গ্রামবাসী কাজ করছেন

Bankura News: চলে আসুন এই গ্রামে, নামমাত্র মূল্যে কিনে নিন বাঁশের জিনিস

বাঁকুড়া: বাঁশ দিয়ে ঝুড়ি, ঝাঁটা, মুকুট, বড় জাম বাটি আরও কত কি। যত রকম নিত্য ব্যবহারের জিনিসের কথা মাথায় আসবে সবই তৈরি হয় এই গ্রামে। বাঁশ ঝাড় থেকে বাঁশ কেটে, সারাদিন ধরেই বাঁশের দ্রব্য বানাতে ব্যাস্ত থাকে বাঁকুড়ার শুশুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাগডিহা গ্রামের মাহালি পাড়া। এই গ্রামে গেলে সরাসরি, গ্রামবাসীদের কাছে কিনে নিতে পারবেন খুবই কম মূল্যে বাঁশের তৈরি দ্রব্য।

দাম শুরু ২০,৩০ টাকা থেকে, সর্বোচ্চ মূল্য ৫০-৭০ কিংবা ৮০ টাকা। ফলেই যারা ভ্রমণ পিপাসু মানুষ রয়েছেন এবং শুশুনিয়া বেড়াতে এসেছেন ও এক টুকরো স্মৃতি নিয়ে যেতে চাইছেন তাদের জন্য এই গ্রাম সত্যিই একটি ভালো “অপসন” হতে পারে। শুশুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় পার করে সোজা কিছুটা আসলেই ডান দিকে চলে যাচ্ছে শিউলিবনা আবার বাম দিকে চলে যাচ্ছে বাগডিহা। গ্রামে মূলত ৩০ টি পরিবারের বাস, এই মুহূর্তে প্রায় ৫৫ জন নিযুক্ত রয়েছেন বাঁশের শিল্পের সঙ্গে।

আরও পড়ুন : ঘুরে আসুন শুশুনিয়া পাহাড়ের লুকোনো গ্রাম! কেউ জানেই না এই স্বর্গ গ্রামের কথা! রইল ফোন নম্বর

তবে এই আদিবাসী গ্রামে মানুষের কষ্ট যেন থামছে না। গ্রামে জলের ব্যাবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসীরা। যে দুটি পুকুর রয়েছে তাতে জল থাকেনা গ্রীষ্মকালে। এছাড়াও গ্রামের মাহালী পাড়ায় টিউব কল নেই একটিও। জলের সমস্যার কারণে খুব অসুবিধার সম্মুখীন হন বাচ্চারা এবং মহিলারা। তাছাড়াও শুধু মাত্র বাঁশের শিল্পের ওপর নির্ভরশীল হয়ে আর পেড়ে উঠছেন না বাগডিহা গ্রামের বাঁশের শিল্পীরা। একপ্রকার থেমেই গেছে জীবন জীবিকা। শুশুনিয়া পাহাড় এবং পাহাড় সংলগ্ন এলাকাতে মানুষ এলেও, অনেকে জানেনই না এমন একটি গ্রাম রয়েছে এই অঞ্চলে। ফলেই বাজারজাত করে তাদের বাঁশের পণ্য বিক্রি করে যথেষ্ট মুনাফা হয় না বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

আরও পড়ুন : ‘হাতি ঘোড়া’ দেখেছেন কখন‌ও? বাংলার এই জেলায় এলে রত্নভাণ্ডার খুলে যাবে

বাঁকুড়া জেলার প্রাগৈতিহাসিক সামন্তভূম ছাতনা। রাঢ়বঙ্গের রানী বাঁকুড়ার সমগ্র আদিবাসীদের মধ্যে এক বিরাট অংশ বসবাস করে এই অঞ্চলে। যেমন উল্লেখযোগ্য হল ভরতপুরের পট চিত্রশিল্পীরা, শুশুনিয়ার পাথর খোদাই করা শিল্পীরা এবং রয়েছে ছাতনার বাগডিহা গ্রাম।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

অন্যান্য গ্রামগুলির মত এই গ্রামেও একাধিক আদিবাসী পরিবারের বাস। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি এবং নিজস্ব শিল্পকলা। রয়েছেন বহু প্রতিভাবান হস্তশিল্পী।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী