Tag Archives: paschim bardhaman

Amazing Nest: প্রকৃতির আজব লীলা! প্রতিবছর বসন্তকালে একইগাছে বাসা বোনে এই পাখি

পশ্চিম মেদিনীপুর: ‘নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর খাসা’, কবির লেখা সেই বিখ্যাত কবিতা এই তালগাছকে দেখলে বেশ প্রাসঙ্গিক মনে হবে। শিল্পী পাখির ঠোঁট এবং পায়ের নিপুণতায় বেশ আশ্চর্যের এই বাসা। সারাদিনের পরিশ্রমের পর রাত্রিযাপনের এক অনন্য ঠিকানা। কিন্তু যে পাখির বাসাকে নিয়ে এত কাব্য সেই পাখিকে চেনেন কি? Photo- Collected
পশ্চিম মেদিনীপুর: ‘নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর খাসা’, কবির লেখা সেই বিখ্যাত কবিতা এই তালগাছকে দেখলে বেশ প্রাসঙ্গিক মনে হবে। শিল্পী পাখির ঠোঁট এবং পায়ের নিপুণতায় বেশ আশ্চর্যের এই বাসা। সারাদিনের পরিশ্রমের পর রাত্রিযাপনের এক অনন্য ঠিকানা। কিন্তু যে পাখির বাসাকে নিয়ে এত কাব্য সেই পাখিকে চেনেন কি? Photo- Collected
তবে সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির বাসা। নেই বড় বড় তালগাছ, স্বাভাবিকভাবে শান্ত পরিবেশে বাসা করে থাকার জো নেই শিল্পী পাখিদের। প্রায় লুপ্তপ্রায় বাবুই পাখির বাসা।
তবে সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির বাসা। নেই বড় বড় তালগাছ, স্বাভাবিকভাবে শান্ত পরিবেশে বাসা করে থাকার জো নেই শিল্পী পাখিদের। প্রায় লুপ্তপ্রায় বাবুই পাখির বাসা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির জুনবলদার সরিষা গ্রামে একটি মস্ত তালগাছে রয়েছে প্রায় ৫০-রও বেশি বাবুই পাখির বাসা। দেখতে যেমন অসাধারণ তেমনি প্রতিদিন নিখুঁতভাবে বাসা তৈরি এক অনন্য আনন্দ দেবে আপনাকে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির জুনবলদার সরিষা গ্রামে একটি মস্ত তালগাছে রয়েছে প্রায় ৫০-রও বেশি বাবুই পাখির বাসা। দেখতে যেমন অসাধারণ তেমনি প্রতিদিন নিখুঁতভাবে বাসা তৈরি এক অনন্য আনন্দ দেবে আপনাকে।
প্রতিদিন নিয়ম করে চলে তাদের বাসা বোনার কাজ।দূর দূরান্ত থেকে পাতার আঁশ কিংবা বিভিন্ন টুকরো কাঠ এনে তারা এক এক করে বানিয়েছে একাধিক বাসা।
প্রতিদিন নিয়ম করে চলে তাদের বাসা বোনার কাজ।দূর দূরান্ত থেকে পাতার আঁশ কিংবা বিভিন্ন টুকরো কাঠ এনে তারা এক এক করে বানিয়েছে একাধিক বাসা।
সরিষা গ্রামের বাসিন্দা দিব্যেন্দু দাসের বাড়ির তালগাছে প্রতি বছর বসন্তর শুরুর সময় থেকে বাবুই পাখিরা বাসা করে। দিব্যেন্দু দাস বলেন, প্রতিবছর তারা এখানে এসে বাসা বুনে এবং তাদের যাতে কেউ আক্রমণ না করে তার নজর দেয় বাড়ির সকলে।
সরিষা গ্রামের বাসিন্দা দিব্যেন্দু দাসের বাড়ির তালগাছে প্রতি বছর বসন্তর শুরুর সময় থেকে বাবুই পাখিরা বাসা করে। দিব্যেন্দু দাস বলেন, প্রতিবছর তারা এখানে এসে বাসা বুনে এবং তাদের যাতে কেউ আক্রমণ না করে তার নজর দেয় বাড়ির সকলে।
অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা পরেশ চন্দ্র বেরা বলেন, বর্তমান দিনে কোথাও এই বাবুই পাখির বাসা দেখতে পাওয়া যায় না। এখানে বেশ আশ্চর্যের একটি গাছে প্রায় পঞ্চাশেরও বেশি বাসা এবং প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে পাখিরা বাসা বুনছে যা দেখতে বেশ আনন্দ লাগে। Input- Ranjan Chanda
অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা পরেশ চন্দ্র বেরা বলেন, বর্তমান দিনে কোথাও এই বাবুই পাখির বাসা দেখতে পাওয়া যায় না। এখানে বেশ আশ্চর্যের একটি গাছে প্রায় পঞ্চাশেরও বেশি বাসা এবং প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে পাখিরা বাসা বুনছে যা দেখতে বেশ আনন্দ লাগে। Input- Ranjan Chanda

