Tag Archives: world news

World Politics: ক্রমশ অগ্নিগর্ভ হচ্ছে পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি; ইজরায়েলের সেনা সদর দফতর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ হিজবুল্লাহর

নয়াদিল্লি: হামাসের মিত্রশক্তি এবং ইরানের প্রতিনিধি হিজবুল্লাহ সোমবার একটি বিবৃতি জারি করেছে। আর জানিয়েছে যে, উত্তর ইজরায়েলের সেনা সদর দফতর লক্ষ্য করে কয়েক ডজন কাৎইয়ুশা রকেট নিক্ষেপ করেছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, লেবাননের জঙ্গিগোষ্ঠীর জানিয়েছে যে, এটা মূলত দক্ষিণ লেবাননের গ্রাম লক্ষ্য করে অভিযান চালানোর জন্য প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ ছিল।

ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) আবার জানিয়েছে যে, তারা লেবাননের দিক থেকে নিক্ষেপ করা প্রায় ৩৫টি রকেট উত্তর ইজরায়েল অতিক্রম করে এইন জেইটিম এলাকায় গিয়ে পড়েছে। তাদের বক্তব্য, এতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আর নিক্ষেপ করা রকেট এই ঘাঁটি বা উৎসগুলিতেও আঘাত হেনেছিল।

আইডিএফ বলেছে যে, হামলার উৎস ছিল দক্ষিণ লেবাননের আরজাউন এলাকা। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের উপর হামাসের নজিরবিহীন হামলা গাজায যুদ্ধের সূচনা করেছে। আর তারপর থেকে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী এবং ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই সীমান্ত বরাবর গুলি বিনিময় হয়ে চলেছে।

ফলে ইজরায়েল-ইরান অশান্তি তুঙ্গে উঠেছে। সীমান্ত বরাবর ইজরায়েলের সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে আরও বেশি করে আঘাত হানছে লেবাননের শিয়া জঙ্গিগোষ্ঠী। হিজবুল্লাহর তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে যে, এইন জেইটিম ঘাঁটিতে ৯১-তম ডিভিশনের তৃতীয় ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের সদর দফতরে কয়েক ডজন কাৎইয়ুশা রকেট নিক্ষেপ করে বোমাবর্ষণ করেছিল তারা। সম্প্রতি স্রিফা, ওডাইসেহ এবং র‍্যাব ত্ল্যানিতিনের মতো সাউদার্ন গ্রাম এবং নাগরিকদের বাড়িতে বাড়িতে ইজরায়েলি হামলার প্রত্যুত্তর ছিল এটি।

লেবাননের অফিসিয়াল ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ)-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, সোমবার তিনটি গ্রামে ইজরায়েলি হামলা হয়েছে। সেই বিগত ৭ অক্টোবর থেকে লেবাননে অন্ততপক্ষে ৩৭৬ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। রয়েছেন প্রায় ৭০ জন নাগরিকও। এদিকে ইজরায়েল জানিয়েছে যে, সীমান্ত বরাবর ১০ জন সেনা এবং ৮ জন নাগরিক প্রাণ খুইয়েছেন।

Bangladeshi child reunites after 3 years: তিন বছর পরে ধরে ভারতে আটকে বাংলাদেশি শিশু, অবশেষে ফিরল দেশে

সালটা ২০২১, দুর্ঘটনাবশত ভারতে ঢুকে পড়েছিল এক শিশু, তার পর টানা তিন বছর আটকে ছিল ভারতে। অবশেষে অসমের দক্ষিণ সালমারা মানকাচর জেলার প্রশাসনের সাহায্যে দেশে ফিরল সেই শিশু। তিন বছর আগে মানকাচর এলাকার সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পরে সেই শিশু। তার পরে তাকে আটক করে অসমের বোকো চাইল্ড প্রোটেকশন সেলের কাছে রাখা হয়।

আরও খবর: মাত্র এক রানের জন্য ঝামেলায় জড়ালেন গৌতম গম্ভীর, পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচের ভিডিও ভাইরাল

ভারতে প্রবেশের পরে ২০২১ সালে ভারতে প্রবেশ করার পরে শিশুটিকে আটক করে মানকাচর পুলিশ। তার পর সেই থানা ৮৯২/২০২১ কেস নম্বর দিয়ে  মামলা রুজু করে। তার পরে অসমের বোকো চায়েল্ড প্রোটেকশন সেলের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। তার পর দক্ষিণ সালমারা মানিকচর জেলার লিগাল সার্ভিস অথারিটির সাহায্য়ে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

আরও খবর: রোদের মধ্যে বেরোতে হচ্ছে, মাথায় পরতে পারেন এসি হেলমেট, কোথায় পাওয়া যাবে?

শুক্রবার অসম পুলিশ এবং মেঘালয় পুলিশের সাহায্য়ে শিশুটিকে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড অফ পুলিশের (বিজিবি) হাতে তুলে দেওয়া হয়। তিন বছর পরে আইনি জটিলতা পেরিয়ে শিশুটিকে ফিরে পেয়ে খুশি পরিবার। তারা পুলিশ, লিগাল সার্ভিস অথারিটি এবং বিএসএফের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

Maldives: ভোট চলছে ভারতে, কিন্তু ভারতের সব নজর অন্য এক ভোটের ফলে! কোথাকার? কেন এত জরুরি সেই ভোট?

