Tag Archives: Hooghly news

HS Result 2024: উচ্চ মাধ্যমিকে স্নেহা ও সোহার চমৎকার, দুই যমজ বোনের কীর্তি শুনলে হাঁ হয়ে যাবেন!

হুগলি: বয়সের তফাৎ মাত্র এক মিনিট। দুই বোনই রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম ১০-এর তালিকায়। ছোট বোন স্নেহা ঘোষ স্থান অর্জন করেছেন চতুর্থ। বড় বোন সোহা ঘোষ হয়েছেন দশম। রাজ্যের মধ্যে আবার মেয়েদের পরীক্ষার্থী হিসেবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন স্নেহা। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩।

দিদি সোহার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮১। দুই জনেই দুজনেই চন্দননগর কৃষ্ণ ভাবিনী নারীশিক্ষা মন্দির স্কুলের ছাত্রী। অর্থনীতি নিয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে চায় দুই বোনই। দুই মেয়ের সাফল্যে খুশির জোয়ার চুঁচুড়ার গরবাটি ষষ্টিতলায় তাঁদের বাড়িতে। বাবা সঞ্জীব ঘোষ গুজরাতে কর্মরত। মা অন্নপূর্ণা ঘোষ একজন গৃহবধূ। দুই যমজ সন্তানের সাফল্যে উচ্ছ্বাসিত পরিবার।

আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম অভীক ভবিষ্যতে কী হতে চান? উত্তর শুনলে চমকে যাবেন

স্নেহা জানায়, ‘প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি এত ভাল রেজাল্ট হবে। পড়াশোনার জন্য কোনও নির্দিষ্ট বাঁধাধরা সময় ছিল না, যতক্ষণ ভাল লাগতো ততক্ষণই পড়াশোনা করতাম। সবথেকে বেশি ভাল লাগতো অঙ্ক করতে। টেস্টের আগে চেষ্টা করেছিলাম সিলেবাস কমপ্লিট করার। আগামী দিনে ইকোনোমিক্স পড়াশোনা করতে চাই। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। ইচ্ছে ছিল মাধ্যমিকে ভাল রেজাল্ট করার কিন্তু টিভিতে নাম না শোনায় ভেঙে পড়েছিলাম। উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল রেজাল্ট হওয়ায় এখন অনেকটাই ভাল লাগছে।’

আরও পড়ুন: জেলার জয়জয়কার! উচ্চ মাধ্যমিক ২০২৪-এ প্রথম দশে কারা? দেখুন সম্পূর্ণ মেধাতালিকা

সোহা বলেন, ‘বোনের নাম শোনার পরেই খুব আনন্দ লাগছিল। আমারও ইচ্ছে ইকোনমিক্স নিয়ে পড়াশোনা করার। পড়াশোনায় কোনও অসুবিধা হলে দু’জনেই দু’জনকে সাহায্য করতাম।’ মা অপর্ণা ঘোষ জানান, দুই মেয়ের সাফল্যে খুব আনন্দ লাগছে। দুই মেয়ে দশের মধ্যে জায়গা করে নেবে সেটা ভাবতে পারিনি। মাধ্যমিকের সময় মেয়ের ঠাকুমা আশা করেছিলেন টিভিতে তাদের নাম বলবে কিন্তু নাম না বলায় আশাহত হয়েছিলেন আজ তিনি বেঁচে নেই । তিনি থাকলে আরও ভাল হতো।

রাহী হালদার

Pandua: মাঠের উপর পড়ে ওটা কী? মৃতদেহ উদ্ধারে রহস্যের দানা বাঁধছে পান্ডুয়ায়, বিরাট অভিযোগ লকেটের

হুগলি: মৃতদেহ নিয়ে তৈরি হয়েছে তরজা। ঘটনাটি হুগলির পাণ্ডুয়ার। মঙ্গলবার সকালে পান্ডুয়ার সিমলাগড় চাপারুই-এর কাছে মাঠ থেকে উদ্ধার এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য। সকালে স্থানীয়রা মাঠের আলে মৃতদেহ পরে থাকতে দেখেন। পরনে সালোয়ার-কামিজ ছিল মহিলার। উপুড় হয়ে পরে ছিলেন তিনি।

তার একটি ব্যাগ পাশে পরে থাকতে দেখা যায়। খবর যায় পান্ডুয়া থানায়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। চিকিৎসক পরীক্ষা করে পুলিশকে জানিয়েছে বজ্রপাতের ফলে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ স্পস্ট হবে। মৃত মহিলা অজ্ঞাত পরিচয়। ঘটনার খবর পেয়ে, হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় পাণ্ডুয়া থানায় যান।

