Tag Archives: Water logging

North 24 Parganas News: শ্রেণিকক্ষে জল থৈ থৈ! সাপের উপদ্রব! চরম সমস্যায় পড়ুয়ারা

বসিরহাট: স্কুল ঘর একমাস জলবন্দি। সাপের উপদ্রব, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পঠন পঠন স্কুল পড়ুয়াদের। বেহাল পরিবেশের মধ্যে চলছে মিড ডে মিলের রান্না। খাবার খেতে ভয় পাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা। স্কুল চত্বরে বেঞ্চের উপর দিয়ে যাওয়া আসা করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে মহাকুমার বসিরহাট পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহামায়া কলোনি মোক্ষদা এফপি প্রাইমারি স্কুলের ঘটনা।

লাগাতার বৃষ্টি বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা গত একমাস ধরে স্কুল ঘরে এক হাঁটু জল। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৩০,জন। বাইরে থেকে স্কুল ঘরে ঢুকতে গেলে ইট বিছিয়ে বেঞ্চের উপর দিয়ে যেতে হচ্ছে স্কুল পড়ুয়াদের। সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হচ্ছে পঠন পাঠন। ভয় পাচ্ছে স্কুল পড়ুয়া। একদিকে সাপের উপদ্রব অন্যদিকে রোগের প্রকোপ। মশা মাছি কীটপতঙ্গ থেকে একাধিক জীবাণুর উপদ্রব। বাদ নেই কোনও কিছুই।

স্কুল ভিতর থেকে শুরু করে স্কুল চত্তরের বাইরে নোংরা জলে ভর্তি হয়ে গেছে। এমনকি শৌচালয় মধ্যে জল ঢুকে গেছে। এই পরিবেশের মধ্যেই বাচ্চাদের মিড ডে মিলের খাবার তৈরি হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতিতে রীতিমত আতঙ্কিত স্কুল পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ, প্রতিবার বর্ষা আসলেই নিচু জায়গা হওয়ায় জল জমে যায়। নিকাশি ব্যবস্থা একেবারে নেই। বারবার প্রশাসনকে জানিয়ে কোন সমাধান মেলেনি।

আরও পড়ুনঃ Malda News: এ তো একেবারে কারখানা! উদ্ধার কোটি কোটি টাকার মাদক! চোখ কপালে পুলিশের

স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোবিন্দপ্রসাদ দাস বলেন,”বারবার প্রশাসনকে জানিয়ে কোন ফল হয়নি। জায়গাটা এত নিচু প্রতিবছরই একটুতেই বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। গত তিন বছর ধরে একই জলছবি দেখা যায় বর্ষা পল্লী এলাকা কার্যত জলের তলায় থাকে। কবে মিলবে এই সুরহা, পথচেয়ে এলাকার মানুষ।” অভিভাবকরা জানান, বাধ্য হয়ে আমরা হয়তো এই স্কুল থেকে আমাদের ছেলেমেয়েদের অন্য স্কুলে ভর্তি করাব। না হলে আগামী দিনে বড় সমস্যার মধ্যে পড়তে পারে শিশুরা। অসুস্থতা বা বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা চাই প্রশাসন স্কুলের প্রতি নজর দিক। পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুল পরিদর্শক কে পুরো বিষয়টা লিখিতভাবে জানিয়েছেন যাতে খুব দ্রুত সমাধান হয়।

জুলফিকার মোল্যা

North 24 Parganas News: বৃষ্টি হলেই জল জমছে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, সমস্যায় রোগী থেকে পরিজনরা

উত্তর ২৪ পরগনা: বৃষ্টি হলেই গোটা হাসপাতাল চত্বরে জমে যাচ্ছে জল। শুধু হাসপাতাল চত্বরেই নয়, কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টি হলে রীতিমতো হাসপাতাল বিল্ডিং এও ঢুকে যাচ্ছে নোংরা জল।

এমন ছবি এখন হামেশাই দেখা যাচ্ছে জেলা সদর শহর বারাসাত পৌরসভার প্রায় প্রতিটা ওয়ার্ডে এমনকি বারাসাত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এতদিন জেলায় সোদপুরের পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে জল যন্ত্রণার ছবি বিভিন্ন সময়ে খবরে শিরোনামে উঠে আসত, এ বছর যেন নতুন করে সেই তালিকায় যুক্ত হল বারাসাত জেলা হাসপাতাল।

আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে বড় ইনকাম ট্যাক্স রেইড, ১০ দিন ধরেও টাকা গোনা শেষ হয়নি! কত নগদ উদ্ধার হয় জানেন?

