গাড়ির তলায় ২ পথচারীকে পিষে দিল নাবালক

Accident: ভোররাতে ভয়ঙ্কর কাণ্ড! চারিদিকে রক্ত! গাড়ির তলায় ২ পথচারীকে পিষে দিল নাবালক, গ্রেফতার অভিযুক্তের বাবা

পুণে: মদ্যপ অবস্থায় বিলাসবহুল পোর্শে চালিয়ে যাওয়ার সময় দুই ব্যক্তিকে গাড়ির তলায় পিষে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ১৭ বছর বয়সী কিশোরের বিরুদ্ধে। রবিবার পুণের কল্যাণী নগর এলাকায় এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। ঘাতক গাড়িটির চালকের আসনে থাকা কিশোরের বাবার বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হতেই তিনি ফেরার হয়ে যান। তবে এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন যে, মহারাষ্ট্রের সামভাজিনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই অভিযুক্তকে। খুব শীঘ্রই তাঁকে পুণেতে আনা হবে।

সোমবার পুলিশ দাবি করেছে, ১৭ বছর বয়সী ওই নাবালক একজন রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের পুত্র। দুর্ঘটনা ঘটানোর সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিল সে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং মোটর ভেহিকেলস আইনের ৩০৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে। পুণে পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার বলেন যে, পুলিশ এই বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ (অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ড) ধারায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, আমরা অভিযুক্তের বাবার বিরুদ্ধে জ্যুভেনাইল জাস্টিস আইনের আওতায় ৭৫ (শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার জন্য শাস্তি) এবং ৭৭ (কোনও এক শিশুকে মাদক অথবা নার্কোটিক ড্রাগ অথবা সাইকোট্রপিক সামগ্রী দেওয়ার জন্য শাস্তি) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

আরও পড়ুন-চরম আর্থিক অনটন! দিনে মাত্র ৫০ টাকা আয়, খরচ বাঁচাতে যা করতেন নায়িকা…! বিখ্যাত পরিচালকের মেয়ের রোজগার শুনলে আঁতকে উঠবেন

রবিবার ভোর ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ একদল বন্ধু পার্টি করে মোটরবাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় কল্যাণী নগর জংশনের কাছে বেপরোয়া ভাবে দ্রুত গতিতে ছুটে আসা একটি বিলাসবহুল গাড়ি ধাক্কা মারে মোটরবাইক আরোহীদের। আর ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দুই বাইক আরোহী আনিস অওয়াধিয়া এবং অশ্বিনী কোস্টা।মৃত অশ্বিনী কোস্টা মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের বাসিন্দা। ফলে অশ্বিনীর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁর বাসভবনেই। বছর পঁচিশের ওই তরুণীর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে যে, বিচার পাওয়ার জন্য তারা যে কোনও লড়াই লড়তে প্রস্তুত।

আরও পড়ুন-বঙ্গোপসাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণাবর্ত…! ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল আশঙ্কা! টানা ৩ দিন ভারী বৃষ্টি-ঝড়-বজ্রপাতে ফালাফালা উত্তর ভারত, কী হবে বাংলায়?

অশ্বিনীর এক আত্মীয় বলেন, অভিযুক্ত ১৫ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেয়ে যাবে, “এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তার এবং তার মা-বাবার বিরুদ্ধে তদন্ত হোক। অশ্বিনীর শেষকৃত্য হয়ে গেলে বিষয়টা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারব। আর আমরা চাই যাতে ওর জামিন নামঞ্জুর হয়ে যায়। ওর পুলিশ হেফাজতে থাকা উচিত। ওই নাবালকের কারণে একজন নির্দোষ নিরীহ মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।” পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অশ্বিনী গত ২ বছর ধরে পুণেতে থাকছিলেন। গত বছর চাকরি পরিবর্তন করে তিনি জনসন কন্ট্রোলস কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিলেন। অশ্বিনীর বাবা সুরেশ কুমার কোস্টা মহারাষ্ট্রের ইলেকট্রিসিটি বিভাগের অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট। অশ্বিনীর এক ভাই সম্প্রীত কোস্টাও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি বেঙ্গালুরুতে থাকেন।