দক্ষিণবঙ্গ, পশ্চিম মেদিনীপুর Amazing Nest: প্রকৃতির আজব লীলা! প্রতিবছর বসন্তকালে একইগাছে বাসা বোনে এই পাখি Gallery May 15, 2024 Bangla Digital Desk পশ্চিম মেদিনীপুর: ‘নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর খাসা’, কবির লেখা সেই বিখ্যাত কবিতা এই তালগাছকে দেখলে বেশ প্রাসঙ্গিক মনে হবে। শিল্পী পাখির ঠোঁট এবং পায়ের নিপুণতায় বেশ আশ্চর্যের এই বাসা। সারাদিনের পরিশ্রমের পর রাত্রিযাপনের এক অনন্য ঠিকানা। কিন্তু যে পাখির বাসাকে নিয়ে এত কাব্য সেই পাখিকে চেনেন কি? Photo- Collected তবে সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির বাসা। নেই বড় বড় তালগাছ, স্বাভাবিকভাবে শান্ত পরিবেশে বাসা করে থাকার জো নেই শিল্পী পাখিদের। প্রায় লুপ্তপ্রায় বাবুই পাখির বাসা। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির জুনবলদার সরিষা গ্রামে একটি মস্ত তালগাছে রয়েছে প্রায় ৫০-রও বেশি বাবুই পাখির বাসা। দেখতে যেমন অসাধারণ তেমনি প্রতিদিন নিখুঁতভাবে বাসা তৈরি এক অনন্য আনন্দ দেবে আপনাকে। প্রতিদিন নিয়ম করে চলে তাদের বাসা বোনার কাজ।দূর দূরান্ত থেকে পাতার আঁশ কিংবা বিভিন্ন টুকরো কাঠ এনে তারা এক এক করে বানিয়েছে একাধিক বাসা। সরিষা গ্রামের বাসিন্দা দিব্যেন্দু দাসের বাড়ির তালগাছে প্রতি বছর বসন্তর শুরুর সময় থেকে বাবুই পাখিরা বাসা করে। দিব্যেন্দু দাস বলেন, প্রতিবছর তারা এখানে এসে বাসা বুনে এবং তাদের যাতে কেউ আক্রমণ না করে তার নজর দেয় বাড়ির সকলে। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা পরেশ চন্দ্র বেরা বলেন, বর্তমান দিনে কোথাও এই বাবুই পাখির বাসা দেখতে পাওয়া যায় না। এখানে বেশ আশ্চর্যের একটি গাছে প্রায় পঞ্চাশেরও বেশি বাসা এবং প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে পাখিরা বাসা বুনছে যা দেখতে বেশ আনন্দ লাগে। Input- Ranjan Chanda