পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভুল!

World: পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভুল! আমেরিকাকে আলাস্কা বিক্রি রাশিয়ার! তারপরই মিলল সোনা

কয়েক শতাব্দী ধরে বিবেচনা করলে রাশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভুল কোনটি? কেউ কেউ বলেন, আলস্কাকে আমেরিকার কাছে বিক্রি করে দেওয়া। ১৮৬৭ সালে আমেরিকার ৪৯তম রাজ্যে পরিণত হওয়ার আগে পর্যন্ত আলাস্কা রাশিয়ার অংশ ছিল।
কয়েক শতাব্দী ধরে বিবেচনা করলে রাশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভুল কোনটি? কেউ কেউ বলেন, আলস্কাকে আমেরিকার কাছে বিক্রি করে দেওয়া। ১৮৬৭ সালে আমেরিকার ৪৯তম রাজ্যে পরিণত হওয়ার আগে পর্যন্ত আলাস্কা রাশিয়ার অংশ ছিল।
১৫ লাখ ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার মূল্যবান এক ভূখণ্ড আলাস্কা। রাশিয়া কেন বিক্রি করে দিয়েছে এই অঞ্চলটি? এমন নয় যে আলাস্কায় কোনও প্রাকৃতিক সম্পদ নেই। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই অঞ্চল, তবু কেন আলাস্কাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল?
১৫ লাখ ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার মূল্যবান এক ভূখণ্ড আলাস্কা। রাশিয়া কেন বিক্রি করে দিয়েছে এই অঞ্চলটি? এমন নয় যে আলাস্কায় কোনও প্রাকৃতিক সম্পদ নেই। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই অঞ্চল, তবু কেন আলাস্কাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল?
প্রাকৃতিক সম্পদ থাকলেও রাশিয়ার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ ছিল না আলাস্কা নামের ভূখণ্ডটি। ১৮ শতকে ভিটাস বেরিং নামের এক রুশ অভিযাত্রী বেরিং প্রণালি অতিক্রম করে আলাস্কায় পৌঁছান। সে সময় আলাস্কা ছিল বন্য প্রাণীর দখলে। প্রচুর পরিমাণে সামুদ্রিক উদ্বিড়াল, শিয়াল ও লোমশ সিল দেখতে পান।
প্রাকৃতিক সম্পদ থাকলেও রাশিয়ার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ ছিল না আলাস্কা নামের ভূখণ্ডটি। ১৮ শতকে ভিটাস বেরিং নামের এক রুশ অভিযাত্রী বেরিং প্রণালি অতিক্রম করে আলাস্কায় পৌঁছান। সে সময় আলাস্কা ছিল বন্য প্রাণীর দখলে। প্রচুর পরিমাণে সামুদ্রিক উদ্বিড়াল, শিয়াল ও লোমশ সিল দেখতে পান।
আলাস্কার আবহাওয়া খুব একটা সুবিধার নয়। তুষার ঝড় ও ঠান্ডাকে মোটামুটি বিপজ্জনক আবহাওয়াই বলা যায়। আলাস্কা ভ্রমণ ছিল খুব চ্যালেঞ্জিং অভিযান।
আলাস্কার আবহাওয়া খুব একটা সুবিধার নয়। তুষার ঝড় ও ঠান্ডাকে মোটামুটি বিপজ্জনক আবহাওয়াই বলা যায়। আলাস্কা ভ্রমণ ছিল খুব চ্যালেঞ্জিং অভিযান।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়া আলাস্কায় বসতি স্থাপন করে। কিন্তু সেগুলো টিকিয়ে রাখা কঠিন ছিল। রাশিয়ার প্রধান শহরগুলো থেকে দূরত্ব ও বিপজ্জনক জলবায়ু মানুষের বসবাস কঠিন করে তোলে। অবশেষে রাশিয়া ১৮১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে কৃষি ও প্রয়োজনীয় উপকরণ পাঠানোর সুবিধার জন্য ফোর্ট রস নামের একটি বেজ তৈরি করে। তবে আলাস্কায় বসতির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে ছিল দেশটি।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়া আলাস্কায় বসতি স্থাপন করে। কিন্তু সেগুলো টিকিয়ে রাখা কঠিন ছিল। রাশিয়ার প্রধান শহরগুলো থেকে দূরত্ব ও বিপজ্জনক জলবায়ু মানুষের বসবাস কঠিন করে তোলে। অবশেষে রাশিয়া ১৮১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে কৃষি ও প্রয়োজনীয় উপকরণ পাঠানোর সুবিধার জন্য ফোর্ট রস নামের একটি বেজ তৈরি করে। তবে আলাস্কায় বসতির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে ছিল দেশটি।
