উদ্ধার বোমা

Lok Sabha Elections 2024: ৬ দফার ‘খামতি’ পুষিয়ে দেবে শেষ দফা? ভাঙড়ে যা ঘটছে, আতঙ্ক বাড়ছে চড়চড়িয়ে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: যে কোনও নির্বাচন এলেই যেন অশান্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে একের পর এক অশান্তির ঘটনা ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। ভোট এলেই যেন ঘুমন্ত ভাঙড় আবার জেগে ওঠে। শুরু হয় অশান্তি তেমনি লোকসভা নির্বাচনের আগে বুধবার রাত থেকে দফাই দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় তৃণমূল আইএসএফের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ভাঙড়। একে অপরের বিরুদ্ধে মার ধরে অভিযোগ ওঠে।

যাদবপুর লোকসভার অন্তর্গত ভাঙড় বিধানসভা এলাকায় ভোটের আগে উত্তেজনা তুঙ্গে। দু’টি পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে। কোচপুকুরে আইএসএফ কর্মীদের উপর তৃণমূলের আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, প্রার্থী সায়নী ঘোষের প্রচারের জন্য তৃণমূলের মিছিলে যোগ দিতে বলায় এক আইএসএফ সমর্থক রাজি হননি। মিছিল শেষে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

আরও পড়ুন: এখনও স্থায়ী উপাচার্য নেই, নতুন করে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিয়োগ বিশ্বভারতীতে! কে তিনি জানেন?

ঘটনাস্থলে কাশীপুর থানার পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আইএসএফ অভিযোগ করেছে যে তৃণমূলের লোকজনই তাদের সমর্থককে সায়নীর মিছিলে যেতে নির্দেশ দিয়েছিল। তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ‘তৃণমূলের কি লোক কম পড়েছে যে আইএসএফের কাছ থেকে লোক ধার নিতে হবে?’ আহত আইএসএফ সমর্থককে জিরানগাছা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করানো হয় এবং পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

আরও পড়ুন: বৃষ্টিভেজা দিনে খিচুড়ি না খেলেই নয়! খিচুড়ি খেলে শরীরে কী হয় জানেন? রইল লোভনীয় এক রেসিপি

অপরদিকে, ভগবানপুরের জিরানগাছায় এক তৃণমূল কর্মীকে আইএসএফ কর্মীদের দ্বারা মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আহত তৃণমূল কর্মীকে দেখতে যান ভাঙ্গড়-২ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য খায়রুল ইসলাম। তিনি সরাসরি আইএসএফের গুন্ডামির অভিযোগ তুলে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান। পোলেরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। আহত তৃণমূল কর্মী চিকিৎসার পর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।উভয় পক্ষের অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে এলাকায় উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে, এখনও পর্যন্ত কোনও আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে ভাঙড়ের আইএসএফ কর্মীর বাড়ি থেকে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তাজা বোমা। স্থানীয় সূত্র জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চকমরিচা এলাকায় হানা দেয়। সেই সময় মেহের আলি মোল্লার বাড়িতে বোমাবাজার কাজ করছিল দুষ্কৃতীরা, পুলিশকে দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। উত্তর কাশীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ন’টি তাজা বোমা উদ্ধার করে। কী কারণে এই বোমা বাঁধার কাজ বাড়িতে করছিল মেহের আলি মোল্লা তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

মেহের আলি মোল্লা আইএসএফ কর্মী বলে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় মেহের আলি মোল্লাকে গ্রেফতার করে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি, বোমা উদ্ধার করে গোটা বিষয় তদন্ত শুরু করেছে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। কার্যত বলা যেতেই পারে ভোটের আগে যেন আবারও স্বমহিমায় ফিরে এসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। এবার দেখার বিষয় যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতন রক্তপাত ও প্রাণহানির মতো ঘটনা না ঘটে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন যাতে ভাঙড় সম্পূর্ণ হয় সেদিকেই বিশেষ নজর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

সুমন সাহা