নয়াদিল্লি: হামাসের মিত্রশক্তি এবং ইরানের প্রতিনিধি হিজবুল্লাহ সোমবার একটি বিবৃতি জারি করেছে। আর জানিয়েছে যে, উত্তর ইজরায়েলের সেনা সদর দফতর লক্ষ্য করে কয়েক ডজন কাৎইয়ুশা রকেট নিক্ষেপ করেছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, লেবাননের জঙ্গিগোষ্ঠীর জানিয়েছে যে, এটা মূলত দক্ষিণ লেবাননের গ্রাম লক্ষ্য করে অভিযান চালানোর জন্য প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ ছিল।
ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) আবার জানিয়েছে যে, তারা লেবাননের দিক থেকে নিক্ষেপ করা প্রায় ৩৫টি রকেট উত্তর ইজরায়েল অতিক্রম করে এইন জেইটিম এলাকায় গিয়ে পড়েছে। তাদের বক্তব্য, এতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আর নিক্ষেপ করা রকেট এই ঘাঁটি বা উৎসগুলিতেও আঘাত হেনেছিল।
আইডিএফ বলেছে যে, হামলার উৎস ছিল দক্ষিণ লেবাননের আরজাউন এলাকা। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের উপর হামাসের নজিরবিহীন হামলা গাজায যুদ্ধের সূচনা করেছে। আর তারপর থেকে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী এবং ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই সীমান্ত বরাবর গুলি বিনিময় হয়ে চলেছে।
ফলে ইজরায়েল-ইরান অশান্তি তুঙ্গে উঠেছে। সীমান্ত বরাবর ইজরায়েলের সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে আরও বেশি করে আঘাত হানছে লেবাননের শিয়া জঙ্গিগোষ্ঠী। হিজবুল্লাহর তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে যে, এইন জেইটিম ঘাঁটিতে ৯১-তম ডিভিশনের তৃতীয় ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের সদর দফতরে কয়েক ডজন কাৎইয়ুশা রকেট নিক্ষেপ করে বোমাবর্ষণ করেছিল তারা। সম্প্রতি স্রিফা, ওডাইসেহ এবং র্যাব ত্ল্যানিতিনের মতো সাউদার্ন গ্রাম এবং নাগরিকদের বাড়িতে বাড়িতে ইজরায়েলি হামলার প্রত্যুত্তর ছিল এটি।
লেবাননের অফিসিয়াল ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ)-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, সোমবার তিনটি গ্রামে ইজরায়েলি হামলা হয়েছে। সেই বিগত ৭ অক্টোবর থেকে লেবাননে অন্ততপক্ষে ৩৭৬ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। রয়েছেন প্রায় ৭০ জন নাগরিকও। এদিকে ইজরায়েল জানিয়েছে যে, সীমান্ত বরাবর ১০ জন সেনা এবং ৮ জন নাগরিক প্রাণ খুইয়েছেন।