বিনোদন Guess the Celebrity: অভাগা অভিনেত্রী…! ২৫ বছরে স্বামীর মৃত্যুর পর আত্মহত্যার চেষ্টা! তিনবার বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে প্রেম, বিয়ে করতে গিয়েই… Gallery June 9, 2024 Bangla Digital Desk তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন জানার জন্য ভক্তরা সর্বদাই মুখিয়ে থাকেন৷ আজ এমন একজন অভিনেত্রীর কথা বলছি তিনি তাঁর প্রথম বিয়ের পর চলচ্চিত্র থেকে দূরে ছিলেন৷ মাত্র ২৫ বছর বয়সেই স্বামীর মৃত্যুর পর ফের চলচ্চিত্র ফিরে আসেন৷ সৌন্দর্য থেকে অভিনয় দিয়ে কোটি কোটি দর্শকদের মন জয় করা সুন্দরী অভিনেত্রী। কিন্তু, তাঁর জীবন ছিল চরম দুঃখের। মাত্র ২৪ বছর বয়সে বিয়ে করে স্বামীর সঙ্গে খুবই খুশি ছিলেন তিনি৷ কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর মানুষের কটুক্তিতে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল অভিনেত্রীর৷ এমনকী আত্মহত্যারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷ নিজেকে বাঁচাতে ফের চলচ্চিত্রে ফিরে আসেন এবং সিনেমা করতে গিয়েই আবারও এক অভিনেতার প্রেমে পড়েন। এই অভিনেত্রী হলেন লীনা চন্দভারকর৷ যিনি একজন অভিনেতা এবং গায়ককে তার মন দিয়েছিলেন যিনি তিনবার বিয়ে করেছেন ৷ ষাট থেকে সত্তরের দশকের বিখ্যাত অভিনেত্রী লীনা চন্দভারকর সেই সময় থেকে আজ অবধি তার প্রেমের গল্পের জন্য শিরোনামে রয়েছেন। প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর লীনা চন্দভারকর কিশোর কুমারের প্রেমে পড়েন। লীনা ও কিশোরের বিয়ে ছিল অন্যতম জনপ্রিয় বিয়ে। কিশোর কুমার ইতিমধ্যেই তিনবার বিয়ে করেছিলেন এবং এটি ছিল লীনার দ্বিতীয় বিয়ে। লীনা তার চেয়ে ২০ বছরের ছোট ছিল৷ লীনা চন্দভারকর প্রথম থেকেই গ্ল্যামারাস জগতের দিকে ঝুঁকে ছিলেন। তিনি প্রথমে মডেলিং শুরু করেন এবং তারপর ফিল্মফেয়ার আয়োজিত ফ্রেশ ফেস বিউটি কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেন। এই প্রতিযোগিতায় লীনা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। ১৮ বছর বয়সে তিনি বিজ্ঞাপনে কাজ পেতে শুরু করেন। ১৯৬৮ সালে ‘মন কা মিট’ চলচ্চিত্রে লীনার অভিষেক ঘটে। এই ছবিতে সুনীল দত্তের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল লীনাকে। এই ছবি দিয়ে রাতারাতি সুপারস্টার হয়ে যান এই অভিনেত্রী। লীনা চন্দভারকর মাত্র ২৪ বছর বয়সে সিদ্ধার্থ বন্দোদকরকে বিয়ে করেন। সিদ্ধার্থের পরিবার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল, বিয়ের পর লীনা চলচ্চিত্র ছেড়ে দেন। বিয়ের মাত্র ১১ দিন পরেই লীনা চন্দভারকরের জীবনে ভূমিকম্প হয়। বন্দুক পরিষ্কার করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন তার স্বামী সিদ্ধার্থ। এই দুর্ঘটনার পর সিদ্ধার্থকে অনেক চিকিৎসা করানো হলেও সিদ্ধার্থ মারা যায়। স্বামীর মৃত্যুর পর লীনা তার পরিবারের সঙ্গে থাকতে শুরু করলেও এ সময় লোকজন তাকে কটূক্তি করত এবং স্বামীর মৃত্যুর কারণ বলে। এসব কটূক্তি শুনে লীনা একবার আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন। তারপর চলচ্চিত্রে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ‘পেয়ার আজনবি হ্যায়’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন লীনা ও কিশোর কুমার। এই ছবির শুটিং চলাকালীন দু’জনেই একে অপরের কাছাকাছি আসেন। কিশোর কুমারের প্রস্তাব দেওয়ার আগে, লীনা খুব খারাপ পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। ব্যক্তিগত জীবনের কারণে, তিনি তার কেরিয়ারে খুব বেশি মনোযোগ দিতে পারেননি । একদিন কিশোর কুমার লীনাকে বললেন, ‘তুমি যদি জীবনে থিতু হতে চাও, তাহলে সে প্রস্তাব নিয়ে প্রস্তুত’। কিশোর কুমার যেভাবে বলেছিলেন লীনা বুঝতে পারেননি। কিশোর কুমার স্পষ্টই বলেছিলেন যে তিনি তাকে বিয়ে করতে চান। লীনা এই কথা শুনে হতবাক হয়ে যান এবং তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। তারপর এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয় যে, লীনার পরিবারের সদস্যরাও তাকে এই অবস্থার জন্য দায়ী বলে মনে করেন। একদিন মুম্বইয়ের রাস্তায় কিশোর কুমারের প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে ফের কিশোর কুমারকে ডেকে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আজও যদি তার প্রস্তাব প্রস্তুত থাকে তবে তার দিক থেকে হ্যাঁ। এ কথা শুনে কিশোর কুমারও সঙ্গে সঙ্গে হ্যাঁ বলে দেন। লীনার পরিবার যখন জানতে পারে তাদের মেয়ে কিশোর কুমারকে বিয়ে করতে চলেছে, তখন তারা ব্যাপক ঝামেলা শুরু করে। তিনি লীনাকে অনেক বুঝিয়েছিলেন এবং এমনকি তাকে বলেছিলেন যে তিনি চাইলে অমিত কুমারকে বিয়ে করতে পারেন, কিন্তু কিশোর কুমারকে বিয়ে করতে পারবেন না। বাবা-মা তাদের মেয়ের দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানতে পেরে রেগে গিয়ে মুম্বই ছাড়তে চান। কিশোর কুমার চাননি তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার কারণে মুম্বই ছেড়ে চলে যাক। তারপর তিনি লীনাকে তার বাবা-মায়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে উচ্চস্বরে গাইতে শুরু করেন এবং এই গান শোনার পর রাগ গলে জল হয়ে যায় এবং তাদের সম্পর্ক মেনে নেয় পরিবার৷