মন্ত্রী হচ্ছেন সুকান্ত ও শান্তনু

Sukanta Majumdar Santanu Thakur BJP: তৃতীয় ‘টিম মোদি’-র মন্ত্রী হচ্ছেন সুকান্ত-শান্তনু, বদলাবে রাজ্য বিজেপির সভাপতি? তুমুল জল্পনা শুরু

নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদির তৃতীয়বারের মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে কতজন ঠাঁই পাবেন? রবিবার নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার শপথগ্রহণের আগে এখন এটাই সবচেয়ে বেশি আলোচ্য। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রে গিয়েছেন বাংলার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও শান্তনু ঠাকুর। চা চক্রের কিছুক্ষণ আগে ফোন করে ডাকা হয় সুকান্তকে।

ইতিমধ্যেই সুকান্ত মজুমদার রাজধানীতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলার মন্ত্রী ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুলেছেন। লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির আসন সংখ্যা কমেছে ১৮ থেকে ১২। তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতেও যে বাংলা থেকে প্রতিনিধিত্ব কমে আসবে সেটা হওয়া মোটামুটি ঠিক।

আরও পড়ুন: পড়াশোনায় আর বাধা নয়, মেধাশ্রী প্রকল্পে টাকা পাবেন পড়ুায়ারা! কত টাকা-কীভাবে আবেদন? জানুন

সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘ধন্যবাদ জানাই। আমি পার্টির সৈনিক। পার্টি যেরকম দায়িত্ব দেবে সেটা সামলাব। যে দফতরের দায়িত্ব দেবেন সামলাব। আমার জেলা থেকে এই প্রথম কেউ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হচ্ছেন। আপাতত আমি এবং শান্তনু ঠাকুর মন্ত্রী হচ্ছি। উনিও এমওএস। সভাপতির পদের বিষয়ে দল যা নির্দেশ দেবে তা পালন করব। প্রধানমন্ত্রী যেখানে কাজের দায়িত্ব দেবেন, তা পালন করব।’

আরও পড়ুন: সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকায় নজরকাড়া সাফল্য বাঙালির, বাংলার রূপায়ণের নম্বর শুনলে বিশ্বাস করতে পারবেন না!

অর্থাৎ সুকান্তের মন্তব্যেই স্পষ্ট, বাংলা থেকে দুই মন্ত্রী হচ্ছেন সুকান্ত, শান্তনু। মোদির শপথগ্রহণে তৃণমূলের অনুপস্থিতি নিয়ে এদিন সুকান্তর কটাক্ষ, ‘তৃণমূল কোনও শুভ জিনিসে থাকে না। ভাঙচুর করতে বলুন, গঠন মূলক কার্যকলাপে তৃণমূলকে পাবেন না।’ এরই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বিজেপির রাজ্য সভাপতি থাকছেন না সুকান্ত মজুমদার? এ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেছেন, ‘দল যা ঠিক করবে তা হবে, তবে সাধারণত একজন ব্যক্তি দুটো পদে থাকেন না।’ তাহলে কি এবার বদলাতে চলেছে বঙ্গ বিজেপির সভাপতিও? কারণ বিজেপিতে সাধারণভাবে এক পদে এক ব্যক্তিরই রীতি রয়েছে। ফলে সুকান্ত মন্ত্রী হলে তিনিই সভাপতি থাকবেন কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য