বিতর্কিত পোস্ট বিধায়কের

Hooghly TMC: লকেটকে হারিয়ে রচনার জয়, তবু অভিমানী পোস্ট তৃণমূল বিধায়কের! কেন, কী ঘটল?

কলকাতা: লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে, হুগলি লোকসভা আসন থেকে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও লোকসভা ভোটে জয় আসলেও অভিমানী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট হুগলি লোকসভার মধ্যে পড়া বলাগড়ের বিধায়কের।

শাসক দলের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী জয়ের জন্য খুশি জানিয়েও, ভোটের কাজ থেকে দূরে থাকার বিষয়ে একটা পোস্ট করেছেন৷ তিনি যা লিখেছেন তা হল, “মাননীয়া দিদি মমতা ব্যানার্জীকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ এই জন্য যে উনি একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে ২৪শের লোক সভার নির্বাচনী লড়াই থেকে দূরে সরিয়ে রেখে ছিলেন।     দিদি জানতেন  অন্য অপর কেউ নয়, তৃনমুলকে হারিয়ে দেবে বলাগড় বিধানসভার অভিশাপ শনি রাহু কেতু-আর বিষাক্ত মা মনসা।  এটা না করে যে  তাদের আর কোন উপায় ছিলনা  । বছর বছর ধরে এরা যা অবৈধ অন্যায় উপার্জন করেছে বিজেপিকে সন্তষ্ট না করলে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে এদের তিহার না হোক আলিপুর জেলে যেতেই হতো । স্থান হোত কুন্তল শান্তনুর পাশের সেলে। তাই তাঁরা  নিজে বাঁচার জন্য- বিজেপির প্রার্থীকে জেতাবার জন্য যা যা করবার তা করেছে ।
এই দুষ্ট চতুষ্টয় বলাগড়কে জোকের মত  চুষে ছিবড়ে করে দিয়েছে । এরাই তৃনমূল দলটাকে শেষ করে দেবে সেই ষড়যন্ত্র করছে। দিদি মমতা ব্যানার্জী দুঃস্থ মানুষের জন্য ৬৩টি জনহিতকর প্রকল্প করেছেন । তা স্বত্বেও সেই মানুষ মাত্র এদের জন্যই আজ তৃনমূলের বিরুদ্ধে চলে গেছে।    এরা আমাকে সহ্য করতে পারেনা। আমি যা কাজ করি তা নিয়ে বার বার পত্র পত্রিকায় সংবাদ হয়েছে । তা নিয়ে আমি আর কিছু বলতে চাইছি না।মোদ্দা কথা এটাই আমি কোনও অন্যায় সহ্য করিনা। যে কারনে বলাগড়ে আমার নামই হয়ে গেছে এম এল এ ফাটাকেষ্ট !   আর এরা ? এদের চাকরী নেই ব্যবসা নেই, আছে শুধু পার্টি। তা দিয়েই এদের ইহ জীবনের যা কিছু সুখ ভোগ প্রাপ্তি । তাই নিয়ে এদের সঙ্গে আমার মত বিরোধ । দিদি দূরদর্শী রাজনৈতিক নেত্রী, তিনি বুঝেছিলেন, এদের কর্মকান্ডে বলাগড়ে রচনা ব্যানার্জী হেরে যাবে-! ওঁরা সেই হারের দায় দোষ সব চাপিয়ে দেবে আমার উপরে। তাই তিনি বাধ্য হয়ে বলেছিলেন আমাকে- “আপনি সরে থাকুন, ওঁদের  নির্বাচন করতে দিন”। এটা না করে তো দিদির কোনও উপায়ও ছিল না। বলাগড়ে এরা ছাড়া আর যে তেমন কোন নেতাও নেই। দীর্ঘ বছর ধরে অতি পরিকল্পিত ভাবে সৎ জনদরদী তেমন কাউকেই এরা দলের সামনের সারিতে- নেতৃত্ব পদে আসতেই দেয়নি। ভেবে দেখেছিলেন দিদি মমতা ব্যানার্জী, ওদের হাতে নির্বাচনের দায়িত্ব থাকলে দলের হার জিতের জন্য আর আমাকে দোষারোপ করতে পারবে না।  সেই জন্যই  দিদি আমাকে নির্বাচন থেকে সরে থাকার আদেশ দিয়েছিলেন। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার জন্য আমি দিদি মমতা ব্যানার্জীকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।”

আরও পড়ুন: দিলীপের হার, পদত্যাগ করলেন বিজেপির জেলা সভাপতি! কী বললেন তিনি?

প্রসঙ্গত, মনোরঞ্জন ব্যাপারীর সঙ্গে বলাগড়ের স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। সেটা মেটানোর জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব৷