হুগলি: বয়সের তফাৎ মাত্র এক মিনিট। দুই বোনই রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম ১০-এর তালিকায়। ছোট বোন স্নেহা ঘোষ স্থান অর্জন করেছেন চতুর্থ। বড় বোন সোহা ঘোষ হয়েছেন দশম। রাজ্যের মধ্যে আবার মেয়েদের পরীক্ষার্থী হিসেবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন স্নেহা। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩।
দিদি সোহার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮১। দুই জনেই দুজনেই চন্দননগর কৃষ্ণ ভাবিনী নারীশিক্ষা মন্দির স্কুলের ছাত্রী। অর্থনীতি নিয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে চায় দুই বোনই। দুই মেয়ের সাফল্যে খুশির জোয়ার চুঁচুড়ার গরবাটি ষষ্টিতলায় তাঁদের বাড়িতে। বাবা সঞ্জীব ঘোষ গুজরাতে কর্মরত। মা অন্নপূর্ণা ঘোষ একজন গৃহবধূ। দুই যমজ সন্তানের সাফল্যে উচ্ছ্বাসিত পরিবার।
আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম অভীক ভবিষ্যতে কী হতে চান? উত্তর শুনলে চমকে যাবেন
স্নেহা জানায়, ‘প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি এত ভাল রেজাল্ট হবে। পড়াশোনার জন্য কোনও নির্দিষ্ট বাঁধাধরা সময় ছিল না, যতক্ষণ ভাল লাগতো ততক্ষণই পড়াশোনা করতাম। সবথেকে বেশি ভাল লাগতো অঙ্ক করতে। টেস্টের আগে চেষ্টা করেছিলাম সিলেবাস কমপ্লিট করার। আগামী দিনে ইকোনোমিক্স পড়াশোনা করতে চাই। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। ইচ্ছে ছিল মাধ্যমিকে ভাল রেজাল্ট করার কিন্তু টিভিতে নাম না শোনায় ভেঙে পড়েছিলাম। উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল রেজাল্ট হওয়ায় এখন অনেকটাই ভাল লাগছে।’
আরও পড়ুন: জেলার জয়জয়কার! উচ্চ মাধ্যমিক ২০২৪-এ প্রথম দশে কারা? দেখুন সম্পূর্ণ মেধাতালিকা
সোহা বলেন, ‘বোনের নাম শোনার পরেই খুব আনন্দ লাগছিল। আমারও ইচ্ছে ইকোনমিক্স নিয়ে পড়াশোনা করার। পড়াশোনায় কোনও অসুবিধা হলে দু’জনেই দু’জনকে সাহায্য করতাম।’ মা অপর্ণা ঘোষ জানান, দুই মেয়ের সাফল্যে খুব আনন্দ লাগছে। দুই মেয়ে দশের মধ্যে জায়গা করে নেবে সেটা ভাবতে পারিনি। মাধ্যমিকের সময় মেয়ের ঠাকুমা আশা করেছিলেন টিভিতে তাদের নাম বলবে কিন্তু নাম না বলায় আশাহত হয়েছিলেন আজ তিনি বেঁচে নেই । তিনি থাকলে আরও ভাল হতো।
রাহী হালদার