Paschim Bardhaman News: রবিবারের দুপুরে আগুনের তাণ্ডব, চারদিকে শুধু আতঙ্কই -আতঙ্ক

পশ্চিম বর্ধমান: রবিবাসরীয় গ্রীষ্মের দুপুরে তখন এলাকার সবাই প্রায় তন্দ্রাচ্ছন্ন। হঠাৎ করেই যেন বাড়তে শুরু করল এলাকার তাপমাত্রা। কালো ধোঁয়ায় ভরে গেল গোটা এলাকা। চারিদিক থেকে আগুন আগুন চিৎকার। আবার ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী থাকল আসানসোল পৌরনিগম এলাকার মানুষ। আসানসোলের রানীগঞ্জে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ডেকোরেটরের গোডাউন।

রবিবার দুপুরে এই ভয়ঙ্কর আগুন লাগে রানীগঞ্জের রাজপাড়ায় অবস্থিত একটি ডেকোরেটের গোডাউনে। যদিও আগুনের সূত্রপাত কীভাবে, তা বলতে পারছেন না সেই গোডাউনের কর্মচারীরা। তবে তারা বলছেন গোডাউনের বাইরে থেকে এই আগুন গোডাউনের ভিতরে এসেছে। গোডাউনের আশপাশে দাহ্য বস্তু মজুত থাকায়, খুব সহজে ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। গোডাউনের ভিতরেও ডেকোরেটরের বিভিন্ন মালপত্র রাখা ছিল। যার ফলে খুব সহজেই এই আগুন বিধ্বংসী আকার ধারণ করেছিল।

আরও পড়ুন – Bel Pata: রোজ ঠাকুরের পায়ে অর্পণ করেন এই পাতা, কিন্তু জানেন কি চকচকে ব্রন মুক্ত স্কিনে এই পাতা যেন ম্যাজিক

গোডাউনের কর্মচারী এবং স্থানীয়রা বলছেন, এদিন দুপুর দু’টো নাগাদ তারা এই আগুন দেখতে পান। কিন্তু সেই আগুন তারা নেভানোর মত কোনও সুযোগ পাননি। তার আগেই ভয়াবহ আকার ধারণ করে আগুন। মুহূর্তের মধ্যে গোডাউনের চার থেকে পাঁচটি ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে পুরো গোডাউনটি। কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা এলাকা। এই আগুনের ফলে গোডাউনের লক্ষাধিক টাকার মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এই আগুনের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দমকল কর্মীরা। আসে দমকলের চারটি ইঞ্জিন। তবে ভয়ঙ্কর এই আগুন বাগে আনতে রীতিমত যুদ্ধ চালাতে হয়েছে দমকল কর্মীদের। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুনকে কিছুটা কাবু করা গিয়েছে। গোডাউনের মালিক জানিয়েছেন, আগুন কীভাবে লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। তবে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখলে আগুনের উৎস সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে আগুন নেভানোর জন্য গোডাউনের বেশ কয়েকটি দেওয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ড দেখে রীতিমত আতঙ্কিত এলাকার মানুষ।

Nayan Ghosh

Paschim Bardhaman News: তীব্র গরমে এ কী কাণ্ড যুবকের! পিচের রাস্তায় ডিম ঢেলে অমলেট, শেষমেশ তৈরি হল কি

দুর্গাপুর: তীব্র গরমে কাহিল হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই একই ছবি। তবে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির অবস্থা যেন আরও করুণ। এমন অবস্থায় দুর্গাপুরের এক যুবক ঘটিয়ে বসলেন অবাক কাণ্ড। কতটা গরম শহরের মানুষকে সহ্য করতে হচ্ছে, কতটা তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে জেলায়, তা বোঝাতে অবাক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালালেন তিনি।

দুর্গাপুরের ওই যুবক এমন কাণ্ডকারখানা ঘটিয়েছেন, যা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন সাধারণ মানুষ। শহরে হইচই শুরু হয়েছে এই কাণ্ড দেখে। কারণ এই গরমে শহরের কালো পিচের ঝাঁ চকচকে রাস্তায় অমলেট তৈরির চেষ্টা চালিয়েছেন। তিনি আর যা ফল পেয়েছেন, তা চমকে দেওয়ার মতো। নিছকই মজার ছলে এই পরীক্ষানিরীক্ষা তিনি চালিয়েছিলেন। কিন্তু তার মধ্য দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, সূর্যের কতটা চোখ রাঙানি সহ্য করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

দুর্গাপুরের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মাকুর। তিনি বিবেক নামেই বেশি পরিচিত। সেই যুবকই নিজের বন্ধুকে নিয়ে চালিয়েছেন এমন মজার পরীক্ষা। তীব্র গরম সহ্য করতে করতে এমন সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন। যদিও গরম রাস্তায় অমলেট তৈরি হয়নি। কারণ অমলেট তৈরির জন্য প্রয়োজন আরও বেশি তাপমাত্রা। তবে তিনি মজার ছলে যে কাজ করেছেন, তা একেবারে ফেলে দেওয়ারও নয়।

আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান! প্রচার শুরু করতেই বড় গোলমাল.. নেতা বললেন, ‘যব হাতি চলে বাজার..’

আরও পড়ুন: শিক্ষক ভাই দাদার সঙ্গে এমন কাজ করলেন! লুকিয়ে পালাতে গিয়ে পড়ল ধরা

প্রসঙ্গত, বিবেক বাবু যেমন মজার ছলে এই পরীক্ষা চালিয়েছেন, তেমনই দাঁড়িয়েছেন সাধারণ মানুষের পাশে। তীব্র এই গরম উপেক্ষা করেও বহু মানুষকে পেটের তাগিদে রাস্তায় বেরতে হয়। দু’পয়সা উপার্জনের জন্য গরমে করতে হয় প্রচুর পরিশ্রম। তেমন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন দুর্গাপুরের এই যুবক। গরমে রাস্তায় যাঁরা কাজ করেন, তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন ঠান্ডা জল, ঠান্ডা পানীয়। সব মিলিয়ে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, বৃষ্টিহীন বৈশাখে জেলার মানুষের নাজেহাল অবস্থা।

নয়ন ঘোষ

Paschim Bardhaman News: চলছিল বিয়েবাড়ি, সবাই আনন্দে মশগুল! হঠাৎ কয়েক মিনিটেই লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল সব

চলছিল বিয়ে বাড়ি। আনন্দ উৎসবে মশগুল সবাই। অন্যদিকে আকাশে জমতে শুরু করে মেঘ। খানিক স্বস্তির আশা করছিলেন মানুষ। তীব্র গরমে অল্প বৃষ্টিতে স্বস্তি পাওয়া যাবে বলেই অনুমান করেছিলেন অনেকে।

আসানসোলে সবজি বাজারে আগুন! সব কিছু পুড়ে ছাই

সবজি বাজারে আগুন। রায়গঞ্জে সবজি সবজিতে আগুন। পুড়ে ছাই সবজি মাণ্ডির একাধিক দোকান। দমকল পৌঁছনোর আগেই পুড়ে ছাই বাজার। ২ এঞ্জিনের তৎপরতায় নিয়ন্ত্রণে আগুন। সরেজমিনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে সিপিআইএম নেতা। বংশগোপালকে গো ব্যাক স্লোগান।

Paschim Bardhaman News: দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় ফের দুর্ঘটনা! গ্যাস লিক হয়ে গুরুতর অসুস্থ ৫

দুর্গাপুর: ফের দুর্ঘটনার কবলে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা। নতুন করে আবার দুর্ঘটনার শিকার সংস্থার ৫ শ্রমিক। সকলেই গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু কেন বারবার হচ্ছে দুর্ঘটনা? কেন জোর নেই শ্রমিক নিরাপত্তার দিকে? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন নানা মহল থেকে। অন্য দিকে, অসুস্থ শ্রমিকদের পরিবারগুলির চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতের দিকে কাজ চলার সময় এই দুর্ঘটনা হয়েছে। ইস্পাত কারখানার ব্লাস্ট ফার্নেস ইউনিটে বিষাক্ত গ্যাস লিক হওয়ার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৫ জন শ্রমিক। যাঁর মধ্যে ২ জন স্থায়ী কর্মচারী এবং ৩ জন ঠিকা শ্রমিক। সকলকেই উদ্ধার করে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে। পরিস্থিতি গুরুতর বুঝে তিনজনকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ঠিক কী হয়েছিল? এই বিষয়ে এক অসুস্থ শ্রমিক সুনীল হাজরা বলছেন, তাঁরা সে সময় ব্লাস্ট ফার্নেস ইউনিটে কাজ করছিলেন। হঠাৎ করেই তাঁরা অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। গ্যাস মনিটরে দেখতে পান গ্যাসের মাত্রা বাড়ছে। তারপর তারা একটু জল খেয়ে বিশ্রাম নিতে যান। আর তারপরেই তাঁদের শরীর আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তাঁরা লক্ষ্য করেন গ্যাস মনিটারে গ্যাসের মাত্রা আরও অনেক বেড়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: শিল্পনগরীতে গভীর রাতে ভয়াবহ আগুন! পুড়ে ছাই ১০-এর বেশি দোকান, লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি 

আরও পড়ুন: হাওড়া-বর্ধমান লাইনে চলবে কাজ! ট্রেন যাত্রীদের কি দুর্ভোগ বাড়বে? সবটা জেনে নিন

প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, কার্বন-মনোক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ওই শ্রমিকরা। কিন্তু কেন বারবার হচ্ছে দুর্ঘটনা? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে অনেকের মধ্যেই। শ্রমিক মহলে আতঙ্ক বাড়ছে। কারণ সম্প্রতি অতীতে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা দেখা গিয়েছে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায়। বেশ কয়েকজন শ্রমিক, কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তারপর আবার এই দুর্ঘটনা। যা খুব স্বভাবতই ইস্পাত কারখানা শ্রমিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। পাশাপাশি আতঙ্ক সৃষ্টি করছে শ্রমিক মহলে।

নয়ন ঘোষ

Poila Baisakh: এই কয়েকটি মন্দিরে মহা জাগ্রতা দেবী মা, তাই নবরাত্রিতে মন্দিরে পুজো দিয়ে শুরু করুন নতুন বছর