মলদ্বীপ: মলদ্বীপের পার্লামেন্ট পিপলস মজলিসের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নির্ণয়ে আজ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশটির ৯৩টি সংসদীয় আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৬৬৩ জন ভোটার ভোট দিচ্ছেন আজ। আর ভারতে লোকসভা ভোট চলার মধ্যেই গোটা দেশের রাজনৈতিক কুশিলবদের নজর রয়েছে মলদ্বীপের ভোটের দিকেও। কিন্তু কেন? ভারতের বিরোধিতা করলে কি মুইজ্জু তার আসন হারাবেন? মলদ্বীপে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট শুরু।

এই ভোটের দিকে কড়া নজর রয়েছে চিনেরও। নির্বাচনে লড়াই হচ্ছে মূলত দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি)-এর সঙ্গে প্রধান বিরোধী দল এমডিপি-র। মলদ্বীপের পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তার জন্য ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। ভারত মহাসাগরে নিয়ন্ত্রণের জন্য এই নির্বাচনের ওপর কড়া নজর রাখছে ভারত ও চিন।

আরও পড়ুন: কলকাতায় ভয়ঙ্কর দৃশ্য! বহুতলের ১৪ তলা থেকে কী পড়ল ওটা! কাছে যেতেই দেখা গেল, রক্তে মাখা যুবতী!

গত সেপ্টেম্বরে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে চিনপন্থী মুইজ্জু। এবারের নির্বাচনের প্রচারজুড়ে ভারত বিরোধিতার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট পদে বসেই ভারতীয় সেনাকে ‘বিতাড়ন’ করার সিদ্ধান্ত নেন এই নেতা। মলদ্বীপে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো গড়তে বরাত দেন চিনা সংস্থাগুলোকেও। মুইজ্জুকে ব্যবহার করে ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে চাইছে বেজিং, একথা কার্যত দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। তাই ভারত ও চিন উভয়েই মলদ্বীপ নির্বাচনের দিকেও নজর রাখছে কারণ উভয় দেশই দ্বীপপুঞ্জে তার প্রভাব প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

মলদ্বীপ ভারত মহাসাগরের একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত। যার কারণে ভারত ও চিন উভয়েই মলদ্বীপের উপর প্রভাব বিস্তার করতে চায়। গত বছর, রাষ্ট্রপতি হিসাবে, মুইজ্জু চীনপন্থী অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন এবং দেশের একটি দ্বীপে অবস্থানরত ভারতীয় সৈন্যদের সরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে নির্দিষ্ট ডেডলাইনও দিয়েছিলেন। তবে, মুইজ্জুর পক্ষে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা কঠিন হবে। কারণ তার কিছু মিত্র দলত্যাগ করেছে এবং আরও দল প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে। ছয়টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র দল সংসদের ৯৩টি আসনে ৩৬৮ জন প্রার্থী ভোটে অংশ নিয়েছে।

Israel: ‘আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা নিজেরা নেব’, ইরানের হামলার পর মিত্রদেশের পরামর্শ উড়িয়ে দিলেন নেতানিয়াহু

তেহেরান: ইরানের হামলার পর ফুঁসছে ইজরায়েল। প্রতিশোধ এখন সময়ের অপেক্ষা। মিত্রদেশগুলির সংযম রক্ষার আবেদন উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর সাফ কথা, “আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা নিজেরা নেব”।

গাজার যুদ্ধ এখনও থামেনি। গোটা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে না বলে-কয়ে ইরানের হামলা তাতিয়ে দিয়েছে ইজরায়েলকে। এই হামলার যোগ্য জবাব দিতে কোমর বাঁধছে নেতানিয়াহুর দেশ।

হামলার পর থেকেই ইজরায়েলের মিত্রদেশগুলি সংযমী থাকার আহ্বান জানিয়েছে। বুধবার ব্রিটেন এবং জার্মান বিদেশমন্ত্রীও একই কথা বলেছেন। যদিও ইরানের উপরও কূটনৈতিক চাপ ছিল। ইজরায়েলি ভূখণ্ডে ‘সামান্য’ আক্রমণ হলেও তার ‘বিশাল এবং কঠোর’ প্রতিক্রিয়া আসবে বলে ইরানের রাষ্ট্রপতিকে সতর্ক করা হয়েছিল।

এদিকে বুধবার ইরান সমর্থিত লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ফের উত্তর ইজরায়েলের রকেট এবং ড্রোন হামলা চালায়। ঘটনায় কমপক্ষে ১৪ জন ইজরায়েলি সেনা জখম। এর মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর। পালটা লেবাননে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইজরায়েলি সেনা।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, বুধবার তিনি দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তাঁদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে তিনি এও জানিয়েছেন, ইজরায়েল মিত্রদেশগুলির ‘পরামর্শ’ শুনলেও প্রতিক্রিয়া কীভাবে জানাবে, সেটা নিজেই ঠিক করবে।