আরও পড়ুন: লাউ দিয়ে ডাল খাওয়ার বিপুল উপকারিতা, কোলেস্টেরল-রক্তচাপ কমাতে দারুণ কার্যকরী! জানুন

সেখানে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর যেখানে মৃতেদহ পরেছিল সেই মাঠে যান। গ্রামবাসীদের সঙ্গেও কথা বলেন।লকেটের দাবি, পুলিশ বলছে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ঘটনা তা নয়। মহিলার পরিচয় এখনও বের করতে পারেনি পুলিশ। মৃতদেহ কী করে আগে সরিয়ে দেবে সেই কাজ করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা স্কুলের তালিকায় রয়েছে ভারতের এই স্কুল, পড়লেই কেউ IPS-কেউ IAS অফিসার! কোন স্কুল এটি জানেন?

এটা নিছক দুর্ঘটনা নয় খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। সঠিক তদন্ত না হলে বিজেপি আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। গতকাল পান্ডুয়ার তিন্নায় বোমা ফেটে এক কিশোরের মৃত্যু ও দু’জন গুরুতর জখম হয়। এত বড় ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা কী ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সব মিলিয়ে বুধবার পান্ডুয়া থানা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি।

রাহী হালদার

Hooghly News: গরমের ছুটিতে মামারবাড়ি বেড়াতে এসে সব শেষ…! পাণ্ডুয়ায় মর্মান্তিক পরিণতি ১১-র কিশোরের

হুগলি: “তাই তাই তাই মামার বাড়ি যাই, মামার বাড়ি ভারি মজা কিল চর নাই।” এহেন আদর-আহ্লাদের জায়গা, প্রতিটি শিশুর মনের খুব কাছাকাছি থাকা জায়গা সেই মামারবাড়ি এলাকায় যে রীতিমতো বোমা থাকতে পারে, তা হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি রাজ বিশ্বাসের পরিবার। ভয়াবহ ঘটনায় ছেলের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকে কার্যত বিহ্ববল রাজের মা। সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ছেন বার বার। পান্ডুয়ার গোটা গ্রাম যেন ঢেকে রেখেছে দুঃস্বপ্নের কালো মেঘ।

বয়স মাত্র ১১ বছর। বাড়ি বর্ধমান জেলার পাল্লা রোড এলাকায়। স্কুলের গরমের ছুটি পড়ায় মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল ছোট্ট ছেলে রাজ বিশ্বাস। মাত্র ১১ বছর বয়সে তার পক্ষে বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি গোল বলের মতন দেখতে বস্তুটি তাদের খেলার নয়, ভয়ঙ্কর কিছু। স্কুলে হয়তো কাগজ জুড়ে জুড়ে গার্ডার দিয়ে বল বানিয়ে খেলেছে সহপাঠীদের সঙ্গে। সেভাবেই পুকুর পাড়ে পড়ে থাকা গোল বস্তুটিকে বল ভেবেই তা নিয়ে খেলতে গিয়ে ঘটিয়ে ফেলেছে জীবনের সবথেকে বড় ভুল। বোমার বিস্ফোরণে মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে গেল সব কিছু।

আরও পড়ুন: পাণ্ডুয়ায় বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু কিশোরের! গুরুতর জখম আরও দুই, অভিষেকের সভার আগেই বিপত্তি

মামার বাড়িতে সপ্তাহখানেক আগে, মামা মামির সঙ্গে ঘুরতে এসেছিল ছোট্ট রাজ বিশ্বাস। মামার বাড়িতে এসে সঙ্গী হয়েছিল দুজন, একজন রূপম বল্লভ ও অন্যজন সৌরভ চৌধুরী। সোমবার সকালে নিজেদের মতো খেলতে খেলতে তারা চলে এসেছিল পুকুর পাড়ে। পুকুর পাড়ে গাছের ছায়ায় বসে একসঙ্গে কত দিন তাঁরা মাছ ধরেছিল। কত মজা কত আনন্দ ছিল সেই পুকুর পড়ে। তবে এখন সেখানে পড়ে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত।

