বক্রেশ্বর শিব মন্দির

Shiv Mandir: লাল মাটির দেশ, এখানে সদাজাগ্রত শিবমন্দিরে আসেন বহু ভক্ত, বক্রেশ্বর শিব মন্দিরের অজানা গল্প জানুন

বীরভূম: এত জায়গার মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গই এমন স্থান যেখানে একই জেলাতে অবস্থিত রয়েছে পাঁচটি সতীপীঠ। লাল মাটির জেলা বীরভূমকে বলা চলে মা কালীর চারণভূমি। কংকালীতলা, বক্রেশ্বর , নলাটেশ্বরী , ফুল্লরা , নন্দিকেশ্বরী এই পাঁচটি সতীপীঠ রয়েছে বীরভূমে।একমাত্র বীরভূমেই পাঁচটি সতীপীঠ রয়েছে।

এর পাশাপাশি বীরভূমের মধ্যে অবস্থিত রয়েছে তন্ত্রপীঠ তারাপীঠ।সতীর প্রত্যেকটি পীঠ হিন্দু ধর্মে পরম পবিত্র বলে মানা হয়।তবে মায়ের ইচ্ছা অনুসারে প্রতি ১৯-২০ বছর অন্তর একবার করে শুকিয়ে যায় বক্রেশ্বরএর কুণ্ডটি।আর ঠিক সেই সময় যেকোনও কারণেই হোক বন্ধ হয়ে যায় মণিকর্ণিকা ঘাটও।আবার পুজো পাঠের পরে রাতারাতি জলে ভরে যায় কুণ্ডে।

আরও পড়ুন – IMD Yellow Alert: তুমুল গরমে নাভিঃশ্বাস, হাওয়া অফিস শোনাচ্ছে আশার কথা, তুমুল ঝড়, ধেয়ে আসছে বৃষ্টিও, তৈরি ঘূর্ণাবর্তও

৫১ সতী পীঠের অন্যতম বীরভূমের বক্রেশ্বর।জানা যায় ঋষি অষ্টবক্র মুনির নাম অনুসারে এই জায়গার নাম হয় বক্রেশ্বর।মা এখানে মহিষমর্দিনী দুর্গা রূপে পুজিত হন।তাই প্রতি বছর এখানে ধুমধাম করে দুর্গা পুজোর আয়োজন করা হয়। পুরাণ অনুযায়ী আজও বক্রেশ্বরে ৮ টি কুণ্ড আছে, যেখানে সারা বছর চলে উষ্ণ প্রস্রবণ। বিশ্বাস করা হয় সেখানে স্নান করলে মুক্তি মেলে নানা রোগ থেকে। পূর্ণ হয় ভক্তদের মনস্কামনা। এছাড়া মনে করা হয় গঙ্গার সমান পূর্ণতা লাভ হয় এই জলে স্নান করলে। বক্কেশ্বর এর পুরোহিতদের কাছে নানা ঋষি, মুনি ঋষি, থেকে শুরু করে পৌরাণিক কালের ঘটনাও জানা যায়।

বীরভূমের বক্কেশ্বরে রয়েছে ১০ ফুটের সামুদ্রিক শ্বেত প্রবাল।জানা যায় ১০ ফুটের সামুদ্রিক শ্বেত প্রবালের এই শিবলিঙ্গ আনা হয়েছিল ২০০৮ সালে ইতালি থেকে।এমন অভূতপূর্ব শিবলিঙ্গ রয়েছে বক্রেশ্বরে। ৫১ সতী পীঠের অন্যতম সতীপীঠ হিসেবে ধরা হয় বক্রেশ্বরকে।বছরের বিভিন্ন সময় এই পর্যটন কেন্দ্রে বহু পর্যটকদের আগমন হয়ে থাকলেও এমন অভূতপূর্ব শিবলিঙ্গ অনেকেই মিস করে যান।

বাবা বাসুদেবের শিষ্য মিস্টার পাইরাশ সামুদ্রিক এই শ্বেত প্রবালের শিবলিঙ্গ ইতালি থেকে বক্রেশ্বর মন্দিরের পাঠান। কলকাতা থেকে আগরত এক পর্যটক তিনি জানাচ্ছেন এত বড় শিবের মূর্তি কোথাও দেখা যায় না সে কারণেই বীরভূম ছুটে আসা।

Souvik Roy