Tag Archives: Dilip Ghosh

দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)৷ বাংলার উত্তপ্ত রাজনীতি হোক বা ভোটের আবহ, জনসংযোগ হোক বা প্রচার কিংবা নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণ, চর্চা কিংবা বিতর্ক- রাজনৈতিক উত্থানপতনে জনপ্রিয় নাম দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)৷ রাজনৈতিক গ্রাফের বিচারে তাঁর উত্থানই হয়েছে৷ ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি থেকে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি, এ তো প্রোমোশনই৷ হিসাব মতো গেরুয়া শিবিরে নাড্ডার পরেই তিনি৷ জন্ম মেদিনীপুরে৷ একদম নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী বিচার করলে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক৷ রাজনীতিতে হাতেখড়ি ১৯৮৪-এ৷ রাষ্ট্রীয় সেবক সঙ্ঘের সদস্য পদ দিয়ে৷ প্রথম থেকেই তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সক্রিয় কর্মী৷ একনিষ্ঠও বটে৷ তবে ২০০৭ পর্যন্ত আন্দামানে থেকে কাজ করেছেন৷ ২০১৬ সালে খড়গপুর সদর থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং বিধায়ক হিসাবে নির্বাচন৷ সেই সময় তাঁর বিপরীত ছিলেন জ্ঞান সিং সোহনপাল৷ ২০১৯-এ মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন দিলীপ৷

তিনি যে দলের একনিষ্ঠ কর্মী এবং সমর্থক সে প্রমাণ একাধিকবার দিয়েছেন দিলীপ৷ জেপি নাড্ডার নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি৷ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে৷

সম্প্রতি রাজ্যের বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতিতে একাধিকবার সচেতনতা প্রচার করেছেন দিলীপ৷ শুধু নিয়ম আরোপ করে কিছু হবে না, প্রয়োজন সচেতনতা৷ প্রতি সপ্তাহান্তে নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে বের হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি৷ সেই ভ্রমণে হোক বা চায়ে পে চর্চায়- বারবার তিনি বলেছেন সরকারের পক্ষে সবকিছু সম্ভব না,যদি মানুষ সচেতন না হন তাহলে দেশ থেকে অতিমারি কখনওই যাবে না৷

রাজনৈতিক মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে একাধিকবার সৌজন্য দেখিয়েছেন তিনি৷ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ সরকারের মা মারা যাওয়ার পর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানেও এসেছিলেন তিনি৷ খড়্গপুরে এসে আন্তরিকতার ফ্রেমে দেখা দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি৷

কথায় বলে, শাসন করা তারই সাজে, সোহাগ করে যে৷ দিলীপের (Dilip Ghosh) বকুনিও খেয়েছে দলের লোকেরা৷ কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন তাঁরা৷ তবে তার জন্য শুধু তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটে অনিয়মের অভিযোগ নয়, বিজেপি-র সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই দায়ী করেছেন বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি৷ ইকো পার্কে মর্নিং ওয়াক করতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘কলকাতা বা তার আশপাশের এলাকায় লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনেও আমরা ভাল কিছু করতে পারিনি৷ কারণ এই এলাকায় আমাদের সংগঠন খুবই দুর্বল৷ ফলে পুরভোটে বিরাট সাফল্য পাব, এ রকম আমরা কেউই ভাবিনি৷ আশাও করিনি খুব ভাল কিছু হবে৷’

নতুন রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর সকান্ত মজুমদারও একাধিকবার অগ্রজ দিলীপ ঘোষের প্রশংসা করেছেন৷ জানিয়েছেন প্রাক্তন রাজ্যসভাপতির পদাঙ্ক অনুসরণ করেই তিনি নিজের দায়িত্ব পালন করবেন৷ সাংবাদিক সম্মেলনে দিলীপের পাশে বসেই বলেছিলেন, দিলীপবাবু যোগ্যতম ছিলেন৷ তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তও মানতে হবে৷ শীর্ষ নেতাদের সিদ্ধান্ত মেনেছেন দিলীপও৷ শুরু থেকে জীবনের মধ্যবেলায় এসেও তিনি গেরুয়া শিবিরের প্রতিই একনিষ্ঠ৷

ভোটের দিন বর্ধমান-আসানসোলের হেভিওয়েটরা কে কী করলেন? নজরে এল দিলীপ-কীর্তির বিরল ছবিও

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, পূর্ব বর্ধমান: কেউ রইলেন বাড়িতে। কেউ জড়ালেন পুলিশের সঙ্গে বচসায়। আরেকজন আড্ডা দিলেন প্রতিপক্ষ দলের ক্যাম্পে। ভোটের দিন নানা মুডে হেভিওয়েটরা। নজরে এল বর্ধমান-দুর্গাপুরে দিলীপ-কীর্তির রাজনৈতিক সৌজন্যের ছবিও। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। এখানে হেভিওয়েট নেতাদের ভোটের দিন দেখা গেল নানা মুডে। পুলিশের সঙ্গে বচসা, ভোট দিয়ে বাড়িতে, প্রতিপক্ষের ক্যাম্পে আড্ডা। আসানসোল লোকসভার অন্তর্গত পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা। পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি এখন বিজেপির নেতা। তিনি এদিন সকালে ভোট দেন আসানসোলের ডামড়া এলাকায়।

আরও পড়ুন– রাজ্যে ফের শুষ্ক আবহাওয়া ও শুকনো গরমের দাপট বাড়বে! বৃষ্টির সামান্য পূর্বাভাস কোন কোন জেলায়? জেনে নিন

তারপর তিনি পাণ্ডবেশ্বরে ঢুকতে গেলেই তাঁর পথ আটকায় পুলিশ। পাণ্ডবেশ্বর ঢোকার মুখে হরিপুরের বহুলা মোড়ে পথ আটকালে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপির জিতেন্দ্র তিওয়ারি। শেষপর্যন্ত আসানসোলেই ফিরে আসতে হয় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। আসানসোলের আরও এক হেভিওয়েট নেতা মলয় ঘটক। রাজ্যের আইনমন্ত্রী। কয়লা কেলেঙ্কারিতে তিনি অনেকদিন ধরেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির আতস কাঁচের তলায়। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। একাধিকবার তলব করেছে ইডি। সেই মলয় ঘটক এদিন নিজের এলাকায় ভোট দিয়েই বাড়ি চলে যান। বাড়ি থেকেই খোঁজখবর নিতে থাকেন ভোটের। এদিকে তৃণমূল নেতাকে দেখা গেল বিজেপির ক্যাম্পে বসে থাকতে।

কে তিনি? ভোট চলার মাঝেই একসময় বিজেপির একটি ক্যাম্পে ঢুকে পড়েন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। খোঁজখবর নেন ভোট কেমন হচ্ছে। তারপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‘তিনি সকলেরই বিধায়ক।’’

আরও পড়ুন– প্রচণ্ড ঝড়ে উপড়ে গেল বিলবোর্ড ! মুম্বইয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১৪ জনের

আসানসোলে এবার লড়াই ছিল তৃণমূলের শত্রুঘ্ন সিনহা বনাম বিজেপির এসএস আলুওয়ালিয়ার মধ্যে। ২০১৪ ও ২০১৯ লোকসভা ভোটে আসানসোল লোকসভা আসনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন বাবুল সুপ্রিয়। পরে বাবুল ফুল বদলে তৃণমূলে। বাইশের উপ নির্বাচনে আসানসোলে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। এবারও তিনিই আসানসোলে তৃণমূলের প্রার্থী। উল্টোদিকে বিজেপির এসএস আলুওয়ালিয়া। এদিন তিনি ছিলেন হোটেলে। হোটেলের ঘরেই ওয়ার রুম। সেখানে বসেই খোঁজখবর নেন আসানসোলের পদ্ম প্রার্থী। বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে যুদ্ধের মাঝেই সৌজন্যের রাজনীতির ছবিও ধরা পড়ল।

বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির দিলীপ ঘোষ বনাম তৃণমূলের কীর্তি আজাদ। নাম ঘোষণার হওয়ার পর থেকেই দু’জনে একে অপরকে নিশানা করে বারবার সুর চড়িয়েছেন। ভোটের দিন অবশ্য দেখা গেল অন্য ছবি। মন্তেশ্বরে একে অপরের সঙ্গে দেখা হতেই হ্যান্ড শেক। কোলাকুলি। একে অপরকে বললেন বেস্ট অফ লাক। পরে সাংবাদিকদের দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘‘ওনার সাথে দেখা হল। ওনার সাথে আমার অনেক আগে থেকেই পরিচয়। বয়স হয়েছে, তাই ওনাকে বললাম রোদে ঘুরবেন না। ঘরেই থাকুন।’’ সকালে বর্ধমানের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষ রওনা হয়ে বিভিন্ন বুথে ঘুরে বেড়ান। তাঁর কনভয়ে দু দুবার হামলার অভিযোগও ওঠে। আক্রান্ত হন দিলীপ ঘোষের চারজন নিরাপত্তা রক্ষী। অভিযোগ, শাসক দলের ইট বৃষ্টিতে ভেঙে যায় নিরাপত্তা রক্ষীদের গাড়িও। কীর্তি আজাদও সোমবার ভোটের দিন বিভিন্ন বুথে বুথে ঘুরে ভোট তদারকি করেন।

Lok Sabha Election 2024: ভোট প্রচারে এসে বাংলায় কথা বললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ

পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিমবঙ্গে এসে চেনা ছন্দে মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের তুরকাতে এসে হেলিকপ্টার থেকে নেমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে হাত মেলাতে মেলাতে উঠে আসেন মঞ্চে। যেন বাংলার অতি পরিচিত মুখ। সেখানে দাঁড়িয়ে মধ্যপ্রদেশের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিপুল পরিমাণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপিকে জয়যুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

দিলীপ ঘোষের পরিবর্তে মেদিনীপুরে এবার অগ্নিমিত্রা পলকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁর‌ই সমর্থনে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পর এবার প্রচার করলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। সোমবার দুপুর কিছুটা গড়াতে তিনি আসেন দাঁতনের তুরকাতে। সেখানে অগ্নিমিত্রা পলের হয়ে প্রচার করেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন শিবরাজ সিং চৌহান। এদিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে গীতা দিয়ে বরণ করে নেন বিজেপি কর্মীরা।

আরও পড়ুন: আর পাঁচটা দিনের মত মাঠে কাজে গিয়ে বাড়ি ফেরা হল না যুবকের, বৃষ্টি আসতেই সব শেষ

বক্তব্য রাখতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের, মা-বোনেদের সম্মান রক্ষার আহ্বান জানান। বাংলায় সম্মোধন করে বক্তৃতা শুরু করেন হিন্দিভাষী শিবরাজ। কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বাংলায় জানতে চান, তাঁরা কেমন আছেন? শুধু তাই নয় বাংলার ভুয়সী প্রশংসা করেন তিনি। তিনি বলেন তিনি বাংলায় এলে আনন্দে ভরে যান।

রঞ্জন চন্দ

Dilip Ghosh: ‘হেস্তনেস্ত করে যাব!’ পথ আটকালেন তৃণমূলকর্মী, চরম হুঁশিয়ারি দিলীপের

মন্তেশ্বর: বুথ থেকে বিজেপির এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ কে ঘিরে তুমুল অশান্তি বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের মন্তেশ্বরের তুল্য গ্রামে। বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে ঘিরে বিক্ষোভ, ইট ছোড়া ও তাড়া করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। মারমুখী তৃণমূল কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত একাধিক সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী, কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে খবর পাওয়া গেছে।

সূত্রের খবর, বিজেপির বুথ এজেন্টকে মারধর করে বুথ থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল মন্তেশ্বরের শুশুনিয়া পঞ্চায়েতের এই তুল্য গ্রামের একটি বুথে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তিনি আসতেই তুমুল অশান্তি শুরু হয়ে যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের এক কর্মীকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মারধর করে  রক্তাক্ত করেছে। এরপরই ক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা দিলীপ ঘোষের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করে।

আরও পড়ুন: বীরভূমে বুথের সামনেই ভয়ঙ্কর ঘটনা, হঠাৎ অঘটন! কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের মৃত্যু

গো-ব্যাক, জয় বাংলা স্লোগানও দেওয়া হয় এই সময়। প্রার্থীকে ঘিরে রাখে বাহিনী। এ দিনের ঘটনায় দিলীপ ঘোষ পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন। লাঠি উঁচিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে। দিলীপ ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী কাউকে মারধর করেনি। তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ক্ষুব্ধ দিলীপ বলেন, গোটাটাই পরিকল্পনা করে ঘটিয়েছে৷ মেরে আমাদের বুথ এজেন্টদের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে৷ সেই খবর পেয়ে আমি এখানে এসেছি৷ পুলিশ দাঁড়িয়ে মজা দেখছিল৷ আমি এর হেস্তনেস্ত করে যাব৷

অন্যদিকে, ভোটারদের কারা টোটো করে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিয়ে যাবে, তাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা হল গলসিতে। আহত দুই তৃণমূল কর্মী।

দুর্গাপুর-বর্ধমান লোকসভার গলসি ১ নং ব্লকের জাগুলি পাড়া গ্রামে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মারধরের অভিযোগ। ঘটনায় আহত দুই টোটো চালক। একজনকে লাঠি, রড, পাথর দিয়ে ও অন্যজনকে লাঠি,ইট দিয়ে মারার অভিযোগ।

আহত টোটো চালক শেখ হাসমতের অভিযোগ, আমি রহমত মোল্লার সঙ্গে দল করি। টোটো করে ভোটারদের নিয়ে আসার সময় তাদেরকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।অন্যদিকে আরেক আহত টোটোচালক আজিজুল শেখের দাবি, ‘আমি জাকির গোষ্ঠী করি।রহমতের লোকেরা আমাকে মারধর করে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।’

Dilip Ghosh: শেষ দেখে ছাড়ব, হেস্তনেস্ত করব! হুঁশিয়ারি দিলীপের, দেখুন ভিডিও

ভোট প্রচারের মতো ভোটের দিনও বিতর্কে দিলীপ ঘোষ৷ বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে, ঝরল রক্তও৷ দিলীপের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে চলল ইটবৃষ্টি৷ অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের মারে কপাল ফাটে এক তৃণমূল কর্মীর৷ বিক্ষোভের মুখে দিলীপ ঘোষ পাল্টা হুঁশিযারি দেন, আমি এর হেস্তনেস্ত করে ছাড়ব৷ পুলিশের চোখের সামনে এসব করছে আর পুলিশ চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে৷

Dilip Ghosh: কথার লড়াই শেষ, প্রথমবার মুখোমুখি হয়েই অবাক করলেন দিলীপ-কীর্তি

মন্তেশ্বর: এ যেন উলটপূরাণ। গত একমাস ধরে দু জনের কথার লড়াই দেখেছে রাজ্যবাসী৷ ভোটের দিন অবশ্য সৌজন্যের ছবিই দেখল বর্ধমান-দুর্গাপুর৷ পরস্পরকে দেখে জড়িয়ে ধরলেন তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ ও  বিজেপির দিলীপ ঘোষ।

বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা ভারতীয় বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেট দলের প্রাক্তণ সদস্য কীর্তি আজাদ ও এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের বাকযুদ্ধ এবারের নির্বাচনে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। গত একমাস ধরে দুজনেই পরস্পরের বিরুদ্ধে সমানে বাক্যবাণ বর্ষণ করে গিয়েছেন। ভোটের ময়দানে বাকযুদ্ধ কোন পর্যায়ে যেতে পারে তা দেখিয়েছেন এই দুই প্রার্থী। সেই তাঁরাই মুখোমুখি হলেন ভোটের দিন, হল করমর্দন। চলল সৌজন্য বিনিময়।

আরও পড়ুন: বহরমপুরে ডবল হ্যাটট্রিক হবে? ভোটের দিন সকালেই হুঙ্কার অধীরের

এ দিন সকাল থেকেই নিজের লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে ছুটে বেড়ালেন দুই প্রার্থী। ভোটার ও দলীয় ভোট কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ খবর নিলেন ভোটের গতি প্রকৃতির। আর এরই ফাঁকে মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রামে সামনা সামনি দেখা হয়ে গেল যুযুধান দুই পক্ষের। তবে এই সাক্ষাৎ সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সৌজন্যের নজির বলেই জানিয়েছেন দুই প্রার্থী। গাড়ি থেকে রাস্তায় নেমে পরস্পরকে আলিঙ্গন করার পাশাপাশি কুশল বিনিময় করেন তাঁরা। পরে হাত জোর করে দুজন দুজনকে নমস্কারও জানান। আর রাজনৈতিক এই সৌজন্য আগামীদিনেও যাতে বজায় থাকে সেই প্রত্যাশাই করছেন বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের সাধারণ ভোট দাতারা।

এদিন সকালে দুর্গাপুরে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কীর্তি আজাদ। বেলার দিকে তিনি ঢোকেন পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বরে। অন্যদিকে এ দিন সকালে বর্ধমান দক্ষিণের একের পর এক বুথে ঘোরেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। বেলার দিকে তিনিও যান মন্তেশ্বরে। কুসুমগ্রামের একটি বুথের কাছে মুখোমুখি হন দুজনে। তখনই পরস্পর সৌজন্য বিনিময় করেন।

Dilip Ghosh: দিলীপকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ, পাল্টা তেড়ে গেল কেন্দ্রীয় বাহিনী! রণক্ষেত্র মন্তেশ্বর

মন্তেশ্বর: ভোট প্রচারের মতো ভোটের দিনও বিতর্কে দিলীপ ঘোষ৷ বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে, ঝরল রক্তও৷ দিলীপের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে চলল ইটবৃষ্টি৷ অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের মারে কপাল ফাটে এক তৃণমূল কর্মীর৷

সকাল থেকে মোটের উপরে রাজ্যের আটটি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চললেও এ দিন দুপুরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত মন্তেশ্বরে৷ এ দিন মন্তেশ্বরের টুল্যা গ্রামে বিজেপি-র বুথ এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে খবর পান দিলীপ ঘোষ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছন তিনি৷ সঙ্গে ছিলেন দিলীপের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা৷

দিলীপ টুল্যা গ্রামে পৌঁছনোর পরই উত্তেজনার সূত্রপাত৷ স্থানীয় তৃণমূলকর্মী এবং গ্রামবাসীদের একাংশ অভিযোগ করেন, ওই এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোটগ্রহণ চলছিল৷ বরং এলাকায় এসে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করেন দিলীপ৷ বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভও শুরু হয়৷ দেওয়া হয় গো ব্যাক স্লোগান৷

আরও পড়ুন: ভোটের সকালে তৃণমূলের ‘দরিদ্র নারায়ণ সেবা’! বীরভূমের টোকেন দেখালেই মিলছে গরমাগরম তিন পদ

অভিযোগ, তখনই দিলীপের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা গ্রামবাসীদের উপরে লাঠিচার্জ শুরু করে৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মারে এক গ্রামবাসীর কপাল ফেটে যায় বলে অভিযোগ৷ এর পরই উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়৷ আহত ওই গ্রামবাসীকে নিয়ে দিলীপের গাড়ির সামনে শুইয়ে দেন গ্রামবাসীরা৷ দিলীপ ঘোষ এবং তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানদের সঙ্গেও বিক্ষোভকারীদের বচসা শুরু হয়৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ৷

বিক্ষোভকারীদের সরাতে তৎপর হয় দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীরাও৷ দিলীপের গাড়ির সামনে থেকে আহত ব্যক্তিকে সরিয়ে বিজেপি প্রার্থীকে ওই এলাকা থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা৷ সেই সময়ই দিলীপ এবং তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্র্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করেন গ্রামবাসীরা৷ দিলীপের গাড়ি বেরিয়ে গেলেও তাঁর নিরাপত্তরা দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গাড়িতে ইট পড়ে৷ ইটের আঘাতে কাচ ভাঙে সংবাদমাধ্যমের কয়েকটি গাড়িরও৷

দিলীপ ঘোষ অবশ্য অভিযোগ করেন, নিজেদের মধ্য মারামারি করাতেই ওই তৃণমূলকর্মী আহত হন৷ গোটা ঘটনায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশনও৷

Lok Sabha elections 2024: তিন দলের তিন তারকা! চতুর্থ দফায় নিজেদেরই প্রমাণের চ্যালেঞ্জ অধীর-দিলীপ-মহুয়ার সামনে

কলকাতা: একজনের গড় রক্ষার লড়াই৷ দ্বিতীয়জনের লড়াই বহিষ্কৃত হওয়ার পর ফের সংসদে ফিরে নিজেকে প্রমাণ করার৷ আবার, তৃতীয় জনের সামনে নতুন কেন্দ্রে এসে নিজের ক্যারিশমায় ভোটে জেতার চ্যালেঞ্জ৷

পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ চতুর্থ দফা লাইভ

তিন জনই আলাদা আলাদা তিনটি দলের প্রতিনিধি হলেও চতুর্থ দফার ভোটে আজ নিজেদের প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ বাংলার তিন তারকা প্রার্থীর সামনে৷ বহরমপুরে তিনিই যে শেষ কথা, ইউসুফ পাঠানের মতো তারকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে তা প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর সামনে৷ কয়েক মাস আগে লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হওয়া মহুয়া মৈত্রও কৃষ্ণনগরে কঠিন পরীক্ষার সামনে৷

আরও পড়ুন: ‘চোর বলছেন, সার্টিফিকেট নিয়ে আসব’? অর্জুনের ব‍্যারাকপুরেই মোদিকে তোপ দাগলেন মমতা

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ যে ভোটারদের মনে প্রভাব ফেলেনি, তা প্রমাণ করতে হবে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীকে৷ আর তৃতীয় জন দিলীপ ঘোষ৷ জেতা মেদিনীপুর আসন ছেড়ে এবার দিলীপকে বর্ধমান দুর্গাপুরে পাঠিয়েছে দল৷ বিজেপির অন্দরেই কানাঘুষো, দিলীপকে এবার কঠিন পরীক্ষার ঠেলে দিয়েছে তাঁর দলই৷ তাঁর নামটাই যে যথেষ্ট, এবার বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে সেটাই বেশি করে প্রমাণের তাগিদ দিলীপের সামনে৷ ভোটের ফল পক্ষে না গেলে দলেই যে দিলীপ আরও কোণঠাসা হবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷

বাংলায় আজ আট কেন্দ্রে ভোট৷ অধীর, মহুয়া, দিলীপ ছাডা়ও আজকে বাংলার ভোটে তারকা প্রার্থী অবশ্য আরও আছেন৷ বোলপুরে শতাব্দী রায়, আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহাদের মতো প্রার্থী রয়েছেন৷ বাংলার ভোটে আজ প্রাক্তন দুই ভারতীয় ক্রিকেটারেরও সম্মানের লড়াই৷ দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বর্ধমান-দুর্গাপুরে কীর্তি আজাদকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল, অন্যদিকে অধীরের গড়ে ইউসুফ পাঠানও সব হিসেব উল্টে দিতে পারেন কি না, তা নিয়েও তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে৷

Lok Sabha Election 2024: চতুর্থ দফায় নজর কাড়বে এই জেলার ভোট, বাঙালি-অবাঙালি মিশ্রণে নির্ধারক একাধিক সমীকরণ

পশ্চিম বর্ধমান: শনিবার চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের প্রচার শেষ হলো। আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৩ মে বহরমপুর, পূর্ব বর্ধমানের আসনগুলির পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও ভোটগ্রহণ হবে। এই জেলায় আসানসোলের পাশাপাশি বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের একাংশ পড়ছে।