বোমার বিস্ফোরণে না ফেরায় দেশে চলে গিয়েছে রাজ। তার দুই বন্ধুর ভবিষ্যৎ কি তা নিয়েও আশঙ্কায় রয়েছে বাকিদের পরিবার। একজনের একটি পা হাটু থেকে বাদ চলে গিয়েছে বিস্ফোরণে। অন্যজনের একদিকের হাত নেই। তবে এর জন্য দায়ী কারা? ছোট্ট তিন কিশোরের দোষ তারা চিনত না কোনটা বল আর কোনটা বোমা। আর যারা এই বোমা মজুত করে রেখেছিল তাদের কি হবে? কারাই বা এই বোমা সেখানে রেখে গিয়েছিল? গোটা ঘটনায় পিছনে দায় কার?এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

রাহী হালদার

Hooghly News: রাজ্য সরকারের স্টিকার দেওয়া গাড়ি থামল সিঙ্গুরে! নাকা চেকিং করে পুলিশও আঁতকে উঠল

হুগলি: গাড়িতে লাগান রাজ্য সরকারের স্টিকার ! সেই গাড়িতেই ছিল লক্ষ লক্ষ টাকা! টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের নাকা চেকিং-এ ধরা পড়ল সেই গাড়ি। ঘটনাটি সিঙ্গুর থানা এলাকার। গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে মোট দুই লক্ষ ১৭ হাজার টাকা। গাড়িতে থাকা এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির নাম প্রীতম হালদার।

সূত্রের খবর , শুক্রবার রাতে সিঙ্গুর থানার পুলিশ শ্রীরামপুর- জাঙ্গিপাড়া রোডে ঝাঁকারী এলাকায় নাকা চেকিং পয়েন্টে চেকিং কাজ চলছিল। সেই সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে টাকা সমেত গাড়ি। গাড়িটি কোথা থেকে আসছিল, কী কারণে সেই টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? তা জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিঙ্গুর থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোলকাতা থেকে সাদা ইনোভা গাড়ি আসছিল ডানকুনির দিকে। গাড়িতে লাগানো ছিল রাজ্য সরকারের স্টিকার। গাড়িতে প্রীতম হালদার নামে এক ব্যাক্তি কয়েকটি খামে করে ৫০০ টাকার নোট নিয়ে ডানকুনির দিকে যাওয়ার সময় আটক করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী পঞ্চাশ হাজারের বেশি টাকা নিয়ে যাওয়া যাবে না। তবে আটক করা টাকার মালিক জানিয়েছে কোম্পানির শ্রমিকদের মাস মাহিনা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সিঙ্গুর থানার পুলিশ আটক করা টাকা ও গাড়ির আলাদা আলাদা কেস দায়ের করেছে।

রাহী হালদার

Hooghly News: ফিল্মি কায়দায় হাতেনাতে ধরা পড়ল ৩ দুষ্কৃতি, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার পুলিশের

হুগলি: একেবারে ফিল্মি কায়দায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ল দুষ্কৃতি। খানিকটা ‘গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর’-এর এর মতোন। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিল তিন ব্যক্তির দুষ্কৃতি দল। সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসলে তাদের ঠেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতিরা। আর সেখানেই হাতেনাতে গ্রেফতার তিন দুষ্কৃতি।

ধৃত তিন দুষ্কৃতির নাম, শেখ চাদু, শেখ মিলন, ও শেখ মনিরুল। তারা যে ডাকাতির উদ্দেশে বেরিয়েছিল তার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ তাদের থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র থেকে। তাদের কাছে উদ্ধার হয় একটি দেশি বন্দুক, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ভোজালি। ধৃত তিনজন এর আগেও দুষ্কৃতি মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। পুলিশের রেকর্ড ডায়েরি থেকে উঠে এসেছে এই তথ্য।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার গভীর রাতে পান্ডুয়ার খন্যান পূর্বপাড়া এলাকা থেকে শেখ চাঁদু, শেখ মিলন ও শেখ মনিরুল তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। তিনজনেরই বাড়ি পান্ডুয়া এলাকায়। গতকাল রাত্রে পুলিশের টহলরত ভ্যান তিন দুষ্কৃতীকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে ,এরপরে পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। বৃহস্পতিবার ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে পেশ করে পুলিশ।

রাহী হালদার

Hooghly News: হুগলির ২টি পৃথক ঘাটে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল ৩ জন  