জল জমে রয়েছে বলে বারাসাত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোটর বসিয়ে জল নামানোর কাজ চালানো হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। আর এই জমা জলের কারণেই সমস্যায় পড়তে হয় জেলার নানা প্রান্ত থেকে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা রোগী থেকে রোগীর পরিজনদের। কয়েকদিন ধরে চলা বৃষ্টিতে ইমারজেন্সি থেকে শুরু করে একাধিক ওয়ার্ডে জল ঢুকেছে।

আরও পড়ুন: ‘বিয়ে করলে শুধু কাকুকেই করব’! কাকুর গলায় মালা দিয়ে কী বললেন নিজের ভাইঝি?

বারাসাতবাসীদের একাংশের দাবি ১৯৭৮ সালে বন্যার পর এই প্রথম বারাসাতে জল যন্ত্রণার বেহাল চিত্র দেখা যাচ্ছে। নাগরিকদের অনেকেই বারাসাত পুরসভার দিকে আঙুল তুলছেন। তাদের অভিযোগ, ‘বর্ষাকালে বর্ষা হবেই, সে অল্প হোক, আর বেশি। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থা যদি বর্ষা আসার আগে সংস্কার না করা হয়, তাহলে তো সাধারণ মানুষের এরকমই দুর্ভোগ পোহাতে হবে’।

আরও পড়ুন: বৌ থাকতেও ভাইঝির সঙ্গে প্রেম! কিন্তু কাকাকে ছেড়ে অন্য পুরুষকে বিয়ে করতে চান তরুণী, পেতে হল ‘সাজা’

যদিও এর জন্য এলাকায় লাগামহীন প্রোমোটিং, পৌরসভা এলাকার জল নিকাশীর ড্রেন ও খালের উপর গজিয়ে ওঠা দোকান, হকারদের অবৈধ নির্মাণের অত্যাচারে, বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার পাশাপাশি যত্রতত্ত্ব রাস্তার পাশে বাজার বসা এবং সেই বাজারের বজ্র নিকাশি নালায় ফেলার কারণেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জল নিকাশি ব্যবস্থা বলেও মনে করছেন অনেকে। যার জন্য সামান্য বর্ষা হলেই জল উঠছে রাস্তায় এবং মানুষের বাড়িতে এলাকায় ঢুকে পড়ছে।

বর্ষা আসার অনেক আগে থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা পুরসভাকে জানিয়েও কোন সুরাহা পাননি বলেও জানাচ্ছেন। তবে বিষয়টি পৌরসভার তরফ থেকে কোনরকম প্রতিক্রিয়া দেওয়া না হলেও হাসপাতালের তরফ থেকে এই জল দ্রুত নামানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এখন দেখার রোগীদের পরিষেবা দিতে প্রশাসন এখন কি পদক্ষেপ নেয় এই জল যন্ত্রণা মেটাতে।

Water Logging Problem: টানা বৃষ্টিতে ফের জল যন্ত্রণার ছবি, পরিস্থিতি সামলাতে রাস্তায় নামলেন মেয়র

পশ্চিম বর্ধমান: গত দু’দিনের বৃষ্টিতে ফের জল যন্ত্রণার ছবি আসানসোলে। বাড়িতে জল ঢুকে তছনছ অবস্থা আসানসোলের গুরুনানক পল্লিতে। টানা বৃষ্টিপাতের ফলে জল জমে রেল ব্রিজের নিচে আন্ডারপাসের বেহাল অবস্থা। সব মিলিয়ে বৃষ্টিপাতের ফলে জলমগ্ন পরিস্থিতিতে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে শহরের মানুষকে। পরিস্থিতি পরিদর্শনে রাস্তায় নেমেছেন মেয়র।

গুরুনানক পল্লির বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবারের বৃষ্টিপাতের ফলে এলাকার একাধিক বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। যার ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন ওই সমস্ত বাড়ির বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা ঠিকঠাক নেই। যে কারণে জল ঢুকেছে বাড়িতে। যদিও খবর পেয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন স্থানীয় কাউন্সিলর। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুনঃ সাদা ক্যানভাস নয়, ব‌ইয়ের পাতায় ছবি এঁকে নজির বধূর

