Tag Archives: Buisness

Lok Sabha Election 2024: নির্বাচনের আঁচে খুচরো ব্যবসায় মন্দা!

হাওড়া: ভোট উৎসবের আঁচ পড়েছে ছোট ও খুচরো ব্যবসায়। গোটা দেশ গণতন্ত্রের উৎসবে মেতে উঠেছে। ভোট ভোট রব সর্বত্র। ইতিমধ্যেই দুই দফার ভোট সম্পন্ন হয়েছে বাংলায়। আর‌ও ৫ দফার ভোট বাকি। দেশ জুড়ে লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে উৎসবের মেজাজ। একাংশের মানুষের কাছে এটা ভোট উৎসব হলেও কিছু মানুষের অস্বস্তিও বটে। যেমন নির্বাচন আসতেই দারুণ অস্বস্তিতে পড়েছেন গ্রামাঞ্চলের খুচরো ব্যবসায়ীরা।

বাজার হাট থেকে মুদির দোকান সর্বত্রই যেন খরিদ্দারের হাহাকার লেগেছে। এই মন্দার মূল কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীদের অনেকেই অবশ্য দ্রব্যমূল্যের চড়া দাম এবং অত্যধিক গরম কে দায়ী করছেন। পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের মুদি থেকে স্টেশনারি দোকানের অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, বাজারে মন্দার অন্যতম কারণ হল ভোট উৎসব। একদিকে ভোট নিয়ে উন্মাদনা অন্যদিকে রাজনৈতিক অশান্তির কারণে আতঙ্কের জেরেই দোকান বাজারে কেনাকাটি কমে গিয়েছে বলে তাঁদের ধারণা।

আর‌ও পড়ুন: ভোটের আগে কী চাইছে কলেশ্বরের মানুষ?

এই ভোটের বাজারে অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাজার দোকান মুখী হচ্ছে না। এমনটাই মত ছোট ব্যবসায়ী ও খুচরো বিক্রেতাদের। তার জেরেই এই ভোট উৎসবে খুচরো বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের কথায় একপ্রকার হাহাকার পড়ে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে মেঘনাথ জাশু নামে এক ছোট ব্যবসায়ী জানান, ভোটের কয়েক মাস আগে থেকেই স্থানীয় স্তরের ব্যবসায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। নির্বাচন যত দ্রুত শেষ হবে ততই পুরনো অবস্থা ফিরে আসবে বলে তাঁর ধারণা।

রাকেশ মাইতি

Love Story: স্বামী সিনেমার সুপারস্টার, চুটিয়ে প্রেমের পর বিয়ে, ঠাকুরদার ব্যবসা সামলে তিনি ২৫০৪০ কোটির মালকিন

