কাঞ্চনজঙ্ঘা কাণ্ডে তদন্ত শুরু

Kanchanjangha Train Accident: কাঞ্চনজঙ্ঘা কাণ্ডে দোষ কার? তদন্ত শুরু! ছন্দে ফিরছে রাঙাপানি, ডাউন লাইনে চালু হল ট্রায়াল রান

রাঙাপানি : সোমবারই ঘটে গিয়েছে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। তারপর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল টানা প্রায় ২৪ ঘণ্টা। অবশেষে ফের ছন্দে ফেরার চেষ্টায় রাঙাপানি। মঙ্গলবার সকালেই ডাউন লাইনে ট্রায়াল রান শুরু করল রেল। অন্যদিকে আপ লাইনে ওভারহেড তার সারানোর প্রক্তিয়া শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে লাইন সারানোর কাজ করতে গিয়ে জখম হয়েছেন ২ রেলকর্মী। দূর্ঘটনাস্থলের পাশেই চলছে তাঁদের চিকিৎসা। রেলের মেডিকেল টিম তদারকি করছে।

এদিকে রাঙাপানি ট্রেন দূর্ঘটনার তদন্ত শুরু করছেন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। আজ মঙ্গলবারই শিলিগুড়ি পৌঁছনোর কথা জনক কুমার গর্গের। বিকেলেই দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন তিনি। আগামিকাল বুধবার থেকে শুরু হবে জিজ্ঞাসাবাদ।

স্টেশন মাস্টার, কাঞ্চনজঙ্ঘার মোটরম্যান, পণ্যবাহী ট্রেনের চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যে কোনও ব্যক্তিও তাঁর মতামত জানাতে পারেন সিসিআরএসের কাছে গিয়ে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সঙ্গে মালগাড়ির সংঘর্ষের ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ আগেই দিয়েছে রেল। উত্তর-পূর্ব রেলের মুখ্য সুরক্ষা কমিশনার জনক কুমার গর্গের তত্ত্বাবধানে এই তদন্ত হবে।

আরও পড়ুন: ‘মঙ্গলবার’ থেকেই প্রাক বর্ষার খেলা শুরু দক্ষিণবঙ্গে…! আইএমডি দিল বড় আপডেট! সোমবার বজ্রবিদ্যুৎ-ঝড়-জল কাঁপাবে কোন কোন জেলা?

বুধবার অর্থাৎ ১৯ জুন থেকে এই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হবে। এক্ষেত্রে কোনও সাধারণ মানুষের কাছে দুর্ঘটনা সম্পর্কিত কোনও তথ্য থাকলে তাঁরা তা তদন্ত কমিশনের কাছে জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছে উত্তর-পূর্ব রেল। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের এডিআরএম (অতিরিক্ত ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার)-এর অফিসে এই কমিশন বসবে। এ ছাড়াও সুরক্ষা কমিশনারকে সরাসরি চিঠি পাঠিয়েও এই দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করা যেতে পারে বলেও নোটিশে জানিয়েছে রেল।

দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ক্যাম্প করেছে আরপিএফ। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৮জন আহত যাত্রী। অধিকাংশই সুস্থ অবস্থায় রয়েছেন বলেই সূত্রের খবর। এদিন আহত এক যাত্রী ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। তাঁর চোখে মুখে দেখা যায় আতঙ্কের ছাপ। আহত যাত্রী বিএসএফের আধিকারিক। তিনি বলেন “দূর্ঘটনাগ্রস্থ কামরা থেকে বেরিয়ে আহতদের তুলে বের করি। বাড়ি ফেরার পথেই এই দূর্ঘটনা ঘটেছে। এক লাইনে ২ ট্রেন নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে আতঙ্ক রয়েছে, সারারাত ঘুম হয়নি।