আরও পড়ুন: ইরানের আক্রমণ, ইজরায়েলের ‘ম্যাজিক অস্ত্র’, ভিডিও দেখলে চমকে উঠবেন

নেতানিয়াহু বলেন, “আমি পরিস্কার করে দিতে চাই, আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা নিজেরাই নেব। ইজরায়েল আত্মরক্ষার জন্য যা যা করা দরকার তা করবে”। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইজরায়েল অন্ততপক্ষে মিত্রদেশ আমেরিকার সমর্থন ছাড়া ইরানকে সরাসরি আক্রমণ করবে না বলেই মনে হচ্ছে। তবে ইজরায়েল ইরানের সিনিয়র কমান্ডার বা অন্যান্য দেশে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলিকে আক্রমণ করতে পারে। কিংবা সাইবার হানা শুরু করাও অসম্ভব নয়।

ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ইরান তখন কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে উভয় পক্ষের কোনও ভুল পদক্ষেপে আঞ্চলিক যুদ্ধ শুরুর ঝুঁকি রয়েছে ষোলো আনা। অন্য দিকে, ইরানের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে বাইডেন সরকার। ইরানের হামলার নিন্দাও করেছে তারা।

Iran-Israel: পাল্টা দেওয়ার সময় এসে গেল, এবার ইরানে হামলা ইজরায়েলের! নিশানায় আসলে যা, শুনেই চমকে উঠছে বিশ্ব

তেহেরান: এবার আসরে ইজরায়েল। দিন কয়েক আগেই ইরানের হামলার বিরুদ্ধে এবার পাল্টা প্রত্যাঘাত করল ইজরায়েল। জানা গিয়েছে, ইরানের একটি লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনও ইরানের ইসফাহান শহরে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে।

বদলা হিসেবে গত শনিবার ইজরায়েলে নজিরবিহীন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এই হামলার জবাব দেওয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিল ইজরায়েল। যদিও পাশে থাকলেও আমেরিকা ও বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ইজরায়েলকে পাল্টা হামলা না চালানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু ইজরায়েল এই আহ্বান উপেক্ষা করে স্থানীয় সময় আজ, শুক্রবার ভোরে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল।

আরও পড়ুন: ভোট শুরুর সকালেই বড় ঘটনা! মৃত্যু কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের! চর্চায় ‘সেই’ মাথাভাঙ্গা

জানা গিয়েছে, একটি ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র শুক্রবার ভোরে ইরানের একটি টার্গেট করা স্থানে আঘাত হেনেছে বলে এবিসি নিউজ জানিয়েছে। এছাড়া সিরিয়া ও ইরাকেও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। ইরানি মিডিয়ার খবরে ইসফাহান বিমানবন্দরের কাছে হামলার কথা জানিয়েছে। ইরান দেশের বেশ কয়েকটি স্থানের বিমান চলাচল স্থগিত করেছে।

আরও জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইরানে আছড়ে পড়ে বেশ কয়েকটি ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র। ইরানের সংবাদ সংস্থা ‘ফার্স নিউজে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসফাহান শহরে তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। যদিও তার কারণ খোলসা করা হয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, ইজরায়েলের হিটলিস্টে রয়েছে ইসাফাহান। কারণ, সেখানেই ইরানের বেশ কয়েকটি পরমাণু কেন্দ্র রয়েছে। তেল আভিভের দাবি, শক্তি উৎপাদনের আড়ালে ওই কেন্দ্রগুলিতে পারমানবিক বোমা বানাচ্ছে তেহরান।

উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় আইডিএফ। মৃত্যু হয় ১৩ জনের। নিহতদের মধ্যে ছিলেন দুজন ইরানি সেনাকর্তাও। পালটা ১৩ এপ্রিল ইজরায়েলকে নিশানা করে ড্রোন ও ক্ষেপণান্ত্র ছুড়ে ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর। এবার পাল্টা আসরে ইজরায়েল।

Best Photo: সকালে সবাই কাজে বেরচ্ছিল, হঠাৎ ঘটল আরমেরো ট্র্যাজেডি! মুহূর্তে মৃত্যু ২৩ হাজার মানুষের!

ছবির আমি, ছবির তুমি, ছবি দিয়ে যায় চেনা... ইতিহাস শুধু অক্ষরে নয়, ছবিতেও তার সাক্ষ্য বহন করে চলে। এক একটা ছবিই যেন হয়ে থাকে সময়ের দলিল। একজন ফটোগ্রাফার নিজের চোখের আয়নায় দেখেন সময়কে। তুলে ধরেন একটা মুহূর্ত। আর নিজের দক্ষতায় একটি নির্জীব বিষয়কেও তিনি করে তুলতে পারেন জীবন্ত-প্রাণচঞ্চল।