: উপাসনা কামিনেনি কোনিদেলা- পারিবারিক সূত্রে পেয়েছেন ব্যবসার উত্তরাধিকার৷ তিনি নিজে এই মুহূর্তে  ব্যবসায়ী৷ পাশাপাশি ফিলনথ্রপিস্ট হিসেবেও নিজের একটা বড়  জায়গা করে নিয়েছেন৷  জগতে একটি সুপরিচিত নাম। তিনি ভারতের অন্যতম সর্ববৃহৎ হাসপাতাল চেন অ্যাপোলো হাসপাতাল পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের উদ্যোক্তা। Photo- File
: উপাসনা কামিনেনি কোনিদেলা- পারিবারিক সূত্রে পেয়েছেন ব্যবসার উত্তরাধিকার৷ তিনি নিজে এই মুহূর্তে  ব্যবসায়ী৷ পাশাপাশি ফিলনথ্রপিস্ট হিসেবেও নিজের একটা বড়  জায়গা করে নিয়েছেন৷  জগতে একটি সুপরিচিত নাম। তিনি ভারতের অন্যতম সর্ববৃহৎ হাসপাতাল চেন অ্যাপোলো হাসপাতাল পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের উদ্যোক্তা। Photo- File
বছর ৩৪-র  উপাসনা অ্যাপোলো হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতাপ সি রেড্ডির নাতনি৷ সংবাদমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে যার মার্কেট ক্যাপ ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৮৮৭১৮ কোটি টাকা। ফোর্বস অনুসারে রেড্ডির রিয়েল-টাইম নেট ওয়ার্থ ২৫০৪০ কোটি টাকা। Photo- File
বছর ৩৪-র  উপাসনা অ্যাপোলো হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতাপ সি রেড্ডির নাতনি৷ সংবাদমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে যার মার্কেট ক্যাপ ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৮৮৭১৮ কোটি টাকা। ফোর্বস অনুসারে রেড্ডির রিয়েল-টাইম নেট ওয়ার্থ ২৫০৪০ কোটি টাকা। Photo- File
একদিকে তিনি নিজে যেমন পারিবারিক সূত্রে বিশাল ব্যবসা এবং প্রবল অর্থের অধিকারী, ঠিক তেমনিই তাঁর স্বামীও খুবই হেভিওয়েট এক তারকা৷  তেলুগু তারকা রাম চরণের স্ত্রী। Photo- File
একদিকে তিনি নিজে যেমন পারিবারিক সূত্রে বিশাল ব্যবসা এবং প্রবল অর্থের অধিকারী, ঠিক তেমনিই তাঁর স্বামীও খুবই হেভিওয়েট এক তারকা৷  তেলুগু তারকা রাম চরণের স্ত্রী। Photo- File
কলেজে পড়াশুনোর সময় থেকে একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হন দুজনে৷ বেশ কিছুদিন চলে তাঁদের ডেটিং পর্ব৷ রামচরণ উপাসনার থেকে চার বছরের বড় কিন্তু তাতে আটকায়নি তাঁদের বিয়ের পথে হাঁটার ভাবনা৷ Photo- File
কলেজে পড়াশুনোর সময় থেকে একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হন দুজনে৷ বেশ কিছুদিন চলে তাঁদের ডেটিং পর্ব৷ রামচরণ উপাসনার থেকে চার বছরের বড় কিন্তু তাতে আটকায়নি তাঁদের বিয়ের পথে হাঁটার ভাবনা৷ Photo- File
চুটিয়ে প্রেমের পর  উপাসনা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রামের সঙ্গে সংসার করছেন৷ তাঁদের বিয়ে হয়েছিল ২০১২তে। এই দম্পতি এই মুহূর্তে ভারতের তরুণ পাওয়ার কাপলদের মধ্যে অন্যতম৷ Photo- File
চুটিয়ে প্রেমের পর  উপাসনা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রামের সঙ্গে সংসার করছেন৷ তাঁদের বিয়ে হয়েছিল ২০১২তে। এই দম্পতি এই মুহূর্তে ভারতের তরুণ পাওয়ার কাপলদের মধ্যে অন্যতম৷ Photo- File
উপাসনা এবং রাম চরণের  একটি মেয়ে রয়েছে। মেয়ের নাম ক্লিন কারা৷ Photo- File
উপাসনা এবং রাম চরণের  একটি মেয়ে রয়েছে। মেয়ের নাম ক্লিন কারা৷ Photo- File
উপাসনা রিজেন্ট ইউনিভার্সিটি লন্ডন থেকে এমবিএ-তে মাস্টার্স করেছেন। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন যেখানে তিনি ব্যবসা চালানোর  দক্ষতা অর্জন নিয়ে শিখেছেন। Photo- File
উপাসনা রিজেন্ট ইউনিভার্সিটি লন্ডন থেকে এমবিএ-তে মাস্টার্স করেছেন। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন যেখানে তিনি ব্যবসা চালানোর  দক্ষতা অর্জন নিয়ে শিখেছেন। Photo- File
উপাসনা হল ইউআরএললাইফের প্রতিষ্ঠাতা, একটি হলিস্টিক ওয়েলনেস প্ল্যাটফর্ম এবং সিএসআর অ্যাপোলো হসপিটালস গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনি এফএইচপিএল (ফ্যামিলি হেলথ প্ল্যান ইনসিওরেন্স  টিপিএ লিমিটেড)-র ব্যবস্থাপনা পরিচালক। Photo- File
উপাসনা হল ইউআরএললাইফের প্রতিষ্ঠাতা, একটি হলিস্টিক ওয়েলনেস প্ল্যাটফর্ম এবং সিএসআর অ্যাপোলো হসপিটালস গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনি এফএইচপিএল (ফ্যামিলি হেলথ প্ল্যান ইনসিওরেন্স  টিপিএ লিমিটেড)-র ব্যবস্থাপনা পরিচালক। Photo- File
উপাসনা পরিবেশে নিয়েও কাজ করেন৷ এছাড়াও বিভিন্ন উপজাতির লোকদের পুনর্বাসন অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অ্যাপোলো ফাউন্ডেশনের কাজের প্রসার ঘটাচ্ছেন। তাঁর মা শোভনা অ্যাপোলো হাসপাতালের এক্সিকিউটিভ ভাইস-চেয়ারপার্সন৷ Photo- File
উপাসনা পরিবেশে নিয়েও কাজ করেন৷ এছাড়াও বিভিন্ন উপজাতির লোকদের পুনর্বাসন অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অ্যাপোলো ফাউন্ডেশনের কাজের প্রসার ঘটাচ্ছেন। তাঁর মা শোভনা অ্যাপোলো হাসপাতালের এক্সিকিউটিভ ভাইস-চেয়ারপার্সন৷ Photo- File
উপাসনা মনে করেন যে বিশ্বকে সুস্থ করার জন্য প্রযুক্তিকে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা উচিত। উপাসনা ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত করার জন্য কাজ করছে। এছাড়াও তিনি YPO হায়দরাবাদ চ্যাপ্টার  এবং CII তেলেঙ্গানার সদস্য। Photo- File
উপাসনা মনে করেন যে বিশ্বকে সুস্থ করার জন্য প্রযুক্তিকে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা উচিত। উপাসনা ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত করার জন্য কাজ করছে। এছাড়াও তিনি YPO হায়দরাবাদ চ্যাপ্টার  এবং CII তেলেঙ্গানার সদস্য। Photo- File

Brick Price Downfall: গরমে হঠাৎ কমেছে ইটের দাম, বাড়ি তৈরি করলে এই সুযোগ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গরমে হঠাৎই ইটের দাম নিম্নমুখী। ১০ টাকা থেকে কমে ৯ টাকা, আবার কিছু জায়গায় আরো কমে ৮ টাকাতেও মিলছে ইট। প্রবল গরমে অনেক ইটভাটাতে কাজ বন্ধ। যেখানে কাজ হচ্ছে সেখানেও সকাল ৯ টা-১০ টার পর কাজ বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। আবার বিকেলের পর কিছু জায়গায় ঘণ্টাখানেকের জন্য কাজ করছেন শ্রমিকরা।