নির্বাচন উপলক্ষে একেবারে প্রস্তুত প্রশাসন। ফলে জেনে নেওয়া যাক পশ্চিম বর্ধমান জেলার সার্বিক ভোট প্রস্তুতির চিত্রটা কী রকম? প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ৩ হাজার ৪২৫ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫৮৩ জন। অন্যদিকে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১১ লক্ষ ২৯ হাজার ৮০২ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৪০ জন।

আর‌ও পড়ুন: সম্ভাবনা থেকেও পর্যটন মানচিত্রে নেই দাঁতন, ভোটের আগে বাংলা-ওড়িশা সীমান্তবাসীর নতুন দাবি

এই জেলায় রয়েছে দুটি লোকসভা কেন্দ্র। একটি আসানসোল, যা পুরোপুরি এই জেলার মধ্যেই অবস্থিত। অপরটি বর্ধমান-দুর্গাপুর। এই কেন্দ্রটির একাংশ পাশের জেলা পূর্ব বর্ধমানে পড়ছে। জেলায় মোট বুথের সংখ্যা ২৪৯৮ টি। ১২৭৪ জায়গায় থাকছে পোলিং স্টেশন বা ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। অন্যদিকে জেলায় ভোটারের সংখ্যার ভিত্তিতে সবচেয়ে বড় বিধানসভা কেন্দ্র আসানসোল উত্তর এবং সবথেকে ছোট পাণ্ডবেশ্বর। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নতুন ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে অনেকটা। এই ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সী ভোটারের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪৩৮ জন। যার মধ্যে ১৯,৭২৬ জন পুরুষ এবং ১৫,৭১১ জন মহিলা ভোটার। তাছাড়া রয়েছেন একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় ৮৫ বছরের বেশি বয়স্ক ভোটারে সংখ্যা ৯,১৮১ জন। বিশেষভাবে সক্ষম ভোটার আছেন ১৪,৪৫৮ জন। এই বয়স্ক ভোটার এবং বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারদের জন্য নির্বাচন কমিশন আগেই ভোটদানের ব্যবস্থা করেছিল। বাড়িতে গিয়ে এই সমস্ত ভোটারদের ভোট গ্রহণ করা হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে প্রশাসন সূত্র জানা গিয়েছে, জেলায় এমন ২৪ টি বুথ থাকবে, যেগুলির সমস্ত দায়িত্ব থাকবে মহিলা ভোট কর্মীদের উপর। সংখ্যার হিসেবে আসানসোল লোকসভায় এমন বুথের হচ্ছে ১৫ টি। অন্যদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দুর্গাপুরের দুটি বিধানসভা এলাকায় থাকছে ৯ টি মহিলা পরিচালিত বুথ।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার রয়েছে মোট ৯ টি বিধানসভা কেন্দ্র। যার মধ্যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে আসানসোল লোকসভায়। অন্যদিকে দুটি বিধানসভা অবস্থিত বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে। আসানসোল উত্তর, আসানসোল দক্ষিণ, জামুরিয়া, বারাবনি, পাণ্ডবেশ্বর, রানিগঞ্জ এবং কুলটি বিধানসভা নিয়ে গঠিত আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র। অন্যদিকে দুর্গাপুর পূর্ব এবং দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা রয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে। এই লোকসভা কেন্দ্রের আর পাঁচটি বিধানসভা রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়।

আর‌ও পড়ুন: শিক্ষকদের নিয়ে প্রচারে ঝড় তুললেন শান্তিরাম

২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র এবং বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে জিতেছিলেন বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়। অন্যদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে কান ঘেঁষে জয়ী হয়েছিলেন এস এস আলুওয়ালিয়া। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন বাবুল সুপ্রিয়। তারপর এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। তখন বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হোন বলিউড তারকা শত্রুঘ্ন সিনহা।

