তাল বীজ

Bankura News:  জেলির মত দেখতে, দুর্দান্ত এই ফল দেদার বিক্রি হচ্ছে বাঁকুড়ায়

বাঁকুড়া: গ্রীষ্মকালকে ফলের ঋতু বলাই যায়। এই সময়ে আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের ফল পাওয়া যায়। দেশীয় এই ফলের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন তালশাঁস অন্যতম যা বছরে খুব অল্প সময়ের জন্য পাওয়া যায়। কাঁচা তালের ভিতরে থাকা সুস্বাদু নরম জলীয় অংশ তালশাঁস নামে পরিচিত যার আঞ্চলিক নাম তাল বীজ। এটি দেখতে অনেকটা জেলির মত হয়ে থাকে। বাঁকুড়ার তালের গুড়, তালের রস বিখ্যাত। তবে এবছর গরমে আইসক্রিম এবং ঠান্ডা পানিও বাদ দিয়ে তালশাঁস বেছে নিচ্ছেন মানুষ। এই তালশাঁস খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমনি রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। ভোর বেলা ৫ টা থেকে ৬ টার মধ্যে গাছ থেকে কচি তাল পেড়ে বাজারে নিয়ে আসা হয়। এবার সেই তাল গুলি থেকে ৫ টাকা প্রতি পিস দরে বাজারে বিক্রয় করা হয়।

বাঁকুড়ার বদড়াগ্রামের বাসিন্দা এবং তালশাঁস বিক্রেতা সমীর বাউরি বলেন, “প্রতিদিনই প্রায় পাঁচ থেকে ছয় বস্তা করে তাল নিয়ে আসি শহরে। গরমের কারণে তালের প্রোডাকশন কম হলেও, গত বছরের মতো ৫ টাকা প্রতি পিস বিক্রি করছি। জৈষ্ঠ মাসের শেষ পর্যন্ত পাওয়া যাবে এই ফল।”এক মুহূর্তের জন্যও হাত ফাঁকা নেই বিক্রেতাদের। অনবরত একটার পর একটা তাল কেটেই চলেছেন তারা। লোভনীয় তালশাঁস কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন পথ চলতি মানুষ। কেউ দশটা, কেউ কুড়িটা আবার কেউ চারটে করে কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন : চলে আসুন এই গ্রামে, নামমাত্র মূল্যে কিনে নিন বাঁশের জিনিস

বাজারে গিয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখে বোঝা গেল তালশাঁসের চাহিদা রয়েছে ভালই, তবে ফলন হয়েছে কম। মৌসুমী পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই ফল অল্প সময়ের জন্য পাওয়া যায় বলে সুযোগ ছাড়তে চাইছেন না কেউই। বাঁকুড়া স্থানীয় বাসিন্দা এস.কে মন্ডল বলেন ,”আমি প্রতিদিন ৫০ টাকার তালশাঁস কিনি। আগামী ১০ দিন আরও কিনব। একটু বেছে বেছে কিনতে হয়, কচি হলে ভালো হয়। সব সময় এই ফল পাওয়ার কোন উপায় নেই, তাই যখন পাচ্ছি তখনই বেশি করে কিনে নিচ্ছি।”

আরও পড়ুন : ‘হাতি ঘোড়া’ দেখেছেন কখন‌ও? বাংলার এই জেলায় এলে রত্নভাণ্ডার খুলে যাবে

তালশাঁস খেতে সুস্বাদু। এবং এই ফল খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হন তাহলে, অবশ্যই সকাল সকাল কিনে ফেলতে হবে এই ফল। বলাই বাহুল্য, আম,জাম,কাঁঠাল এবং লিচুর মত সারাদিন বিক্রি হয় না এই ফল।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সকাল সাতটা থেকে বড়জোর দুপুর ১২ টা, তারমধ্যেই ফাঁকা হয়ে যায় গ্রাম থেকে বোঝাই করে বয়ে নিয়ে আসা তালের বস্তাগুলি।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী