Tag Archives: Elephant

Elephant Corridor: লাইন বাঁচাতে হাতি চলাচলের রাস্তায় বোল্ডারের স্তূপ রেলের! লোকালয়ে হামলার আশঙ্কা

জলপাইগুড়ি: হাতির দলের রাস্তা পেরোনোর জন্য রেললাইনের রেকের ধারে সাধারণত করিডোর থাকে। কিন্তু সেই করিডোরেই রয়েছে উঁচু বোল্ডারের স্তূপ। এভাবে উঁচু বোল্ডার জমে থাকায় যাতায়াতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে হাতির দলকে। ফলে ঠিক করে তারা রাস্তা পারাপার করতে পারছে না। এই অবস্থায় হাতির দল ক্ষেপে গিয়ে লোকালয়ে হানা দিতে পারে বলে পরিবেশবিদদের আশঙ্কা।

হাতিদের চলাচলের করিডোরে ব্যাঘাত ঘটার জন্য রেলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। রেললাইন রক্ষা করতে ডুয়ার্সের মোরাঘাট এলাকায় হাতিদের হাই সেনসেটিভ করিডর আটকে বোল্ডার দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বাঁধ। গোটা ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমীরা। চিন্তায় পড়েছে বন দফতর‌ও। হাতিদের করিডোর বাঁচাতে ইতিমধ্যেই বন দফতর ও পরিবেশপ্রেমীদের তরফে রেলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। রেললাইন সংলগ্ন বন্যপ্রাণীদের যাতায়াতের রাস্তায় বাধা পেলে লোকালয়ে বন্যপ্রাণীর হানা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা কথা জানিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: অক্ষয় তৃতীয়ায় ভোগে মাছের মাথা পেলেন তারাপীঠের মা তারা!

বর্ষাকালে ভুটান থেকে অতিরিক্ত বৃষ্টির জল হাতিনালা দিয়ে এসে রেললাইনের ক্ষতি করতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই জলপাইগুড়ির বানারহাট ব্লকের মরাঘাট চৌপথি থেকে হাতিনালার একপাশের পাড়ে বাঁধ দিচ্ছে রেল। বিন্নাগুড়ি এলাকায় বানারহাট হিন্দি কলেজ সংলগ্ন হাতির কয়েকটি করিডর রয়েছে। প্রায়দিন ভোরে বা রাতে রেতির জঙ্গল থেকে মরাঘাট জঙ্গল এই পথ দিয়েই গিয়ে হাতিনালা পার হয় হাতির দল। এবার এই এলাকায় হাতিনালাগুলিতে বোল্ডার দিয়ে পাড় বাঁধ দেওয়ায় শাবক নিয়ে হাতির দল ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীরা করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হবে। আর তাতেই লোকালয়ে হানাদারী বাড়বে বলেই আশঙ্কা। গোটা বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন স্থানীয়রা। এই বিষয়ে রেল আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তাঁরা কোন‌ও মন্তব্য করতে চাননি।

সুরজিৎ দে

Jhargram News: অবশেষে হার মানতেই হল, তোলা গেল না কাদা থেকে, সারাদিন পড়ে থেকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল পূর্ণবয়স্ক হাতি!

ঝাড়গ্রাম: সকাল থেকে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানল পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল হাতিটি। সকাল থেকে কাদায় পড়ে যাওয়া হাতিটিকে তুলতে ব্যর্থ সাধারণ মানুষ থেকে বনদফতরের আধিকারিকেরা। অবশেষে মর্মান্তিক মৃত্যু হল তার। একদিকে শারীরিক অসুস্থতা, আর অন্যদিকে কাদায় পড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল সে। শোকস্তব্ধ বন্যপ্রাণ প্রেমী থেকে সাধারণ মানুষ। বনদফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে বচসা সৃষ্টি হয় বনদফতর এবং এলাকাবাসীদের মধ্যে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সকাল থেকে এক পূর্ণবয়স্ক হাতিকে কাদায় পড়ে থাকতে দেখে সাধারণ মানুষ। স্থানীয় সূত্রে খবর, শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় কাদা থেকে কোনও ভাবে উঠতে পারছিল না হাতিটি। জানা গিয়েছে, জংলি দু’টি হাতির মারামারির ঘটনায় জখম হয়ে কাদায় পড়েছিল হাতিটি। বিভিন্নভাবে তাকে কাদা থেকে তোলার চেষ্টা চালায় সাধারণ মানুষ। কখনও গাছের লতাকে চেন বানিয়ে তোলার চেষ্টা করে তারা। যদিও বেশ কয়েক ঘণ্টা পর আসে বনদফতরের আধিকারিকরা।তবে শেষ রক্ষা হল না, মৃত্যু হল হাতিটির।

