ষষ্ঠীর আগেই আম বাগান সাফ! জামাইদের পাতে পড়বে তো?

Malda News: সাগরে ফুঁসছে সাইক্লোন রিমল! রাতেই হবে ‘তোলপাড়’…! ষষ্ঠীর আগেই আম বাগান সাফ! কারণ জানলে চমকে যাবেন

মালদহ: রিমল আতঙ্ক মালদহের আম বাগানে। ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কায় জেলার একের পর এক আম বাগানে তড়িঘড়ি পেড়ে নেওয়া হচ্ছে আম। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ বিকেলের পর থেকেই আবহাওয়ার তুমুল বদল শুরু হবে মালদহে। রাতভর ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে। আর এতেই দুশ্চিন্তায় আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা।মালদহ জেলায় ৩৩ হাজার হেক্টরেরও বেশি আমবাগান রয়েছে। জেলায় এবার আমের ফলন এমনিতেই অত্যন্ত কম।

গত বছর জেলায় আমের ফলন হয়েছিল পৌনে চার লক্ষ মেট্রিক টন। জেলা উদ্যান পালন দফতরের হিসেবে, এবার মালদহে আমের ফলন কমে দাঁড়াতে পারে, দুই লক্ষ মেট্রিক টনের আশেপাশে। একেই বাগানে আম ফলেছে কম। তারওপর রেমাল আতঙ্কে কার্যত ঘুম ছুটেছে আম ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অসংখ্য মানুষের।মালদহের অধিকাংশ বাগানে আরও অন্তত দুই সপ্তাহ থেকে একমাস পর্যন্ত আম গাছে থাকলে সম্পূর্ণ পরিণত হওয়ার কথা।

আরও পড়ুন-  চরম আর্থিক অনটন! দিনে মাত্র ৫০ টাকা আয়, খরচ বাঁচাতে যা করতেন নায়িকা…! বিখ্যাত পরিচালকের মেয়ের রোজগার শুনলে আঁতকে উঠবেন

সাধারণভাবে মালদহে জামাইষষ্ঠীর দিকে লক্ষ্য রেখে জুনের প্রথম সপ্তাহের শেষ থেকে আম পাড়ার কাজ শুরু হয়। কিন্তু, এবার অন্তত ১৫ দিন আগেই আম পেড়ে নেওয়া হচ্ছে রিমল আতঙ্কে। আম চাষী ও বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে শুধু বৃষ্টি আমের পক্ষে লাভজনক হলেও ঝোড়ো হওয়াতে আম গাছ থেকে পড়তে পারে। রিমলের প্রভাবে মালদহে আম বাগানে প্রায় পরিণত অবস্থায় আম ঝরে গেলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা। এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকি এড়াতে আপাতত তড়িঘড়ি আম পেড়ে নেওয়ার পথেই হাঁটছেন আম ব্যবসায়ীদের অনেকে। সকাল থেকেই তাই জেলার বিভিন্ন আম বাগানে চোখে পড়ছে আমপাড়ার ব্যস্ততা।

আরও পড়ুন- শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন রিমল! ভয়ঙ্কর দুর্যোগের আশঙ্কা বাড়ছে দক্ষিণবঙ্গে, উত্তরেও কি চলবে তাণ্ডব? আবহাওয়ার বিরাট আপডেট

জেলা উদ্যান পালন আধিকারিক সামন্ত কুমার লায়েক বলেন, এবার প্রথম থেকেই আমের জন্য আবহাওয়া বিরূপ। দীর্ঘ ঠান্ডা আর পরে মুকুলের সময় বৃষ্টির কারণে বেশ কয়েকবছর পরে জেলায় আমের ফলন মার খেয়েছে। রিমলের প্রভাবে ব্যাপক আকারে ঝড়-বৃষ্টি হবে এমন পূর্বাভাস নেই। তবে, বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়া থাকবে। শুধু বৃষ্টি হলে তা আমের পক্ষে লাভজনক হত। কিন্তু, সঙ্গে ঝোড়ো হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আম নষ্ট হতে পারে। এজন্য আম চাষীদের বলা হয়েছে পরিণত হলে আম পেড়ে ফেলার জন্য।