এদিকে গরম পড়তেই ইটভাটায় শ্রমিকের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তার উপর সামনেই রয়েছে ঝড়-বৃষ্টির মরশুম। এমন অবস্থায় ভাটার মালিকরা অসুবিধায় পড়েছেন। বর্ষার আগে কাজ শেষ করতে না পারলে অনেক ইট নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা। ফলে অনেকে কাঁচা ইট চাপা দিয়ে রেখেছেন। তার উপর যে সমস্ত ইট পোড়ানো হয়েছে সেগুলিও দ্রুত বিক্রি করে দিতে হবে। বর্ষার আগে এই কাজ শেষ করতে না পারলে একাধিক সমস্যা হবে‌। ফলে দাম কমিয়ে ইট ছেড়ে দিতে চাইছেন ভাটা মালিকরা।

আর‌ও পড়ুন: ট্রেন ফেরানোর দাবিতে গরম উপেক্ষা করে মিছিল

এদিকে দাম কমালেও ইটের তেমন চাহিদা নেই। ইমারত দ্রব্যের ব্যবসায়ী বা সাধারণ মানুষ সেভাবে ইট কিনছে না। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দ্রুত অবস্থা না বদলালে চলতি বছর তাঁদের বিরাট লোকসানের মুখে পড়তে হতে পারে।

নবাব মল্লিক

Rose Farming: মাটি ছাড়াই গোলাপের চাষ, সহজে হয়ে যান মালামাল!

পশ্চিম মেদিনীপুর: সবাই কমবেশি গোলাপ পছন্দ করে। শখে অনেকেই বাড়িতে গোলাপ গাছ লাগিয়ে থাকেন। কিন্তু সেই গোলাপ গাছ সাধারণত জৈব সারের সাহায্যে মাটি দিয়ে টবে বড় করে তোলা হয়। তবে বর্তমানে গোলাপ গাছ যেভাবে লাগানো হচ্ছে জানলে অবাক হবেন। এবার গোলাপের গাছ লাগানো কিংবা বৃহৎ আকারের গোলাপ চাষ করতে গিয়ে আর প্রয়োজন হবে না মাটির। স্টোনচিপ, কয়লার অঙ্গারে কিংবা ধানের তুষেই হবে গোলাপ!

আর‌ও পড়ুন: প্রতিদিন দোলনায় ঝুলে সংসার চালান এঁরা! জীবন বাজি রেখেই চলে কাজ

মাটি ছাড়াই বড় হয়ে উঠবে গোলাপ গাছ, এটা শুনে নিশ্চয়ই অবাক হয়ে গিয়েছেন? কিন্তু এমন অসাধ্য সাধন করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের অশোক কুমার মাইতি। জকপুরে তাঁর একটি গোলাপের নার্সারি আছে। এখানকার গোলাপ গাছ দেশ-বিদেশে সরবরাহ হয়। তথাকথিত সামান্য কয়েকটি রঙের নয়, এখানে আছে একাধিক প্রজাতির গোলাপের গাছ। তবে মাটির পাশাপাশি গোলাপ চাষ হচ্ছে স্টোনচিপ, কাঠ কয়লার টুকরো এবং ধানের তুষের মধ্যে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

অশোক কুমার মাইতি বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে মাটি বাদ দিয়ে স্টোনচিপ এবং ধানের তুষে চাষ করেছেন হরেক রঙের গোলাপ গাছ। স্বাভাবিকভাবে জৈব সার, মাটি, সামান্য ওষুধ দিয়ে গোলাপ গাছ লাগানো হয়। বেশ কয়েকটি রং ও প্রজাতির গোলাপ গাছ পাওয়া যায় ভারতে। কিন্তু বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ধানের তুষ এবং স্টোনচিপে, কয়লার অঙ্গারে গোলাপের চাষ এর আগে কোথাও দেখা যায়নি। এই বিকল্প পদ্ধতিতে গোলাপ চাষের ফলে পোকামাকড় বা অতিরিক্ত বৃষ্টিতে গাছ পচে যাওয়ার সমস্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এতে গাছ যেমন ভাল থাকে তেমনই খরচও বেশ কম পড়ে। এছাড়াও কয়লার অঙ্গার পরবর্তীতে রাসায়নিকে ধুয়ে ফের ব্যবহার করা যায়। এইভাবে গোলাপ চাষ করে রোজগারও বেড়েছে নার্সারি মালিকের।

রঞ্জন চন্দ

Wheat Cultivation: গমের ভাল ফলন পেতে কী করবেন? র‌ইল কৃষি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

উত্তর দিনাজপুর: কৃষি নির্ভর উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রধান খাদ্যশস্য হিসেবে ধানের পরেই গম চাষ করা হয়। তবে অনেক কৃষকই গমের ভাল ফলন না পাওয়ায় গম চাষে তেমন আগ্রহ দেখান না। এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি বিশেষজ্ঞ। কী করলে গমের ভাল ফলন পাওয়া যাবে সেই কথা তুলে ধরেছেন তিনি।

আর‌ও পড়ুন: ১৪ দিন পর আবার শুরু বজবজ-বাউড়িয়া ফেরি চলাচল

গমের ভাল ফলন পেতে প্রথমে বেছে নিতে হবে গমের উন্নত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জাত। গমের কোন জাতের বীজে ভাল ফলন হয় জানেন কি? কৃষি বিশেষজ্ঞ গোপেন দেব শর্মা জানান, গমের উন্নতমানের জাতগুলির মধ্যে অন্যতম হল সোনালিকা, হাইব্রিড ও সাদা এক ধরনের জনক গম। গমের এই জাতগুলো বাকিদের তুলনায় ভাল ফলন দেয়।