হুগলি: গরম থেকে বাঁচতে গঙ্গায় স্নান করতে নেবে জলে তলিয়ে সলিল সমাধি তিন জনের। ঘটনাটি হুগলির দুই পৃথক জায়গার। একটি উত্তরপাড়া ও অন্যটি ত্রিবেণী। মৃত ৩ জন কেউই হুগলি জেলার বাসিন্দা নয়। ২ জন উত্তরপ্রদেশ ও একজন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার উত্তরপাড়া কলেজ ঘাটে স্নান করতে নামে চার জন। অভিমৃুন্যু শর্মা, সুমন শেখর, সুরজিৎ সিং ও অরবিন্দ কুমার। তার ভীন রাজ্যের বাসিন্দা। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ, হরিয়ানা ও দিল্লীতে বাড়ি তাদের। বেসরকারি টেলিকম সংস্থার ব্রডব্যান্ড সার্ভিসে কাজ করতে এসেছিল বলে জানা গেছে। দুপুর একটা নাগাদ ঘাটে স্নান করতে আসা বিঞ্জু সাউ বলেন, জোয়ার ছিল সে সময়। চার যুবক স্নান করতে নামে। একজনকে তলিয়ে যেতে দেখে বাকিরা বাঁচানোর চেষ্টা করে। চারজনই তলিয়ে যেতে থাকে।দুজনকে উদ্ধার করা গেলেও বাকি দুজন তলিয়ে যায়।তাদের নাম অভিমুন্যু শর্মা(২৫) ও সুমন শেখর(২৯)।

আরও পড়ুন – Severe Heatwave Alert: কলকাতা আজ ৪০ পার করবে, অনুভূতি হবে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো, প্রবল তাপপ্রবাহের জ্বালায় বাংলা সহ একাধিক রাজ্য

অন্যদিকে ত্রিবেনী রাজা ঘাটে তিন বন্ধু মিলে স্নান করতে নামে একজন তলিয়ে যায়। তার নাম দেবোত্তম সাহা(২২)। দক্ষিণ ২৪ পরগনা সোনারপুরে তার বাড়ি।মগরা জয়পুরে মাসির বাড়িতে থাকতো। মগরা বাগাটি কলেজে প্রাক্তন ছাত্র সে। খবর পেয়ে বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটে আসেন।পুলিশকে খবর দেন।

দেবোত্তমের এক বন্ধু অনির্বান বর্ধন খবর পেয়ে আসেন গঙ্গার ঘাটে। তিনি বলেন,সাইকেল করে ঘুরত দেবোত্তম। টোটো করে তিনজনে ঘাটে আসে।ছবি তুলছিল।তারপর গঙ্গায় নামে।তখন ভাঁটা ছিল।কিছুটা দূরে গিয়ে একটা গর্তে পরে আর উঠতে পারেনি। পুলিশ সূত্রে খবর তিন জনের খোঁজেই তল্লাশি শুরু হয়েছে।

Rahi Halder

Hooghly News: জুট মিলের আবারও কাজ হোক আগের মতন ! হনুমান জয়ন্তীতে প্রার্থনা শ্রমিক মহল্লার

হুগলি: বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস জুট মিল সংলগ্ন এলাকায় বহু সংখ্যক হিন্দী ভাষাভাষী মানুষের বাস। বছরের এই বিশেষ সময়ে হনুমান জয়ন্তি উপলক্ষে এলাকার মানুষজন মেতে ওঠেন উৎসবের আনন্দে। প্রায় ৭৫ বছরের পুরাতন হনুমান মন্দিরকে কেন্দ্র করেই চলে এই উৎসব। তবে উৎসবের মধ্যেও দুশ্চিন্তার আঁচ রয়েছে তাদের পরিবারের কর্তা দের কপালে।

আরও পড়ুন: বান্ধবীকে নিয়ে নৌকায় তুমুল মদ্যপান, হঠাৎ বার্জে ধাক্কা! তারপর ৬ জনের যা হল

বেশ কিছু বছর ধরে টালমাটাল অবস্থায় চলছে গ্যাঞ্জেস জুট মিল। এলাকার সমস্ত বাসিন্দারা মূলত জুটমিলারি শ্রমিক। বছরের এই সময় তাদের বাড়ি ভর্তি লোকজন। বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন তারা সকলে আসেন এই সময় একসঙ্গে আনন্দে মেতে উঠতে। এরই মধ্যে বাড়ির কর্তাদের মাথায় দুশ্চিন্তা কারণ অতিরিক্ত খরচ।বর্তমান সময়ের জুটমিলের যা অবস্থা তাতে কাজ গেছে বহু মানুষের। অনেক জুট মিলে শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে অন্যান্য ঠিকাদারি শ্রমিকের কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তবে উৎসবের দিনে ও এলাকার মানুষের গলায় জুটমিল যাতে ঠিকভাবে চলে সেই কথার  শোনা গেল।