২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে এই দুটি আসন থেকেই লড়ছেন নজরকাড়া প্রার্থীরা। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে দিলীপ ঘোষকে। যিনি মেদিনীপুরের নিজস্ব ময়দান ছেড়ে এসে এখানে লড়াই করছেন। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছে বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদকে। তিনি আবার বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ। এই কেন্দ্রে সিপিএম বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সুকৃতি ঘোষালকে প্রার্থী করেছে। অন্যদিকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রতীকে এবারেও প্রতিদ্বন্দিতা করছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। অন্যদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র ছেড়ে আসানসোলে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন বিদায়ী সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া। এই দুই নামী প্রার্থীর বিরুদ্ধে সিপিএম প্রার্থী করেছে লড়াকু শ্রমিক নেত্রী তথা প্রাক্তন বিধায়ক জাহানারা খানকে।

নয়ন ঘোষ

Dilip Ghosh: ‘কার মাথায় বেল ভাঙব ভাবছি!’ সকাল সকাল বাজারে গিয়ে কী কিনলেন দিলীপ ঘোষ?

বর্ধমান: প্রত্যেক দিনের মতো আজও প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন  বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এ  দিন বুধবার বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলা বাজার এলাকায় প্রাতঃভ্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। প্রাতঃভ্রমণ চলাকালীন দিলীপ ঘোষকে বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলা বাজার এলাকার বিভিন্ন সবজি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়।  বিভিন্ন সবজির দাম জিজ্ঞেস করতেও দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে।

হাতে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি নাড়াচাড়া করেও দেখেন তিনি। ঝিঙে থেকে শুরু করে ক্যাপ্সিকাম, একাধিক সবজির বাজার দরও জানেন সবজি বিক্রেতাদের কাছে। তবে শুধু যে ঘুরে ঘুরে সবজি দেখেছেন, তা কিন্তু নয়। সবজির পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের দিকেও নজর দেন দিলীপ ঘোষ। বাজার থেকে বেল এবং তরমুজ কেনেন দিলীপ ঘোষ। এই বেল এবং তরমুজ কেনা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন , ‘গরমের ফল হিসেবে বেল এবং তরমুজ কিনলাম৷ যেগুলি খেলে শরীর ভাল থাকে।’ মজা করে দিলীপ আরও বলেন, ‘কার মাথায় বেল ভাঙব সেটাই ভাবছি৷’

আরও পড়ুন: ভাইপো আনন্দকে হঠাৎ দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দিলেন, ভোটের মধ্যেই মায়াবতীর সিদ্ধান্তে জোর জল্পনা

অন্যদিকে ফল কেনার পাশাপাশি কাঁচা হলুদ খেতেও দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে। এ দিন সকালে দিলীপ ঘোষ যখন বাজার পরিদর্শন করছিলেন ঠিক তখনই , তিনি লক্ষ্য করেন এক সবজি বিক্রেতার কাছে রয়েছে কাঁচা হলুদ। আর এই হলুদ দেখার পরই দিলীপ ঘোষ এক টুকরো কাঁচা হলুদ নিয়ে খেতে শুরু করেন।

কাঁচা হলুদ খেতে খেতে বাজার পরিদর্শন করতেও দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে। তবে ফল , সবজি ছাড়াও মাছের দর দাম ও বিক্রেতাদের কাছে জানেন দিলীপ ঘোষ। পরবর্তীতে প্রাতঃভ্রমণ শেষে চায়ে পে চর্চা অনুষ্ঠান যোগদান করেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Dilip Ghosh: ১৮ আসন পার করবে না তৃণমূল, দাবি দিলীপের! দেখুন ভিডিও

লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১৮টির বেশি আসন পার করতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস৷ এমনই দাবি করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ৷ তাঁর যুক্তি, ফল খারাপ হবে বুঝেই বর্ধমান এবং দুর্গাপুর এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের সময় একটানা থাকছেন৷ এ দিন প্রচার করতে বেরিয়ে বাজার থেকে ফলও কেনেন দিলীপ ঘোষ৷ বাজার করার পর মজা করে বলেন, গরমের ফল বেল এবং তরমুজ কিনলাম৷ কিন্তু কার মাথায় ভাঙব ভাবছি৷