পাঁচমিশালি মাত্র ৬৬৫ টাকা হাতে নিয়েই কোটি কোটি টাকার ব্যবসার সূচনা! এক গুরুতর অভিযোগে ধূলিসাৎ সেই রাজ্যপাট; ছবির গল্পকেও হার মানাবে এই ধনকুবেরের কাহিনি Gallery May 25, 2024 Bangla Digital Desk দারিদ্র্য আর অভাব-অনটনের মধ্যে দিয়ে জীবন কাটিয়েও অনেকেই বিপুল ধনী হয়ে ওঠেন। এই ধরনের গল্পগুলো বেশ রূপকথার মতোই। আবার এর উল্টোটাও দেখা যায়। অর্থাৎ ধনবান থেকে একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার নমুনাও রয়েছে ভূরি ভূরি। আবার কর্পোরেট দুনিয়ায় ভবগুথু রঘুরাম শেঠি ওরফে বিআর শেঠির গল্পটা এখানেই আলাদা। কারণ দরিদ্র থেকে তিনি ধনবান হয়েছেন, আবার এক সময় নিঃস্বও হয়ে গিয়েছেন। আসলে হাতে মাত্র ৬৬৫ টাকা নিয়ে ভারত থেকে গালফে পাড়ি দিয়েছিলেন বিআর শেঠি। সেখানেই নিজের ভাগ্য উজ্জ্বল করেন তিনি।আর ১৮,০০০ কোটি টাকার বিপুল সম্পত্তির মালিকও হয়ে ওঠেন। আসলে বিআর শেঠির ব্যবসা এনএমসি হেলথ রীতিমতো ফুলেফেঁপে ওঠে। এমনকী, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে তাঁর সংস্থাই হয়ে ওঠে বেসরকারি মালিকানাধীন হেলথ অপারেটর। তবে নিজের সম্পত্তি প্রদর্শন করতে পছন্দ করতেন তিনি। বলা ভাল, রাজার হালে রাজকীয় ভাবে জীবনযাপন করতেন। তাঁর একটি ব্যক্তিগত বিমানও ছিল, এমনকী তাঁর সংগ্রহে থাকা বিলাসবহুল গাড়িও ছিল দেখবার মতো। এখানেই শেষ নয়, বিশ্ববিখ্যাত বুর্জ খলিফার দুটি গোটা ফ্লোরও ছিল বিআর শেঠির দখলে। যার মূল্য ছিল ২০৭ কোটি টাকা। Photo Courtesy: B.R Shetty Family এর পাশাপাশি দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এবং পাম জুমেরাতেও রয়েছে তাঁর রিয়েল এস্টেট সম্পত্তি। তবে এই গল্প আলাদাই মোড় নেয় ২০১৯ সাল নাগাদ। আসলে ওই সময় ব্রিটেনের বিনিয়োগ গবেষণা ফার্ম মাডি ওয়াটার্স-এর প্রধান কারসন ব্লক একটি ট্যুইট করে বিআর শেঠির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন। যা গোটা ব্যবসায়িক দুনিয়াকে রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছিল। ওই ফার্মের দাবি ছিল, বিআর শেঠি নিজের সংস্থার নগদ প্রবাহকে কম ঋণগ্রস্ত দেখানোর জন্য অতিরঞ্জিত করেছেন। এতে চাঞ্চল্য ছড়ায় এবং এই অভিযোগের জেরে এনএমসি হেলথের স্টক মূল্য তরতরিয়ে কমতে থাকে। ফলে তছনছ হয়ে যায় বিআর শেঠির বিশাল ব্যবসার সাম্রাজ্য। এখানেই শেষ নয়,গুরুতর এই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে একটি তদন্ত চালানো হয়েছিল। তিনি যে কর মেটাননি, তা তাঁর থেকে পুনরুদ্ধার করে সরকার। শেয়ারের দর পতনের ফলে মার্কেট ক্যাপও পড়তে শুরু করে। যার জেরে নিজের ১২,৪৭৮ কোটি টাকার ব্যবসা মাত্র ৭৪ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন বিআর শেঠি। ফলে তাঁর এই বিশাল রাজ্যপাট ভেঙে পড়ে। আর এই ঘটনা আরও একবার মনে করিয়ে দেয় যে, ব্যবসার গতিশীল দুনিয়ায় সব কিছু চোখের নিমেষে বদলে যেতে পারে।