আরও পড়ুন: ধেয়ে আসবে কালবৈশাখী! ভারী বৃষ্টি হবে বঙ্গজুড়ে, কোন জেলা ভিজবে কোন দিন, জরুরি ওয়েদার রিপোর্ট

ঝাড়গ্রাম জেলার কেশররেখা রেঞ্জের কুইলিসুতা এলাকায় এক হাতি কর্দমাক্ত একটি জলা জায়গায় পড়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, অসুস্থ ছিল হাতিটি। তবে কোনওভাবেই জলা জায়গা থেকে উঠতে পারছিল না সে। স্বাভাবিকভাবে বেশ অসুবিধার মধ্যেই ছিল জংলি এই দাঁতালটি। পরে বনদফতরের আধিকারিকরা এসে তাকে তুলতে গিয়েও ব্যর্থ হয়।

বনদফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় সাধারণ মানুষের। হাতি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। পরে অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং হাতিটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ হাতিটিকে তুলতে না পারা, বিনা চিকিৎসা এবং অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় তার। তবে এ দায় কার তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

রঞ্জন চন্দ

Jhargram News: কাদায় পড়ল দাঁতাল হাতি, তুলতে গিয়ে হিমশিম সকলে, শেষমেশ যা হল…!

ঝাড়গ্রাম: কথায় আছে হাতি যখন কাদায় পড়ে, ব্যাঙে তখন লাথি মারে। তবে ব্যাঙে লাথি মেরেছে কিনা জানা নেই, কাদায় পড়ে যাওয়া এক হাতিকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এল সাধারণ মানুষ। যখন বনের হাতিকে উত্যক্ত করতে দেখা যায় মানুষকে, তখনই জঙ্গলের হাতিকে উদ্ধারে হাত লাগাল সাধারণ মানুষই। এমন ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

ঝাড়গ্রাম জেলার কেশররেখা রেঞ্জের কুইলিসুতা এলাকায় এক হাতি কর্দমাক্ত একটি জলা জায়গায় পড়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, অসুস্থ ছিল হাতিটি। তবে কোনওভাবেই জলা জায়গা থেকে উঠতে পারছিল না। স্বাভাবিকভাবে বেশ অসুবিধার মধ্যেই ছিল জংলি এই দাঁতালটি। সাধারণ মানুষ নানাভাবে চেষ্টা করেছিল হাতিটিকে কাদা-জল থেকে তুলে দেওয়ার। অবশেষে লতার দড়ি বানিয়ে তা দিয়ে তাকে তোলার চেষ্টা করে সকলে।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

জঙ্গলের দানব আকার দাঁতাল হাতিকে ভয় পায় প্রায় জঙ্গলের সব প্রাণী। কিন্তু হাতি যখন কাদা জলে পড়ে তখন বেশ অসুবিধা হয় তার। যদিও এমন প্রবাদ থাকলেও, এদিন এই হাতিকে দেখে তা পরিষ্কার। হাতির এই অসহায়তা দেখে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে সকলে।

আরও পড়ুন- সদ্যোজাত শিশুর কি AC-তে ঘুমানো উচিত? ৯০% বাবা-মায়েরা এই ভুলটাই করে, এখনই সতর্ক না হলে ঘনঘন অসুস্থ হবে আপনার সন্তান

স্থানীয়রা মনে করছে, দুই জংলি হাতির লড়াইয়ের ঘটনার কারণে একজন জখম হয়ে কাদায় পড়ে যায়। অসুস্থ থাকায় সেখান থেকে সে উঠতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। তবে সাধারণ মানুষের এই ভূমিকায় খুশি সকলে। বন্যপ্রাণ এবং মানুষের সহ অবস্থান এবং সাহায্যকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে। পরে অবশ্য বন দফতর হাতিকে তোলার দায়িত্ব নিয়ে নেয়।

রঞ্জন চন্দ

Bihu Festival: এই উৎসবে হাতির সঙ্গে খেলে মারান উপজাতির মানুষরা

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিহু মানেই পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির কাছে নাচ-গান। অসমের মানুষের বিশেষ লোক উৎসব বিহু, এটাই মূলত আমাদের ধারণা। কিন্তু অসমের লোকাচার মেনে বিহু উৎসবের পরিধি বহু বিস্তৃত। আচ্ছা আপনি কখন‌ও ধুরাই বিহু বা রঙ্গোলি বিহুর কথা শুনেছেন?

অসমের তিনসুকিয়া জেলার তরণী গ্রামে হাতিদের পুকুরে এনে স্নান করানো ও সেবা সুশ্রুষার মধ্য দিয়ে এই বিশেষ ধরনের বিহুর রীতি উদযাপন করা হয়। গ্রামের মধ্যে থাকা একটি বড় পুকুর বা ডোবায় স্নান করানোর সময় হাতিদের সে কী বিপুল উৎসাহ থাকে। অসমের মারান উপজাতির মানুষরা মূলত উরুকা ও গরু বিহু উদযাপনের মধ্য দিয়ে এই রীতি পালন করেন। এছাড়াও তারা মনু বিহু প্রথাও উদযাপন করে থাকেন।

আর‌ও পড়ুন: জানেন কি এমন একটি দেশ আছে যেখানে কোন‌ও সাপ নেই! নাম শুনলে অবাক হবেন

প্রথা মেনে বোহাগের প্রথম মঙ্গলবার থেকেই মারান উপজাতির মানুষেরা বিহু উদযাপন শুরু করেন। ঐদিন উরুকার পর পরের দিন গরু বিহু পালিত হয়। আর তারই অন্যতম রীতি হল হাতিদের পুকুরে নিয়ে গিয়ে দলাই মালাই করে স্নান করানো। এটাকে অত্যন্ত পবিত্র প্রথা বলে তাঁরা মনে করেন।

Elephant: ভোটের মরশুমে ‘ওরা’ ফের দলবেঁধে জঙ্গলমহলের গ্রামে

ঝাড়গ্রাম: দল বেঁধে ‘ওরা’ এসেছে গ্রামে। দেখে হয়ত মনে হতেই পারে ভোট প্রচারে এসেছে। কিন্তু না, সামনের লোকসভা নির্বাচনে এদের কোনও প্রার্থী নেই। কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাও নয়। ওরা জঙ্গলের নেতা। জঙ্গলেই থাকে। কিন্তু আচমকাই এসে পৌঁছেছে লোকালয়ে। যদিও কেন তাদের লোকালয়ে আসা তা নিয়ে কিছুই জানায়নি।

এই ‘ওরা’-টা হল জঙ্গলের দলমা দাঁতাল। সকাল সকাল জঙ্গলমহলের একটি গ্রামে ঢুকে পড়ে তারা। তাতে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। ওদের জন্য সাতসকালে ভয়ে ভয়ে ঘুম থেকে ওঠে গ্রামের মানুষ। চোখ খুলতেই হাতির দলকে দেখে ভয়ে তটস্থ সবাই। ঝাড়গ্রামের জামবনি ব্লকের চিচিড়া এলাকায় সকাল সকাল ঢুকে পড়ে একদল দাঁতাল। স্বাভাবিকভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। খাবারে খোঁজেই লোকালয়ে এই হাতির পাল চলে এসেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আর‌ও পড়ুন: সাইকেল চালিয়ে হঠাৎই সীমান্তের গ্রামে জেলাশাসক

প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে বিভিন্ন সময়ে প্রবেশ করে হাতির দল। ভেঙে ফেলে মাটির বাড়ি, ক্ষয়ক্ষতি করে ফসলেরও। এদিনের হাতির দলটিতে বেশ কয়েকটি বাচ্চা হাতিও ছিল।বন দফতর সূত্রে খবর, জঙ্গল ধ্বংস করা, জঙ্গলে আগুন লাগানো এবং অযাচিতভাবে বন্যপ্রাণকে উত্তক্ত করার জন্যই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ক্রমশ লোকালয়ে হানা দিচ্ছে হাতি। এছাড়াও বেশ কিছু সময়ে খাবারের সন্ধানেও তারা লোকালয়ে আসে।

রঞ্জন চন্দ

জংলি হাতিকে কষ্ট পেতে দেখে এ কী করলেন যুবক!

Jhargram News: মনে সাহস নিয়ে জংলি হাতিকে স্নান করাল এক যুবক, ভাইরাল হওয়া ভিডিও এই যুবকের পরিচয় জানেন? মনে বেশ ভয় ছিল। তবে অসহায়তা দেখতে পারেনি সে। হাতি দেখতে গিয়ে প্রচন্ড রোদে একটি পূর্ণবয়স্ক জঙ্গলের হাতিকে অসুস্থবোধ করতে দেখে খালে নেমে জল দিয়ে হাতটিকে স্নান করাল এক যুবক। আর এই ভিডিওই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল ( Viral on Social Media ) যুবকের এই কৃতিত্বকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে। যখন বনের হাতিকে উত্ত্যক্ত করার ছবি সামনে আসে তখন জঙ্গলমহলের এই যুবকের চিন্তা-ভাবনা ও মানসিকতাকে কুর্নিশ।

Elephant Attack: বাইকের পিছন থেকে শুঁড় দিয়ে টেনে নামিয়ে আনল! হাতির হানায় ফের মৃত্যু

আলিপুরদুয়ার: হাতি ও বাইসনের জোড়া হামলা ডুয়ার্সের জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায়। সকালে বাইসনের পর রাতে বুনো হাতির হানা কালচিনিতে। আর তাতেই মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের বাঙ্গাবাড়ি এলাকায় হাতির হামলায় মৃত্যু হয়েছে বাবুরাম ওঁরাও নামে এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, দু’জন আটিয়াবাড়ি চা বাগান থেকে বাইকে করে ঘরে বাঙ্গাবাড়ি এলাকায় ফিরছিলেন। একটি বুনো হাতি সেই সময় জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে আচমকা বাইক আরোহীদের উপর আক্রমণ করে। প্রত্যক্ষদর্শিতা জানিয়েছেন, জঙ্গলের রাস্তার ঘাপটি মেরেছিল বুনো হাতিটি। রাতের অন্ধকারে বাইক আরোহীরা কেউ তাকে প্রথমে দেখতে পাননি। হাতিটি বাইকের পিছনে বসে থাকা বাবুরাম ওরাঁও-কে শুঁড় দিয়ে টেনে নামিয়ে আনে। তাতেই মারাত্মক জখম হন তিনি।

আর‌ও পড়ুন: নতুন ভোটারদের বুথমুখী করতে কমিশনের উদ্যোগ

হাতিটি চলে গেলে বাইক চালক বাবুরাম ওঁরাও-কে উদ্ধার করে লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনা জানাজানি হতেই বনকর্মীরা হাসপাতালে আসেন। এদিকে আচমকা এমন বিপর্যয় ভেঙে পড়েছেন মৃতের আত্মীয়রা।

অনন্যা দে

Viral Video-Elephant: মৃত্যু-ভয় ভুলে জংলি হাতিকে স্নান করায় যুবক! ভাইরাল ভিডিও! কে এই যুবক? জানলে অবাক হবেন

ঝাড়গ্রাম: মনে বেশ ভয় ছিল। তবে অসহায়তা দেখতে পারেনি সে। হাতি দেখতে গিয়ে প্রচন্ড রোদে একটি পূর্ণবয়স্ক জঙ্গলের হাতিকে অসুস্থবোধ করতে দেখে খালে নেমে জল দিয়ে হাতটিকে স্নান করাল এক যুবক। আর এই ভিডিওই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল। যুবকের এই কৃতিত্বকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে। যখন বনের হাতিকে উত্ত্যক্ত করার ছবি সামনে আসে তখন জঙ্গলমহলের এই যুবকের চিন্তা-ভাবনা ও মানসিকতাকে কুর্নিশ।

