শিশুমনে স্মার্টফোনের কুপ্রভাব।

Smartphone bad effects: ইন্টারনেটে যৌন আবেদনের ছবি আপনার সন্তানকে কতটা প্রভাবিত করছে জানেন? 

বাড়িতে আপনার শিশুর হাতে অ্যান্ড্রয়েড ফোন দিচ্ছেন? অনলাইন ক্লাস করার নাম করে সেই ফোনে অন্য কিছু দেখছে না তো? আপনার নজর এড়িয়ে আপত্তিকর কিছুতে ডুবে যাচ্ছে না তো সে? সেটা হয়ত আপনি কিছুটা জানলেও গুরুত্ব দেন না।

আরও পড়ুন: এনজেপি থেকে ছাড়বে ট্রেন, এক ট্রেনেই ঘোরা যাবে বৈষ্ণো দেবী, হরিদ্বার থেকে মথুরা, বৃন্দাবন, অযোধ্যা- খরচ কত?

মোবাইল ফোনে হঠাৎ করে ভেসে আসা যৌন আবেদনের দৃশ্য, শিশুমনে কতটা প্রভাব ফেলছে? সেটা নিয়েই মনস্তত্ত্ববিদেরা নানা ধরনের উপদেশ দিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্মার্টফোন ব্যবহারের আসক্তি শিশুদের মনে ধৈর্যহীনতা তৈরি করে এবং তাদেরকে আত্মসম্মান বোধ থেকে অনেকটা দূরে সরিয়ে দেয়। স্মার্টফোনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে হঠাৎ করে ভেসে ওঠা আপত্তিকর ছবি কিংবা ভিডিওগুলো শিশুমনে সব থেকে বেশি  প্রভাবিত করে।যার ফলে ছোটবেলা থেকেই,এমন কিছু বিষয় নিয়ে তারা আগ্রহ প্রকাশ করে যাতে শিশু মন নষ্ট হয়।

আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এলে আদিবাসীদের জঙ্গলের অধিকার চলে যাবে, পুরুলিয়ায় বললেন অভিষেক

মনস্তত্ত্ববিদেরা বার বার উপদেশ দিচ্ছেন, বাবা-মা বা বাড়ির বড়দের  শিশুদের সঙ্গে একসঙ্গে সময় কাটাতে। শিশুদের মন ভালো রাখতে মোবাইল ফোন দেওয়া কিংবা উপহার হিসেবে স্মার্টফোন দেওয়া বন্ধ করাই ভাল। ইদানিংকালে অনলাইন ক্লাসের নাম করে শিশুদের হাতে স্মার্টফোন দিয়ে অভিভাবকদের দূরে সরে যেতে বারণ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে কিছুটা সুফল পাওয়া যেতে পারে। স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে শিশুরা অতি সহজেই ছোটবেলা থেকেই যৌনতা নিয়ে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে। যা সামাজিক ভাবে শিশুদের বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষিত হওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ কমে যায় শিশুদের। যার ফলে, ছোটবেলা থেকেই মিথ্যে কথা বলা বা বাড়ির বড়দের এড়িয়ে চলার একটা প্রবণতা তৈরি হয়।

বিশেষজ্ঞরা বার বার এই ধরনের উপদেশগুলো মেনে চলতে অনুরোধ করছেন, যাতে শিশুমনে বয়সের আগেই পরিণতি না আসে।