পশ্চিম বর্ধমান, ব্যবসা-বাণিজ্য Money Making Tips: কয়েক মাসেই মালামাল! সামান্য জায়গা আর পুঁজিতে শুরু করুন এই ব্যবসা, রাজা হয়ে উঠবেন Gallery June 8, 2024 Bangla Digital Desk *ধান, আলু ইত্যাদি চাষ করতে যতটা খরচ হয় বা যতটা পরিশ্রম করতে হয়, সেই তুলনায় লাভ হয় না কিছুই। তাই বিকল্প চাষের পরিকল্পনা করেছিলেন শেখ স্বপন। আর তাতেই বাজিমাত করেছেন তিনি। ঘরে তুলছেন দ্বিগুণ লাভ। অথচ পরিশ্রম অনেক কম। এলাকার চাষিদের রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রতীকী ছবি। *স্বপন বাবু শুরু করেছেন সূর্যমুখী ফুলের চাষ। বিগত বছরে প্রথমবার তিনি সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছিলেন। সেখানে দারুণ সাফল্য পেয়েছিলেন তিনি। তাই দ্বিতীয়বারে আরও বেশি জায়গা নিয়ে চাষ করেছিলেন সূর্যমুখী ফুল। প্রতীকী ছবি। *এবারেও যে পরিমাণ ফসল হয়েছে, তাতে দ্বিগুণের বেশি লাভের আশা করছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ফসল ঘরে তোলা হয়েছে। সেখান থেকে চলছে বীজ সংগ্রহের কাজ। প্রতীকী ছবি। *বুদবুদ এলাকার বাসিন্দা শেখ স্বপন। তিনি জানিয়েছেন, এখন ধান, আলু ইত্যাদি চাষ করে সেই অর্থে লাভ হয় না। কিন্তু তিনি দীর্ঘদিনের কৃষক। তাই বিকল্প হিসেবে সূর্যমুখী ফুল চাষ করেছিলেন। যখন তার প্রতিবেশী কৃষকদের মাঠে সবুজ ধান শোভা পাচ্ছিল, সেখানেই স্বপনের মাঠে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল সূর্যমুখী ফুল। সেই শোভাও অনবদ্য ছিল। ফুল শুকিয়ে যাওয়ার পর সেগুলিকে ঘরে তুলেছেন তিনি। আর সেখান থেকেই চলছে বীজ সংগ্রহের কাজ। প্রতীকী ছবি। *কৃষক জানিয়েছেন, চলতি বছর এক হেক্টর জমিতে তিনি সূর্যমুখী চাষ করেছিলেন। বিঘা প্রতি ২ কুইন্টাল করে ফসল পাওয়া যায় বলে তিনি জানিয়েছেন। এ বছর তার সূর্যমুখী ফুল চাষের জন্য ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতীকী ছবি। *কিন্তু ফসল বিক্রি করার পর দ্বিগুনের বেশি লাভ হবে বলে তিনি আসা প্রকাশ করেছেন। আবার এই ফসল সরাসরি শেওড়াফুলির বাজারে চলে যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। ফলে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতেও তাকে বিশেষ ঝামেলা পোহাতে হবে না। প্রতীকী ছবি। *স্বপন জানিয়েছেন, এই সূর্যমুখী ফুল চাষ করতে গেলে বীজ আনতে হয় বাইরে থেকে। তিনি বেনারস থেকে বীজ নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন। সেখানে ফোনে মাধ্যমে অর্ডার দিলে বীজ সরাসরি বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রতীকী ছবি। *স্বপন জানিয়েছেন, সূর্যমুখী ফুল চাষ করতে গেলে বিশেষ কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। ধান চাষের মত প্রায় একই এই ফুল চাষের প্রক্রিয়া। প্রতীকী ছবি।