জাকার্তা: “তিনি ছিলেন ধর্মপ্রাণ মুসলিম তরুণী। সবসময় বোরখা পরে থাকতেন। এক বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়। আলাপ যে কখন প্রেমে গড়াল বুঝতেই পারিনি। ধর্মীয় রীতিনীতি মানতেন দেখে আমারও খুব ভাল লাগত। একদিন বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই আমরা। বিয়ে করিও। বিয়ের পরের জীবন নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু যত দিন গেল, স্বপ্নগুলো ভেঙে চুরমার হতে লাগল। বিয়ের ১২ দিনের মাথায় বেরিয়ে এল আসল সত্য। আমি এখন কপাল চাপড়াচ্ছি। এক নিমেষে সব স্বপ্ন ছারখার”।
উপরের ঘটনা কোনও কাল্পনিক গল্প নয়। ইন্দোনেশিয়ার এক যুবকের জীবন কাহিনি। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুবকের নাম একে। হবু বধূ আদিন্দার সঙ্গে ২০২৩ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হয় তাঁর। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। মাঝে মধ্যেই দেখা করতেন দু’জন। একে জানিয়েছেন, আদিন্দা ঐতিহ্যবাহী ইসলামিক পোশাক পরতেন। মুখ ঢাকা থাকত সবসময়। ধর্মের প্রতি আদিন্দার ভক্তি দেখে খুব ভাল লাগে একের।
বিয়ের সিদ্ধান্ত: এরপর দু’জনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। আদিন্দা বলেছিলেন, তাঁর পরিবারে কেউ নেই। সে সম্পূর্ণ একা। ১২ এপ্রিল একে-র বাড়িতেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন দু’জন। কিন্তু বিয়ের পরেও স্বামীর সামনে মুখ ঢেকে রাখতেন আদিন্দা। একে-র পরিবারের সঙ্গেও খুব একটা মিল হয়নি তাঁর। স্বামীর সঙ্গে মিলনেও আপত্তি ছিল আদিন্দার। কখনও পিরিয়ডের অজুহাত দিতেন, কখনও বলতেন শরীর খারাপ।
আদিন্দাকে সন্দেহ: এভাবে বিয়ের ১২ দিন কেটে যায়। আদিন্দার আচরণে সন্দেহ হতে শুরু করে একে-র। এরপর আদিন্দার সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে শুরু করে সে। দেখা যায়, আদিন্দার মা-বাবা বেঁচে। বিয়ের ব্যাপারে তাঁরা কিছুই জানেন না। এতে সন্দেহ বাড়ে। এরপর একে জানতে পারলেন, আদিন্দা আসলে পুরুষ। ইএসএইচ তাঁর পরিচয়। ২০২০ সাল থেকে মেয়েদের পোশাক পরতে শুরু করেন।
পুলিশে অভিযোগ জানান একে। জানা যায়, একের সম্পত্তির লোভেই তাঁকে বিয়ে করেছিলেন আদিন্দা। মেয়েদের মতো গলার স্বর। তারই ফায়দা তুলেছেন তিনি। স্থানীয় আইন অনুযায়ী, আদিন্দার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে।