হিলি স্থলবন্দর

Hili Land Port: হিলি স্থলবন্দর ঘিরে আশায় বুক বাঁধছেন ব্যবসায়ীরা, ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট হলেই বাড়বে বাণিজ্য

দক্ষিণ দিনাজপুর: উত্তরবঙ্গের পাঁচটি স্থল বন্দরের উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। সেই তালিকায় আছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার স্থলবন্দর হিলি। এখানে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট গড়ে তোলা হচ্ছে। এর ফলে আগামী দিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়বে বলে আশা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের উন্নয়নের জন্য মোট ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে ল্যান্ডপোর্ট অথরিটি। জমি ক্রয়ের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই স্থলবন্দরের জন্য প্রয়োজনীয় জমি চিহ্নিত করে তা কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। দীর্ঘদিনের অবহেলিত হিলি স্থলবন্দরে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট চালু হয়ে গেলে আমদানি বাণিজ্য আরও বাড়বে। আমদানি করা যাবে বাংলাদেশের বিখ্যাত ইলিশ মাছ সহ বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য সামগ্রী।

আরও পড়ুন: অত্যধিক গরমে সুপারি চাষের ব্যাপক ক্ষতি

বর্তমানে এই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই সমস্ত খাদ্যদ্রব্য আমদানি করা যায় না। পাশাপাশি ভারত থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী প্রতিনিয়তই যায়। ওপার বাংলার হিলি চেকপোষ্টে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের সুবিধা থাকার ফলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অতি সহজেই বাংলাদেশে খাদ্যদ্রব্য পাঠানো যায়। কিন্তু এপার বাংলায় বাণিজ্য বন্দর থাকলেও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নেই। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ভোট পর্ব মিটলেই জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে এবং তা তুলে দেওয়া হবে ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির হাতে। আর এই ঘোষণায় আশায় বুক বাঁধছেন হিলির ব্যবসায়ীরা।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সীমান্ত লাগোয়া হিলি বাণিজ্য বন্দরে কোন‌ও পরিকাঠামো সেভাবে গড়ে ওঠেনি। শুধুমাত্র পণ্য রফতানি করা হয়। খুব কম পরিমাণ বাংলাদেশি পণ্য ভারতে আসে, যার মধ্যে অন্যতম চিটা গুর ও রাইস ব্র্যান। দীর্ঘদিন ধরেই জেলার রফতানি বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল হিলির বাণিজ্য বন্দরকে আধুনিক গড়ে তোলা হোক এবং আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে আরও গতি আসুক। ব্যবসায়ীদের দাবি, বালুরঘাট-হিলি রেলপথ সম্পূর্ণ হলে হিলিতে রেক পয়েন্ট হবেই। তার সঙ্গে যদি ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের মত আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন বন্দর গড়ে ওঠে তাহলে শুধুমাত্র হিলি নয়, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অর্থ সামাজিক অবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।

সুস্মিতা গোস্বামী