ছবির আমি, ছবির তুমি, ছবি দিয়ে যায় চেনা… ইতিহাস শুধু অক্ষরে নয়, ছবিতেও তার সাক্ষ্য বহন করে চলে। এক একটা ছবিই যেন হয়ে থাকে সময়ের দলিল। একজন ফটোগ্রাফার নিজের চোখের আয়নায় দেখেন সময়কে। তুলে ধরেন একটা মুহূর্ত। আর নিজের দক্ষতায় একটি নির্জীব বিষয়কেও তিনি করে তুলতে পারেন জীবন্ত-প্রাণচঞ্চল।
পৃথিবীতে এমন কিছু ছবি আজ পর্যন্ত তোলা হয়েছে, যা শুধুমাত্র সৌন্দর্য নয়, বরং পৃথিবীর এক একটা অধ্যায়কে তুলে ধরেছে। হাজার না বলতে পারা কথার প্রতীকী হয়ে উঠেছে সেই ছবি। ঠাঁই করে নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া, লাইভ ভিডিয়োর এই যুগে 'স্টিল ফটোগ্রাফ' অনেকাংশেই তার কৌলিন্য হারাচ্ছে।
পৃথিবীতে এমন কিছু ছবি আজ পর্যন্ত তোলা হয়েছে, যা শুধুমাত্র সৌন্দর্য নয়, বরং পৃথিবীর এক একটা অধ্যায়কে তুলে ধরেছে। হাজার না বলতে পারা কথার প্রতীকী হয়ে উঠেছে সেই ছবি। ঠাঁই করে নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া, লাইভ ভিডিয়োর এই যুগে ‘স্টিল ফটোগ্রাফ’ অনেকাংশেই তার কৌলিন্য হারাচ্ছে।
১৯৮৫ সাল। ১৩ নভেম্বরের সকাল। মানুষ সবে কাজে বেরোচ্ছে। হঠাতই কলম্বিয়ার আরমেরো নামে ছোট গ্রামটায় নেমে এল আকাশভাঙা বিপদ। গ্রামের পাশেই ছিল নেভাদো দেল রুইজ আগ্নেয়গিরি। সেখান থেকেই হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হল।
১৯৮৫ সাল। ১৩ নভেম্বরের সকাল। মানুষ সবে কাজে বেরোচ্ছে। হঠাতই কলম্বিয়ার আরমেরো নামে ছোট গ্রামটায় নেমে এল আকাশভাঙা বিপদ। গ্রামের পাশেই ছিল নেভাদো দেল রুইজ আগ্নেয়গিরি। সেখান থেকেই হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হল।
শুধু কি তাই, আগ্নেয়গিরির লাভা মিশে গেল নদীর জলে, বরফ তখন লাভার আগুনে জ্বলছে। সে এক ভয়াবহ অবস্থা। এরপরই শুরু হল ভূমিধস। আর তাতেই আরমেরো-সহ আশপাশের ১৩টি গ্রাম মুহূর্তে যেন ধ্বংস হয়ে গেল। মৃত্যু হল ২৩ হাজার মানুষের। নির্মম মৃত্যু।
শুধু কি তাই, আগ্নেয়গিরির লাভা মিশে গেল নদীর জলে, বরফ তখন লাভার আগুনে জ্বলছে। সে এক ভয়াবহ অবস্থা। এরপরই শুরু হল ভূমিধস। আর তাতেই আরমেরো-সহ আশপাশের ১৩টি গ্রাম মুহূর্তে যেন ধ্বংস হয়ে গেল। মৃত্যু হল ২৩ হাজার মানুষের। নির্মম মৃত্যু।
সেই ভয়াবহতার সময়ই তোলা হয়েছিল একটি স্টিল ফটোগ্রাফ। মেয়েটির নাম অমায়রা সানচেজ। মাত্র ১৩ বছর বয়স। ভূমিধসের সময় মেয়েটি একটি ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিল্ডিংয়ের নিচে আটকে পড়েছিল।
সেই ভয়াবহতার সময়ই তোলা হয়েছিল একটি স্টিল ফটোগ্রাফ। মেয়েটির নাম অমায়রা সানচেজ। মাত্র ১৩ বছর বয়স। ভূমিধসের সময় মেয়েটি একটি ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিল্ডিংয়ের নিচে আটকে পড়েছিল।
চারিদিকে আগ্নেয়গিরির ফুটন্ত লাভা আর মাঝে সানচেজ। উদ্ধারকর্মীরা সানচেজকে উদ্ধারের আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে। কেটে গেছে ৬০ ঘণ্টা! কিন্তু না, তাও সম্ভব হল না।
চারিদিকে আগ্নেয়গিরির ফুটন্ত লাভা আর মাঝে সানচেজ। উদ্ধারকর্মীরা সানচেজকে উদ্ধারের আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে। কেটে গেছে ৬০ ঘণ্টা! কিন্তু না, তাও সম্ভব হল না।
আস্তে আস্তে মৃত্যু এসে গ্রাস করল সানচেজকে। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে এক কিশোরীর চোখের সে কী আকুল চাহনি! টানা ৬০ ঘণ্টা একইভাবে আটকে থাকার পর ১৬ নভেম্বর মৃত্যু হয় সানচেজের। প্রকৃতির নির্মমতার কাছে মানুষ যে কত অসহায়, সানচেজের এই ছবিটিই যেন তা যুগ-যুগ ধরে বুঝিয়ে দিয়ে যায়।
আস্তে আস্তে মৃত্যু এসে গ্রাস করল সানচেজকে। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে এক কিশোরীর চোখের সে কী আকুল চাহনি! টানা ৬০ ঘণ্টা একইভাবে আটকে থাকার পর ১৬ নভেম্বর মৃত্যু হয় সানচেজের। প্রকৃতির নির্মমতার কাছে মানুষ যে কত অসহায়, সানচেজের এই ছবিটিই যেন তা যুগ-যুগ ধরে বুঝিয়ে দিয়ে যায়।

Knowledge Story: দেখতে পেলেই গুলিতে ঝাঁঝরা! বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় জায়গা এটি! কী আছে, কী হয় ভিতরে?

আমেরিকার ভূখণ্ডে থাকা সবচেয়ে সুরক্ষিত কিছু জায়গা যেমন- পেন্টাগন, হোয়াইট হাউস, নাসার সদর দপ্তর ও বিভিন্ন লঞ্চ প্যাডেও অনুমতি নিয়ে সাধারণ মানুষ ঢুকতে পারেন। তবে এরিয়া ৫১ এর আশপাশে মিডিয়া বা জনসাধারণের প্রবেশাধিকার একেবারেই নিষিদ্ধ।
আমেরিকার ভূখণ্ডে থাকা সবচেয়ে সুরক্ষিত কিছু জায়গা যেমন- পেন্টাগন, হোয়াইট হাউস, নাসার সদর দপ্তর ও বিভিন্ন লঞ্চ প্যাডেও অনুমতি নিয়ে সাধারণ মানুষ ঢুকতে পারেন। তবে এরিয়া ৫১ এর আশপাশে মিডিয়া বা জনসাধারণের প্রবেশাধিকার একেবারেই নিষিদ্ধ।
বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় স্থানগুলোর তালিকায় আছে এরিয়া ৫১ নামক এক জায়গা। জনসাধারণের জন্য নিষিদ্ধ এই স্থানে লুকিয়ে আছে নানা রহস্য। তবে আজও তা ভেদ করতে পারেননি কোনো বিজ্ঞানী কিংবা গবেষকরা।
বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় স্থানগুলোর তালিকায় আছে এরিয়া ৫১ নামক এক জায়গা। জনসাধারণের জন্য নিষিদ্ধ এই স্থানে লুকিয়ে আছে নানা রহস্য। তবে আজও তা ভেদ করতে পারেননি কোনো বিজ্ঞানী কিংবা গবেষকরা।
নেভাদা টেস্ট অ্যান্ড ট্রেনিং রেঞ্জের ভেতরেই আছে পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন ও সবচেয়ে রহস্যময় এলাকা এরিয়া ৫১। আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে বলে আসছে, এরিয়া ৫১ হলো আমেরিকার সবচেয়ে সুরক্ষিত সামরিক বিমান ঘাঁটি।
নেভাদা টেস্ট অ্যান্ড ট্রেনিং রেঞ্জের ভেতরেই আছে পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন ও সবচেয়ে রহস্যময় এলাকা এরিয়া ৫১। আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে বলে আসছে, এরিয়া ৫১ হলো আমেরিকার সবচেয়ে সুরক্ষিত সামরিক বিমান ঘাঁটি।
লাস ভেগাস থেকে ১৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে পাহাড়ঘেরা মরুভূমির মধ্যে আছে নেভাদা টেস্ট অ্যান্ড ট্রেনিং রেঞ্জ। আধুনিক মারণাস্ত্রের সবচেয়ে বড় পরীক্ষাগার। ২৯ লাখ একর জুড়ে থাকা এই রেঞ্জে আমেরিকা নাকি ৫০০টিরও বেশি পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
লাস ভেগাস থেকে ১৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে পাহাড়ঘেরা মরুভূমির মধ্যে আছে নেভাদা টেস্ট অ্যান্ড ট্রেনিং রেঞ্জ। আধুনিক মারণাস্ত্রের সবচেয়ে বড় পরীক্ষাগার। ২৯ লাখ একর জুড়ে থাকা এই রেঞ্জে আমেরিকা নাকি ৫০০টিরও বেশি পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
চারপাশে একটি নোটিশ লাগানো আছে, যেখানে লেখা- ‘ইউজ অব ডেডলি ফোর্স অথোরাইজড’। সেনারা ছাড়াও সবার অলক্ষ্যে সেখানে হাজার হাজার মোবাইল সিসি ক্যামেরা, মোশন ডিটেকটর, লেসার ডিটেকটর, সাউন্ড ডিটেকটর, গন্ধ শোঁকার ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রোনও আছে।
চারপাশে একটি নোটিশ লাগানো আছে, যেখানে লেখা- ‘ইউজ অব ডেডলি ফোর্স অথোরাইজড’। সেনারা ছাড়াও সবার অলক্ষ্যে সেখানে হাজার হাজার মোবাইল সিসি ক্যামেরা, মোশন ডিটেকটর, লেসার ডিটেকটর, সাউন্ড ডিটেকটর, গন্ধ শোঁকার ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রোনও আছে।
পাশেই আছে দ্য এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল হাইওয়ে। সেখান থেকে নাকি দেখা যায়, অদ্ভুত সব আকাশযান এরিয়া ৫১ নামক স্থানে ওঠানামা করে।
পাশেই আছে দ্য এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল হাইওয়ে। সেখান থেকে নাকি দেখা যায়, অদ্ভুত সব আকাশযান এরিয়া ৫১ নামক স্থানে ওঠানামা করে।
পৃথিবীর কোনও বিমানের সঙ্গে সেগুলোর নাকি কোনও মিল নেই।
পৃথিবীর কোনও বিমানের সঙ্গে সেগুলোর নাকি কোনও মিল নেই।

