পাঁচমিশালি Knowledge Story: কেউ গান্ধি-ঘনিষ্ঠ, কেউ রাজপরিবারের সদস্য; আশ্চর্য এই জায়গা কোথায় বলুন তো! এখানেই জন্ম তাবড় রাজনীতিকদের Gallery May 27, 2024 Bangla Digital Desk প্রতিবেশী রাজ্য বিহারের জামুই জেলা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ। আর এখানকার ভৌগোলিক সৌন্দর্যের কথাও আলাদা করে বলে দিতে হয় না। তবে শুধু সাংস্কৃতিক এবং ভৌগোলিক নয়, জামুইয়ের রাজনৈতিক ইতিহাসও বেশ সমৃদ্ধ। আসলে জামুই জেলার অনেক পুরনো ইতিহাস রয়েছে। ব্রিটিশ আমলের আগেও এখানকার সমৃদ্ধি ঠিক আজকের মতোই ছিল। কিন্তু ভারতে গণতন্ত্রের সূচনার পরে এই জেলাটি যেন আরও সমৃদ্ধ হয়েছে এবং নিজের ছাপ চারপাশে ছড়িয়ে দিতে পেরেছে। আসলে গণতন্ত্রের সূচনার পর থেকে এখানে এমন অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব হয়েছে, যাঁরা স্বতন্ত্র ভাবে নিজেদের পরিচয় তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। এই জেলা থেকে আসা বড় নেতা ও রাজনীতিবিদদের অনেকেই কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এমনকী তাঁদের মধ্যে আবার একজনের রাজপরিবারের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল। আজ জামুই জেলার সেই সব বড় মাপের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের কথাই শুনে নেওয়া যাক। জামুই জেলা থেকে আসা বড় রাজনীতিবিদদের মধ্যে সবার প্রথমেই আসবে দিগ্বিজয় সিংয়ের নাম। তিনি আবার দাদা নামেও পরিচিত ছিলেন। এক সময় অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পদের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। আবার দিগ্বিজয় সিং রাজপরিবারেরও সদস্য ছিলেন। তাঁকে রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সভাপতিও করা হয়েছিল। ক্ষমতায় থাকাকালীন জনগণের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। এরপরেই যাঁর নাম আসে, তিনি হলেন বিহার বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার ড. ত্রিপুরারি সিং। ১৯৭৭ সালে বিহার বিধানসভার স্পিকারের পদে আসীন হয়েছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি ১৯৬৭ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত চার বার জামুইয়ের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ১৯৭১ সালে কর্পুরী ঠাকুরের মন্ত্রিসভাতেও ছিলেন ত্রিপুরারি। এরপর জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতির পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীনই ১৯৮৮ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। জামুই থেকে আসা রাজনৈতিক নক্ষত্রদের মধ্যে অন্যতম হলেন চন্দ্রশেখর সিং। যিনি ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বিহারের ষোড়শ-তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এমনকী চন্দ্রশেখর সিং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। মাত্র ২৪ বছর ৮ মাস বয়সে চন্দ্রশেখর সিং প্রথম বারের জন্য নির্বাচনে বিজয়ী হন এবং সত্তরের দশকেই মন্ত্রী পদ লাভ করেন। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রকে অপসারণের পর ১৯৮৩ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন চন্দ্রশেখর সিং।