অন্যদিকে আসানসোলের সেনেরাল রোডের উপর রেল ব্রিজের নিচে যে আন্ডারপাসটি রয়েছে, সেটিও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ওই আন্ডারপাস পরিদর্শনে যান আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাত হলেই এই আন্ডারপাসটি জলমগ্ন হয়ে যায়। এই বিষয়ে তিনি ডিআরএমকে ফোন করে কথা বলেছেন। রেলের ইঞ্জিনিয়াররাও এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন।

মেয়র আরও জানিয়েছেন, রেল ওভার ব্রিজের আগে পর্যন্ত পুরনিগম কাজ করলেও, আন্ডারপাসের ওই অংশটির কাজ হয়নি। আন্ডারপাস থেকে জল নেমে গেলে ওই জায়গাটি আবার পুরসভা এবং রেল খতিয়ে দেখবে। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে ওই জায়গায় বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের ডাকা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। কারণ ওই জায়গা দিয়ে একাধিক বিদ্যুৎ সংযোগের লাইন গিয়েছে।

নয়ন ঘোষ

East Bardhaman News: জমা জলে জেলা জুড়ে হাহাকার! ধান চাষ নিয়ে চরম চিন্তায় কৃষকর

পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত কাটোয়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকাতে এখনও ধান জমিতে জমে রয়েছে জল। বীজতলা সহ ধানের চারা রোপণ করা জমি এখনও পর্যন্ত জলের নীচে রয়েছে। যার জেরে কৃষকদের মধ্যে শুরু হয়েছে দুশ্চিন্তা। কৃষকরা জলের তলায় থাকা ধানের বীজ, চারা পচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন।

ব্যাপক হারে বৃষ্টিপাত এবং বিভিন্ন নদীর জল কাটোয়া মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন করে তুলেছিল। তবে তুলনামূলক ভাবে নীচু এলাকায় এখনও জল জমে রয়েছে। এরই মধ্যে আমনের জন্য সদ্য রোওয়ানো হয়েছে জমি। কিন্তু জলে ডুবে যাওয়ায় তা পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। নীচু এলাকায় দ্রুত জল নামছে না। ফলে সেইসব এলাকার চাষিদের ফের বীজতলা তৈরি করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে চাষের খরচ অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন কৃষকদের একাংশ। কাটোয়া ১ ব্লকের এডিও আজমীর মণ্ডল জানিয়েছেন,”এখনও বহু জমি থেকে জল নামেনি৷ তবে জল নেমে গেলে আর বীজ পাওয়া গেলে এখনও রোওয়া যাবে৷”

জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রতিবছর এই সময় প্রায় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে আমন ধানের চাষ হয়। তার মধ্যে কাটোয়া ১ ব্লক এলাকায় ৬০ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জল জমে আমন ধানের চারা দফারফা হয়েছে৷ কাটোয়া ১ ব্লকের বাঁধমুড়ো, করজগ্রাম, আলমপুর, গাঁফুলিয়া এলাকায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে৷ এছাড়া কাটোয়া ২ ব্লকের অগ্রদ্বীপ, কড়ুই অঞ্চলে বেশি ক্ষতি হয়েছে৷ কেতুগ্রাম ১ ও ২ ব্লকের বহু এলাকায় জল জমে ধানের চারা পচে গিয়েছে৷ সবমিলিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন ধান চাষিরা। কাটোয়া মহকুমার দুই কৃষক সাধন পাল, সন্তু হাজরা বলেন,”জল নেমে গেলে নতুন করে ধানের বীজ পাওয়া মুশকিল৷ সেক্ষত্রে আবার দ্বিগুন খরচ করে আর বীজতলা তৈরি করা সম্ভব নয়৷ আমাদের সব শেষ হয়ে গেল এবার৷”

আরও পড়ুনঃ Rahul Dravid: ওডিআই-টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালে হার নয়! কোচ দ্রাবিড়ের সবথেকে বড় আক্ষেপ অন্য কিছু, জানুন বিস্তারিত

