নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচন চলাকালীনই আঘাত এনেছে ঘূর্ণিঝড় রিমল। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও উত্তর- পূর্বের রাজ্যগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই ঝড়ের ফলে। সেই সঙ্গে গোটা দেশকে বিপদে ফেলছে তাপপ্রবাহ। দেশের কোনও কোনও অঞ্চলের তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৫০ ডিগ্রি, তাপপ্রবাহের জেরে ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন বহু মানুষ। সেই সব নিয়েই আলোচনা হল প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতির মোকাবিলা কী ভাবে করা হবে সেই নিয়ে আলোচনা হল প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে।
জানা গিয়েছে মিজোরাম, অসম, মণিপুর, মেঘালয় এবং ত্রিপুরার বর্তমানে কী অবস্থা তা বিস্তারিত জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। ঘূর্ণিঝড়ে প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর- পূর্ব, ভূমিধসে প্রচুর মানুষের প্রাণ গিয়েছে, ভেঙে পড়েছে বহু বাড়িঘর। এই সব বিষয়ই বিস্তারিত জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। এ ছাড়াও এই বিপর্যয়ের সময় যে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্যগুলির পাশে দাঁড়িয়ে উদ্ধারকাজে সাহায্য করেছে সেই কথাও উল্লেখ করা হয়।
সভায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ঘূর্ণিঝড় রিমলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রাজ্যগুলির পাশে সর্ব শক্তি দিয়ে দাঁড়াবে কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে নির্দেশ দেন পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখতে, এবং পরিস্থিতির নিয়মিত পর্যালোচনা করে উদ্ধারকাজে সহায়তা করতে।
সেই সঙ্গে দেশ জুড়ে চলতে থাকা তাপপ্রবাহের বিষয়েও তাঁকে বিস্তারিত জানানো হয়। এ ছাড়াও আসন্ন বর্ষার জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সেই বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। সম্প্রতি গুজরাতের গেম জোনে আগুন লেগে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে সতর্ক থকারও নির্দেশ দিয়েছেন মোদি, যাতে আগুন লাগার ঘটনা আটকানো যায় এবং আগুন লাগলে দ্রুত তা নেভানো যায়।