হুগলি: ধেয়ে আসছে রিমল, হুগলি জেলাতেও প্রভাব পড়বে ঘূর্ণি ঝড় আবহাওয়ার পূর্বাভাস এমনই। আর এই সতর্কবার্তাতেই চিন্তার ভাঁজ পরেছে হুগলীর লিচু চাষী ও ব্যবসায়ীদের। রাজ্যে মূলত মুজফফর পুর লিচুর চাহিদা মেটায়। তবে লোকাল লিচুর স্বাদ ভাল হওয়ায় বেশি দামে বিক্রি হয়। এ বছর হুগলিতে আমের ফলন প্রায় হয়নি। তবে, লিচুর ফলন হয়েছে ব্যাপক। পোলবার সুগন্ধার জারুরা, রাজহাট, মগড়ার বেনাভারুই এলাকার বাগান গুলোতে এখন গাছে গাছে ঝুলছে থোকা থোকা লিচু।
আরও পড়ুনঃ শক্তি বাড়ছে ঘূর্ণিঝড় ‘Remal’-এর ! রবিবার মধ্যরাতে কোথায় হবে ল্যান্ডফল? জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর
লিচুর রঙ আসার পর দিন কয়েক আগে থেকে পাকা লিচু পাড়া শুরু হয়েছে। এখনও বেশিরভাগ লিচুই রয়ে গেছে গাছে। জামাইষষ্ঠী সময় লিচুর চাহিদা থাকে বেশি। তাই পাক ধরলেও লিচু বাঁচিয়ে রাখতে চান চাষিরা। এরই মধ্যে রিমল ঝড়ের আগমনে আতঙ্কিত লিচু চাষীরা। এই ঝড় যদি সত্যিই প্রবল আকার নেয় তাহলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে তাঁদের।
চাষিদের বক্তব্য, এ বছর এমনিতেই আমের ফলন কম। যেসব গাছে লিচু রয়েছে আবহাওয়ার জন্য তাও ক্ষতি হতে পারে। আপাতত যে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে তাতে গাছে আর কোন কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। তাই যত শীঘ্র সম্ভব বাজারে নিয়ে যাবার চেষ্টা চলছে।
লিচু বাগান কিনেছেন কার্তিক চক্রবর্তী। তিনি জানান, ‘লিচুর ফলন ভাল হয়েছে। দামও মিলছে ভাল। কিন্তু ঝড়ের জন্য সব পেরে ফেলতে হবে। গাছে ফল দাঁড় করাতে অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। সেই টাকা যদি তুলতে না পারি তাহলে লোকসান হবে।’
ঘূর্ণিঝড়ের আজ তা রবিবার সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়ে গিয়েছে কোথাও বিক্ষিপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে কোথাও কোথাও দিচ্ছে ঝড়ো হাওয়া। হাওয়া অফিসের খবর অনুযায়ী বিকেলের পর থেকে শুরু হবে ঘূর্ণিঝড়ের দাপট। তাই তার আগে গাছ থেকে লিচু পেড়ে নিতে চাইছেন কৃষকরা।
রাহী হালদার