Tag Archives: Kanchanjunga Express Accident

কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনার জের, নিরাপদে ট্রেন চালাতে তৎপরতা উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলে

কলকাতা: নিরাপদ ট্রেন পরিচালন এবং যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার রেল সুরক্ষার সঙ্গে যুক্ত অগ্রণী কর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময়। রাঙ্গাপানি ট্রেন দুর্ঘটনার পরে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ কারণ রেল পরিচালনা সংক্রান্ত বিভিন্ন দফতরের সমন্বয়ের কারণে যে এই দূর্ঘটনা ঘটেছে তা স্পষ্ট৷ ​

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী চেতন কুমার শ্রীবাস্তব  মালিগাঁওস্থিত উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য কার্যালয়ে রেল সুরক্ষার সঙ্গে যুক্ত অগ্রণী কর্মী এবং আধিকারিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বার্তালাপের সময় উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের সমস্ত বিভাগের প্রিন্সিপাল হেডরাও উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: মোবাইল চুরির অভিযোগ, কলকাতার হস্টেলে পিটিয়ে খুন যুবক? বউবাজারে মারাত্মক অভিযোগ

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের সমস্ত পাঁচটি ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজাররাও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মত বিনিময়ে উপস্থিত থাকেন। এই মত বিনিময়ের উদ্দেশ্য ছিল সুরক্ষিত ট্রেন পরিচালন নিশ্চিত করার পাশাপাশি যাত্রীদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ভ্রমণ অভিজ্ঞতা প্রদান করা। সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সুরক্ষিত ট্রেন পরিচালন সংক্রান্তীয় সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং এটি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করা হয়। জেনারেল ম্যানেজার উপস্থিত সকলকে একটি নিরাপদ রেল ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

জেনারেল ম্যানেজার সুরক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার জন্য ডিভিশনগুলিকে বলেন, এটি সবচেয়ে সংবেদনশীল এবং অগ্রাধিকারমূলক বিষয়গুলির মধ্যে একটি। তিনি অগ্রণী কর্মীদের সঙ্গে আরও ভাল সমন্বয়, তাদের জন্য আরও ভাল অনুপ্রেরণা, সঠিক পরামর্শ প্রদান, প্রাসঙ্গিক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং তাদের মানসিক পাশাপাশি শারীরিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন।শেষে, জেনারেল ম্যানেজার বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে আরও ভাল সমন্বয়ের পরামর্শ দেন। তিনি সমস্ত সুরক্ষা নিয়ম মেনে চলার এবং সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ট্রেন চলাচলে সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

জেনারেল ম্যানেজার বলেন, সুরক্ষিত ট্রেন পরিচালন এবং যাত্রীদের সুযেোগ-সুবিধা সম্পর্কিত সমস্যাগুলি বের করে আনা উচিত এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা উচিত।

Kanchanjungha Express Accident: এখনও কানে বাজছে বিকট শব্দ, আর্তনাদ! ৭ দিন পরেও কাটেনি আতঙ্ক, এখনও শিউরে উঠছেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস যাত্রী

মালদহ: ঘটনার প্রায় সাত দিন হতে চলল। কিন্তু এখনও ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন পুরাতন মালদহের প্রফুল্ল রাজবংশী। এখনও যেন সেই মুহূর্তের ঘটনা মনে পড়লেই শিউরে উঠছেন তিনি। কিন্তু তিনি ভুলতে চান সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার স্মৃতি।

তিনি যে সুস্থ অবস্থায় বেঁচে ফিরেছেন এটি তাঁর কাছে অনেক। পুরাতন মালদহের বাসিন্দা প্রফুল্ল রাজবংশী। পেশায় স্থানীয় হিমঘরের কর্মী। চলতি মাসের ১০ তারিখে সপরিবারে কোচবিহার জেলার রানীরহাটে শ্বশুরবাড়িতে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে গিয়েছিলেন। সাতদিন থাকার পর গত সোমবার সকালে ধুপগুড়ি স্টেশন থেকে ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের জেনারেল কামরায় ওঠেন একা।

ট্রেনটি প্রায় ঘন্টা তিনেক চলার পর হঠাৎ ছন্দপতন, শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানি রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি অল্প সময়ের জন্য দাঁড়িয়েছিল বলে জানান প্রাণে বেঁচে ফিরে আসা ব্যাক্তি প্রফুল্ল।

জেনারেল কামরার পেছনের দুই নাম্বার বগিতে ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার মুহূর্তে তিনি ট্রেনের শৌচালয়ে ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দ, ঝাঁকুনি শুরু হয়। আতঙ্কে দ্রুত শৌচালয় থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। ট্রেন থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখেন ভয়ঙ্কর সেই দুর্ঘটনার দৃশ্য। মুহূর্তের মধ্যে প্রাণ নিয়ে বেঁচে ফেরার আতঙ্ক গ্রাস করে।

সে মুহূর্তে কি করবেন ভেবে উপায় খুঁজে পাননি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় কোনওরকমে বাসে করে বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফিরতে আতঙ্কের সেই ছাপ এখনও তার মনে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। প্রফুল্ল রাজবংশী জানান, সপরিবারে শ্বশুরবাড়ি গেলেও আমি একা বাড়ি ফিরছিলাম। ধুপগুড়ি স্টেশনে প্রথমে তিনি ট্রেনের সামনের জেনারেল কামরায় উঠেছিলেন।

কিন্তু ভিড় থাকায় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে পেছনের জেনারেল কামরায় গিয়ে ওঠেন। পেছন থেকেই দ্রুত গতিতে একটি মালগাড়ি এসে ধাক্কা মারে। যদিও তিনি জখম হননি। তবে চোখের সামনে ভয়াবহ দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। চারিদিকে কান্নার আওয়াজ, অসহায় যাত্রীদের আর্তনাদ এখনও তাঁর মনে পড়ছে।

হরষিত সিংহ

Kanchanjungha Express Accident: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আহতদের বাড়ি ফেরাতে তৎপর রাজ্য, হাসপাতালে আশঙ্কাজনক ১, চিকিৎসাধীন ৩০

শিলিগুড়ি : শিলিগুড়ির নির্মলজ্যোত এলাকায় রাঙাপানিতে ঘটে যাওয়া ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের বাড়ি ফেরত পাঠানোর জন্য ট্রেনের টিকিটের ব্যবস্থা করবে রোগী কল্যাণ সমিতি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করার পর আরকেএস-এর চেয়ারম্যান গৌতম দেব এই কথাই জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যান শিলিগুড়ির মেয়র তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান গৌতম দেব। এদিন তিনি প্রথমে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ খবর নেন।

আরও পড়ুনঃ মেঘে ঢাকছে আকাশ, বিকেলেই কলকাতায়-সহ দক্ষিণে ধেয়ে আসবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কাঁপিয়ে বৃষ্টি? আজই অপেক্ষার ইতি!

আহতদের সঙ্গে দেখা করার পর গৌতম দেব বলেন, ‘এখানে প্রচুর দূরের মানুষ রয়েছেন। যারা কিছুটা সুস্থ তাদের পরিবারের সঙ্গে আমরা ট্রেনের টিকিট করে পাঠিয়ে দেব। আর যাদের কেউ নেই তারা সুস্থ হলে আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের টিম দিয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করব।’

অন্যদিকে, মেডিক্যাল কলেজের সুপার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ট্রেন দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ৩০ জন আহত রোগী উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। ৩০ জনের মধ্যে তিনজন ট্রমা কেয়ারে রয়েছেন। তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি যারা রয়েছে অর্থোপেডিক এবং অবজারভেশন ওয়ার্ডে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

অনির্বাণ রায়

Kanchanjunga express accident: প্রাণে বেঁচেছে ছেলে, তবু ভয় কাটছে না! কোন আতঙ্কে মালগাড়ির সহকারী চালকের বাবা-মা?

শিলিগুড়ি: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার দায় প্রাথমিক ভাবে ঘাতক মালগাড়ির মৃত চালকের উপরেই চাপিয়েছে রেল৷ গত সোমবারের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মালগাড়ির প্রধান চালকের মৃত্যু হলেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন সহকারী চালক মন্নু কুমার৷ উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা মন্নু কুমার বর্তমানে শিলিগুড়ির একটি নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন৷ এই দুর্ঘটনার রহস্যভেদে মন্নু কুমারের জবানবন্দি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে৷

এ দিন উত্তর প্রদেশ থেকে শিলিগুড়িতে এসে ছেলে যাতে অবিচারের শিকার না হন, সেই দাবি তুললেন মন্নু কুমারের বৃদ্ধ বাবা-মা৷ যেভাবে মালগাড়ির প্রধান চালকের উপরে দুর্ঘটনার দায় চাপিয়েছে রেল, তা দেখে নিজেদের ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তায় মন্নু কুমারের বাবা রঘুনন্দন চৌধুরী এবং মা দ্রৌপদী মুর্মু৷

আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু! বুধবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ, ঠিক কী ঘটেছিল সেই দিন?

মন্নু কুমারের বাবা এবং মা জানিয়েছেন, আট বছর ধরে ট্রেন চালকের চাকরি করছেন মনু৷ ঘটনার দিন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে সকাল ৬.৪২ মিনিট থেকে ডিউটি ছিল তাঁর৷ সময় মতোই স্টেশনে পৌঁছে বাড়িতে জানিয়ে দিয়েছিলেন মন্নু৷ এর ঘণ্টা দুয়েক পরেই মন্নু কুমার যে মালগা়ড়ি চালাচ্ছিলেন, সেটি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে৷ টিভি দেখে সেই খবর জানতে পারে মন্নু কুমারের পরিবার৷ টিভির পর্দায় দুর্ঘটনাস্থলের ভয়াবহ ছবি দেখে ছেলের কথা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মন্নুর বাবা মা৷ ফোনেও ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তাঁরা৷ পরে রেলের পক্ষ থেকে বাড়িতে খবর দিয়ে জানানো হয় মন্নু চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ সেই খবর পেয়েই এলাহাবাদ থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রবীণ দম্পতি৷

এ দিন শিলিগুড়ি পৌঁছে ওই নার্সিং হোমে গিয়ে মন্নুর সঙ্গে দেখা করেন তাঁর বাবা-মা৷ তাঁদের করুণ আর্তনাদ, ‘ইনসাফ চাই। আমাদের ছেলের চিকিৎসা যেন যথাযথ হয়। ছেলে সুস্থ হয়ে যেন তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসে।’

মনুর মা দ্রৌপদী দেবী এ দিন হাপুস নয়নে কেঁদে চলেছেন। আর বলছেন, ‘আমার ছেলের কিছু হয়ে গেলে আমরা আর বাঁচব না।’ তাঁর বাবা অবশ্য অনেকটা মাথা ঠান্ডা রেখে চিকিৎসকদের উপরে ভরসা রেখেছেন। সাথে তাঁর দাবি, ‘তদন্ত যথাযথ হোক। কিন্তু আমার ছেলে দোষী নয়। জোর করে যেন দোষী সাব্যস্ত না করা হয়।’ আপাতত মনুর বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় তার প্রিয়জনেরা৷

Kanchanjunga Express Accident: মানসিকভাবে বিপর্যস্ত! জিজ্ঞাসাবাদ করা গেল না দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ির সহকারী চালককে

শিলিগুড়িঃ সোমবারই ঘটে গিয়েছে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। তারপর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল টানা প্রায় ২৪ ঘণ্টা। অবশেষে ফের ছন্দে ফেরার চেষ্টায় রাঙাপানি। মঙ্গলবার সকালেই ডাউন লাইনে ট্রায়াল রান শুরু করল রেল। অন্যদিকে আপ লাইনে ওভারহেড তার সারানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে লাইন সারানোর কাজ করতে গিয়ে জখম হয়েছেন ২ রেলকর্মী। দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই চলছে তাঁদের চিকিৎসা।

আরও পড়ুনঃ ইঞ্জিনে ছিল ‘ভিজিলেন্স কন্ট্রোল ডিভাইস’, তবুও ঘটল দুর্ঘটনা! ঘাতক মালগাড়ি নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন

মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, এখনও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতে পারা গেল না দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ির সহকারী চালককে। CCRS নিজে কথা বলতে চান তাঁর সঙ্গে। দুই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। অপরদিকে, চিফ কমিশনার অফ রেল‌ওয়ে সেফটির নেতৃত্বে তদন্ত শুরু এনজেপি এডিআর‌এম দফতরে। প্রথম অবস্থায় ডাকা হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘার লোকো পাইলট, রাঙাপানি স্টেশন ম্যানেজার ও সহকারী স্টেশন ম্যানেজার, ৩জন গেটম্যানদের।