সোনালিকা গম: এই জাতের গম গাছগুলো বেঁটে, দানা ফিকে রঙের, পুরুষ্ঠ ও শক্ত হয়। বপনের ৬০ দিন পর এই গমের গাছে ফুল আসে। ১০০ থেকে ১০৫ দিনে এই গমের ফসল পেকে যায়।

জনক বা সাদা গম: এই গম গাছ‌ও অপেক্ষাকৃত বেঁটে। এই গমের দানা মাঝারি সাদাটে, বাদামি মরচে রোগে সহনশীল। উর্বর মাঝারি উর্বর জমিতে সময়মত বপনের জন্য এবং খুব উর্বর জমিতে বপনের পক্ষে উপযোগী। এই গম বোনার ৬০ দিন পর ফুল আসে। এবং এর ফসল পাকতে ১১৫ থেকে ১২০ দিন সময় লাগে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

হাইব্রিড গম: তবে দ্রুত ফলনশীল জাত হিসেবে জেলার বহু চাষি হাইব্রিড জাতকেই বেছে নেন। এই হাইব্রিড জাতের ফলন অন্যান্য গমের তুলনায় ভাল হয়। তবে এই জাতের একটি সমস্যা হল, এই গমে রোগ পোকার আক্রমণ বেশি হয়। ফলে এই গমে বিষ প্রয়োগ করতে হয়। এই গমগুলো সাধারনত অগ্রহায়ণ-পৌষ মাস থেকে বপন করা হয়। বপনের তিন মাস পর এর ফলন পাওয়া যায়। এলাকাভিত্তিক এই বিভিন্ন জাতের গম চাষ হয়ে থাকে।

পিয়া গুপ্তা

GST Raid: ইডি-সিবিআই নয়, অভিযান অন্য সরকারি দফতরের! জেরার মুখে অসুস্থ ব্যবসায়ী

পশ্চিম বর্ধমান: হঠাৎ এজেন্সির অভিযানে অসুস্থ হয়ে পড়লেন ব্যবসায়ী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত তোলপাড় কুলটির নিয়ামতপুর বাজার এলাকা। তবে পরিচিত ইডি বা সিবিআইয়ের অভিযান নয়, জিএসটি আধিকারিকদের অভিযান ঘিরে এমনই চাঞ্চল্য ছড়াল।

আর‌ও পড়ুন: ঝুঁকির পারাপারের দিন শেষ হতে চলেছে

জিএসটি আধিকারিকদের অভিযানে অসুস্থ হয়ে পড়েন কুলটির ব্যবসায়ী দীপক বালোটিয়া। এই ঘটনায় তাঁর পরিবার জিএসটি আধিকারিকদের দিকে আঙুল তুলেছে। অভিযোগ, পরিবারের সদস্যদের কাকুতি মিনতিতে কান দিতে চাননি সরকারি আধিকারিকরা। নিয়ামতপুর বাজারে ওই ব্যবসায়ীর ইলেকট্রনিক্সের দোকান আছে। এদিন সেখানেই হানা দেন দুর্গাপুর-আসানসোল জিএসটি সার্কেলের আধিকারিকরা।

ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, এদিন জিএসটি আধিকারিকরা যখন জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন তখনই অসুস্থ হয়ে পড়েন দীপক বালোটিয়া। আধিকারিকদের অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যান বলে ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের দাবি। তিনি হৃদরোগে ভুগছেন বলে জানা গিয়েছে। সেইসঙ্গে ডায়াবেটিস আছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

পরিবারের দাবি, জিএসটি আধিকারিকদের অভিযান এবং প্রশ্নের মুখে পড়ে তিনি ভীত হয়ে পড়েছিলেন বলে পরিবারের দাবি। পরে অবশ্য তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত তোলপাড় পড়ে গিয়েছে নিয়ামতপুর বাজার এলাকায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, তাঁরা সমস্ত নিয়ম মেনে ব্যবসা চালান। তবুও অযথা হেনস্তা করার জন্য এমন অভিযান চালানো হয়েছে। এই ঘটনার পর স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং এলাকাবাসী জিএসটি আধিকারিক ও তাঁদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। অন্যদিকে অসুস্থ ব্যবসায়ীর পরিবার থানায় জিএসটি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।

নয়ন ঘোষ

Fish Farming: ভেটকি-ইলিশকে দামে টেক্কা দিচ্ছে কই! বাড়ির চৌবাচ্চায় চাষ করে মালামাল হয়ে যান

পূর্ব মেদিনীপুর: কই, শিঙি, মাগুর সহ একাধিক বিলুপ্তপ্রায় জিওল মাছ ফিরিয়ে আনতে সরকারি উদ্যোগ। বাজারে জিওল মাছের চাহিদার কথা মাথায় রেখে কৃষকদের চাষ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে নতুন কর্মসংস্থান যেমন হবে তেমনই মৎস্য চাষিদের আয়ও বাড়বে।

আরও পড়ুন: চলতে চলতে চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারাল ট্রাক, সজোরে ধাক্কা চলন্ত অটোয়…

গ্রাম বাংলার খাল-বিল, পুকুর-ডোবায় এক সময় কিলবিল করত এইসব জিওল মাছ। এগুলো মানুষের শরীরের পক্ষে যেমন উপকারী তেমনই সহজলভ্য ছিল। তখন কেউ টাকা দিয়ে কই, শিঙি, মাগুর মাছ কিন্তু না। কিন্তু এখন এইসব মাছের দাম ইলিশ, ভেটকিকে পর্যন্ত টেক্কা দিয়ে যায়! আর তাই এই মাছ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। এই অবস্থায় মৎস্য চাষিদের আয় বাড়াতে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সরকার।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন জিওল মাছ সরকারি উদ্যোগে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। শুধু জিওল মাছের চাষের পরিসর বৃদ্ধি করাই নয়, সেই সঙ্গে কর্মসংস্থানের লক্ষ্য‌ও রাখা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন জিওল মাছের চাষ শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা ও রাজ্য গ্রাম উন্নয়ন দফতরের সহায় সিএডিসির প্রকল্পে কই মাছ চাষ শুরু হয়েছে। তবে সরাসরি পুকুর-ডোবা কিংবা খাল-বিলে নয়, চৌবাচ্চায় কই মাছের চাষ শুরু করা হয়েছে। কই মাছের চাষ শুরু করার পাশাপাশি এই মাছ চাষের সম্প্রসারণ ও ব্যাপ্তি ঘটাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া চলছে। চৌবাচ্চায় কইমাছ চাষ অত্যন্ত লাভজনক। কম খরচে সহজেই চৌবাচ্চায় কই মাছের চাষ সম্ভব। ফলে কর্মসংস্থানের দিক থেকে চৌবাচ্চায় কই মাছ চাষ উপযোগী।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

বাড়িতে চৌবাচ্চায় সহজে কই মাছের চাষ হয়। কই মাছের চাষের জন্য সময় লাগে চার থেকে পাঁচ মাস। একটি ১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট প্রস্থ এবং ২.৫ ফুট গভীরতা যুক্ত চৌবাচ্চায় ১০০ কেজি কই মাছ চাষ করা যায়। কই মাছের বর্তমান বাজার মূল্য থেকে হাফ খরচে কই মাছের চাষ হয়। বিলুপ্তপ্রায় জিওল মাছ কই ফেরাতে সিএডিসি প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে কই মাছের পোনা উৎপাদনের পাশাপাশি চৌবাচ্চায় কই মাছ চাষ করা শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য এবং জিওল মাছের সম্প্রসারণ এর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও চলছে। সিএডিসির প্রজেক্ট ডিরেক্টর উত্তম কুমার লাহা জানান, কই মাছ প্রায় বিলুপ্ত হওয়ায় বাজারে চড়া দাম রয়েছে। পুরোপুরি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে না হলেও মাটির চৌবাচ্চায় পলিথিন দিয়ে কই মাছের চাষ সম্ভব।

সৈকত শী

Bengali Video: গরম পড়ার আগেই চলে এসেছিলেন ওঁরা, কিন্তু মনোরম আবহাওয়ায় ব্যবসায় মন্দা

পশ্চিম বর্ধমান: গরম পড়ার আগেই প্রতিবার চলে আসেন ওঁরা। তাঁদের হাত ধরেই কাটফাটা গরমে পাওয়া যায় তৃপ্তি। ভিন জেলা থেকে বড় বড় পোঁটলা নিয়ে হাজির হন দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায়। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। তাপমাত্রার পারদ লাগাম ছাড়া হওয়ার আগেই তাঁরা চলে এসেছেন হাঁড়ি নিয়ে। কিন্তু আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় মাথায় হাত, দেখা নেই লক্ষ্মীর।

আরও পড়ুন: ফুটপাতের বেআইনি দখল সরাতে ময়দানে প্রশাসন

গ্রীষ্ম শুরু হওয়ার আগে থেকেই দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার পাশে মাটির কলসি বিক্রি হতে দেখা যায়। শুধু দুর্গাপুর নয়, পশ্চিম বর্ধমান জেলার একাধিক জায়গাতেই এই ছবি খুব পরিচিত। গোটা গ্রীষ্মকালজুড়ে এই মাটির কলসির চাহিদা থাকে। মানুষের সুবিধায় এখন মাটির কলসিতে যুক্ত হয়েছে কল। ফলে আর গ্লাস ডুবিয়ে জল খাওয়ার ঝামেলা নেই। যার চাহিদা গত চার পাঁচ বছরে আরও কিছুটা বেড়েছে। তবে এবছর এখনও পর্যন্ত ব্যবসায় মন্দা। কারণ গরম পড়তে পড়তে হঠাৎই আবহাওয়ায় যেন ইউটার্ন।

নদিয়া, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই মাটির কলসি বিক্রেতারা আসেন। তাপমাত্রার পারদ যখন একটু একটু করে বাড়ছিল, তখনই তাঁরা হাজির হয়েছিলেন নিজেদের সামগ্রী নিয়ে। কিন্তু আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় প্রায় দিন আকাশ মেঘলা থাকছে। সঙ্গে দোসর হিসেবে হাজির বৃষ্টি। ফলে এখনও সেই অর্থে কাটেনি শীতের আমেজ। তাই এখনও পর্যন্ত খুব বিশেষ চাহিদা নেই মাটির কলসির। স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ বিক্রেতাদের।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই সমস্ত কলসি বিক্রেতারা বলছেন, গ্রীষ্ম শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে তাঁরা ৮০০ থেকে ৯০০ পিস মাটির কলসি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। সেগুলি বিক্রি হয়ে গেলে ২-৩ দিনের জন্য বাড়ি ফিরে যান। আবার নিয়ে আসেন আরও কলসি। ১৫০ টাকা থেকে এই মাটির কলসির দাম শুরু হয়। বড় কলসি নিতে গেলে দাম পরে একটু বেশি। পুরো গ্রীষ্মকালজুড়েই চাহিদা থাকে। ফলে ব্যবসা চলে ভালই। কিন্তু এবারই যেন পরিস্থিতিটা একটু অন্যরকম।

নয়ন ঘোষ

New Food: পশুখাদ্য গ্যামা ঘাসের ফল থেকে তৈরি হচ্ছে সুস্বাদু খই! অজান্তে আপনিও হয়ত খেয়েছেন…

নদিয়া: পশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত গ্যামা ঘাসের ফল থেকে তৈরি হচ্ছে সুস্বাদু খ‌ই! শুনে চমকে উঠতে পারেন, কিন্তু এটাই সত্যি। কখনও খেয়ে দেখেছেন এই খই? খেলে এর স্বাদ ভুলতে পারবেন না।

আরও পড়ুন: ফাল্গুন সংক্রান্তিতে ঘেঁটু’র পালকি নিয়ে দোরে দোরে ঘোরে কচিকাঁচারা…

বিকল্প খাদ্য হিসাবে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করছে পশুর গ্যামা ঘাস থেকে তৈরি এই খ‌ই। তেমনই এই নতুন উপায়ে খই তৈরির বিষয়ট হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাও তৈরি করেছে। সবুজ পশু খাদ্য হিসেবে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয় গ্যামা ঘাস। গ্রাম বাংলার ক্ষেত্রে অনেকেই এই গাছের সঙ্গে বিশেষ পরিচিত। মূলত নিচু কিংবা নোনা স্যাঁতসেতে পরিত্যাক্ত জমিতে এই ঘাস চাষ হয়ে থাকে। তবে তা থেকে অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খই তৈরি হয় তা হয়ত অনেকেরই অজানা। নদিয়ার শিবনিবাস এলাকায় বিভিন্ন মেলায় দেখা যায় এই ঘাস থেকে তৈরি খই।

ধান থেকে প্রস্তুত করা খই সর্বাধিক ব্যবহৃত হলেও গ্যামা ঘাস থেকে প্রস্তুত করা এই খই বিকল্প রুজি-রুটির পথ দেখাচ্ছে বেকারদের। গ্যামা গাছের ফল থেকে হয় ফুটফুটে সাদা খৈ। প্রস্তুতকারকরা জানাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে চাষ হওয়া এই ঘাস কাঁচা অবস্থায় গবাদি পশুর খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খন্ডের মত রাজ্যে ফল হিসাবে উৎপাদন করার জন্য রেখে দেওয়া হয়। সেখান থেকেই আনা ফল প্রথমে আগুনের উত্তাপে ভাপিয়ে নেওয়ার পর লোহার কড়াইয়ে সাদা মিহি বালিতে ভাজা হয়। তবে ভুট্টার খই উৎপাদনের ক্ষেত্রে জ্বালানি হিসেবে গ্যাস বা ইলেকট্রিক ওভেন ব্যবহৃত হলেও এক্ষেত্রে নাকি শুধুমাত্র কাঠের জালে উৎকৃষ্ট মানের খই প্রস্তুত করা হয়। কোনরকম কেমিক্যাল দেওয়া হয় না। রোগী থেকে শুরু করে বাচ্চা কিংবা গর্ভবতী মায়েরা সকলের জন্য অত্যন্ত উপদেয় এই খই।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

পশুদের খাদ্য গ্যামা ঘাসের ফল থেকে প্রস্তুত করা কই বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা প্রতি ১০০ গ্রাম হিসেবে। ২০০ গ্রামের প্যাকেটের দাম ২০ টাকা। অনেকেই এই খই বাড়ি নিয়ে খান। তাই বিক্রিও যথেষ্ট হয়। বাংলার বহু বেকার যুবক এই খই তৈরির মাধ্যমে ক্রমশ স্বনির্ভর হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন।

মৈনাক দেবনাথ

Success story: কলকাতায় শুরু, ভারতের বিস্কুটের বাজারে তোলপাড়, বলিউড অভিনেতারই হাজার কোটি টাকা ব্র্যান্ডের মুখ

: ভারতীয় বিস্কুটের বাজারে পার্লে-জি-র একচ্ছত্রাধিপত্য তা নিয়ে কারো মনে কোনও সংশয় নেই৷  এটি এমন একটি বিস্কুট প্রতিটি বাড়িতে, স্কুলে, চায়ের দোকানে, বড় বড় রেস্তোরাঁয় এমনকি হোটেলেও পাওয়া যায়। তবে Parle-G-র সাম্রাজ্যে এখন দুরন্তভাবে কব্জা করে নিয়েছে আরও একটি কোম্পানির বিস্কুট৷ যার মালিকের আবার সম্পর্ক কলকাতার সঙ্গে৷ পার্লে জিকে একচেটিয়া বাজারে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে প্রিয়া গোল্ড বিস্কুট৷
: ভারতীয় বিস্কুটের বাজারে পার্লে-জি-র একচ্ছত্রাধিপত্য তা নিয়ে কারো মনে কোনও সংশয় নেই৷  এটি এমন একটি বিস্কুট প্রতিটি বাড়িতে, স্কুলে, চায়ের দোকানে, বড় বড় রেস্তোরাঁয় এমনকি হোটেলেও পাওয়া যায়। তবে Parle-G-র সাম্রাজ্যে এখন দুরন্তভাবে কব্জা করে নিয়েছে আরও একটি কোম্পানির বিস্কুট৷ যার মালিকের আবার সম্পর্ক কলকাতার সঙ্গে৷ পার্লে জিকে একচেটিয়া বাজারে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে প্রিয়া গোল্ড বিস্কুট৷
বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল মাড়োয়ারি পরিবার থেকে এসেছেন। তাঁর রক্তে ছিল ব্যবসা। তাঁর পৈতৃক ব্যবসা কলকাতায় তেলের ব্যবসা৷ কিন্তু বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল সেই ব্যবসা ভাল লাগত না। তিনি ভেবেছিলেন এমন কিছু করবেন যা অন্যরকম, আর তিনি করলেন এবং ভারতের বাজারে  নতুন বিস্কুট ব্র্যান্ড পেল  তা হল প্রিয়াগোল্ড। জেনে নিন ভিপি আগরওয়াল ও তাঁর ড্রিম প্রজেক্ট  প্রিয়গোল্ড বিস্কুট।
বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল মাড়োয়ারি পরিবার থেকে এসেছেন। তাঁর রক্তে ছিল ব্যবসা। তাঁর পৈতৃক ব্যবসা কলকাতায় তেলের ব্যবসা৷ কিন্তু বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল সেই ব্যবসা ভাল লাগত না। তিনি ভেবেছিলেন এমন কিছু করবেন যা অন্যরকম, আর তিনি করলেন এবং ভারতের বাজারে  নতুন বিস্কুট ব্র্যান্ড পেল  তা হল প্রিয়াগোল্ড। জেনে নিন ভিপি আগরওয়াল ও তাঁর ড্রিম প্রজেক্ট  প্রিয়গোল্ড বিস্কুট।
ভিপি আগরওয়ালের পরিবার নারকেল তেলের ব্যবসা করত। এটি ১৯৬৭ সালে, যখন বল্লভ প্রথমবার একই তেল দিয়ে একটি বিস্কুট তৈরি করেছিলেন। সেই বিস্কুটের নাম ছিল ‘প্রিয়া’।  বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল এমন একটি কাজ করলেন যাতে  তাঁর পরিবার এবং বন্ধুরা অবাক হয়ে যেতেন৷
ভিপি আগরওয়ালের পরিবার নারকেল তেলের ব্যবসা করত। এটি ১৯৬৭ সালে, যখন বল্লভ প্রথমবার একই তেল দিয়ে একটি বিস্কুট তৈরি করেছিলেন। সেই বিস্কুটের নাম ছিল ‘প্রিয়া’।  বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল এমন একটি কাজ করলেন যাতে  তাঁর পরিবার এবং বন্ধুরা অবাক হয়ে যেতেন৷
তাঁর পরিবার চেয়েছিল  তিনিও পরিবারের ব্যবসা করুন,  কিন্তু বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল বিস্কুটের ব্যবসাকে তাঁর প্রধান কাজ করে তোলে। তারা দিল্লি বা নয়ডায় (উত্তরপ্রদেশ) স্থানান্তরিত হয়েছে। ব্যবসা চালাতে টাকার প্রয়োজন ছিল। তিনি ব্যাঙ্ক থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ঋণ নেন।  এরপর  জায়গা এবং টাকাও ছিল। বল্লভ প্রসাদ ভেবেছিলেন এমন একটি বিস্কুট বানাবেন করেছিলেন যা ছিল সোনার মতো খাঁটি এবং স্বাদে বেশ ভিন্ন এবং ভালো।
তাঁর পরিবার চেয়েছিল  তিনিও পরিবারের ব্যবসা করুন,  কিন্তু বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল বিস্কুটের ব্যবসাকে তাঁর প্রধান কাজ করে তোলে। তারা দিল্লি বা নয়ডায় (উত্তরপ্রদেশ) স্থানান্তরিত হয়েছে। ব্যবসা চালাতে টাকার প্রয়োজন ছিল। তিনি ব্যাঙ্ক থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ঋণ নেন।  এরপর  জায়গা এবং টাকাও ছিল। বল্লভ প্রসাদ ভেবেছিলেন এমন একটি বিস্কুট বানাবেন করেছিলেন যা ছিল সোনার মতো খাঁটি এবং স্বাদে বেশ ভিন্ন এবং ভালো।
১৯৯৪ সালে, তিনি তার কোম্পানির নাম দেন সূর্য ফুডস,  কোম্পানির বিস্কুটের নাম রাখা হয় প্রিয়গোল্ড। তারা চেয়েছিলেন খুব ভাল মানের বিস্কুট কম দামে বিক্রি হোক। এর কিছুক্ষণ পরে, বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল প্রিয়াগোল্ড বাটার বাইট বিস্কুট তৈরি শুরু হোক। এই বিস্কুটের ট্যাগলাইন ছিল- ‘হক সে মাগো’- অর্থাৎ অধিকার চাও৷  এরপর থেকে বিস্কুটের পাশাপাশি এই ট্যাগলাইনটিও মানুষের মুখে মুখে।
১৯৯৪ সালে, তিনি তার কোম্পানির নাম দেন সূর্য ফুডস,  কোম্পানির বিস্কুটের নাম রাখা হয় প্রিয়গোল্ড। তারা চেয়েছিলেন খুব ভাল মানের বিস্কুট কম দামে বিক্রি হোক। এর কিছুক্ষণ পরে, বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল প্রিয়াগোল্ড বাটার বাইট বিস্কুট তৈরি শুরু হোক। এই বিস্কুটের ট্যাগলাইন ছিল- ‘হক সে মাগো’- অর্থাৎ অধিকার চাও৷  এরপর থেকে বিস্কুটের পাশাপাশি এই ট্যাগলাইনটিও মানুষের মুখে মুখে।
বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল ব্যবসা বড় করার আরও একটি স্ট্র্যাটেজি যা দারুণভাবে কাজ করে সেটি হল এর বিজ্ঞাপনকে দারুণ শক্তিশালী করেন তিনি৷ তিনি বুঝেছিলেন গুণমান ভাল, স্বাদের অভাব না থাকা সত্ত্বেও  তাঁর বিস্কুট লড়াইতে পিছিয়ে পড়ছে৷ এরপর তিনি অভিনেত্রী প্রিয়া তেন্ডুলকরকে দিয়ে বিজ্ঞাপন করান।
বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল ব্যবসা বড় করার আরও একটি স্ট্র্যাটেজি যা দারুণভাবে কাজ করে সেটি হল এর বিজ্ঞাপনকে দারুণ শক্তিশালী করেন তিনি৷ তিনি বুঝেছিলেন গুণমান ভাল, স্বাদের অভাব না থাকা সত্ত্বেও  তাঁর বিস্কুট লড়াইতে পিছিয়ে পড়ছে৷ এরপর তিনি অভিনেত্রী প্রিয়া তেন্ডুলকরকে দিয়ে বিজ্ঞাপন করান।
প্রিয়া বিজ্ঞাপন জগতে এক প্রভাবশালী মুখ৷ জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক  একজন গৃহিণী রজনীর ভূমিকায় অভিনয় করার পরই তাঁর খ্যাতি হয়৷ এরপর তিনি বিজ্ঞাপন দুনিয়ার জনপ্রিয় মুখও হয়ে ওঠেন৷ প্রিয়ার বিস্কুটের বিজ্ঞাপনে তাঁর কাজ ফের এই বিস্কুটকেও বিপনণের বাজারে বড় ধাক্কা দেয়৷
প্রিয়া বিজ্ঞাপন জগতে এক প্রভাবশালী মুখ৷ জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক  একজন গৃহিণী রজনীর ভূমিকায় অভিনয় করার পরই তাঁর খ্যাতি হয়৷ এরপর তিনি বিজ্ঞাপন দুনিয়ার জনপ্রিয় মুখও হয়ে ওঠেন৷ প্রিয়ার বিস্কুটের বিজ্ঞাপনে তাঁর কাজ ফের এই বিস্কুটকেও বিপনণের বাজারে বড় ধাক্কা দেয়৷
৫৫ বছর ধরে প্রতিষ্ঠিত পার্লে-জি সাম্রাজ্যকে নাড়া দিতে চেয়েছিলেন।  বর্তমানে প্রিয়াগোল্ড একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড যার মূল্য ৩০০০ কোটি টাকা।
৫৫ বছর ধরে প্রতিষ্ঠিত পার্লে-জি সাম্রাজ্যকে নাড়া দিতে চেয়েছিলেন।  বর্তমানে প্রিয়াগোল্ড একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড যার মূল্য ৩০০০ কোটি টাকা।
শুধু বিজ্ঞাপনই নয়, বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি প্রিয়াগোল্ড বাটার বাইট, সিএনসি এবং জিগ-জ্যাগ সল্টির বিক্রিও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০০৮ সাল নাগাদ, সূর্য ফুডস-এর বিক্রি ৪০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল। এতে ৯০ শতাংশ রাজস্ব আসত প্রিয়গোল্ড বিস্কুট বিক্রি থেকে। প্রিয়াগোল্ড বিস্কুট, যা ১২ শতাংশ মার্কেট শেয়ার অর্জন করেছিল, ব্রিটানিয়া, পার্লে জি এবং  আইটিসিকে লড়াইতে ফেলে দিয়েছিল৷
শুধু বিজ্ঞাপনই নয়, বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি প্রিয়াগোল্ড বাটার বাইট, সিএনসি এবং জিগ-জ্যাগ সল্টির বিক্রিও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০০৮ সাল নাগাদ, সূর্য ফুডস-এর বিক্রি ৪০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল। এতে ৯০ শতাংশ রাজস্ব আসত প্রিয়গোল্ড বিস্কুট বিক্রি থেকে। প্রিয়াগোল্ড বিস্কুট, যা ১২ শতাংশ মার্কেট শেয়ার অর্জন করেছিল, ব্রিটানিয়া, পার্লে জি এবং  আইটিসিকে লড়াইতে ফেলে দিয়েছিল৷
২০২৩ সালে ৩০০০ কোটি টাকার বিক্রয়সূর্য ফুডস অল্প সময়ের মধ্যে স্ন্যাকার চকো ওয়েফার্স চালু করেছে। এটি দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত পণ্য - ডিউককে উৎসাহিত করার জন্য ছিল। বল্লভ আগরওয়াল গোয়ালিয়রে তার পঞ্চম প্ল্যান্ট স্থাপন করেন। এই কোম্পানিটি ১০০০ কোটি টাকার ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। তিনি এখনও বলিউড হিরোইনদের দিয়ে তাঁর বিজ্ঞাপন করার ধারা জারি রেখেছেন৷
২০২৩ সালে ৩০০০ কোটি টাকার বিক্রয়
সূর্য ফুডস অল্প সময়ের মধ্যে স্ন্যাকার চকো ওয়েফার্স চালু করেছে। এটি দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত পণ্য – ডিউককে উৎসাহিত করার জন্য ছিল। বল্লভ আগরওয়াল গোয়ালিয়রে তার পঞ্চম প্ল্যান্ট স্থাপন করেন। এই কোম্পানিটি ১০০০ কোটি টাকার ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। তিনি এখনও বলিউড হিরোইনদের দিয়ে তাঁর বিজ্ঞাপন করার ধারা জারি রেখেছেন৷