কাটোয়া ২ ব্লকের ব্রম্ভানী নদী ছাপিয়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি এলাকার কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে। জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের আমডাঙ্গা, মুস্থলী, পাঁচবেড়িয়া, শ্রীবাটি পঞ্চায়েতের চাণ্ডুলি সহ বেশ কয়েকটি এলাকার জমি জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি কাটোয়া ১ ব্লকের করজগ্রাম, আলমপুর প্রভৃতি এলাকায় জমি প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলকোটে কুনুর নদী ছাপিয়ে গিয়ে ওই এলাকায় বিস্তীর্ন এলাকার জমি প্লাবিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, চানক অঞ্চলের জালপাড়া, সরুলিয়া, উজিরপুর, রামনগর, বালিডাঙ্গা এলাকায় একাংশ কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া কুনুরের জল পালিগ্রাম অঞ্চলের মাজিখাঁড়া মৌজাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সবমিলিয়ে ধান চাষে চরম ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Water Logging Problem: বৃষ্টির জমা জল থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, বাড়ছে মশার উপদ্রব

মালদহ: বৃষ্টির জল জমে রাস্তা পরিণত হয়েছে জলাশয়ে। জল থৈ থৈ করছে রাস্তার উপর। সেই জল পেরিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে সেই জল জমে থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। জমা জল থেকে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আশেপাশের বাড়ির বাসিন্দাদের সমস্যা বাড়ছে। জমা জল থেকে বিভিন্ন রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বাড়ছে মশা-মাছির উপদ্রব। এমনই অবস্থা মানিকচকের।

মালদহের মানিকচক ব্লকের নুরপুর পঞ্চায়েতের খুমড়ী এলাকার বাসিন্দারা বর্তমানে জমা জলের যন্ত্রণায় অতিষ্ট। পাশাপাশি এই জমা জল থেকে মশা বাহিত ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মত মশা বাহিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কাও বাড়ছে। এই প্রসঙ্গে গ্রামের বাসিন্দা মাসগারি বিবি বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল জমে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন জল জমে থাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। মশা মাছির উপদ্রব বাড়ছে। দুর্গন্ধে আশেপাশে টেকা যাচ্ছে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন‌ও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

আর‌ও পড়ুন: পুরনো সবকিছু ছেড়ে আখ চাষ শুরু করুন, তিনগুণ লাভ পাবেন!

পঞ্চায়েত অফিস থেকে কিছুটা দূরেই এই জলমগ্ন রাস্তা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বহুবার স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে প্রধানকে জানিয়েও কোন‌ও লাভ হয়নি। গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ শাবারু সেখ বলেন, রাস্তায় জল জমে থাকায় ছোট ছোট স্কুলের পড়ুয়ারা যাতায়াত করতে পারছে না। জমা জল থেকে রোগ ছাড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। বহুবার আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থা এখনও তৈরি করার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

প্রতিবছর এই রাস্তায় জল জমলেও নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে না রাস্তার পাশে। অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তা জলমগ্ন হয়। নিকাশী ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় জল জমে থাকে। জমা জল পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়।ফলে বাড়িতে থাকা দুষ্কর হয়ে ওঠে। মশা-মাছির উপদ্রব এই সময় ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। তাছাড়া নোংরা পচা জলের উপর দিয়ে হাঁটার ফলে বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগ হয়। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয়দের একটাই দাবি, দ্রুত জল নিকাশী ব্যবস্থার উন্নতি করা হোক।

হরষিত সিংহ

Water Logging: জল যন্ত্রণা মেমারি কালনা রাস্তায়! প্রতিবাদে অবরোধ জাবুইয়ের বাসিন্দাদের

মেমারি: মেমারি থানার জাবুইয়ে বর্ধমান কালনা রোডের ওপর দিয়ে বইছে জল। তার ফলে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল।রাস্তার ওপর দিয়ে জল বইছে, ফলে বড় গাড়ি যেতে পারলেও অসুবিধা সম্মুখীন হচ্ছে ছোট গাড়িগুলি।

ফলে ছোট গাড়িগুলি ঘুর পথে জাবুই থেকে কন্দর্পপুর হয়ে যাওয়া শুরু করলে স্থানীয়রা সেই রাস্তা অবরোধ করে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্কুল পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন: ‘‘জলপ্রপাতের কাছে ধস নামবে৷ সব ধ্বংস হয়ে যাবে৷’’ ম্যাগাজিনের গল্পই বাস্তব হয়ে ফিরল বিপর্যস্ত কেরলে

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার অবস্থা বেহাল। প্রশাসনকে বলে কোন সুরাহা হয়নি। তার ওপর গ্রামের রাস্তা দিয়ে গাড়িগুলি যাতায়াতের ফলে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাস্তা মেরামতের দাবিতে বাধ্য হয়ে তাঁরা অবরোধ করেছেন।

পরে মেমারি ২ এর বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য ঘটনাস্থলে গিয়ে আশ্বাস দেওয়ার পর অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয়রা। এদিকে বিঘের পর বিঘে জমি জলের তলায় তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকরা।

আরও পড়ুন: ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে আটঘণ্টার দুঃসাহসিক অভিযান, কেরলে রক্ষা পেল চার শিশুর প্রাণ

শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির দু’নম্বর ব্লকের বিজুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কন্দর্পপুর গ্রামে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘কন্দর্পপুর গ্রামের ভিতরে প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। দীর্ঘ বেশ বছর ধরে কাঁচা রাস্তার ওপর দিয়েই যাতায়াত করছেন এলাকার মানুষজন।’’

সম্প্রতি ভারি বর্ষণে কালনা বর্ধমান রোডের একাংশ জলে নিমজ্জিত হওয়ায় চরম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে টোটো-সহ ছোট চার চাকা গাড়ি গুলো। তাই কন্দর্পপুর গ্রামের ভিতর দিয়ে  যখন ওই গাড়িগুলি পাস করছিল। তখন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামের বাসিন্দারা।

একদিকে প্রবল বর্ষণে কাদায় পরিপূর্ণ গ্রামের ভিতরে রাস্তা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বহু রাস্তা নির্মাণ হলেও এখনও পর্যন্ত  গ্রামের ভিতরে রাস্তাটি নির্মাণ হয়নি বলেই দাবি করছেন গ্রামবাসীরা।

ওই ভাঙা রাস্তার উপর দিয়েই সারাদিন ধরে চলাচল করছে গাড়ি। যাতে অবিলম্বে তাঁদের রাস্তা পাকা করা হয় , সেই দাবিতেই বিক্ষোভের শামিল হলেন গ্রামবাসীরা।

প্রায় দু ঘন্টা চলে অবরোধ। তবে জরুরি পরিষেবাকে ছাড় দেওয়া হয়৷অবশেষে ঘটনাস্থলে আসে মেমারি দু’নম্বর ব্লকের বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য৷ তিনি গ্রামবাসীদেরসমস্যা সমাধানের ব্যপারে আশ্বস্ত করেন।

পৌঁছায় মেমারি থানার সাতগেছিয়া ফাঁড়ির পুলিশও। আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেয় গ্রামবাসীরা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, অনেক জায়গায় রাস্তার পাশের নাকাশিগুলি দখল হয়ে গিয়েছে। সেখানে অনেক অস্থায়ী দোকান হয়ে গিয়েছে। স্থায়ী নির্মাণও হয়েছে।

অনেক জায়গার নাকাশিগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। তার ফলে জল বের হওয়ার পথ পাচ্ছে না। সেই জল রাস্তায় উঠে আসছে। এর ফলে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তাই অবিলম্বে নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা।

ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, কেন রাস্তার ওপর জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে তা দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

West Bardhaman News: জলের স্রোতে খড়কুটোর মতো ভেসে গেল গাড়ি! উদ্ধার ‘বেপরোয়া’ চালকের দেহ

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান: সবাই তখন সাবধান করছিলেন। কেউ কেউ এমন অসচেতনতামূলক মনোভাব দেখে অশ্রাব্য গালিগালাজও করেছেন। কিন্তু সেইসব দিকে কর্ণপাত না করে গাড়ি নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন চালক। আর তার ফল হল মর্মান্তিক। জলের তোড়ে গাড়ি সমেত ভেসে গিয়েছিলেন তিনি। তার পর দীর্ঘ ক্ষণ কোনও খোঁজ খবর ছিল না। শুক্রবার রাতের এই ঘটনার পর শনিবার সকালে সেই চালকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জলে ভাসতে দেখা গিয়েছে গাড়িটিকে।

আসানসোলের কল্যাণপুর হাউসিং এলাকার ঘটনা। শুক্রবার তখনও কল্যাণপুর হাউসিং এর রাস্তার ওপর দিয়ে প্রবল বেগে বয়ে চলেছে গারুই নদী। আর সেই জলের স্রোত তোয়াক্কা না করে নিজের গাড়ি সমেত এগিয়ে যেতে চেয়েছিলেন আসানসোলের সুগম পার্ক এলাকার বাসিন্দা চঞ্চল বিশ্বাস। কিন্তু এমন অসচেতন মনোভাবের জন্যই দিতে হল প্রাণ। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিলেন তিনি। দূর থেকে অনেকেই ঘটনা দেখেছেন। তবে জলের এমন ভয়াবহ রূপ দেখে কেউ এগিয়ে যাওয়ার সাহস করেননি। সঙ্গে সঙ্গে খবর পেয়ে আসে পুলিশ। আসে উদ্ধারকারী দল।