ঘাতক মালগাড়ির ইঞ্জিন নম্বর ছিল 43616। WAG 9HC মডেলের এই locomotive গুলি তৈরি হয়েছে Banaras locomotive works এ। এই সিরিজের সমস্ত ইঞ্জিন এ রয়েছে vigilance control device। এই ব্যবস্থায় চালক ও সহকারী চালক কোনও কাজ না করলে সে ধরে নেবে চালক ও সহকারী চালক স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। সঙ্গে সঙ্গে চালকদের সজাগ করার জন্য অ্যালার্ম বাজবে। তাতেও কাজ না হলে ট্রেনের ব্রেক নিজে থেকেই কাজ করবে এবং ফলে ট্রেন থেমে যাবে। এই ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি কাজ করল না কেন, সেই প্রশ্ন উঠছে।

Kanchanjunga express accident: বেঁচে আছেন কাঞ্চনজঙ্ঘাকে ধাক্কা মারা মালগাড়ির সহকারী চালক! দেখুন ভিডিও

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ধাক্কা মেরেছিল যে মালগাড়ি, তার সহকারী চালক মন্নু কুমার জীবিত রয়েছেন৷ শিলিগুড়ির একটি নার্সিং হোমে চিকিৎসা চলছে তাঁর৷ যদিও গতকাল রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ওই মালগাড়ির চালক এবং সহকারী চালক, দু জনেরই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে৷ কীভাবে দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে মালগাড়ি একই লাইনে এসে ধাক্কা মারল, সেই রহস্যভেদ করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে সহকারী চালক মন্নু কুমারের বয়ান৷ এই দুর্ঘটনার জন্য প্রাথমিক ভাবে মালগাড়ির চালকের ভুলকেই দায়ী করেছে রেল কর্তৃপক্ষ৷

Birbhum News: কাঞ্চনজঙ্ঘার এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে বীরভূমের সাঁইথিয়া ট্রেন দুর্ঘটনাকে

বীরভূম: বীরভূমের সাঁইথিয়া ট্রেন দুর্ঘটনা। সেই অভিশপ্ত দিনটি ছিল ২০১০-এর ১৯ জুলাই। গভীর রাতের এই দুর্ঘটনাকে ঘিরে মানবিক মুখ ফুটে উঠেছিল সাঁইথিয়াবাসীর। দুর্ঘটনায় জখম যাত্রীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে রক্ত দিয়েছিলেন সাঁইথিয়ার বাসিন্দারা। ওই দিনের স্মৃতি মনে পড়লে আজও অনেকে আঁতকে ওঠেন। আজও মোমবাতি জ্বালিয়ে অভিশপ্ত ওই দিনটিকে স্মরণ করেন সাঁইথিয়া শহরবাসী। ওই একই স্মরণমঞ্চে কালকা মেল দুর্ঘটনা, করমন্ডল এক্সপ্রেস ও মুম্বই বিস্ফোরণে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

কী হয়েছিল ২০১০সালে ১৯ জুলাই রাতে? রাত তখন ২টো হবে। সাঁইথিয়ার চার নম্বর প্লাটফর্ম থেকে সবে ছেড়েছিল রাঁচিগামী ৩৪০৪ ডাউন বনাঞ্চল এক্সপ্রেস। ঠিক সেই সময় দ্রুত গতিতে আসা শিয়ালদহগামী ৩১৪৮ ডাউন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস সজোরে ধাক্কা মারে। এর ফলে মাটি থেকে প্রায় ২০ ফুট উঁচু রেলিং ছুঁয়ে ঝুলেছিল বনাঞ্চল এক্সপ্রেসের একটি কামরা। রাতেই মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৪৪। পরে সিউড়ি সদর হাসপাতাল, বর্ধমান ও কলকাতার হাসপাতালগুলিতে আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বহু যাত্রী জখম হয়েছিলেন। দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে রেল পুলিশ, এলাকার থানার পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে উদ্ধার কাজে হাত মিলিয়েছিলেন সঁইথিয়ার সব শ্রেণির মানুষ। সঙ্গে ছিলেন সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও। প্রয়োজনে অনেকে রক্তও দিয়েছিলেন সকাল হতে না হতেই সাঁইথিয়া স্টেশনে আনাগোনা শুরু হয়েছিল রেল কর্তাদের। ছুটে এসেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

