Tag Archives: Businessman

Successful Entrepreneur: রাজমিস্ত্রি থেকে সফল উদ্যোগপতি, সুন্দরবনের যুবকের পাল্টে যাওয়া জীবনের গল্প

উত্তর ২৪ পরগনা: এক সময় রাজমিস্ত্রির কাজ করে কোন‌ওরকমে জীবন যাপন করতেন। কিন্তু বর্তমানে সেই যুবকই হয়ে উঠেছেন সুন্দরবনের একজন সফল উদ্যোক্তা। জীবন রূপান্তরের এই কাহিনী সুন্দরবনের লিটন মিস্ত্রির।

এক সময় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন লিটন। কিন্তু বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গাছের চারা বিক্রি করে একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন এই যুবক। সবুজ গ্রামের গলি পথ দিয়ে গেলে হঠাৎ করেই নজর কাড়ে একটি ফলবাগান, সেখানেও সবুজের সমারোহ। কয়েক বছর আগে প্রায় ১০ কাটা জমিতে এই বাগান গড়ে তোলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন এলাকার পাটলিখানপুরের লিটন মিস্ত্রি। এখানে দেশি-বিদেশি ও বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন প্রজাতির ফলগাছের চারার পাশাপাশি ২৫ থেকে ৩০ ধরনের ফলের চাষ হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বন্ধ সরকারি স্কুল ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘দখলে’! দিব্যি চলছে সংসার

লিটন মিস্ত্রির বাগানে ফলের মধ্যে রয়েছে মাল্টা, কমলা, পেয়ারা, ড্রাগন, আঙুর, পেঁপে, খেজুর, আগর, মালভেরি, আম ও লেবু। তবে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় মাল্টার। বর্তমানে লিটন মিস্ত্রির বাগানে উৎপাদিত হচ্ছে রাসায়নিকমুক্ত নিরাপদ ফল। পাশাপাশি দেখা মিলছে বিদেশি প্রজাতির আমের গাছ। পৃথিবী বিখ্যাত মিয়াজাকি, চিয়াংমাই, চাকাপাত, ব্ল্যাক স্টোন, রেড পালমার সহ বাহারি জাতের বিদেশি আমের সমাহার এই বাগানে।

উদ্যোক্তা লিটন এক সময় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। কিন্তু নতুন নতুন প্রাজতির গাছের প্রতি তাঁর ছিল বিশেষ আগ্রহ। এভাবেই একটি-দুটি গাছ সংরক্ষণ করতে করতে নিজে বাড়িতেই তৈরি করে ফেলেছেন আস্ত নার্সারি। যেখানে একটি দুটি করে আজ কয়েক হাজার গাছে ভরে উঠেছে বাগান। তাঁর এ সাফল্য দেখে বিদেশি জাতের ফলের বাগান করতে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই। সেই গাছ থেকে কলম করে তিনি বিক্রিও শুরু করেছেন। পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে গাছের চারা ভিন রাজ্যেও বিক্রি করছেন এই যুব উদ্যোগপতি।

জুলফিকার মোল্যা

মাত্র ৬৬৫ টাকা হাতে নিয়েই কোটি কোটি টাকার ব্যবসার সূচনা! এক গুরুতর অভিযোগে ধূলিসাৎ সেই রাজ্যপাট; ছবির গল্পকেও হার মানাবে এই ধনকুবেরের কাহিনি

দারিদ্র্য আর অভাব-অনটনের মধ্যে দিয়ে জীবন কাটিয়েও অনেকেই বিপুল ধনী হয়ে ওঠেন। এই ধরনের গল্পগুলো বেশ রূপকথার মতোই। আবার এর উল্টোটাও দেখা যায়। অর্থাৎ ধনবান থেকে একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার নমুনাও রয়েছে ভূরি ভূরি। আবার কর্পোরেট দুনিয়ায় ভবগুথু রঘুরাম শেঠি ওরফে বিআর শেঠির গল্পটা এখানেই আলাদা।
দারিদ্র্য আর অভাব-অনটনের মধ্যে দিয়ে জীবন কাটিয়েও অনেকেই বিপুল ধনী হয়ে ওঠেন। এই ধরনের গল্পগুলো বেশ রূপকথার মতোই। আবার এর উল্টোটাও দেখা যায়। অর্থাৎ ধনবান থেকে একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার নমুনাও রয়েছে ভূরি ভূরি। আবার কর্পোরেট দুনিয়ায় ভবগুথু রঘুরাম শেঠি ওরফে বিআর শেঠির গল্পটা এখানেই আলাদা।
কারণ দরিদ্র থেকে তিনি ধনবান হয়েছেন, আবার এক সময় নিঃস্বও হয়ে গিয়েছেন। আসলে হাতে মাত্র ৬৬৫ টাকা নিয়ে ভারত থেকে গালফে পাড়ি দিয়েছিলেন বিআর শেঠি। সেখানেই নিজের ভাগ্য উজ্জ্বল করেন তিনি। আর ১৮,০০০ কোটি টাকার বিপুল সম্পত্তির মালিকও হয়ে ওঠেন। আসলে বিআর শেঠির ব্যবসা এনএমসি হেলথ রীতিমতো ফুলেফেঁপে ওঠে।
কারণ দরিদ্র থেকে তিনি ধনবান হয়েছেন, আবার এক সময় নিঃস্বও হয়ে গিয়েছেন। আসলে হাতে মাত্র ৬৬৫ টাকা নিয়ে ভারত থেকে গালফে পাড়ি দিয়েছিলেন বিআর শেঠি। সেখানেই নিজের ভাগ্য উজ্জ্বল করেন তিনি।
আর ১৮,০০০ কোটি টাকার বিপুল সম্পত্তির মালিকও হয়ে ওঠেন। আসলে বিআর শেঠির ব্যবসা এনএমসি হেলথ রীতিমতো ফুলেফেঁপে ওঠে।
এমনকী, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে তাঁর সংস্থাই হয়ে ওঠে বেসরকারি মালিকানাধীন হেলথ অপারেটর। তবে নিজের সম্পত্তি প্রদর্শন করতে পছন্দ করতেন তিনি। বলা ভাল, রাজার হালে রাজকীয় ভাবে জীবনযাপন করতেন। তাঁর একটি ব্যক্তিগত বিমানও ছিল, এমনকী তাঁর সংগ্রহে থাকা বিলাসবহুল গাড়িও ছিল দেখবার মতো। এখানেই শেষ নয়, বিশ্ববিখ্যাত বুর্জ খলিফার দুটি গোটা ফ্লোরও ছিল বিআর শেঠির দখলে। যার মূল্য ছিল ২০৭ কোটি টাকা। Photo Courtesy: B.R Shetty Family
এমনকী, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে তাঁর সংস্থাই হয়ে ওঠে বেসরকারি মালিকানাধীন হেলথ অপারেটর। তবে নিজের সম্পত্তি প্রদর্শন করতে পছন্দ করতেন তিনি। বলা ভাল, রাজার হালে রাজকীয় ভাবে জীবনযাপন করতেন। তাঁর একটি ব্যক্তিগত বিমানও ছিল, এমনকী তাঁর সংগ্রহে থাকা বিলাসবহুল গাড়িও ছিল দেখবার মতো। এখানেই শেষ নয়, বিশ্ববিখ্যাত বুর্জ খলিফার দুটি গোটা ফ্লোরও ছিল বিআর শেঠির দখলে। যার মূল্য ছিল ২০৭ কোটি টাকা। Photo Courtesy: B.R Shetty Family
এর পাশাপাশি দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এবং পাম জুমেরাতেও রয়েছে তাঁর রিয়েল এস্টেট সম্পত্তি। তবে এই গল্প আলাদাই মোড় নেয় ২০১৯ সাল নাগাদ। আসলে ওই সময় ব্রিটেনের বিনিয়োগ গবেষণা ফার্ম মাডি ওয়াটার্স-এর প্রধান কারসন ব্লক একটি ট্যুইট করে বিআর শেঠির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন। যা গোটা ব্যবসায়িক দুনিয়াকে রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছিল।
এর পাশাপাশি দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এবং পাম জুমেরাতেও রয়েছে তাঁর রিয়েল এস্টেট সম্পত্তি। তবে এই গল্প আলাদাই মোড় নেয় ২০১৯ সাল নাগাদ। আসলে ওই সময় ব্রিটেনের বিনিয়োগ গবেষণা ফার্ম মাডি ওয়াটার্স-এর প্রধান কারসন ব্লক একটি ট্যুইট করে বিআর শেঠির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন। যা গোটা ব্যবসায়িক দুনিয়াকে রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছিল।
ওই ফার্মের দাবি ছিল, বিআর শেঠি নিজের সংস্থার নগদ প্রবাহকে কম ঋণগ্রস্ত দেখানোর জন্য অতিরঞ্জিত করেছেন। এতে চাঞ্চল্য ছড়ায় এবং এই অভিযোগের জেরে এনএমসি হেলথের স্টক মূল্য তরতরিয়ে কমতে থাকে। ফলে তছনছ হয়ে যায় বিআর শেঠির বিশাল ব্যবসার সাম্রাজ্য।
ওই ফার্মের দাবি ছিল, বিআর শেঠি নিজের সংস্থার নগদ প্রবাহকে কম ঋণগ্রস্ত দেখানোর জন্য অতিরঞ্জিত করেছেন। এতে চাঞ্চল্য ছড়ায় এবং এই অভিযোগের জেরে এনএমসি হেলথের স্টক মূল্য তরতরিয়ে কমতে থাকে। ফলে তছনছ হয়ে যায় বিআর শেঠির বিশাল ব্যবসার সাম্রাজ্য।
এখানেই শেষ নয়,গুরুতর এই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে একটি তদন্ত চালানো হয়েছিল। তিনি যে কর মেটাননি, তা তাঁর থেকে পুনরুদ্ধার করে সরকার। শেয়ারের দর পতনের ফলে মার্কেট ক্যাপও পড়তে শুরু করে। যার জেরে নিজের ১২,৪৭৮ কোটি টাকার ব্যবসা মাত্র ৭৪ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন বিআর শেঠি। ফলে তাঁর এই বিশাল রাজ্যপাট ভেঙে পড়ে। আর এই ঘটনা আরও একবার মনে করিয়ে দেয় যে, ব্যবসার গতিশীল দুনিয়ায় সব কিছু চোখের নিমেষে বদলে যেতে পারে।
এখানেই শেষ নয়,গুরুতর এই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে একটি তদন্ত চালানো হয়েছিল। তিনি যে কর মেটাননি, তা তাঁর থেকে পুনরুদ্ধার করে সরকার। শেয়ারের দর পতনের ফলে মার্কেট ক্যাপও পড়তে শুরু করে। যার জেরে নিজের ১২,৪৭৮ কোটি টাকার ব্যবসা মাত্র ৭৪ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন বিআর শেঠি। ফলে তাঁর এই বিশাল রাজ্যপাট ভেঙে পড়ে। আর এই ঘটনা আরও একবার মনে করিয়ে দেয় যে, ব্যবসার গতিশীল দুনিয়ায় সব কিছু চোখের নিমেষে বদলে যেতে পারে।

Malda News: মালদহে এসেই বিরাট অঘটন! একটুর জন্য প্রাণে বাঁচলেন উত্তর প্রদেশের ব্যবসায়ী, তারপর যা হল…

মালদহ:  উত্তরপ্রদেশের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে আটকে রাখার অভিযোগ মালদহে। হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা। পুলিশি অভিযানে উদ্ধার ব্যবসায়ী। অপহরণের অভিযোগে আটক দুই দুষ্কৃতী। পুরাতন মালদহের মহিষবাথানী এলাকার ঘটনা। আমের ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেন নিয়ে বিবাদে অপহরণ বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

জানা গিয়েছে, অপহৃত ব্যবসায়ী শশীকান্ত পান্ডে উত্তরপ্রদেশের বালিয়া এলাকার বাসিন্দা। বুধবার আম ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে মালদহে আসেন তিনি। মালদহের পুখুরিয়া এলাকার কিছু ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমের লেনদেন নিয়ে তাঁর ব্যবসায়িক চুক্তির কথা ছিল। কিন্তু, এরই মধ্যে ব্যবসার পুরনো লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদের জেরে তাঁকে অপহরণ করে আটকে রাখা হয়।

আরও পড়ুন- চরম আর্থিক অনটন! দিনে মাত্র ৫০ টাকা আয়, খরচ বাঁচাতে যা করতেন নায়িকা…! বিখ্যাত পরিচালকের মেয়ের রোজগার শুনলে আঁতকে উঠবেন

অপর এক ব্যবসায়ী গোষ্ঠী তাঁকে অপহরণ করে। কোনওরকমে বিষয়টি পরিবারকে টেলিফোন করে জানান ওই ব্যবসায়ী। বিষয়টি পুলিশে জানায় ওই ব্যবসায়ীর পরিবার।এরপরে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। মালদহের ডিএসপির নেতৃত্বে বিশেষ দল গঠন করা হয়। এই দলে সামিল করা হয় মালদহ থানার আই সি , ইংরেজবাজার থানার আই সি এবং পুখুরিয়া থানার ওসি সহ বাছাই করা অফিসারদের। এরপর পুলিশ অপহৃত ব্যবসায়ীর মোবাইল ট্র্যাক করে অবস্থান জানার প্রক্রিয়া শুরু করে। অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে পুরাতন মালদহের মহিষবাথানি এলাকার একটি গোপন ডেরা থেকে উদ্ধার করা হয় উত্তরপ্রদেশের ওই ব্যবসায়ীকে। এই ঘটনায় দুইজনকে আটক করে আজ মালদা আদালতে তোলা হয়।