রাত পোহালেই পয়লা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরের শুরু। এদিন মন্দিরে পুজো দিয়ে দিন শুরু করেন অনেকে। জেনে নিন জেলার চারটি বিখ্যাত মন্দির, যেখানে আপনি পুজো দিতে যেতে পারেন। মাতৃ আরাধনার মাধ্যমে শুরু করতে পারেন নতুন বছর।
রাত পোহালেই পয়লা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরের শুরু। এদিন মন্দিরে পুজো দিয়ে দিন শুরু করেন অনেকে। জেনে নিন জেলার চারটি বিখ্যাত মন্দির, যেখানে আপনি পুজো দিতে যেতে পারেন। মাতৃ আরাধনার মাধ্যমে শুরু করতে পারেন নতুন বছর।
কল্যানেশ্বরী মন্দির। এটি আসানসোলের সবথেকে প্রাচীন মন্দির বলে শহরবাসীর বিশ্বাস। যেকোনও উৎসবের দিন শুধু আসানসোল নয়, বাইরে থেকেও বহু মানুষ এখানে পুজো দিতে আসেন। বছরের প্রথম দিনটা চাইলে আপনিও এই মন্দিরে পুজো দিয়ে শুরু করতে পারেন।
কল্যানেশ্বরী মন্দির। এটি আসানসোলের সবথেকে প্রাচীন মন্দির বলে শহরবাসীর বিশ্বাস। যেকোনও উৎসবের দিন শুধু আসানসোল নয়, বাইরে থেকেও বহু মানুষ এখানে পুজো দিতে আসেন। বছরের প্রথম দিনটা চাইলে আপনিও এই মন্দিরে পুজো দিয়ে শুরু করতে পারেন।
মা ঘাগর বুড়ির মন্দির। আসানসোলের অন্যতম আরও একটি বিখ্যাত মন্দির। এই চন্ডীমন্দিরে বছরের প্রত্যেকদিন ভক্ত সমাগম লেগে থাকে। নেতা-মন্ত্রী থেকে বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, সকলেই আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। বছর শুরু করার জন্য আপনি পৌঁছে যেতে পারেন এই মন্দিরেও।
মা ঘাগর বুড়ির মন্দির। আসানসোলের অন্যতম আরও একটি বিখ্যাত মন্দির। এই চন্ডীমন্দিরে বছরের প্রত্যেকদিন ভক্ত সমাগম লেগে থাকে। নেতা-মন্ত্রী থেকে বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, সকলেই আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। বছর শুরু করার জন্য আপনি পৌঁছে যেতে পারেন এই মন্দিরেও।
দুর্গাপুরের সবথেকে বিখ্যাত এবং প্রাচীন ভিড়িঙ্গী কালী মন্দির। আসানসোলের দেবী কল্যাণেশ্বরী যতটা বিখ্যাত, ঠিক ততটাই বিখ্যাত দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গী কালীর মন্দির। নববর্ষে এই মন্দিরে থাকে উপচে পড়া ভিড়। বছর শুরু করার জন্য আপনি এই মন্দিরেও পুজো দিতে যেতে পারেন।
দুর্গাপুরের সবথেকে বিখ্যাত এবং প্রাচীন ভিড়িঙ্গী কালী মন্দির। আসানসোলের দেবী কল্যাণেশ্বরী যতটা বিখ্যাত, ঠিক ততটাই বিখ্যাত দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গী কালীর মন্দির। নববর্ষে এই মন্দিরে থাকে উপচে পড়া ভিড়। বছর শুরু করার জন্য আপনি এই মন্দিরেও পুজো দিতে যেতে পারেন।
দুর্গাপুরের অন্যতম প্রাচীন একটি মন্দির হল গড় জঙ্গলের শ্যামারুপার মন্দির। গভীর জঙ্গলের মাঝে অবস্থিত এই মন্দিরে দেবী দুর্গার আরাধনা হয়। এখানে দেবী শ্যামরুপা রূপে অধিষ্ঠিত। চাইলে আপনি বছরের প্রথম দিনে এই মন্দিরে গিয়ে পুজো দিতে পারেন।
দুর্গাপুরের অন্যতম প্রাচীন একটি মন্দির হল গড় জঙ্গলের শ্যামারুপার মন্দির। গভীর জঙ্গলের মাঝে অবস্থিত এই মন্দিরে দেবী দুর্গার আরাধনা হয়। এখানে দেবী শ্যামরুপা রূপে অধিষ্ঠিত। চাইলে আপনি বছরের প্রথম দিনে এই মন্দিরে গিয়ে পুজো দিতে পারেন।

SBI Home Loan: এবার স্বপ্নের বাড়ি আপনারও! সহজ শর্তে হোম লোন দিচ্ছে SBI, রইল ধামাকা অফার

এবার পূরণ হতে চলেছে দুর্গাপুরের বুকে আপনার বাড়ি তৈরির স্বপ্ন। আপনার জন্য বড় সুযোগ নিয়ে হাজির হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক এসবিআই (স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া)।
এবার পূরণ হতে চলেছে দুর্গাপুরের বুকে আপনার বাড়ি তৈরির স্বপ্ন। আপনার জন্য বড় সুযোগ নিয়ে হাজির হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক এসবিআই (স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া)।
দুর্গাপুর গান্ধী মোড় ময়দানে এসবিআই আয়োজন করেছে হোম লোন কার্নিভালের। দুর্গাপুরে আয়োজিত দু'দিনের এই হোম লোন মেলা আপনার বাড়ি তৈরির স্বপ্নকে পূরণ করবে।
দুর্গাপুর গান্ধী মোড় ময়দানে এসবিআই আয়োজন করেছে হোম লোন কার্নিভালের। দুর্গাপুরে আয়োজিত দু’দিনের এই হোম লোন মেলা আপনার বাড়ি তৈরির স্বপ্নকে পূরণ করবে।
সকাল ১১'টা থেকে সন্ধ্যা ৭'টা পর্যন্ত হোম লোন কার্নিভাল চলবে। আগামী ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি হবে এই কার্নিভাল। এই অনুষ্ঠানে কলকাতা, দুর্গাপুর বর্ধমান ও অন্যান্য শহরের অনেক বিল্ডার এবং ডেভলপাররা থাকবেন। যারা তাদের বর্তমান এবং আসন্ন প্রকল্পগুলিকে গ্রাহকদের সামনে তুলে ধরবেন।
সকাল ১১’টা থেকে সন্ধ্যা ৭’টা পর্যন্ত হোম লোন কার্নিভাল চলবে। আগামী ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি হবে এই কার্নিভাল। এই অনুষ্ঠানে কলকাতা, দুর্গাপুর বর্ধমান ও অন্যান্য শহরের অনেক বিল্ডার এবং ডেভলপাররা থাকবেন। যারা তাদের বর্তমান এবং আসন্ন প্রকল্পগুলিকে গ্রাহকদের সামনে তুলে ধরবেন।
এসবিআই আয়োজিত এই গৃহঋণ মেলায় গেলে আপনি পেয়ে যাবেন অভিজ্ঞদের দ্বারা ঋণ নেওয়ার পরামর্শ। একইসঙ্গে থাকবে আবেদন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা। যোগ্যতার মানদণ্ড বিচার করে প্রয়োজনীয় নথির ভিত্তিতে দেওয়া হবে হোম লোনের অফার।
এসবিআই আয়োজিত এই গৃহঋণ মেলায় গেলে আপনি পেয়ে যাবেন অভিজ্ঞদের দ্বারা ঋণ নেওয়ার পরামর্শ। একইসঙ্গে থাকবে আবেদন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা। যোগ্যতার মানদণ্ড বিচার করে প্রয়োজনীয় নথির ভিত্তিতে দেওয়া হবে হোম লোনের অফার।
তাছাড়াও যোগ্য আবেদনকারীদের অন দা স্পট নীতিগত ঋণ অনুমোদন দেওয়া হবে যা জেলার বুকে আপনার বাড়ি তৈরির স্বপ্নকে সহজেই সফল করবে। এছাড়াও থাকবে 'SBI APPROVED PROPERTY' থেকে পছন্দের বাড়ি বেছে নেওয়ার সুযোগও।
তাছাড়াও যোগ্য আবেদনকারীদের অন দা স্পট নীতিগত ঋণ অনুমোদন দেওয়া হবে যা জেলার বুকে আপনার বাড়ি তৈরির স্বপ্নকে সহজেই সফল করবে। এছাড়াও থাকবে ‘SBI APPROVED PROPERTY’ থেকে পছন্দের বাড়ি বেছে নেওয়ার সুযোগও।
দুর্গাপুরে একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই হোম লোন কার্নিভালের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে হাজির ছিলেন এসবিআই'এর চিফ ম্যানেজার অখিলেশ কুমার, অভিজিৎ দুবে, সিদ্ধার্থ কুমারের মত গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকরা।
দুর্গাপুরে একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই হোম লোন কার্নিভালের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে হাজির ছিলেন এসবিআই’এর চিফ ম্যানেজার অখিলেশ কুমার, অভিজিৎ দুবে, সিদ্ধার্থ কুমারের মত গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকরা। Input- Nayan Ghosh

