বিজেপিতে শোরগোল

Dilip Ghosh: দিলীপের হার, ‘পদত্যাগ’ করলেন বিজেপির জেলা সভাপতি! কী বললেন তিনি? 

বর্ধমান: দিলীপ ঘোষের পরাজয়ের নৈতিক দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করলেন বিজেপির বর্ধমান জেলার সভাপতি? এমনই একটা চিঠি ভাইরাল সোস্যাল মিডিয়ায়। বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিত তা -র লেটার হেডে ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে দলের পরাজয়ের নৈতিক দায় নিয়ে আমি পদত্যাগ করছি। এই চিঠি সামনে আসার পর থেকেই দলের নিচু তলার কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলছেন, তাঁর অনেক আগেই পদত্যাগ করা উচিত ছিল।  অনেকে বলছেন, এই পদত্যাগ পত্র যত তাড়াতাড়ি গৃহীত হয় দলের তত মঙ্গল। কিন্তু এই চিঠির সত্যতা কতটা? এ ব্যাপারে কি বললেন অভিজিত তা?

বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে দিলীপ ঘোষের হারের পরই দলের জেলা সভাপতির অপসারণের দাবি তুলেছেন দলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। দিলীপ ঘোষও পরোক্ষ ভাবে পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা বলেছেন। সেই আবহে সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে এই পদত্যাগ পত্র।

আরও পড়ুন: চোখের জলে জাতীয় দলকে বিদায় জানালেন সুনীল, ভারতীয় ফুটবলে এক যুগের অবসান

এই চিঠির কপি ট্যাগ করে অনুপম হাজরা সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে লিখেছেন, যাক অন্তত এটা দেখে ভালো লাগলো যে বঙ্গ-বিজেপিতে হাতে গোনা হলেও কিছু মানুষ আছেন, যারা নিজেদের অসফলতার দায় স্বীকার করে নিয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন ! আর রাজ্যের দায়িত্ব থাকা এমন কিছু বেহায়া আছে যারা জেলায়-জেলায় কাজের মানুষের জায়গায়, নিজের কাছের অযোগ্য দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষজনকে বসিয়ে বঙ্গ বিজেপির সংগঠনকে শেষ করে দিয়ে, অধিকাংশ পুরনো সৎ বিজেপি কর্মীদের কোন-ঠাসা করে রেখে — বছরের পর বছর পদ আগলে বসে রয়েছে। কারণ পদ না থাকলে তো “সবুজ গান্ধি” পকেটে ঢুকবে না!

পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটের এই ভয়ংকর ভরাডুবির পর এই সেটিং-বাজ বেহায়াদের উচিত, অবিলম্বে পদত্যাগ করে যে সমস্ত কর্মীদের বছরের পর বছর তারা কোণঠাসা করে বসিয়ে রেখেছে, তাদের পা ধরে ক্ষমা চাওয়া!
কিন্তু এই চিঠি ফেক বলে জানিয়েছেন বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিত তা। তিনি বলেন, এই চিঠির কোনও ভিত্তি নেই। কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই চিঠি তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিয়েছে। আমি এমন কোনও চিঠি দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের কাছে পাঠাইনি।