প্রায় সপ্তাহখানেক ধরেই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে। একটি যুবক মনে সাহস নিয়ে এক হাতিকে স্নান করিয়ে দিচ্ছে। কালভার্টের নিচ থেকে বালতিতে করে জল নিয়ে হাতির গায়ে ছিটিয়ে স্নান করিয়ে দিচ্ছে যুবক। আক্রমণ করা তো দূর, শুঁড়, মাথা, কান নাড়িয়ে বেশ আনন্দে স্নান করছে জংলি হাতিটি। এটি চিড়িয়াখানা কিংবা কোনও ব্যক্তির পোষ মানানো হাতি নয়। এটি জঙ্গলমহলের একটি জংলি হাতি। তবে তার দাঁত না থাকায় জঙ্গলমহলের মানুষ ভালবেসে নাম দিয়েছে ফোগলা। হাতির প্রতি যুবকের ভালবাসা, সামাজিক মাধ্যমে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে হাতিকে স্নান করানোর এই ভিডিও। তবে জানা গিয়েছে এই ভিডিও এপ্রিলের প্রথমদিকের।

আরও পড়ুন: পোজ দিতে ব্যস্ত শিল্পা! সেখানেই কাণ্ড ঘটালেন ঋতুপর্ণা! একী করলেন বলি-পাপারাৎজিরা? তুমুল ভাইরাল ভিডিও

স্থানীয় সূত্রে খবর, খাবারের সন্ধানে হাতিটি জঙ্গল থেকে লোকালয়ে চলে আসে। গ্রামের মানুষ তাই হাতিটিকে জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা করে। তবে প্রখর রৌদ্রতাপে হাতিটি ক্রমশ হাঁপিয়ে উঠেছিল। স্বাভাবিকভাবে একটি কালভার্টের উপর দাঁড়িয়ে শুঁড় দিয়ে কালভার্টের নিচে থাকা জল তোলার চেষ্টা করছিল ফোগলা নামে এই হাতিটি। তবে তা সম্ভব হয়নি। হাতি দেখতে যাওয়া এই যুবকটি মনে ভয় রেখে হাতিটিকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। পাশের বাড়ি থেকে একটি বালতি এনে, কালভার্টে নিচ থেকে জল তুলে ছিটিয়ে দেয় হাতির দিকে। আর এই ভিডিও মোবাইলে ক্যামেরা বন্দী হতেই মুহূর্তের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

 

তবে কে এই যুবক, জানেন? এই ঘটনাটি ঘটেছে সাঁকরাইল ব্লকের গোপালপুর এলাকায়। যে যুবকটি সাহস নিয়ে হাতিটিকে স্নান করিয়ে দিয়েছে তার নাম নিতাই সিং, বয়স ২৪ বছর। বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল এর কুলঘাগরি এলাকায়।উচ্চ মাধ্যমিক পাস এই যুবক। বাড়িতে বাবা, মা, ভাই ও নিতাই এর সংসার। বাবা নন্দ সিং সামান্য দিনমজুরের কাজ করেন, ভাই গাড়ি চালান। তবে হাতি দেখতে গিয়ে যুবকের সাহসিকতা ও মানবিকতাকে কুর্নিশে জানিয়েছেন সকলে। নিতাই বলেন, ভয় লেগেছিল তবে হাতিটির করুন অবস্থা দেখে তাকে স্নান করিয়ে দেই। তবে সে কোনও আক্রমণ করেনি। স্নান করানো শেষে অবশ্য জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে হাতিটি। তবে নিতাই এর বক্তব্য, হাতিকে উত্ত্যক্ত করা নয় সকলেই যেন সাহায্য করে বন্যপ্রাণকে। জঙ্গলমহলের বছর ২৪ এর এই যুবকের মানবিকতা ও মানসিকতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পশু-প্রেমী থেকে সকলে।

রঞ্জন চন্দ

Elephant: দাঁতালের তাণ্ডব! পুরুলিয়া জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৫৮টি হাতি, আতঙ্কে এলাকাবাসী

পুরুলিয়া: হাতির উপদ্রব জঙ্গলমহলে নিত্য দিনের ঘটনা। প্রায়শই জঙ্গলমহলে হাতি বেরোনোর কথা শুনতে পাওয়া যায়। অনেক সময়ই এই হাতির সম্মুখীন হয়ে বিপদের মধ্যে পড়তে হয় মানুষকে।

এমনকী প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। আর এই মুহূর্তে পুরুলিয়া জেলা জুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে ৫৮-টি হাতি। যা রীতিমতো আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে মানুষের মনে। মানুষকে হাতির আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে বনদফতর।‌

বনকর্মী থেকে হুলা পার্টির সদস্যরা সতর্ক হয়ে থাকলেও ঝাড়খণ্ডের সীমানায় যেভাবে বিক্ষিপ্তভাবে বনাঞ্চল পুড়ছে তা চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে বনদফতরের। কারণ ঝাড়খণ্ড বনাঞ্চলের বিক্ষিপ্ত আগুন সীমানা ছুঁয়ে পুরুলিয়ার বনাঞ্চলে ছড়িয়ে গেলে ওই হাতিদের যাতায়াতের পথ থাকবে না।

আরও পড়ুন: ‘আগে গ্যারান্টি দাও, দেশ বেচবে না!’, মোদিকে নিশানা করে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মমতা

দল থেকে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে বিপদ আরও বাড়বে। আগুন নেভাতে যেমন সমস্যা হবে, তেমনই হাতি দলছুট হলে হামলা চালানোর মত পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যাবে। এইসব কথা মাথায় রেখেই ঝাড়খণ্ডের সীমানায় যাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সে বিষয়ে ঝাড়খন্ডের বন দফতরের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে পুরুলিয়া বনবিভাগ।

এ বিষয়ে পুরুলিয়া বনবিভাগ তথা কংসাবতী উত্তর বনবিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, ‘‘পুরুলিয়ার জঙ্গলে এখনও পর্যন্ত সেভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। কয়েকটি জায়গায় আগুন লাগলেও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুরুলিয়া ছুঁয়ে থাকা ঝাড়খণ্ডের সীমানার জঙ্গলে বিক্ষিপ্তভাবে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। ঝাড়খণ্ড সীমানা ও জেলাতে থাকা হাতির দলের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় সেই বিষয়ে আমরা ঝাড়খণ্ডের বনদফতরের সঙ্গে কথা বলব। জঙ্গলে আগুন ও বিপুল সংখ্যক হাতির অবস্থান নিয়ে আমরা সতর্ক। মানুষকে সুরক্ষা প্রদান করতে আমরা সমস্ত দিক থেকে চেষ্টা করব।’’

পুরুলিয়া বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, বলরামপুর রেঞ্জের গরগা মৌজায় ১-টি হাতি রয়েছে। মাঠা রেঞ্জের মাঠা ও গোবরিয়াতে ১৪ থেকে ১৫-টি,ঝালদা এবং কোটশিলা রেঞ্জের সিমনি, জাবর, কলমা এবং ঝাড়খন্ড সীমান্ত মিলিয়ে রয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টি হাতি আছে।

এছাড়াও বাঘমুন্ডি রেঞ্জের কালিমাটি এবং ঝাড়খণ্ড সীমান্ত মিলিয়ে রয়েছে ১০ থেকে ১২ টি হাতি রয়েছে বলে জানা গেছে। এই বিপুলসংখ্যক হাতির জন্য বনদফতর স্থানীয় মানুষজন-সহ পর্যটকদেরকে জঙ্গলে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছে। সকলকে সতর্ক করতে যেমন মাইকিং চলছে তেমনই এসএমএসের মাধ্যমেও প্রচার করা হচ্ছে। বিপদ এড়াতে সমস্ত দিক থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে বনদফতর।‌

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ফুটবল খেলায় মাতল হাতি! ভাইরাল ভিডিও

পশ্চিম মেদিনীপুরে গ্রামে মেঠো পথ ফুটবল খেলে বেড়াচ্ছ এক হাতি। যা দেখতে ভিড় জমে যায় গ্রামবাসীদের। আপন মনে নিজের খেলা চালিয়ে যায় ওই হাতি। যেই ভিডিও এখন ভাইরাল।