নাক ঘষে ব্যবহার করেন ফোন।

Paschim Bardhaman News: সঙ্গ দেয় না শরীর, বইয়ের পাতা ওল্টান ঠোট দিয়ে! মনের জোরে এগিয়ে চলেছেন অমৃতা

আসানসোল : কথায় আছে না, মনের জোর থাকলে বিশ্ব জয় করা সম্ভব। এই ছবিটা যেন তারই উজ্জ্বল উদাহরণ। শরীরের আশি শতাংশ সেই ভাবে কাজ করে না। কিন্তু বিশেষভাবে সক্ষম হয়েও তিনি তার সাফল্যের নজির রেখে চলেছেন। হয়তকেউ খোঁজ খবর রাখে না। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকে তার সাফল্য বেশ নজরকাড়া।

মাত্র চার নম্বরের জন্য ফার্স্ট ডিভিশন পাননি। আসানসোলের মহিষিলার হঠাৎ কলোনি এলাকার বাসিন্দা অমৃতা ভৌমিক। কিন্তু তার ইচ্ছা অনেক বড়। বাবা অসুস্থ। মায়ের মৃত্যু হয়েছে করোনার থাবায়। এখন অমৃতার দেখাশোনা করেন জেঠিমা। অমৃতা ভৌমিক চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছেন। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, অমৃতার যখন ছ’মাস বয়স, তখনই পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারেন, তার শরীরের একাধিক অঙ্গ কাজ করে না।

আরও পড়ুন – Orange Alert: বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি, সপ্তাহের শেষে বাড়বে পরিমাণ

অমৃতা দেবীর, কাজ করে না হাত, পা। কানে শুনতে পান না। দৃষ্টি শক্তিও কম ছিল। চেন্নাই কলকাতা সহ বড় বড় হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। কিন্তু সেই অর্থে সাফল্য পাননি চিকিৎসকরা। খালি দৃষ্টিশক্তি কিছুটা বেড়েছে। আর এই দৃষ্টিশক্তি আর মনের জোরকে সঙ্গী করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল হয়েছে অমৃতা ভৌমিক। ঠোঁট দিয়ে বইয়ের পাতা উল্টে তিনি পড়াশোনা করেন। নাক দিয়ে ঘষে ব্যবহার করেন মোবাইল।

উচ্চমাধ্যমিকে সাফল্যের পর তিনি ইংরেজি অনার্স নিয়ে পড়তে চান। হতে চান শিক্ষিকা। বিশেষভাবে সক্ষম হয়েও তার মনের জোর তাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে নিরন্তর। মেয়ের এমন মনের জোর দেখে, পরিবারের সদস্যরাও অবাক। তারাও চান, মেয়ে নিজের মনের জোর সঙ্গী করে আগামী দিনে আরও এগিয়ে যাক। তার এই চেষ্টা অনেককে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দেবে বলেও মনে করছেন শহরবাসী। অমৃতা ভৌমিকের এই হার না মানা জেদকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।

Nayan Ghosh