Kolkata metro

Kolkata Metro: কলকাতা মেট্রোয় চালু হচ্ছে অত্যাধুনিক সিস্টেম! যাত্রী পরিষেবায় বড় উদ্যোগ রেলের

কলকাতা: মাঝে মধ্যেই বিদ্যুতের সমস্যায় হোঁচট খেতে হয় কলকাতা মেট্রো রেলকে। নানা জায়গায় বিদ্যুৎ ট্রিপ করে যাওয়ায় গতি থমকে যায় মেট্রোর। পরিষেবা বিঘ্নিত হয়৷ এছাড়া গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে সমস্যায় পড়তে হতে পারে মেট্রোকে। এবার তার জন্য চালু হচ্ছে অত্যাধুনিক পরিষেবা।

বর্তমানে শুধুমাত্র দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ নয়৷ জোকা থেকে মাঝেরহাট, সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ, এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান, কবি সুভাষ থেকে রুবি অবধি মেট্রো চলাচল করে৷ এই অবস্থায় সম্পূর্ণ ভাবে মেট্রো নেটওয়ার্কের পরিষেবা যথাযথ রাখতে একাধিক পরিকল্পনা নিচ্ছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ৷

আরও পড়ুন: আর মাত্র কিছুক্ষণ…! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টি-দমকা হাওয়া কাঁপাবে উত্তরের ৭ জেলা! কী পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে? সতর্ক করল আলিপুর

বিদ্যুৎ বিপর্যয় রুখতেই, জুন মাসেই তাইওয়ানের একটি সংস্থাকে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। চুক্তির শর্ত মেনে ওই সংস্থা দেশেই লিথিয়াম আয়রন ব্যাটারি উৎপাদন করবে। ওই পরিকল্পনার আওতায় প্রথম ধাপে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর সেন্ট্রাল স্টেশনে প্রথম ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম (বিইএসএস) তৈরির কাজে হাত দিচ্ছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

মোট চারটি বিইএসএস তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারি এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইনভার্টারের সমন্বয়ে মেট্রোর ওই বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। প্রসঙ্গত, লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির তুলনায় লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারিতে ক্ষতিকারক রাসায়নিকের পরিমাণ কম থাকায় ওই ব্যাটারিকে তুলনামূলক ভাবে পরিবেশ বান্ধব মনে করা হয়। নতুন ব্যবস্থায়, সেন্ট্রাল স্টেশনে একটি ৬.৪ মেগাওয়াটের শক্তি সঞ্চয় এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। গ্রিড বিপর্যয়ের মতো বড়সড় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতে ওই ব্যবস্থা থেকে বিদ্যুতের জোগান মিলবে। সে ক্ষেত্রে সুড়ঙ্গের মধ্যে কোনও ট্রেন থমকে গেলে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে ওই ট্রেন চালিয়ে পরের স্টেশনে যাত্রীদের পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।

মেট্রো কর্তাদের আশা, চাহিদার সময়ে বিদ্যুৎ না কিনে ব্যাটারি থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে খরচের একাংশও তাঁরা সাশ্রয় করতে পারবেন।­ কারণ বিদ্যুতের খরচ বিপুল। খরচ কমাতে সোলারের ব্যবস্থা আগেই নিয়েছিল কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ৷ এবার এই ব্যবস্থাও বিকল্প হিসাবে থাকছে৷