বাজার জলমগ্ন 

Purba Bardhaman News: অল্প বৃষ্টি হলেই জল জমে এই এলাকায়, চরম চিন্তায় ব্যবসায়ীরা 

পূর্ব বর্ধমান: অল্প বৃষ্টি হলেই জল জমে যায় এলাকায়। আর যার জেরে চরম বিপাকে পূর্ব বর্ধমানের পারুলিয়া বাজারের ব্যবসায়ীদের একাংশ। জমা জলের কারণে মুখ ফেরাচ্ছে ক্রেতারাও।পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্যতম একটি বাজার হল পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পারুলিয়া বাজার। প্রতিদিন বহু মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকে এই বাজারটিতে। স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেক মানুষের জীবন জীবিকা নির্ভর করে থাকে এই বাজারটির ওপর। কিন্তু পারুলিয়া বাজারের আদর্শ পট্টি এলাকায় অল্প বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়।

আর যার জেরে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় আদর্শপট্টির ব্যবসায়ীদের একাংশকে। জমা জলে জীবাণু, সাপ প্রভৃতির ভয়ে মুখ ফেরায় অনেক ক্রেতাই। ফলে কমেছে বিক্রেতাদের বিক্রির পরিমাণ। এই প্রসঙ্গে পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পারুলিয়া বাজারের আদর্শপট্টির স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, “বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। আমাদের ব্যবসার অবস্থা একেবারে খারাপ। জল জমে থাকলে ক্রেতারাও আসেনা। এছাড়াও এই জল অত্যন্ত নোংরা। অনেক সময় জল দোকানের মধ্যেও ঢুকে যায়। প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই সমস্যার একটা সমাধান করা দরকার।”

প্রসঙ্গত, জমা জলে ক্রেতারা না আসার কারণে ব্যবসার ক্ষতি হয় বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে পারুলিয়া বাজার কমিটির তরফে, এই পরিস্থিতির জন্য ব্যবসায়ীদের একাংশকেই দায়ী করা হচ্ছে। এই বিষয়ে পারুলিয়া বাজার কমিটির সম্পাদক কালিশঙ্কর ব্যানার্জী জানিয়েছেন, তাদের তরফে মাঝেমধ্যেই উক্ত এলাকার ড্রেনগুলিকে পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন দোকানদার ড্রেনের মধ্যে নোংরা ফেলে। আর যে কারণেই জল জমে থাকার মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে তিনি জানান। এই প্রসঙ্গে কালিশংকর ব্যানার্জি আরও বলেন, “আগেও ড্রেন পরিষ্কার করা হয়েছিল। তবে মানুষেরও অনেক গাফিলতি আছে। এছাড়া অনেকে নতুন বাড়ি করার জন্য ড্রেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়ে এই সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করব।”

অতি দ্রুত এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাইছেন পূর্ব বর্ধমানের পারুলিয়া বাজারের আদর্শপট্টির ব্যবসায়ীরা। জমা জল সরানোর ব্যবস্থা না করা হলে ব্যবসায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন পূর্বস্থলীর পারুলিয়া বাজারের আদর্শপট্টির বহু ব্যবসায়ী। কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে বর্ষা। আর তার আগে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাইছেন সকলেই।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী