দক্ষিণ দিনাজপুর : সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন এমন সংবাদ জেলাতে চাউর হতেই দলীয় কর্মী সমর্থকরা একদিকে যেমন আনন্দে মেতে উঠলেন, অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদারের মায়ের মুখে শোনা গেল একটু ভিন্ন সুর। কী বললেন সুকান্ত মজুমদারের মা?
তাঁর কথায়, “ছেলেকে পূর্ণ মন্ত্রী করলে আরও বেশি ভাল হত।” তবে একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ অন্যান্য নেতৃত্বদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর ছেলেকে এই জায়গায় যোগ্য ভাবার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি সাংসদ এবং রাজ্য সভাপতি হিসেবে ছেলে সাধারণ মানুষদের পাশে থেকে যে ভাবে দিনরাত পরিশ্রম করেছে আগামী দিনে মন্ত্রী হিসেবে এর থেকে আরও অনেক ভাল পরিষেবা দেবেন বলে জানান সুকান্তবাবুর মা।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার ৭৭ বছর পর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হবার খবর চাউর হতেই খুশির হাওয়া বয়ে যায় জেলা জুড়ে। বালুরঘাট থেকে দ্বিতীয় বারের সাংসদ সুকান্ত। তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ নরেন্দ্র মোদির। তার আগে দিল্লিতে তাঁর বাসভবনের চা-চক্রে যোগ দেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরপর রবিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মোদি। তিনি সহ মোট ৭১ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। এরমধ্যে ৩০ জন পূর্ণমন্ত্রী, ৩৬ জন প্রতিমন্ত্রী, ৫ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হবে। তবে কে কোন মন্ত্রকের দায়িত্ব নিচ্ছেন তা এখনও বণ্টন হয়নি।
মোদির মন্ত্রিসভায় এবার বঙ্গ বিজেপি থেকে জায়গা পাচ্ছেন বালুরঘাট থেকে সম্প্রতি জয়লাভ করা সুকান্ত মজুমদার। বাঙালিয়ানায় ভরপুর ধুতি-পাঞ্জাবি পড়ে বাঙালির একেবারে নিজস্ব পোশাকে বাংলার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে দেখা যায় শপথ মঞ্চে। কেন্দ্রে এবার মন্ত্রী হিসেবে দেখা যাবে তাঁকে। যা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যের বকেয়া টাকা নিয়ে বার বার হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গিয়েছে সুকান্তকে। তাই সুকান্ত কেন্দ্রে মন্ত্রী হলে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর সমীকরণ কী হয় সেদিকেও তাকিয়ে সকলে।
এদিন সুকান্ত মজুমদার দিল্লি থেকে জানিয়েছেন, “জেলার উন্নয়নের জন্য তিনি আরও কাজ করবেন, পাশাপাশি জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে অত্যাধুনিক মানে করবার ক্ষেত্রে তিনি অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করবেন।”
সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হবার খবর জানার পরেই এদিন বিকেল থেকে জেলা বিজেপি কার্যালয়ের সামনে প্রচুর কর্মী সমর্থকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এরপর জেলা কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য বিজয় যাত্রার আয়োজন করা হয়। সেটি গোটা বালুরঘাট শহর পরিক্রমা করে। এদিন কর্মী সমর্থকরা নিজেদের মধ্যে গেরুয়া আবির খেলার পাশাপাশি পথ চলতি মানুষদের আবির দেন ও মিষ্টিমুখ করানো হয়।
সুস্মিতা গোস্বামী