আরও পড়ুন- বঙ্গোপসাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণাবর্ত…! ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল আশঙ্কা! টানা ৩ দিন ভারী বৃষ্টি-ঝড়-বজ্রপাতে ফালাফালা উত্তর ভারত, কী হবে বাংলায়?

উদ্ধার হওয়া উত্তরপ্রদেশের ব্যবসায়ী শশীকান্ত পান্ডের দাবি, তাঁর কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করা হচ্ছিল। পুলিশ সময়মতো গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। ফলে কার্যত প্রাণে বেঁচেছেন তিনি।যদিও এই ঘটনায় আটক দুই দুষ্কৃতির দাবি, উত্তর প্রদেশের ব্যবসায়ীর কাছে গত বছরের আম ব্যবসা সংক্রান্ত টাকা পেতেন তারা। সেই টাকা আদায়ের জন্য আটক করা হয়েছিল। কিন্তু কোনওরকম অত্যাচার বা মুক্তিপণ চাওয়া হয়নি। অপহরণের অভিযোগে ভিত্তিহীন বলে দাবি তাদের। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই  ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ বা কারা যুক্ত রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Train Accident: মর্নিং ওয়ার্ক থেকে ফেরা হল না বাড়ি, ট্রেনের ধাক্কায় ব্যবসায়ীর মৃত্যু

জলপাইগুড়ি: অভ্যেসমত এদিন সকালেও শরীর চর্চা করতে বেরিয়েছিলেন মিঠু নন্দী। পেশায় এই ব্যবসায়ী প্রতিদিন সকালে প্রাতঃভ্রমণে বের হতেন কিন্তু বুধবার সকালে শরীর চর্চা করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরা হল না। ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল তাঁর।

মর্মান্তিক ঘটনাটি জলপাইগুড়ির মাল ব্লকের। মর্নিং ওয়াক সেরে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় ব্যবসায়ী মিঠু নন্দীর। মাল ব্লকের ওদলাবাড়ি রেল সেতুর কাছে ট্রেনের ধাক্কায় লাইনের উপর ছিটকে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শরীর সুস্থ রাখতে রোজ সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরোতেন মিঠুবাবু। এদিনও তার অন্যথা হয়নি। এদিন মর্নিং ওয়াক সেরে বাড়ি ফেরার পথে ওদলাবাড়ি রেল সেতু সংলগ্ন এলাকায় রেললাইন পার হচ্ছিলেন। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: সন্ন্যাসী হওয়ার ইচ্ছেয় গেরুয়া বসনে বাড়ি ছাড়ল একাদশ শ্রেণির ছাত্র!

বিষয়টি নজরে আসতেই ছুটে আসেন স্থানীয়রা। রীতিমত মানুষের ভিড় জমে যায় দুর্ঘটনাস্থলে। খানিকক্ষণের জন্য সেখান দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিতে হয়। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে হাজির হয় মালবাজার পুলিশ, রেল পুলিশ এবং মৃতের বাড়ির লোকজন। মালবাজার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

সুরজিৎ দে

Income Tax: বনগাঁর নাম করা ব্যবসায়ী, হঠাৎ হানা ইনকাম ট্যাক্সের! যা মিলল, গোটা এলাকা আঁতকে উঠল

বনগাঁ: বনগাঁয় লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্যবসায়ীর ঘরে লক্ষ লক্ষ টাকার হাদিস। ওই টাকার উৎস জানতেই কেন্দ্রীয় সংস্থার আয়কর হানা সীমান্ত শহরে। গোপন সূত্রে খবর মেলে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে লক্ষাধিক টাকা নগদ রয়েছে। এরপরই, ওই বিপুল পরিমাণ টাকা কার! কোনো বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে গভীর রাতেই বনগাঁ বাটার মোড় সংলগ্ন ওই ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানে হানা দেয় কেন্দ্রীয় আয়কর বিভাগের তিন সদস্য। গভীর রাত থেকেই দফায় দফায় তল্লাশি ও জেরা চলে ওই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে।

জানা যায়, বনগাঁ থানার পুলিশের কাছে সূত্র মারফত খবর আসে, বনগাঁ বাটার মোড় সংলগ্ন কুমারেশ হালদার নামে ওই ব্যবসায়ীর ঘরে কয়েক লক্ষ টাকা নগদ মজুদ রয়েছে। এরপরেই বনগাঁ থানার পুলিশ ওই ব্যবসায়ীর ঘরে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে।

আরও পড়ুন: দলের ‘সব’ হারিয়ে আরও বিস্ফোরক কুণাল! নিশানায় প্রতীক জৈন! কে এই প্রতীক? তোলপাড় পড়ে গেল

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নির্বাচন কমিশনের কয়েক জন আধিকারিক। তাদের জেরায় ব্যবসায়ী কুমারেশ হালদার কোনরকম সঠিক উত্তর না দিতে পারলে, খবর দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় আয়কর বিভাগে।

বৃহস্পতিবার রাত তিনটে নাগাদ কেন্দ্রীয় আয়কর বিভাগের কর্মীরা ওই ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানে এসে টাকার উৎস জানতে জেরা শুরু করে। সূত্রের খবর, ওই ব্যবসায়ীর কাছে প্রায় ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকা হদিশ মিলেছে। এখন দেখার এই বিপুল পরিমাণ টাকা কি কারনে বাড়িতেই রাখলেন ওই ব্যবসায়ী। ভোটের সঙ্গে কোনরকম ভাবে এই টাকাযুক্ত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে তদন্তকারী সংস্থার তরফে।

—— Rudra Narayan Roy

Hawai Chappal: হাওয়াই চটি উপহার! ভোটের বাজারে ব্যবসায়ীর কাণ্ডে শোরগোল

নদিয়া: লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা করলেও মানবিক কারণে নজর স্বল্প আয়ের মানুষের পায়ের দিকে। আর তাই এই গরমের হাত থেকে অসহায়দের বাঁচাতে তাদের পায়ে পড়ার হাওয়াই চটি দান করলেন ব্যবসায়ী! বিষয়টি অভিনব শোনালেও যুক্তি দিয়ে বিচার করলে বেশ কার্যকরী সাহায্য বলেই মনে হবে আপনার।

অর্থ নয়, প্রচন্ড গরমে দরিদ্রদের হাওয়াই চটি প্রদান করলেন ব্যবসায়ী। প্রচন্ড এই কাঠফাটা রোদে গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ। তার মধ্য দিয়ে খালি পায়ে হেঁটে যাওয়া অসম্ভব। এসেই কথা মাথায় রেখেই নদিয়ার শান্তিপুরের এক প্রতিষ্ঠিত কাপড়ের ব্যবসায়ী দরিদ্রদের হাওয়াই চটি দান করেন।

আর‌ও পড়ুন: তীব্র গরমে বিধ্বস্ত ডুয়ার্সের চা শিল্প, ভবিষ্যৎ নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন

কাঁচের দরজার ভেতরে ২৫ ডিগ্রি টেম্পারেচার হলেও বাইরে ৪৭ ছুঁই ছুঁই। আর এই প্রখর রৌদ্রের মধ্যে ভিক্ষাবৃত্তির জন্যই হোক কিংবা ছোটখাটো বিভিন্ন জীবিকা নির্বাহ করতে পরিবারের মুখে দুবেলা দুটো ভাত তুলে দেওয়ার জন্য রাস্তায় বেরোনো ছাড়া উপায় নেই অনেকেরই। যাদের অনেকেরই পায়ে নেই চটি । হাত পেতেই হোক কিংবা কায়িক পরিশ্রম করে সারাদিনের সংগৃহীত ৫০ -১০০ টাকা দিয়ে কোনও মতে দু’বেলা দুটো খেয়ে বেঁচে থাকেন। তাই অনেকেরই ইচ্ছে থাকলেও পায়ের জুতো কিনতে পারেন না। ফলে এই গরমে সেই মানুষরা প্রচন্ড কষ্ট পান। তাঁদের কথা ভেবেই এগিয়ে আসেন শান্তিপুর গোভাগার মোড়ের প্রসিদ্ধ কাপড় ব্যবসায়ী সুভাষ দেবনাথ। চলতি বছর তিনি মোট ১৬ জন অসহায় মানুষকে হাওয়াই চটি উপহার দেন।

মৈনাক দেবনাথ