Iran Israel War: ইরানের ভয়াবহ মিসাইল-ড্রোন হামলা, কী ঘটল ইজরায়েলে? শুনলে তাজ্জব হয়ে যাবেন

ইজরায়েল: ইরানের হামলায় কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানাতে নতুন করে বিবৃতি দিল ইজরায়েলের সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে, ইরানের বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তাঁরা প্রতিহত করেছে। একই সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও জানিয়েছেন, আমেরিকার সাহায্যে ইরানের ড্রোন হামলার মোকাবিলায় সফল হয়েছে ইজরায়েল। ইরান থেকে ছোড়া প্রায় সব ড্রোনই গুলি করে নামানো হয়েছে।

শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে ইরানের সংখ্যাগরিষ্ঠ হামলা প্রতিহত করেছে বলেছে আইডিএফ। ইজরায়েলি ভূখণ্ড অতিক্রম করার আগেই এই অঞ্চলের কৌশলগত মিত্রদের সঙ্গে অ্যারো (তীর) আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে এই হামলা প্রতিহত করেছে তারা। শুধু তা-ই নয়, আমেরিকা, ব্রিটেনের সেনা গুলি করে ইরানের একের পর এক ড্রোন ধ্বংস করছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশের সামরিক বাহিনী। ইরানের হামলা ঠেকাতে ইজরায়েলের আসল তুরুপের তাস হয়ে উঠছে আয়রন ডোম।

আরও পড়ুন: ইরানের একের পর এক আঘাত, ইজরায়েলের বাজি আয়রন ডোম! কী এই তুরুপের তাস? কী হয় এতে?

আকাশের বুক চিরে ছুটে যাচ্ছে সাদা ধোঁয়া। তারপরই বিদ্যুৎ চমকের মতো ঝলকানি। শত্রুপক্ষের মিসাইল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আকাশেই। হ্যাঁ, এটাই আয়রন ডোম। হিব্রুতে বলে ‘কিপ্পাত বারজেল’। ইজরায়েলের অস্ত্রাগারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। গত বছর গ্রীষ্মে ইজরায়েলে রকেট হামলা চালায় পিআইজে গোষ্ঠী। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, হামলায় ৯৭ শতাংশ মিসাইলই সফলভাবে ধ্বংস করে আয়রন ডোম। হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইতেও আয়রন ডোমের উপরেই ভরসা করছে ইজরায়েল। এবারও তাই।

আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর এই দৃশ্য! ইজরায়েলকে নিশানা করে ইরানের ভয়াবহ হামলা, ভিডিও দেখে চমকে উঠছে বিশ্ব

তবে ইজরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি ঘাঁটিতে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আঘাত হেনেছে বলেছে আইডিএফ। এতে সামান্য ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে এই বাহিনী। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, প্রায় সব ধরনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে ইজরায়েলকে সহায়তা করার জন্য মার্কিন বাহিনী ওই অঞ্চলে রয়েছে। মিত্রদের সুরক্ষার জন্য ওয়াশিংটনের দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান বাইডেন।

Iran Israel War: ভয়ঙ্কর এই দৃশ্য! ইজরায়েলকে নিশানা করে ইরানের ভয়াবহ হামলা, ভিডিও দেখে চমকে উঠছে বিশ্ব

তেহেরান: ইজরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানের পাশাপাশি আমেরিকা ও ইজরায়েলের পক্ষ থেকেও এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। শনিবার ইজরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা। ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানে এই সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ইজরায়েলের অপরাধের শাস্তি দিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও ইরানের এই বাহিনী উল্লেখ করেছে। তেহরান ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রথম দফা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইজরায়েলের একেবারে ভেতরের লক্ষ্যবস্তু নিশানা করে এসব ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইরানের হামলার মোকাবিলায় আমেরিকাকে পাশে পেয়েছে ইজরায়েল। আরও দুই শক্তিশালী দেশ এই ঘটনার পর ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা হল ব্রিটেন এবং ফ্রান্স।

উভয় দেশের তরফেই ইজরায়েলে ইরানি হামলার সমালোচনা করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, আমেরিকা, ব্রিটেনের সেনা গুলি করে ইরানের একের পর এক ড্রোন ধ্বংস করছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশের সামরিক বাহিনী। ইরানের হামলার খবর পেয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ইতিমধ্যে ফোনে কথা বলেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

আরও পড়ুন: ইরানের একের পর এক আঘাত, ইজরায়েলের বাজি আয়রন ডোম! কী এই তুরুপের তাস? কী হয় এতে?

জানা গিয়েছে, রবিবার প্রায় ২০০ ড্রোন দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইজরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ছোড়া সেই ড্রোন আকাশে কয়েক ঘণ্টার পথ পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছবে। জেরুজালেমে শোনা গিয়েছে যুদ্ধের সাইরেনের শব্দ। সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে দিন কয়েক আগে ইজরায়েলের বোমাবাজির পাল্টা হিসাবেই রবিবারের এই হামলা বলে জানিয়েছে ইরান। তেহেরানের হুঁশিয়ারি, ইজরায়েলের হয়ে যে যে দেশ অস্ত্র ধরবে, ইরান তাদেরও ছেড়ে দেবে না।

Israel Iron Dome: ইরানের একের পর এক আঘাত, ইজরায়েলের বাজি আয়রন ডোম! কী এই তুরুপের তাস? কী হয় এতে?

তেল আভিভ: ইজরায়েলে হানা শুরু করেছে ইরান। আর ইরানের হামলার মোকাবিলায় আমেরিকাকে পাশে পেয়েছে ইজরায়েল। আরও দুই শক্তিশালী দেশ এই ঘটনার পর ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা হল ব্রিটেন এবং ফ্রান্স। উভয় দেশের তরফেই ইজরায়েলে ইরানি হামলার সমালোচনা করা হয়েছে।
তেল আভিভ: ইজরায়েলে হানা শুরু করেছে ইরান। আর ইরানের হামলার মোকাবিলায় আমেরিকাকে পাশে পেয়েছে ইজরায়েল। আরও দুই শক্তিশালী দেশ এই ঘটনার পর ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা হল ব্রিটেন এবং ফ্রান্স। উভয় দেশের তরফেই ইজরায়েলে ইরানি হামলার সমালোচনা করা হয়েছে।
শুধু তা-ই নয়, আমেরিকা, ব্রিটেনের সেনা গুলি করে ইরানের একের পর এক ড্রোন ধ্বংস করছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশের সামরিক বাহিনী। ইরানের হামলার খবর পেয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আর ইরানের হামলা ঠেকাতে ইজরায়েলের আসল তুরুপের তাস হয়ে উঠছে আয়রন ডোম।
শুধু তা-ই নয়, আমেরিকা, ব্রিটেনের সেনা গুলি করে ইরানের একের পর এক ড্রোন ধ্বংস করছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশের সামরিক বাহিনী। ইরানের হামলার খবর পেয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আর ইরানের হামলা ঠেকাতে ইজরায়েলের আসল তুরুপের তাস হয়ে উঠছে আয়রন ডোম।
আকাশের বুক চিরে ছুটে যাচ্ছে সাদা ধোঁয়া। তারপরই বিদ্যুৎ চমকের মতো ঝলকানি। শত্রুপক্ষের মিসাইল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আকাশেই। হ্যাঁ, এটাই আয়রন ডোম। হিব্রুতে বলে ‘কিপ্পাত বারজেল’। ইজরায়েলের অস্ত্রাগারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। গত বছর গ্রীষ্মে ইজরায়েলে রকেট হামলা চালায় পিআইজে গোষ্ঠী। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, হামলায় ৯৭ শতাংশ মিসাইলই সফলভাবে ধ্বংস করে আয়রন ডোম। হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইতেও আয়রন ডোমের উপরেই ভরসা করছে ইজরায়েল।
আকাশের বুক চিরে ছুটে যাচ্ছে সাদা ধোঁয়া। তারপরই বিদ্যুৎ চমকের মতো ঝলকানি। শত্রুপক্ষের মিসাইল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আকাশেই। হ্যাঁ, এটাই আয়রন ডোম। হিব্রুতে বলে ‘কিপ্পাত বারজেল’। ইজরায়েলের অস্ত্রাগারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। গত বছর গ্রীষ্মে ইজরায়েলে রকেট হামলা চালায় পিআইজে গোষ্ঠী। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, হামলায় ৯৭ শতাংশ মিসাইলই সফলভাবে ধ্বংস করে আয়রন ডোম। হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইতেও আয়রন ডোমের উপরেই ভরসা করছে ইজরায়েল।
আয়রন ডোম আসলে ঠিক কী: কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়রন ডোম হল অ্যান্টি-রকেট, অ্যান্টি-মর্টার এবং অ্যান্টি আর্টিলারি সিস্টেম। এটা ২.৫ থেকে ৪৩ মাইল বা ৪ থেকে ৭০ কিমি দূর থেকে রকেট বা মিসাইল আটকে দিতে পারে। তারপর কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারে রকেটের পথ সম্পর্কে তথ্য পাঠায়।
আয়রন ডোম আসলে ঠিক কী: কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়রন ডোম হল অ্যান্টি-রকেট, অ্যান্টি-মর্টার এবং অ্যান্টি আর্টিলারি সিস্টেম। এটা ২.৫ থেকে ৪৩ মাইল বা ৪ থেকে ৭০ কিমি দূর থেকে রকেট বা মিসাইল আটকে দিতে পারে। তারপর কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারে রকেটের পথ সম্পর্কে তথ্য পাঠায়।
অন্যভাবে বললে আয়রন ডোম হল ব্যাটারির সিরিজ যা র‍্যাডারের মাধ্যমে শর্ট-রেঞ্জের রকেট সনাক্ত করে আটকে দেয়। প্রতিটি ব্যাটারিতে তিনটি বা চারটি লঞ্চার, ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি র‍্যাডার থাকে। রেথিয়ানের মতে, ইজরায়েলের রাফায়েল ডিফেন্স সিস্টেমের সঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা জায়ান্ট যৌথভাবে এই সিস্টেম তৈরি করেছে। ২০২১ সাল পর্যন্ত, ইজরায়েলের অন্তত দশটি আয়রন ডোম ব্যাটারি সারা দেশ জুড়ে মোতায়েন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি ব্যাটারি ৬০ বর্গমাইল জনবহুল এলাকাকে রক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
