দুর্গাপুর : কথাতেই আছে জামাই আদর। আর তা যদি হয় জামাইষষ্ঠী, তাহলে তো কোনও কথাই নেই। আগামী বুধবার পালিত হবে জামাইষষ্ঠী ব্রত।রাজ্যের প্রায় প্রতিটি ঘরে হবে জামাই বরণ। তার আগে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। জামাই বরণের পাশাপাশি থালা সাজিয়ে তাকে খেতে দেওয়ার রীতি রয়েছে। তার সামনে তুলে ধরা হয় বিভিন্নরকম ফল।
কিন্তু সেখানেই এবার ছ্যাঁকা খাচ্ছেন শ্বশুররা। জামাই আপ্যায়নে অবশ্যই তার পাতে থাকে আম। কিন্তু এবার সেই আম কিনতে গিয়েই রীতিমত ধাক্কা খেতে হচ্ছে পরিবারের কর্তাদের। কারণ জামাইষষ্ঠীর আগে আমের দাম যেন আগুন। অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে আম। মনের মত আম কিনতে গেলে আরও বেশি খরচ করতে হচ্ছে। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের আম যেভাবে অন্য বছর পাওয়া যায়, এবারে সেই ভ্যারাইটিও অনেক কম।
ল্যাংড়া, হিমসাগরের মত কয়েকটি আমে মন ভরাতে হচ্ছে সকলকে। কিন্তু কেন এত বেশি দাম? বিক্রেতারা বলছেন, কোনও বছর আমের জোগান বেশি থাকে, আবার কোনও বছর থাকে কম। এ বছর আমের জোগান অনেকটাই কম। কারণ আমের ফলন কম হয়েছে। তাছাড়া গরমের কারণে আমের মুকুল ঝরে গিয়েছে। যার ফলে বাংলা জুড়ে আমের ফলন কম হয়েছে। কম হয়েছে অন্যান্য রাজ্য। যে কারণে ভাটা পড়েছে।
তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই দাম বেড়েছে। আর যেহেতু জামাইষষ্ঠীর আগে আমের চাহিদা বেড়েছে, তাই দাম আরও কিছুটা বেড়েছে। এছাড়াও বিক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য বিভিন্ন জাতের আম বাজারে পাওয়া গেলেও, চলতি বছরে ল্যাংড়া, হিমসাগরের মতো কয়েকটি জাতের আম পাওয়া যাচ্ছে। ১০০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিভিন্ন আম বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারাও বিক্রেতাদের সঙ্গে বেশি দরদাম করছেন না। কারণ আমের জোগানে যে ভাটা রয়েছে, তা ক্রেতারাও ভালই বুঝতে পারছেন। তাই খুব বেশি দরদাম না করে আম কিনছেন তারা। তবে জামাইষষ্ঠীর আগে আমের এতো বেশি দাম থাকায় ছ্যাঁকা খাচ্ছেন শ্বশুররা। একইভাবে দাম বেশি রয়েছে লিচুরও। তাছাড়াও লিচুর জোগান সামনের সপ্তাহ থেকেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাদের মধ্যে। যে কারণে লিচুর দাম জামাইষষ্ঠীর আগে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
Nayan Ghosh