এই শহর থেকে আচমকাই উধাও হয়ে যাচ্ছেন মানুষ! (Representative Image)

এই শহর থেকে আচমকাই উধাও হয়ে যাচ্ছেন মানুষ! এখনও পর্যন্ত থানায় জমা পড়েছে এক ডজনেরও বেশি অভিযোগ

Anoop Kumar Mishra

Airport News: আচমকাই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তেলঙ্গানায়। একের পর এক একই ধরনের গুরুতর অভিযোগে উত্তাল গোটা শহর। এহেন প্রায় ১৪টিরও বেশি অভিযোগ গত ২৩ দিনে দায়ের হয়েছে শহরের এক থানায়। কিন্তু কী সেই গুরুতর অভিযোগ? আসলে একাধিক ব্যক্তির পরিবারের সদস্য আচমকাই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। একজন দাবি করেছেন যে, তাঁর আত্মীয় বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন, অথচ তিনি সেখানে পৌঁছনইনি। আবার আর এক ব্যক্তির দাবি, তাঁর সন্তান বিমানবন্দরে পৌঁছেওছিলেন, অথচ নিজের গন্তব্য আর পৌঁছননি।

আর গড়ে প্রতি দেড় দিন অন্তর একটা করে এই নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে সাইবারাবাদ থানায়। গত ১৭ এপ্রিল থেকে গত ১০ মে পর্যন্ত সময়ে প্রায় ১৪ জনেরও বেশি মানুষের নিখোঁজ হওয়ার এফআইআর দায়ের হয়েছে।

আরও পড়ুন– রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে অমানবিক যুদ্ধে সব শেষ, রইল বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র ১০ দেশের তালিকা

বিমানবন্দরের নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত এক সিনিয়র আধিকারিকের বক্তব্য, সাইবারাবাদ থানায় কাট্টা অঞ্জানেয়ুলু রাও নামে এক ব্যক্তি নিজের ২৭ বছর বয়সী কন্যার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি জানান যে, গত ৪ মে রাত ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ তাঁর কন্যার মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল। ভোর ৫টা পর্যন্ত বাবা-মেয়ের কথাও হয়। এরপরে থেকেই তাঁর কন্যার ফোন স্যুইচ অফ হয়ে যায়। যদিও তাঁর কন্যা মালয়েশিয়া তো পৌঁছননি, এমনকী তাঁর বিষয়ে কোনও তথ্যও মেলেনি।

আবার ১৮ এপ্রিল নাগাদ একটি অভিযোগ জমা পড়ে সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ। তারকানাগা প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তি সাইবারাবাদ থানায় গিয়ে নিজের স্ত্রীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কথা জানান। তাঁর বক্তব্য, নিজের ২২ বছর বয়সী স্ত্রী ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন, এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিবাদও হয়। এরপরের দিন অফিস থেকে ফিরে তিনি দেখেন যে, প্রিয়া বাড়িতে নেই। অনেক চেষ্টার পরেও খোঁজ মেলেনি তাঁর।

আরও পড়ুন- বছরের পর বছর নষ্ট হবে না ঘরে মজুত করে রাখা গম, প্রয়োজন হবে না কোনও রাসায়নিকেরও; শুধু শস্যের বস্তায় মেশাতে হবে এই ছোট্ট জিনিসটি

এখানেই শেষ নয়, ১৯ এপ্রিলও জমা পড়েছিল এহেন এক অভিযোগ। ওই একই থানায় মুন্নি মৌলবি নামে এক মহিলা জানান যে, কন্যার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুবাই থেকে এসেছিলেন তাঁর স্বামী শেখ রফি। ১৫ এপ্রিল বিয়ের অনুষ্ঠান মেটার পরে হায়দরাবাদ বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন রফি। ফেরার কথা ছিল তাঁর। এরপর ১৬ এপ্রিল দুপুরে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির ফোন থেকে নিজের কন্যাকে ফোন করেছিলেন রফি। তবে ফোনে কিছুই শোনা যায়নি। এই ধরনের আরও অভিযোগ জমা পড়েছে থানায়।