বাংলার উত্তরবঙ্গে তোলপাড় করা বৃষ্টি চলছেই৷ এর পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতেও শুরু হয়ে গেছে ৷ কলকাতা , হুগলি, হাওড়া বাদে সবকটি জেলাতেই ঝড়-বৃ্ষ্টির পরিস্থিতি পুরোদমে তৈরি৷আইএমডির সাম্প্রতিক ওয়েদার আপডেট অনুসারে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে এক্সট্রিমলি হেভি রেনফল অর্থাৎ অতি ভারী বিপুল বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে৷উত্তর পূর্ব অসম থেকে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ পর্যন্ত ঘূর্ণাবর্ত বিস্তৃত রয়েছে৷ একটি অ্যাকটিভ ট্রফ পূর্ব উত্তর প্রদেশ থেকে নাগাল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে৷ এই দুটি ওয়েদার চ্যানেলের জেরে অতি শক্তিশালীভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু হুড়মুড়িয়ে প্রবেশ করছে৷এরই জেরে হিমালয় পর্বত সংলগ্ন একাধিক উত্তরবঙ্গের জেলায় তোলপাড় করা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে৷ জারি রয়েছে বৃষ্টির জন্য রেড অ্যালার্ট৷ ১৩ তারিখ পর্যন্ত প্রবল অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি রয়েছে৷এছাড়াও আগামী ৭ দিন পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়ে গেছে৷ জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে বৃষ্টির জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে৷এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতেও আস্তে আস্তে ঝড়-বৃষ্টির প্রকোপ শুরু হচ্ছে৷ অন্যদিকে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিও জারি থাকছে৷ বৃষ্টির সময় বাদ দিলে বাকি সময়ে চরম গরম ও আপেক্ষিক আর্দ্রতার জেরে অস্থির পরিস্থিতি জারি৷হাওড়া, হুগলি, কলকাতা তিনটি জেলাতেই এই মুহূর্তে কোনওভাবেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই আগামী ৪৮ ঘণ্টা৷ তবে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমানে গরমের পাশাপাশি ঝড়-বৃষ্টির অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি হয়েছে৷এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে ঝড় -বৃষ্টির ইয়েলো অ্যালার্ট জারি হচ্ছে৷ পাশাপাশি কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে ১৫ তারিখ থেকে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে৷ এই দিনে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে ঝড় বয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর ওয়েদার অফিস৷: আগামী চার দিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। পূর্ব বিহারের ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। বিহার থেকে নাগাল্যান্ড নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। এই দুইয়ের প্রভাবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে গৌড়বঙ্গের বর্ষা ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছেদক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বর্তমানে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরে অবস্থান করছে গত ১০ দিন ধরে। যার ফলে এখনও গৌড়বঙ্গের জেলাগুলিতে বর্ষার আগমন হচ্ছে না। এমনটাই আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে জেলাগুলিতে বর্ষার আগমন হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে জেলাগুলির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে।বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি থাকার ফলে গরমে হাঁসফাঁস করছে গৌড়বঙ্গের বাসিন্দারা। সঙ্গে গরম হাওয়া। বৃষ্টি শুরু হলেই এই গরম থেকে স্বস্তি মিলবে।আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর বর্ষার জুন মাসের প্রথমে শুরু হয়ে যায়। এবার কিছুটা পরিবর্তনের কারণ রিমল ঝড়ের প্রভাব। রিমলের প্রভাবে সমতলের ওপর ঘূর্ণাবর্ত সিস্টেমের ব্যাঘাত ঘটেছে
