Weekly Market: গরুর হাটে জিন্স প্যান্টের দেদার বিক্রি! এই রঙিন সাপ্তাহিক বাজার যেন অন্য পৃথিবী

বাঁকুড়া: ‘কুমোর পাড়ার গরুর গাড়ি বোঝাই করা কলসি হাঁড়ি’…

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কবিতার মত এই হাটে কলসি-হাঁড়ি তো আছেই, তার সঙ্গে গবাদিপশু বোঝাই করে প্রতি সোমবার নিয়ে আসা হয় বাঁকুড়ার এই বিশেষ হাটে। শুনুক পাহাড়ির পশুর হাট একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন হাট। এই প্রাচীন গ্রামীণ হাটে আপনি পেয়ে যাবেন হিরে থেকে জিরে সবকিছু। বাঁকুড়ার সবচেয়ে বড় পশুর হাট বলেই গণ্য করা হয় এটাকে। গবাদি পশু, ভেড়া, হাঁস, মুরগি, ছাগল বেচা-কেনা হয় এই হাটে। প্রতি সপ্তাহের সোমবার দূর দূরান্ত থেকে বাঁকুড়ার শুনুক পাহাড়িতে জমা হন হাজার হাজার মানুষ। এমন একটি রঙিন সাপ্তাহিক হাট দেখার ইচ্ছা হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কীভাবে আসবেন এখানে?

আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল জেলা, এমন দৃশ্য আগে দেখা যায়নি…

বাঁকুড়া-১ ব্লকের আন্দারথোল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শুনুক পাহাড়ি গ্রামের পঞ্চায়েত অফিসের ঠিক উল্টো দিকে বিরাট মাঠে বসে এই হাট। গত ৫৩ বছর ধরে এই হাট বসছে। বাঁকুড়া শহর থেকে বাঁকুড়া-খাতড়া সড়ক ধরে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে রাস্তার বাম পাশে নজরে পড়তে বাধ্য এই হাট। বাসে অথবা গাড়িতে করে অনায়েসেই চলে আসতে পারবেন এখানে। সোমবার সকাল ৭ টা থেকে বসে যায় হাট, চলে দুপুর ২-৩ টে পর্যন্ত। এখানে পশু ছাড়াও পেয়ে যাবেন গয়নাগাটি থেকে শুরু করে বাড়ির রন্ধনশালার প্রয়োজনীয় মসলা, সবকিছু।

গ্রামের কৃষকরা এখানে শাক সবজি, ফলমূল সাজিয়ে বসে বিক্রি করেন। রয়েছে বাঁকুড়ার গামছা থেকে আধুনিক জিন্সের প্যান্ট এবং জামা কাপড়। এছাড়াও শস্য বীজ, তৈল বীজ, ভেষজ দ্রব্যাদি এবং ঝুড়ি থেকে ঝাঁটা কিংবা কাঠের খাটিয়া অথবা রং-বেরঙের মসলা, সবই যেন হাতের নাগালের মধ্যেই। রং এবং ফ্লেভারের এক অপূর্ব মিশ্রণ এই হাট।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী