কোলেস্টেরল, কোলেস্টেরল লেভেল, এলডিএল লেভেল, বয়স অনুযায়ী কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, হেলথ টিপস, হাই কোলেস্টেরল, উচ্চ কোলেস্টেরল লক্ষণ, কোলেস্টেরল বাড়লে কী সমস্যা হয়, কোলেস্টেরলে শরীরে কী হয়, হৃদরোগের, ঝুঁকি, উচ্চ রক্তচাপ, হাই প্রেশার, স্বাস্থ্য, কোলেস্টেরল টিপস, হার্ট, হৃদরোগ, স্ট্রোক, হার্টের রোগের ঝুঁকি, হৃদরোগের ঝুঁকি

Cholesterol Age Chart: ‘বয়স’ অনুযায়ী কোলেস্টেরল কত হলে ‘পারফেক্ট’…? আপনার LDL/HDL মাত্রা ঠিক আছে তো? দেখে নিন চার্ট

শরীরে উপস্থিত কোলেস্টেরল হল মোমের মতো দেখতে একধরণের ফ্যাট। এটি দুই ধরনের - নিম্ন ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (LDL) এবং উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (HDL)। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে এলডিএলের পরিমাণ বেশি হলে রক্তের ধমনীতে চর্বি জমা বেড়ে যায়, যাকে প্লেক বলে।
শরীরে উপস্থিত কোলেস্টেরল হল মোমের মতো দেখতে একধরণের ফ্যাট। এটি দুই ধরনের – নিম্ন ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (LDL) এবং উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (HDL)। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে এলডিএলের পরিমাণ বেশি হলে রক্তের ধমনীতে চর্বি জমা বেড়ে যায়, যাকে প্লেক বলে।
ধমনীতে প্লেকের সমস্যা হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো রোগ বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে এইচডিএল অর্থাৎ রক্তে ভাল কোলেস্টেরল শরীরের জন্য ভাল বলে মনে করা হয়। ডাক্তাররা HDL, LDL এবং মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা পরিমাপ করতে পারেন।
ধমনীতে প্লেকের সমস্যা হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো রোগ বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে এইচডিএল অর্থাৎ রক্তে ভাল কোলেস্টেরল শরীরের জন্য ভাল বলে মনে করা হয়। ডাক্তাররা HDL, LDL এবং মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা পরিমাপ করতে পারেন।
এই কোলেস্টেরলের লেভেলের পরীক্ষা করে তার ফলাফলে যে কোনও ব্যক্তি তাঁর নন-এইচডিএল ফ্যাটের মাত্রাও দেখতে পারেন। যা হৃদরোগের ঝুঁকে বাড়াতে পারে। চলুন আজ এই প্রতিবেদনে দেখে নেওয়া যাক বয়স অনুযায়ী আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কেমন হওয়া উচিত।
এই কোলেস্টেরলের লেভেলের পরীক্ষা করে তার ফলাফলে যে কোনও ব্যক্তি তাঁর নন-এইচডিএল ফ্যাটের মাত্রাও দেখতে পারেন। যা হৃদরোগের ঝুঁকে বাড়াতে পারে। চলুন আজ এই প্রতিবেদনে দেখে নেওয়া যাক বয়স অনুযায়ী আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কেমন হওয়া উচিত।
১৯ বছর পর্যন্ত কোলেস্টেরল কত হওয়া উচিত?মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত যুবকদের শরীরে মোট কোলেস্টেরল ১৭০ mg/dl-এর কম হওয়া উচিত।
১৯ বছর পর্যন্ত কোলেস্টেরল কত হওয়া উচিত?
মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত যুবকদের শরীরে মোট কোলেস্টেরল ১৭০ mg/dl-এর কম হওয়া উচিত।
একইসঙ্গে এই বয়সে নন-এইচডিএল কোলেস্টেরল ১২০ ​​mg/dl এর কম এবং LDL ১০০ mg/dl এর কম হওয়া উচিত বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য গবেষণার রিপোর্ট। অন্যদিকে, HDL ৪৫ mg/dl এর বেশি হওয়া উচিত।
একইসঙ্গে এই বয়সে নন-এইচডিএল কোলেস্টেরল ১২০ ​​mg/dl এর কম এবং LDL ১০০ mg/dl এর কম হওয়া উচিত বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য গবেষণার রিপোর্ট। অন্যদিকে, HDL ৪৫ mg/dl এর বেশি হওয়া উচিত।
২০ বছরের বেশি বয়সি পুরুষদের জন্য কোলেস্টেরলের মাত্রা কত হওয়া কাম্য: ২০ বছরের বেশি বয়সি পুরুষদের শরীরের মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা ১২৫-২০০ mg/dl এর মধ্যে হওয়া উচিত।
২০ বছরের বেশি বয়সি পুরুষদের জন্য কোলেস্টেরলের মাত্রা কত হওয়া কাম্য: ২০ বছরের বেশি বয়সি পুরুষদের শরীরের মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা ১২৫-২০০ mg/dl এর মধ্যে হওয়া উচিত।
অন্যদিকে, ২০ বছরের বেশি বয়সি পুরুষদের নন-এইচডিএল স্তর ১৩০ mg/dl-এর কম এবং LDL স্তর ১০০ mg/dl-এর কম হওয়া উচিত। একই সময়ে, HDL মাত্রা ৪০ mg/dl বা তার বেশি হতে হবে।
অন্যদিকে, ২০ বছরের বেশি বয়সি পুরুষদের নন-এইচডিএল স্তর ১৩০ mg/dl-এর কম এবং LDL স্তর ১০০ mg/dl-এর কম হওয়া উচিত। একই সময়ে, HDL মাত্রা ৪০ mg/dl বা তার বেশি হতে হবে।
২০ বছরের বেশি বয়সি মহিলাদের জন্য শরীরে মোট কোলেস্টেরল ১২৫-২০০ mg/dl হওয়া উচিত। নন-HDL মাত্রা ১৩০ mg/dl এর কম এবং LDL মাত্রা ১০০ mg/dl-এর কম হওয়া উচিত।
২০ বছরের বেশি বয়সি মহিলাদের জন্য শরীরে মোট কোলেস্টেরল ১২৫-২০০ mg/dl হওয়া উচিত। নন-HDL মাত্রা ১৩০ mg/dl এর কম এবং LDL মাত্রা ১০০ mg/dl-এর কম হওয়া উচিত।
আবার একইসঙ্গে এই বয়সের মহিলাদের HDL মাত্রা ৫০ mg/dl বা তার বেশি হওয়া উচিত। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ কোলেস্টেরলের মাত্রা খারাপ হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় ভয়ঙ্করভাবে।
আবার একইসঙ্গে এই বয়সের মহিলাদের HDL মাত্রা ৫০ mg/dl বা তার বেশি হওয়া উচিত। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ কোলেস্টেরলের মাত্রা খারাপ হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় ভয়ঙ্করভাবে।
পুষ্টিকর সকালের ব্রেকফাস্ট দিয়ে দিন শুরু করা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এজন্য দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান। দ্রবণীয় ফাইবার রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
পুষ্টিকর সকালের ব্রেকফাস্ট দিয়ে দিন শুরু করা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এজন্য দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান। দ্রবণীয় ফাইবার রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, প্রতিদিন মাত্র ৫ থেকে ১০ গ্রাম দ্রবণীয় ফাইবার গ্রহণ করলে ৫ শতাংশ খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। সকালের জলখাবারে তাই কোলেস্টেরলের রোগীরা অবশ্যই খাদ্যতালিকায় গোটা শস্য, ওটমিল, ব্রকলি রাখুন।
আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, প্রতিদিন মাত্র ৫ থেকে ১০ গ্রাম দ্রবণীয় ফাইবার গ্রহণ করলে ৫ শতাংশ খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। সকালের জলখাবারে তাই কোলেস্টেরলের রোগীরা অবশ্যই খাদ্যতালিকায় গোটা শস্য, ওটমিল, ব্রকলি রাখুন।