শুক্রবার রাত পর্যন্ত খোঁজাখুঁজির পরে কোনও হদিস পাওয়া যায়নি চঞ্চল বিশ্বাসের। তার পর এ দিন সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। কল্যাণপুর হাউসিং এলাকারই খানিক দূরে তাঁর সাদা চারচাকা গাড়িটি ভাসতে দেখা গিয়েছে। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনার সময় ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন। যে ভিডিও দেখলে রীতিমতো গা শিউরে উঠবে। যেখানে দেখা গিয়েছে, জলের প্রবল বেগের সামনে কী ভাবে খড়কুটোর মতো ভেসে গিয়েছে গাড়িটি!

আরও পড়ুন- এখনই দাম কমছে না ইলিশের, কেন? জানালেন ব্যবসায়ীরা

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতি এবং শুক্রবারের টানা বৃষ্টিতে আসানসোলের বিভিন্ন জায়গায় প্লাবন দেখা গিয়েছে। আন্ডারপাসগুলিতে হাঁটু সমান জল জমে আছে। কোথাও কোথাও রাস্তার উপর দিয়ে বইছে জল। ভারী বর্ষণে কল্যাণপুর হাউসিং এলাকার রাস্তাগুলি ভয়ানক রূপ ধারণ করেছিল। আর সে সময় ভুল করে বসেন ওই গাড়িচালক। বিপদ বুঝতে না পেরে তিনি এগিয়ে যান। কিন্তু জলের রোষের কাছে তিনি হার মানতে বাধ্য হয়েছেন। অন্য দিকে এই ঘটনা দেখে সকলে আতঙ্কিত। শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃত চঞ্চল বাবুর বাড়িতেও।

নয়ন ঘোষ 

Garui River: দু’দিনের বৃষ্টিতেই নদী উপচে বাড়িতে ঢুকে পড়েছে জল, ফের গারুই নদী সংস্কারের দাবি

পশ্চিম বর্ধমান: মাত্র দু’দিনের ভারী বৃষ্টিতেই প্লাবিত হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বহু এলাকা। আসানসোলের ছবিটাও বেশ ভয়াবহ। বিশেষ করে গারুই নদীর জল উপচে আসানসোল রেলপাড় সহ বেশ কয়েকটি এলাকা ডুবে গিয়েছে। ঘরবাড়ি, দোকানে ঢুকেছে জল। বাধ্য হয়ে অনেকেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার গারুই নদী সংস্কারের দাবি জোরালো হয়ে উঠল।

উল্লেখ্য, আসানসোলের নিকাশি ব্যবস্থার একটা বড় অংশ নির্ভর করে গারুই নদীর উপর। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরার সংস্কারের অভাবে এই নদীতে আবর্জনা জমতে জমতে তা কার্যত মজে গিয়েছে। পাশাপাশি নদী দখল করে নির্মাণের অভিযোগও রয়েছে। যদিও দীর্ঘদিন পর আসানসোল পুরসভা গারুই নদী সংস্কারের দিকে নজর দিয়েছে। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, নদী দ্রুত সংস্কার করা হোক। নয়ত দু থেকে তিন ঘণ্টা টানা ভারী বৃষ্টিপাত হলেই এমন দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হবে নদীপাড়ে বসবাসকারীদের।

আর‌ও পড়ুন: অজানা কারণে বাংলা-ঝাড়খন্ড নৌকা পরিষেবা বন্ধ, আর্থিক সঙ্কটে রাজ্যের মাঝিরা

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় রাজনৈতিক তরজাও বাড়ছে। তবে আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক জানিয়েছেন, নদী সংস্কারের কাজ চলছে। আগের থেকে পরিস্থিতি অনেকটা উন্নত হয়েছে। কিন্তু যেহেতু টানা ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে, তাই নদীর জলস্তর বেড়েছে এবং নদীর জল বাড়ির মধ্যে ঢুকে গিয়েছে। কিন্তু এলাকার মানুষের পাশে সবসময়ই থেকেছে পুরনিগম। তাদের দিকে সবরকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয়দের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করা হোক এই নদীর।

