি ব্যবহারকারীদের বন্ধুদের দলটি।

এই ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে। তবে পুলিশের কাছে ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ জানালেও তারা জানায় যে, ওই হামলাকারীরা সম্ভবত সংলগ্ন এলাকার বস্তির বাসিন্দা। ওই ব্যবহারকারী শেষে জানান, “আমি জানি না যে, এক্ষেত্রে আমরা কী ভুল করেছিলাম! কিংবা আমাদের সেখানে কী করা উচিত ছিল! কিন্তু আমরা প্রত্যেককে পরামর্শ দেব যে, এসব থেকে দূরে থাকুন আর সতর্ক থাকুন। কারণ আপনারা জানতেও পারবেন না কখন আপনার নিগ্রহকারীরা ঘণ্টা প্রতি ৪০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসবে।”

Viral Video : বানভাসি বেঙ্গালুরু! বসার ঘরেই সাঁতার কাটছেন এক ব্যক্তি, মুহূর্তে ভাইরাল ভিডিও…

#বেঙ্গালুরু: কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতেও ভারী বৃষ্টির কারণে জলে ডুবেছে শহর। ভারী বৃষ্টিতে শহরের অনেক জায়গায় যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে, বাড়িঘর ও যানবাহন আংশিকভাবে তলিয়ে গিয়েছে। ইয়ামালুর, রেইনবো ড্রাইভ লেআউট, সানি ব্রুকস লেআউট এবং মারাঠাহল্লির মতো জায়গায়, অফিসগামী এবং স্কুলের বাচ্চাদের জলমগ্ন রাস্তা পার হওয়ার জন্য নৌকা এবং ট্রাক্টর ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি যে ঘটনা দেখা গেল, তাতে চমকে উঠবেন আপনিও।

এপসিলন নামে এক এলাকায় এক ব্যক্তিকে তাঁর বাড়ির বসার ঘরে সাঁতার কাটতে দেখা গিয়েছে। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই। ভিডিওতে লোকটিকে তাঁর বাড়ির একতলায় সাঁতার কাটতে দেখা যায় এবং তাঁর সঙ্গে আরও বেশ কিছু গৃহস্থালির জিনিসপত্র ভাসছে।

আরও পড়ুন: ভারতে এসে দারুন চমক হাসিনার, পা মেলালেন রাজস্থানী লোকনৃত্যে! দেখুন…

এপসিলন, বেঙ্গালুরুর পাশের এক জায়গা উইপ্রোর চেয়ারম্যান রিশাদ প্রেমজি এবং ব্রিটানিয়ার সিইও বরুণ বেরির মতো বিলিয়নেয়ারদের আবাসস্থল। আধুনিক স্টার্টআপের কিছু বিলিয়নেয়ার, যেমন বাইজু-এর রবীন্দ্রন এবং বিগ বাস্কেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অভিনয় চৌধুরীও একই এলাকায় থাকেন। অশোক জেনোমাল, পেজ ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি (জকি) সেখানে বসবাসকারী ১৫০ জনের মধ্যে একজন।

আরও পড়ুন: অয়েল এবং ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশনে মেগা রিক্রুটমেন্ট! আবেদনের সুযোগ ফস্কাবেন না

রবিবার রাতের মুষলধারে বৃষ্টির ফলে শহরের ধনী বাসিন্দারা এবং দেশের বহু মিলিয়ন ডলারের বাসস্থান এখন বিদ্যুৎ বা জল ছাড়াই। মঙ্গলবার সকালে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস সফলভাবে এপসিলনে আটকে পড়া সমস্ত পরিবারকে উদ্ধার ও সরিয়ে নিয়েছিল। তাঁদের বেশিরভাগই ভাড়া বাড়িতে বা তাঁদের বন্ধু বা পরিবারের বাড়িতে গিয়ে থেকেছে।