গরিব দেশ বললেই চোখের সামনেই কিছু ছবি ভেসে ওঠে। মাথার উপর ছাদ নেই, এক মুঠো ভাতের জন্যে হাহাকার, পানীয় জলের লম্বা লাইন, অপরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট। যেন নেই রাজ্য। শিশুদের পড়াশোনার জন্য স্কুল, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের মতো ন্যূনতম পরিষেবাও সেখানে বিলাসিতা।

Poorest Country: রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে অমানবিক যুদ্ধে সব শেষ, রইল বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র ১০ দেশের তালিকা

গরিব দেশ বললেই চোখের সামনেই কিছু ছবি ভেসে ওঠে। মাথার উপর ছাদ নেই, এক মুঠো ভাতের জন্যে হাহাকার, পানীয় জলের লম্বা লাইন, অপরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট। যেন নেই রাজ্য। শিশুদের পড়াশোনার জন্য স্কুল, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের মতো ন্যূনতম পরিষেবাও সেখানে বিলাসিতা।
গরিব দেশ বললেই চোখের সামনেই কিছু ছবি ভেসে ওঠে। মাথার উপর ছাদ নেই, এক মুঠো ভাতের জন্যে হাহাকার, পানীয় জলের লম্বা লাইন, অপরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট। যেন নেই রাজ্য। শিশুদের পড়াশোনার জন্য স্কুল, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের মতো ন্যূনতম পরিষেবাও সেখানে বিলাসিতা।
উপরের সবকটা উদাহরণই সত্যি। বিশ্বের অনেক দেশের বাস্তব ছবি। পরিংখ্যান বলছে, বিশ্বের ধনী দেশগুলির মাথাপিছু বার্ষিক গড় ক্রয়ক্ষমতা ১১০,০০০ ডলারের বেশি। সেখানে গরিব দেশগুলির মাথাপিছু ক্রয়ক্ষমতা ১৫০০ ডলারের কম। এখানে বিশ্বের সবচেয়ে গরিব ১০টি দেশের তালিকা দেওয়া হল।
উপরের সবকটা উদাহরণই সত্যি। বিশ্বের অনেক দেশের বাস্তব ছবি। পরিংখ্যান বলছে, বিশ্বের ধনী দেশগুলির মাথাপিছু বার্ষিক গড় ক্রয়ক্ষমতা ১১০,০০০ ডলারের বেশি। সেখানে গরিব দেশগুলির মাথাপিছু ক্রয়ক্ষমতা ১৫০০ ডলারের কম। এখানে বিশ্বের সবচেয়ে গরিব ১০টি দেশের তালিকা দেওয়া হল।
১০. ইয়েমেন: মাত্র ৩৫ মিলিয়ন জনসংখ্যা। সৌদি সমর্থিত সরকার এবং বিদ্রোহী হুথিদের মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে জর্জরিত সাধারণ মানুষ। যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন দেড় লাখ মানুষ। অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। ফলস্বরূপ, তেল সমৃদ্ধ এই ভূমিতে জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষই দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করেন।
১০. ইয়েমেন: মাত্র ৩৫ মিলিয়ন জনসংখ্যা। সৌদি সমর্থিত সরকার এবং বিদ্রোহী হুথিদের মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে জর্জরিত সাধারণ মানুষ। যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন দেড় লাখ মানুষ। অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। ফলস্বরূপ, তেল সমৃদ্ধ এই ভূমিতে জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষই দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করেন।
৯. ম্যাডাগাস্কার: ১৯৬০ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে ম্যাডাগাস্কার। তারপর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতা, হিংসাত্মক অভ্যুত্থান এবং বিতর্কিত নির্বাচনের সাক্ষী থেকেছে দেশ। মুদ্রাস্ফীতি ৮ শতাংশ। মাথাপিছু বার্ষিক আয় ১৯৭৯ ডলার।
৯. ম্যাডাগাস্কার: ১৯৬০ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে ম্যাডাগাস্কার। তারপর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতা, হিংসাত্মক অভ্যুত্থান এবং বিতর্কিত নির্বাচনের সাক্ষী থেকেছে দেশ। মুদ্রাস্ফীতি ৮ শতাংশ। মাথাপিছু বার্ষিক আয় ১৯৭৯ ডলার।
৮. লাইবেরিয়া: বিশ্বের দরিদ্রতম দেশের তালিকায় লাইবেরিয়া রয়েছে অষ্টম স্থানে। ২০১৮ সালে প্রাক্তন ফুটবল তারকা জর্জ ওয়েহ রাষ্ট্রপতি হন। দিনবদলের স্বপ্ন দেখেছিল এখানকার মানুষ। বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতি চরম সীমায় পৌঁছয়। মাথাপিছু বার্ষিক আয় ১৮৮২ ডলার।
৮. লাইবেরিয়া: বিশ্বের দরিদ্রতম দেশের তালিকায় লাইবেরিয়া রয়েছে অষ্টম স্থানে। ২০১৮ সালে প্রাক্তন ফুটবল তারকা জর্জ ওয়েহ রাষ্ট্রপতি হন। দিনবদলের স্বপ্ন দেখেছিল এখানকার মানুষ। বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতি চরম সীমায় পৌঁছয়। মাথাপিছু বার্ষিক আয় ১৮৮২ ডলার।
৭. মালাউই: আফ্রিকার ক্ষুদ্রতম দেশগুলির মধ্যে মালাউই অন্যতম। অর্থনৈতিক সঙ্কটে ধুঁকছে গোটা দেশ। খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং জ্বালানি ঘাটতির সাঁড়াশি আক্রমণে হাঁসফাঁস দশা। বিশ্বব্যাঙ্কের মতে, জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করছেন।
৭. মালাউই: আফ্রিকার ক্ষুদ্রতম দেশগুলির মধ্যে মালাউই অন্যতম। অর্থনৈতিক সঙ্কটে ধুঁকছে গোটা দেশ। খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং জ্বালানি ঘাটতির সাঁড়াশি আক্রমণে হাঁসফাঁস দশা। বিশ্বব্যাঙ্কের মতে, জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করছেন।
৬. নাইজার: নাইজারের ৮০ শতাংশ এলাকা ঘিরে রেখেছে সাহারা মরুভূমি। অধিকাংশ মানুষই কৃষির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু খাদ্যের নিশ্চয়তা নেই এই দেশে। মাথাপিছু বার্ষিক আয় ১৬৭৫ ডলার।
৬. নাইজার: নাইজারের ৮০ শতাংশ এলাকা ঘিরে রেখেছে সাহারা মরুভূমি। অধিকাংশ মানুষই কৃষির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু খাদ্যের নিশ্চয়তা নেই এই দেশে। মাথাপিছু বার্ষিক আয় ১৬৭৫ ডলার।
৫. মোজাম্বিক: একসময় মোজাম্বিকে পর্তুগিজ উপনিবেশ ছিল। খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ দেশ। গত এক দশকে গড় জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের বেশি হওয়ার পরেও মোজাম্বিক বিশ্বের দরিদ্র দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
৫. মোজাম্বিক: একসময় মোজাম্বিকে পর্তুগিজ উপনিবেশ ছিল। খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ দেশ। গত এক দশকে গড় জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের বেশি হওয়ার পরেও মোজাম্বিক বিশ্বের দরিদ্র দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
৪. ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ দ্য কঙ্গো: কঙ্গোর সাধারণ মানুষের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ১৫৭০ ডলার। জিডিপি-র দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ দরিদ্রতম দেশ। স্বৈরাচারী নেতৃত্ব, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং হিংসার কারণে কঙ্গোর পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।
৪. ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ দ্য কঙ্গো: কঙ্গোর সাধারণ মানুষের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ১৫৭০ ডলার। জিডিপি-র দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ দরিদ্রতম দেশ। স্বৈরাচারী নেতৃত্ব, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং হিংসার কারণে কঙ্গোর পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।
৩. সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক: সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক বিশ্বের তৃতীয় দরিদ্রতম দেশ। সোনা, তেল, ইউরেনিয়াম এবং হিরের মতো খনিজ মজুত থাকা সত্ত্বেও এই দেশের মানুষের জীবন বদলায়নি। মাথাপিছু বার্ষিক আয় ১১৪০ ডলার।
৩. সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক: সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক বিশ্বের তৃতীয় দরিদ্রতম দেশ। সোনা, তেল, ইউরেনিয়াম এবং হিরের মতো খনিজ মজুত থাকা সত্ত্বেও এই দেশের মানুষের জীবন বদলায়নি। মাথাপিছু বার্ষিক আয় ১১৪০ ডলার।
২. বুরুন্ডি: বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বুরুন্ডি। দীর্ঘদিন ধরে এখানে গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষই কৃষির উপর নির্ভরশীল। বুরুন্ডির জনগণের মাথাপিছু আয় ৯৩৬ ডলার।
২. বুরুন্ডি: বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বুরুন্ডি। দীর্ঘদিন ধরে এখানে গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষই কৃষির উপর নির্ভরশীল। বুরুন্ডির জনগণের মাথাপিছু আয় ৯৩৬ ডলার।
১. দক্ষিণ সুদান: আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ সুদান বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ। ১১ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্রের মধ্যে জীবন কাটান। জিডিপি-র দিক থেকেও সবার পিছনে। বার্ষিক মাথাপিছু আয় ৪৯২ ডলার।
১. দক্ষিণ সুদান: আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ সুদান বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ। ১১ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্রের মধ্যে জীবন কাটান। জিডিপি-র দিক থেকেও সবার পিছনে। বার্ষিক মাথাপিছু আয় ৪৯২ ডলার।