১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, মলদোভা, ক্রিমিয়াসহ বলকান অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল রাশিয়া। তখন কলোনিয়াল যুগে অনেক দেশই অন্য দেশ দখল করে নিয়ন্ত্রণ করত। রাশিয়াও এর ব্যতিক্রম ছিল না। এই অঞ্চলগুলো ছিল উসমানীয় সাম্রাজ্যের অংশ। যেখানে বেশির ভাগ মানুষ ছিল মুসলমান। রাশিয়া সেখানে বসবাসকারী খ্রিষ্টানদের রক্ষা করতে চাওয়ায় ক্রিমিয়া যুদ্ধ শুরু হয়।
১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, মলদোভা, ক্রিমিয়াসহ বলকান অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল রাশিয়া। তখন কলোনিয়াল যুগে অনেক দেশই অন্য দেশ দখল করে নিয়ন্ত্রণ করত। রাশিয়াও এর ব্যতিক্রম ছিল না। এই অঞ্চলগুলো ছিল উসমানীয় সাম্রাজ্যের অংশ। যেখানে বেশির ভাগ মানুষ ছিল মুসলমান। রাশিয়া সেখানে বসবাসকারী খ্রিষ্টানদের রক্ষা করতে চাওয়ায় ক্রিমিয়া যুদ্ধ শুরু হয়।
যুদ্ধের সময় রাশিয়া আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। ব্যাপক হতাহতের শিকার হন রাশিয়ান সৈন্যসামন্ত। উসমানীয় সাম্রাজ্য, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের জোটের কাছে হেরে যায় তারা। যুদ্ধ রাশিয়ার সম্পদ অনেকটা নিঃশেষ করে দেয়। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়।
যুদ্ধের সময় রাশিয়া আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। ব্যাপক হতাহতের শিকার হন রাশিয়ান সৈন্যসামন্ত। উসমানীয় সাম্রাজ্য, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের জোটের কাছে হেরে যায় তারা। যুদ্ধ রাশিয়ার সম্পদ অনেকটা নিঃশেষ করে দেয়। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়।
১৮০০-এর দশকে রাশিয়া (রুশ সাম্রাজ্য) ও আমেরিকা মিত্র ছিল। কারণ, উভয়ই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে শত্রু হিসেবে দেখত। অন্যদিকে আলাস্কার মতো বিরাট অঞ্চল বা সীমা রক্ষা করা রাশিয়ার জন্য কঠিন ছিল। এই ভূখণ্ড থেকে কোনও লাভ আসবে না ধরে নিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেয় রাশিয়া। আর্থিক প্রয়োজনে আলাস্কা বিক্রি করার ধারণা নিয়ে আমেরিকার কাছে যায়।
১৮০০-এর দশকে রাশিয়া (রুশ সাম্রাজ্য) ও আমেরিকা মিত্র ছিল। কারণ, উভয়ই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে শত্রু হিসেবে দেখত। অন্যদিকে আলাস্কার মতো বিরাট অঞ্চল বা সীমা রক্ষা করা রাশিয়ার জন্য কঠিন ছিল। এই ভূখণ্ড থেকে কোনও লাভ আসবে না ধরে নিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেয় রাশিয়া। আর্থিক প্রয়োজনে আলাস্কা বিক্রি করার ধারণা নিয়ে আমেরিকার কাছে যায়।
আমেরিকার গৃহযুদ্ধের পর আলাস্কা চুক্তির জন্য আলোচনা শুরু হয়। রাশিয়া এর মূল্য নির্ধারণের জন্য আলাস্কায় জরিপকারীদের একটি দল পাঠায়। তারা এর মূল্য এক কোটি ডলার হবে বলে অনুমান করে। যদিও আলোচনার পরে চূড়ান্ত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭২ লাখ ডলার।