অন্যভাবে বললে আয়রন ডোম হল ব্যাটারির সিরিজ যা র‍্যাডারের মাধ্যমে শর্ট-রেঞ্জের রকেট সনাক্ত করে আটকে দেয়। প্রতিটি ব্যাটারিতে তিনটি বা চারটি লঞ্চার, ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি র‍্যাডার থাকে। রেথিয়ানের মতে, ইজরায়েলের রাফায়েল ডিফেন্স সিস্টেমের সঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা জায়ান্ট যৌথভাবে এই সিস্টেম তৈরি করেছে। ২০২১ সাল পর্যন্ত, ইজরায়েলের অন্তত দশটি আয়রন ডোম ব্যাটারি সারা দেশ জুড়ে মোতায়েন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি ব্যাটারি ৬০ বর্গমাইল জনবহুল এলাকাকে রক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
আয়রন ডোম কবে প্রথম ব্যবহার করা হয়: আয়রন ডোমের কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালে। ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২০১১ সালে এগুলি প্রথম মোতায়েন করা হয়। ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে ইজরায়েল প্রথমবার আয়রন ডোমকে অ্যাক্টিভেট করে।
আয়রন ডোম কবে প্রথম ব্যবহার করা হয়: আয়রন ডোমের কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালে। ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২০১১ সালে এগুলি প্রথম মোতায়েন করা হয়। ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে ইজরায়েল প্রথমবার আয়রন ডোমকে অ্যাক্টিভেট করে।
আয়রন ডোম কীভাবে কাজ করে: আয়রন ডোম তার রেঞ্জের মধ্যে আসা রকেটকে প্রথমে সনাক্ত করে, তারপর তার পথ সম্পর্কে তথ্য পাঠায় কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারে। সেখানে দেখা হয় রকেটটি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানবে কি না। যদি তাই হয় তখন আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে রকেটটাকে ধ্বংস করে। আর যদি দেখা যায় রকেট খোলা অঞ্চলে বা সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে, তাহলে ছেড়ে দেওয়া হয়। আয়রন ডোমের ক্ষেপণাস্ত্র বেঁচে যায়।
আয়রন ডোম কীভাবে কাজ করে: আয়রন ডোম তার রেঞ্জের মধ্যে আসা রকেটকে প্রথমে সনাক্ত করে, তারপর তার পথ সম্পর্কে তথ্য পাঠায় কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারে। সেখানে দেখা হয় রকেটটি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানবে কি না। যদি তাই হয় তখন আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে রকেটটাকে ধ্বংস করে। আর যদি দেখা যায় রকেট খোলা অঞ্চলে বা সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে, তাহলে ছেড়ে দেওয়া হয়। আয়রন ডোমের ক্ষেপণাস্ত্র বেঁচে যায়।
আয়রন ডোমের দাম: তেল আভিভের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজ অনুসারে, প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য আনুমানিক ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার খরচ হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও আয়রন ডোমে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে।
আয়রন ডোমের দাম: তেল আভিভের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজ অনুসারে, প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য আনুমানিক ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার খরচ হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও আয়রন ডোমে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে।
আয়রন ডোম কে তৈরি করেছে: আয়রন ডোম তৈরি করেছে ইজরায়েলের রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেম। সাহায্য করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের থেকে আয়রন ডোম কোথায় আলাদা: ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার জন্য ডিজাইন করা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের বিপরীতে, আয়রন ডোম কম উচ্চতায় থাকা ওয়ারহেড রকেট আটকানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। গাজার জঙ্গি গোষ্ঠী এই ধরনের হামলাই চালায়।
আয়রন ডোম কে তৈরি করেছে: আয়রন ডোম তৈরি করেছে ইজরায়েলের রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেম। সাহায্য করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের থেকে আয়রন ডোম কোথায় আলাদা: ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার জন্য ডিজাইন করা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের বিপরীতে, আয়রন ডোম কম উচ্চতায় থাকা ওয়ারহেড রকেট আটকানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। গাজার জঙ্গি গোষ্ঠী এই ধরনের হামলাই চালায়।