ঝাড়গ্রাম: ১০০ হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে। তাদের সামাল দিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোট করাই বড় চ্যালেঞ্জ কমিশনের। একসময়ের মাওবাদী অধ্যুষিত জেলা হলেও বর্তমানে মাথা ব্যাথার কারন হাতি। হাতির তাণ্ডবে এই মুহুর্তে নাজেহাল ঝাড়গ্রাম জেলা।
পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ ষষ্ঠ দফা ভোট লাইভ
শনিবার ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ঝাড়গ্রামে। ভোটের দিন হাতি সামাল দেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এডিএফও পার্থ মুখার্জি জানিয়েছেন, ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে বনাঞ্চল চারটি ডিভিশনে বিভক্ত। এই চারটি ডিভিশনে প্রায় ১০০টির কাছাকাছি হাতির অবস্থান করছে। তার মধ্যে শুধু ঝাড়গ্রাম ডিভিশনেই রয়েছে৭৩টি হাতি। খড়গপুর ডিভিশনে ২২টি হাতি। বাকি ২/৩ টা করে মেদিনীপুর এবং রুপনারায়ন ডিভিশনে। হাতির গতিবিধি অনুযায়ী ঝাড়গ্রাম ডিভিশন ইতিমধ্যে ১৪০ টি বুথকে সেনসিটিভ চিহ্নিত করেছে। বাকি তিনটি ডিভিশন নিয়ে সেনসেটিভ বুথের সংখ্যা ২০০-র বেশী।”
এছাড়াও তিনি বলেনস,”জঙ্গল লাগোয়া এই সমস্ত বুথ গুলোতে থাকছে বিশেষ নজরদারি। রেঞ্জ অনুযায়ী ভাগকরে সেই সমস্ত রেঞ্জে ৩থেকে ৫ টি করে মোবাইলটিম ২টি করে হূলা টিম, এবং ৩টি করে গাড়ি র ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এর সঙ্গে সেন্ট্রালি থাকা ঐরবতকে প্রয়োজন অনুসারে মুভ করানো হবে। ভোট কর্মীরা যখন জঙ্গল লাগোয়া বুথ গুলিতে যাবেন তখন আগে থেকে হাতির মুভমেন্ট এ জেনে নিরাপদ রাস্তা দিয়ে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে। বুথ এলাকার পাশাপাশি হাতি থাকলে তৎক্ষনাৎ হুলা দিয়ে তাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেওয়া হবে। হাতির প্রতিটা পদক্ষেপ এর গতিবিধি নজর রাখছে বনদফতর। একি রকম ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে বাকি তিনটি ডিভিশনে।”
এছাড়া বনদফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভোর ভোর ভোটাররা ভোট দিতে লাইন দেন। জঙ্গল রাস্তা ধরে যাতায়াত করেন। হাতি থাকলে রাত থেকেই সেই সমস্ত জঙ্গল রাস্তা বন্ধকরে দেওয়া হবে। বসানো হচ্ছে ড্রপ গেট ও। সবমিলিয়ে হাতির হানায় যাতে একজন ভোটারও ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে জঙ্গল মহল জুড়ে।
কৌশিক অধিকারী