আমেরিকার গৃহযুদ্ধের পর আলাস্কা চুক্তির জন্য আলোচনা শুরু হয়। রাশিয়া এর মূল্য নির্ধারণের জন্য আলাস্কায় জরিপকারীদের একটি দল পাঠায়। তারা এর মূল্য এক কোটি ডলার হবে বলে অনুমান করে। যদিও আলোচনার পরে চূড়ান্ত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭২ লাখ ডলার।
আলাস্কা কেনার চুক্তি মার্কিন সিনেটে অনুমোদিত হয়। ১৮৬৭ সালে রাষ্ট্রপতি অ্যান্ড্রু জনসন এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ১৮৬৭ সালের ১৮ অক্টোবর রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে আলাস্কা আমেরিকার কাছে হস্তান্তর করে।
আলাস্কা কেনার চুক্তি মার্কিন সিনেটে অনুমোদিত হয়। ১৮৬৭ সালে রাষ্ট্রপতি অ্যান্ড্রু জনসন এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ১৮৬৭ সালের ১৮ অক্টোবর রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে আলাস্কা আমেরিকার কাছে হস্তান্তর করে।
প্রথমে আমেরিকার অনেকেই আলাস্কা চুক্তিটিকে একটি ভুল পদক্ষেপ বলে মনে করেছিলেন। এটিকে বলা হতো ‘সিওয়ার্ডের মূর্খতা’। কিন্তু ১৮৯৬ সালে আলাস্কায় সোনা আবিষ্কার হয়। যার ফলে ক্লন্ডাইক গোল্ড রাশ বা স্বর্ণশিকারীদের অভিযাত্রা। সোনা আবিষ্কার এই অঞ্চলের দিকে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে আলাস্কার সমৃদ্ধ খনিজ সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়।
প্রথমে আমেরিকার অনেকেই আলাস্কা চুক্তিটিকে একটি ভুল পদক্ষেপ বলে মনে করেছিলেন। এটিকে বলা হতো ‘সিওয়ার্ডের মূর্খতা’। কিন্তু ১৮৯৬ সালে আলাস্কায় সোনা আবিষ্কার হয়। যার ফলে ক্লন্ডাইক গোল্ড রাশ বা স্বর্ণশিকারীদের অভিযাত্রা। সোনা আবিষ্কার এই অঞ্চলের দিকে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে আলাস্কার সমৃদ্ধ খনিজ সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়।
আমেরিকার দিক থেকে আলাস্কা কেনার কারণ ছিল সোনা, পশম ও মৎস্যসম্পদ সংগ্রহ। একই সঙ্গে চিন ও জাপানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ার সম্ভাবনাও তারা দেখতে পেয়েছিল। অন্যদিকে তাদের ভয় ছিল ইংল্যান্ড এই অঞ্চলে নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করতে পারে। আমেরিকার জন্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় শক্তি হতে সাহায্য করেছিল আলাস্কা।
আমেরিকার দিক থেকে আলাস্কা কেনার কারণ ছিল সোনা, পশম ও মৎস্যসম্পদ সংগ্রহ। একই সঙ্গে চিন ও জাপানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ার সম্ভাবনাও তারা দেখতে পেয়েছিল। অন্যদিকে তাদের ভয় ছিল ইংল্যান্ড এই অঞ্চলে নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করতে পারে। আমেরিকার জন্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় শক্তি হতে সাহায্য করেছিল আলাস্কা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আলাস্কার কৌশলগত গুরুত্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। খনিজ সম্পদের পাশাপাশি এর অবস্থানগত গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। অবশেষে ১৯৫৯ সালের ৩ জানুয়ারি আলাস্কা আমেরিকার একটি রাজ্যে পরিণত হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আলাস্কার কৌশলগত গুরুত্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। খনিজ সম্পদের পাশাপাশি এর অবস্থানগত গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। অবশেষে ১৯৫৯ সালের ৩ জানুয়ারি আলাস্কা আমেরিকার একটি রাজ্যে পরিণত হয়।