নয়ন ঘোষ

Water Logging Problem: মাত্র এক দিনের বৃষ্টিতেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয়

নদিয়া: মাত্র একদিনের লাগাতার বৃষ্টিতেই অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনজীবন। কিছু কিছু জায়গায় নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন বেশ কিছু পরিবার। বৃহস্পতিবার থেকে প্রবল বর্ষণের জেরে রীতিমত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হবিবপুর পঞ্চায়েত এলাকার বেশকিছু নিচু এলাকার বাড়ি ঘর।

সূত্রের খবর, হবিবপুরের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এবং হবিবপুর হাসপাতাল সংলগ্ন দত্তপাড়া এলাকায় বেশকয়েকটি বাড়ি প্রবল বর্ষণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথাও বা বুক সমান জল, কোথাও বা ডোবা জল দাঁড়িয়ে। বিভিন্ন এলাকায় বাড়ির মধ্যে ঢুকে গিয়েছে জল।

আর‌ও পড়ুন: লাগাতার বৃষ্টির মধ্যেই পথ অবরোধ করলেন গ্রামবাসীরা, কারণ জানলে চমকে উঠবেন

এই পরিস্থিতিতে বিপর্যয় এড়াতে নিচু এলাকার বেশ কিছু পরিবার নিজেদের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। হবিবপুরের ডাকরেপাড়া, কলাইঘাটা নাথপাড়া, বিনপাড়া, কলোনীপাড়া, মাজদিয়া বিষ্ণুপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকার চাষের জমিগুলোতে ব্যাপক পরিমাণে জল ঢুকে পড়ায় মাথায় হাত কৃষকদের। রাজনৈতিক দলগুলি দুর্গতদের সাহায্য করার জন্য ময়দানে নেমেছে।

হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতা বিশ্বাস জানান, ইতিমধ্যেই আমরা জেসিবি লাগিয়েছি। এছাড়া সাধারণ মানুষকেও নামানো হয়েছে। যেসব জায়গায় জল আটকে গেছে এইসব এলাকার মুখগুলি ছাড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই জল নেমে যাবে। এছাড়াও যাদের বাড়িঘরের অবস্থা খারাপ, তাঁদের জন্য আমরা বিডিও অফিসে জানাব। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।

মৈনাক দেবনাথ

Water Logging Problem: রাস্তায় হাঁটু সমান জল! প্রতিবাদে মহেশতলায় এ কী করল এলাকাবাসী

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাস্তায় জমে হাঁটু সমান জল। সেই জল ঠেঙিয়ে চলতে গিয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। বর্ষা সেভাবে শুরু হয়নি, তারপরেও রাস্তায় এভাবে জল জমে থাকায় প্রবল দুশ্চিন্তায় ভুগছেন এলাকাবাসীরা। স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হলেও কোন‌ও সুরাহা হয়নি। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছে মহেশতলা পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কোয়েল পাড়ার বাসিন্দারা।

দক্ষিণ শহরতলি মহেশতলার এই এলাকার নিকাশী ব্যবস্থার একেবারে বেহাল দশা। স্থানীয়দের অভিযোগ, অল্প বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে গোটা এলাকা। প্রায় কয়েক মাস ধরে এই জল যন্ত্রণায় চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন স্থানীয়রা। রাস্তার উপরে হাঁটু সমান নোংরা জল ঘেঁটে সমস্ত কাজকর্ম করতে হচ্ছে। পাশাপাশি এই রাস্তা দিয়ে সমস্ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জমা জল মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়। এছাড়া রাস্তায় জল জমার কারণে বাইক ও সাইকেল থেকে পড়ে অনেকেই ইতিমধ্যে আহত হয়েছে। সেই বিপদ থেকে বাঁচতেঅনেকটা ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

আর‌ও পড়ুন: মেশিনে ৫ টাকা দিলেই বেরিয়ে আসবে স্যানিটারি ন্যাপকিন! ছাত্রীরা খুব খুশি

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই সমস্যার কথা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোন‌ও লাভ হয়নি। তাই বাধ্য কয়েকবার রাস্তা অবরোধের করেছিলে তাঁরা। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবারেও বর্ষার বৃষ্টি শুরু হতেই জল জমতে শুরু করেছে। আবারও নিকাশি ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সকলের একটাই দাবি, দ্রুত এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার হাল ফিরিয়ে জল জমার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে হবে।

সুমন সাহা