Paschim Bardhaman News: বেওয়ারিশের মতো রাস্তায় এ কী পড়ে! অবাক সকলেই, চাঞ্চল্য এলাকায়

দুর্গাপুর: সকাল সকাল রাস্তায় বেরিয়ে মাথা ঘুরে গেল সকলের। রাস্তায় যা পড়ে থাকতে দেখলেন, তাতে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল দুর্গাপুরে। এমন গুরুত্বপূর্ণ নথি রাস্তায় ‘বেওয়ারিশ’-এর মতো পড়ে থাকতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়া স্বাভাবিক। খবর ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো। পুলিশের কাছে পৌঁছতেও বেশি সময় লাগেনি। কিন্তু কী ভাবে এল এই গুরুত্বপূর্ণ নথি? কেনই বা হাল এমন? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরছে সকলের মনে।

দুর্গাপুরের সগরভাঙা কলোনি এলাকা। অনেকেই রোজকার মতো বেরিয়েছিলেন বাজার করতে। তখনই সকলের নজর পড়ে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা নথির দিকে। সেখানে পড়ে রয়েছে একাধিক বই। সঙ্গে রয়েছে কার্ড। যেগুলির মেয়াদ এখনও পর্যন্ত উত্তীর্ণ হয়নি। এমন বিষয় নজরে পড়তেই গুঞ্জন শুরু হয় এলাকায়। সময় নষ্ট না করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে সব নথি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে।

কিন্তু আসলে হয়েছে কী? এত হইচই কী নিয়ে? দুর্গাপুর সগরভাঙ্গা কলোনি এলাকা। সেখানে সকাল সকাল উদ্ধার হয়েছে ব্যাঙ্কের একাধিক পাসবই এবং এটিএম কার্ড। যেগুলিকে রাস্তার পাশে স্তুপাকৃতি অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, যে সমস্ত পাসবইগুলি উদ্ধার হয়েছে, সেগুলি চলতি বছর পর্যন্ত আপডেট করা হয়েছে। এমনকি, যে সব এটিএম কার্ডগুলি রয়েছে, সেগুলির ভ্যালিডিটিও রয়েছে এখনও পর্যন্ত। সমস্ত পাস বই এবং এটিএম কার্ডগুলি প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে সন্দেশখালি যাওয়ার আবেদন শুভেন্দুর, মানবাধিকার কমিশনেরও দৃষ্টি আকর্ষণ

আরও পড়ুন: আইসিইউতে মিঠুন চক্রবর্তী! বর্ষীয়ান অভিনেতাকে তড়িঘড়ি স্থানান্তর… বাড়ছে চিন্তা

জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের ২৯ নং ওয়ার্ডের সগরভাঙ্গা হাউসিং কলোনীতে উদ্ধার হয়েছে পাসবই এবং এটিএম কার্ডের মতগুরুত্বপূর্ণ নথি। শনিবার সকালে সগরভাঙ্গা আবাসনের কে ব্লকের একটি মাঠের পাশেই কয়েকশো পাস বই আর এটিএম পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় কোকওভেন থানায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পাসবই ও কার্ডগুলি উদ্ধার করে। নিয়ে গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বেশিরভাগ পাসবই স্থানীয় স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এফসিআই ব্রাঞ্চের। উদ্ধার হওয়া নথিগুলি মূলত সগরভাঙ্গা ও আশেপাশের এলাকার পাসবই বই বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে এই পাসবই ও এটিএম এখানে এল, তা কারোর জানা নেই।

নয়ন ঘোষ

Girl Child: সে কী সে কী আনন্দ, বাড়িতে এল বিশেষ মেহমান, আয়োজন এলাহি, রইল আনন্দমাখা ভিডিও

পশ্চিম বর্ধমান : চারিদিকে বিশাল আয়োজন। সুসজ্জিত গাড়ির সামনে বাজছে বাজনা। রাস্তা দিয়ে যাঁরা যাচ্ছেন তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে মিষ্টি। অনেকেই প্রথমে বুঝতে পারেননি এত উৎসব উল্লাসের কারণটা ঠিক কি? আসল কারণ দারুণ৷  তিন প্রজন্ম পরে বাড়িতে জন্ম নিয়েছে কন্যা সন্তান। সেই খুশিতে মেতে উঠেছেন কাঁকসার মন্ডল পরিবারের সমস্ত সদস্যরা। বাড়ির লক্ষ্মীকে স্বাগত জানাতে এই বিশাল আয়োজন।

কাঁকসার ধানতোর গ্রাম। সেখানেই মণ্ডল পরিবারের বসবাস। এই মণ্ডল পরিবারে তিন প্রজন্ম ধরে কোনও কন্যা সন্তান জন্ম নেয়নি। পরিবারের পূর্বপুরুষ স্বর্গীয় সুকুমার কুমার মণ্ডল। তিনি ছিলেন তাঁর বাবার একমাত্র সন্তান। সুকুমার বাবুর তিন পুত্র সন্তান রয়েছে।  তাঁদের সন্তান থাকলেও কোনও কন্যা সন্তান জন্ম নেয়নি। অবশেষে সুকুমার বাবুর ছোট সন্তান অর্থাৎ কাজল মন্ডলের ছেলের কন্যা সন্তান হল। ফলে তিন প্রজন্ম পরে বাড়িতে জন্ম নিয়েছে কন্যা সন্তান।

আরও পড়ুন – Healthy Lifestyle: মুঠো মুঠো বাদাম খেয়ে বিপদ ডেকে আনবেন না, হিতে বিপরীত হয়ে হবে বড় সর্বনাশ

সদ্যজাত কন্যা সন্তানের এক ঠাকুমা শ্যামলী মণ্ডল বলছেন, ‘‘পৌষ মাস চলছে। তার মধ্যেই জন্ম নিয়েছে কন্যা সন্তান। অর্থাৎ বাড়িতে লক্ষ্মী এসেছে। বাড়ির লক্ষ্মীকে ধুমধাম করে বাড়িতে নিয়ে আসার জন্যই এই বিশাল আয়োজন করা হয়েছিল।’’  খুশিতে তাঁরা মেতে উঠেছেন। পরিবারের সকলেই এই কন্যা সন্তানের আগমনে ভীষণভাবে খুশি। তাই সুন্দর করে গাড়ি সাজিয়ে, বাজনা বাজিয়ে কন্যা সন্তানকে বাড়ি আনা হয়েছে। বাড়িতে লক্ষ্মীর আগমন হয়েছে। তাই রাস্তায় সবার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে মিষ্টি।

মণ্ডল পরিবারের এই কর্মকাণ্ড সকলের নজর কেড়েছে। বাড়িতে কন্যা সন্তান হওয়ার জন্য যেভাবে তাঁরা খুশি হয়েছেন, তাতে সমাজ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘মানুষের মধ্যে ধীরে ধীরে ধ্যান-ধারণা বদলাচ্ছে। এতদিন অনেকেই কন্যা সন্তান চাইতেন না। কিন্তু মানুষ এখন ধীরে ধীরে বুঝতে পারছেন ছেলে-মেয়ে উভয়ই সমান।’’ যেমন এই মণ্ডল পরিবার নিজেদের বাড়িতে দীর্ঘদিন বাদে কন্যা সন্তান আসায় সকলেই ভীষণ খুশি। বাড়ির নতুন সদস্য এইভাবে স্বাগত জানাতে দেখে রীতিমতো বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন সদ্যজাতের বাবা-মা’ও।

Nayan Ghosh