আরও পড়ুন: লক্ষ-লক্ষ টাকার ওষুধ পুড়ে ছাই, ৪ ঘণ্টা ধরে দমকলের জোর লড়াই করেও আগুন জ্বলছে

স্থানীয় এক বাসিন্দা তিনি জানান, আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে হনুমান জয়ন্তী উৎসবের এত রমরমা ছিল না। তবে ঠাকুরের ইচ্ছায় উৎসব বৃহত্তর হয়েছে, বিপরীত দিকে কমেছে শ্রমিক মহল্লার মানুষজনের আয়। হনুমান জয়ন্তীর দিনে ভগবানের কাছে তারা প্রার্থনা করছেন আবারও যেন জুটমিল ভালোভাবে চলে। কারণ পাট কলের চাকা ঘুরলেই উনুনে হাঁড়ি চড়বে একলার মানুষের।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাহী হালদার

Heat Wave: ‘দাদা, ও দাদা…’, নেই সাড়াশব্দ, হুগলি স্টেশনে ভয়ঙ্কর ঘটনা! প্রৌঢ়ের অবস্থা দেখে ভয়ে অনেকেই

সোমনাথ ঘোষ, হুগলি: প্ল্যাটফর্মে বসেই মৃত্যু, হিট স্টোকের বলি ভবঘুরে প্রৌঢ়! হুগলি স্টেশনে ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে বেঞ্চের নীচে বসে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। স্টেশনের এক দোকানদার আকবর আলি জানিয়েছেন, শনিবার বছর পঞ্চান্নর ওই প্রৌঢ়কে হুগলি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দেখা যায়। তাঁকে কেক ও জলও দেন ওই দোকানদার।

খেয়ে বেঞ্চেই শুয়ে পড়েন ওই প্রৌঢ়। রবিবার সকালেও টিফিন দেন, কিন্তু খেতে চাননি মানুষটি। রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ বসে বসেই তাঁর প্রাণ বেরিয়ে যায়। এক রেল যাত্রী জানিয়েছেন, তিনিও কাল দেখেছেন প্রৌঢ়কে হুগলি স্টেশনে।

আরও পড়ুন: কলকাতায় ভয়ঙ্কর দৃশ্য! বহুতলের ১৪ তলা থেকে কী পড়ল ওটা! কাছে যেতেই দেখা গেল, রক্তে মাখা যুবতী!

মৃতের পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। বেশ কিছুক্ষণ ওই ব্যক্তি নড়াচড়া করছেন না দেখে স্টেশন মাস্টারকে খবর দেন প্ল্যাটফর্মের ব্যবসায়ীরা। হুগলির স্টেশন মাস্টার ব্যান্ডেলে খবর পাঠান।

ব্যান্ডেল থেকে পাঁচটা নাগাদ রেলের অ্যাডিশনাল চিফ মেডিকেল অফিসার অভিজিৎ সেনগুপ্ত আসেন। ব্যান্ডেল জিআরপি-র কর্মীরা উপস্থিত হন। চিকিৎসক প্রৌঢ়কে স্টেথোস্কোপ দিয়ে পরীক্ষা করে দেখে ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে ওই প্রৌঢ়ের, তা ময়নাতদন্তে স্পষ্ট হবে।

CPIM: ‘দিনটা ভুলব না’, সামনে CPIM প্রার্থী, হাউহাউ করে কান্না মহিলার! যা ঘটল, অবাক করার মতো

সোমনাথ ঘোষ, জিরাট: রবিবাসরীয় প্রচারে হুগলির বাম প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ বলাগড়ের চাঁদরা থেকে খালপার মিলনগড় হয়ে দক্ষিণ মিলনগড় জিরাট হাটতলায় শেষ করেন প্রথম পর্যায়ে প্রচার। দক্ষিণ মিলনগড়ের বাম কর্মী সুনীল হালদারের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করেন মনোদীপ। সুনীল প্রান্তিক চাষী।

মুলি বাঁশের বেড়ার ঘরে বসবাস করেন। পাটকাঠির ঘেরা রান্না ঘরে কাঠের উনুনে রান্না করেন সুনীলের স্ত্রী সরস্বতী হালদার। পরিপাটি করে খেতে দেন বাম প্রার্থীকে। টকের ডাল, আলু ভাজা, ডিমের ডালনা দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন করেন। লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তাঁর বাড়িতে খেলেন এই আনন্দে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন সরস্বতী। বলেন, ”আমি খুশি, উনি আমার বাড়িতে খেলেন। এই দিনটা ভুলব না।”

আরও পড়ুন: রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় রেড অ্যালার্ট! চলবে তাপপ্রবাহ! বৃষ্টির দিনক্ষণও জানাল হাওয়া অফিস

ওই পরিবারের আপ্যায়নে খুশি হন মনোদীপও। বাম প্রার্থী বলেন, ”এই প্রচন্ড গরমেও প্রচারে ভাল সাড়া মিলছে।” যে বাড়িতে তিনি খাওয়া দাওয়া করলেন সেই পরিবার একেবারেই প্রান্তিক। বাম প্রার্থীর কথায়, ”সব দিক থেকেই ওই পরিবার বঞ্চিত। রান্নার গ্যাস নেই, আবাসের ঘর পাননি, একশ দিনের কাজ বন্ধ, তাই আর্থিক কষ্টে চলছে। সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপনে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। অথচ প্রকৃত উপভোক্তারা কিছু পান না।

Lok Sabha Election 2024: বিয়ের পিড়ি ছেড়ে রচনার কাছে ছুটে এলেন হবু বধু, ব্যাপারটা কি! জানলে আঁতকে উঠবেন

হুগলি: নির্বাচন উৎসবকে পাখির চোখ করে ময়দানে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। জনসংযোগ ও প্রচারে বিন্দুমাত্র জায়গা ছাড়ছে না কেউ কাউকে। এরই মধ্যে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের তারকা প্রার্থীর রচনা ব্যানার্জি যখনই প্রচার বেরোচ্ছেন তখনই হৈচৈ শুরু হয়ে যাচ্ছে যেখানে তিনি প্রচার করছেন সেই জায়গায়। সেই মতনই শনিবার প্রচার ও জনসংযোগ করতে বেরিয়ে বিয়ের আমন্ত্রণ পেলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঘটনাটি বলাগরের একতারপুরের। সেই সময় একতারপুরে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। পাত্রী পক্ষ ইয়াসমিন সুলতানার বিয়ে রয়েছে। বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়েছে হালাইকাররা সেই সময় বিরিয়ানি রান্না করতে ব্যস্ত। এমন সময় মাইক বাজতে শুরু করল গ্রামে এসেছেন দিদি নম্বর ওয়ান রচনা ব্যানার্জি। অমনি এক ছুটে হবু বউ দৌড়ে চলে এলেন রাস্তায়, দিদি নম্বর ওয়ান-কে দেখার জন্য।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

রচনা ব্যানার্জি জনসংযোগের সঙ্গে কথা বলেন নববধূর সঙ্গে। হবু কনে তখন ও সাজ গোজ করে উঠেতে পারেনি তাই রচনা বলেন বিয়ের দিনে তাড়াতাড়ি সেজে নিতে নাহলে বড় এসে দেখে দুঃখ পাবে। একইসঙ্গে নিজের হাতে থাকা একটি গোলাপ ফুল তিনি তুলে দেন ইয়াসমিনের হাতে। ইয়াসমিনের বাড়ির তরফেও নিমন্ত্রণ জানানো হয় রচনাকে তার বাড়িতে আসার জন্য। যদিও ব্যস্ততম দিনে প্রচার থাকার জন্য রচনা বিয়ে বাড়িতে আসতে পারেননি ঠিকই তবে বিয়ে বাড়ির বিরিয়ানির গন্ধ যে রচনাকে আকৃষ্ট করেছিল তা ফুটে উঠেছে তার কথার মধ্যে দিয়ে।

এই বিষয়ে রচনা জানান, একটি বিয়ে বাড়ি থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয় তাঁকে। বিরিয়ানি খাওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। কিন্তু, প্রচারে যেতে হবে। তাই এই যাত্রায় আর বিরিয়ানি খাওয়া তাঁর হয়ে ওঠেনি। এদিকে বিরিয়ানি না খেলেও পাত্রীকে আশীর্বাদ করেছেন তিনি। বিয়ের পাত্রী ইয়াসমীন সুলতানা বলেন, ‘রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে প্রচার করছিলেন। সেই সময় বিয়ে বাড়ি দেখে রচনাদি জানতে চান কার বিয়ে? সেই সময় বাড়ির লোক আমাকে ডেকে নিয়ে আসেন। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে গোলাপ ফুল দিয়ে আশীর্বাদ করেন। খাবারের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু, প্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। তবে পরে এসে খেয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

রাহী হালদার