গ্রামেই কারখানা

New Factory: ভিন রাজ্যে চলে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য মনসুর যা করলেন! এমনটা স্বপ্নেই হয়

মালদহ: পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কমাতে এগিয়ে এলেন গ্রামের এক যুবক। তিনি নিজের উদ্যোগেই গ্রামে তৈরি করলেন কারখানা। এই কারখানার মধ্যে দিয়েই গ্রামের ভোল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করছেন হরিশ্চন্দ্রপুরের মনসুর শেখ।

কাজের সন্ধানে ভিনরাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যার নিরিখে একেবারে প্রথম দিকে আছে মালদহ জেলার নাম। পেটের তাগিদে ভিন রাজ্যে চলে যাওয়া সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজের গ্রামে ফিরিয়ে এনে রোজগারের পথ করে দেওয়ার লক্ষ্যেই এমন উদ্যোগ মনসুর শেখের। এক সময় তিনি নিজে মুম্বইয়ে এমব্রয়ডারি কারখানায় কাজ করতেন। ফলে পরিবার ছেড়ে থাকার যন্ত্রণাটা যে কী তা ভালই বোঝেন। ৩০ বছর কাজ করার পর এবার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গড়ে তুললেন এমব্রয়ডারি কারখানা। এই কারখানার দৌলতে ঘরের ছেলেদের ঘরে ফেরাচ্ছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার হোসেনপুর গ্রামের মনসুর।

আর‌ও পড়ুন: প্র্যাক্টিস শেষে ফ্রি’তে ব্রেকফাস্ট পাবে ফুটবলাররা!

পার্শ্ববর্তী গিদরমারি গ্রামে এক বিঘা জমির উপরে এমব্রয়ডারি কারখানা গড়ে তুলেছেন মনসুর শেখ। এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার এই কারখানায় শুধুমাত্র মালদহ নয়, আশেপাশে এলাকার শ্রমিকেরাও কাজ পাবেন। নিয়মিত এখানে ৫০০ জন কাজ করতে পারবেন। আমার এই সমস্ত কাপড়গুলি বিদেশে পাড়ি দেয়। পরিযায়ী শ্রমিকরা গ্রামেই যেন কাজ পান, সেটাই লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে ভিন রাজ্যের কাজ ছেড়ে প্রায় ৫০ জন যুবক মনসুরের কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন। সেখানে মেয়েদের ট্র্যাডিশনাল পোশাকের উপরে এমব্রয়ডারি ডিজাইন তোলা হয়।

জাপান, কানাডা, তুরস্ক, আমেরিকার মতো দেশে এই পোশাক যাবে। মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও ২ ব্লকের হাজার হাজার মানুষ ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন,গ্রামে তেমন কাজ নেই। বয়স আঠারো হতে না হতেই ভিনরাজ্যে পাড়ি দেন ব্লকের তরুণরা। এলাকার শ্রমিকদের এবং ভিনরাজ্যে থাকা পরিযায়ীদের রাজ্যেই কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে মনসুর এই কারখানা চালু করেছেন।

হরষিত সিংহ