তবে এটি দুর্ঘটনা না নাশকতা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তাই রেল পুলিশের হাওড়া এসআরপি রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় দুর্ঘটনার চার দিনের মাথায় তদন্তের ভার তুলে দিয়েছিলেন সিআইডির হাতে। তবে রেলের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল। তবে এটি নাশকতা নয়, দুর্ঘটনাতা এক বছরের মাথায় জানিয়েছে রেলওয়ে চিফ কমিশনার অফ সেফটি। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বর্ধমানের খানা ও তালিতের মধ্যে একটি খুঁটি উপড়ে লাইনে তার পড়ে যাওয়ায় বধর্মান সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে থমকে যায় সমস্ত ট্রেন। হাওড়াগামী বিশ্বভারতী ফার্স্ট প্যাসেঞ্জার সাঁইথিয়ায়, শিয়ালদহগামী দার্জিলিং মেল বাতাসপুরে, চেন্নাইগামী গুয়াহাটি এক্সপ্রেস ও কলকাতাগামী পদাতিক এক্সপ্রেস আমোদপুরে, ডাউন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস গদাধরপুরে আটকে পড়ে। এ ছাড়া, আরও বহু ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকে ছিল। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ট্রেন চলাচল শুরু হলেও রাত্রি পর্যন্ত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।ট্রেন এর মধ্যে থাকা সমস্ত যাত্রীদের স্টেশনে থাকা খাবার দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ South 24 Parganas News: বারুইপুরে কোল্ড স্টোরেজ ও ফুড প্রসেসিং ইউনিট! কথা রাখতে তৎপর সায়নী

বীরভূমের সাঁইথিয়ার এক বাসিন্দা প্রীতম দাস আমাদের জানান সোমবার ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানির কাছে জালাস গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট নির্মল গ্রামে যে ঘটনা ঘটে সেই ঘটনা যেনো আবার মনে করে দিল অভিশপ্ত ২০১০ সালের সাঁইথিয়ার রেল দুর্ঘটনার কথা। চোখের সামনে একাধিক মানুষের মৃত্যু যন্ত্রণা অনুভব করেছিলেন সেদিন তিনি। মৃত্যুর পাশাপাশি একাধিক ট্রেন যাত্রী আহত হয়েছিলেন সেই দিন। সাঁইথিয়া তিন দুর্ঘটনার সেই কথা আজও শুনলে আটকে ওঠেন সাঁইথিয়ার বাসিন্দারা।

সৌভিক রায়

Kanchanjunga Express Accident: ৩০ ঘণ্টা পার, কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনায় কান্নার রোল থামছে না! হাসপাতালে ভিড় প্রিয়জনদের

শিলিগুড়ি: গতকাল শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ার কাছে নিজবাড়িতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। মালগাড়ির ধাক্কায় শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘার পিছনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ৫০ জন আহত। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের চোট গুরুতর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুর্ঘটনার পর ৩৭ জনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজন। একজনের কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুনঃ পড়ে রইল কেক, খিচুড়ি-মাছ ভাজা! মেয়ের জন্মদিনেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনায় চিরঘুমে বাবা

অন্যদিকে, সকালবেলা মৃত্যু হয়েছে ৭ বছরের ছোট্ট মেয়ে স্নেহার। তাঁর শরীরের গুরুতর চোট থাকায় সঙ্গে সঙ্গে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে লড়াই শুরু করেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচার করে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা হয়। তারপরও অবস্থার অবনতি থাকে শিশুটির। মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্যকর্তা, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, চিকিৎসক সন্দীপ সেন বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত চারজনের অপারেশন হয়েছে। তিনজন ট্রমা কেয়ারে ভর্তি রয়েছেন। তাদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তবে নজরদারিতে থাকবে তারা। গতকাল যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মেডিকেলে ডিসিপ্লিনারি বোর্ড গঠন হয়েছে। মেডিক‍‍্যালের সমস্ত ডাক্তাররা মিলে ভালভাবে কাজ করেছে।’

অন্যদিকে, শিলচরে কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন অর্জুন রাম। আর দুটো স্টেশন পরেই তাঁর বাড়ি ছিল কিন্তু তার আগেই এই দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। গতকাল তাঁর মৃতদেহ চিহ্নিতকরণ করা যাচ্ছিল না। আজ তাঁর পরিবারের লোকেরা সকালবেলা এসে তাঁর দেহ চিহ্নিত করেছেন। অর্জুন রামের ভাই সুজন রাম বলেন, ‘আসার আগেই সকালে আমাকে ফোন করেছিল। শিলচর থেকে কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন। সবাই ভেঙে পড়েছে। সোমবার ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে দ্রুতগতিতে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে অবধ-আসাম এক্সপ্রেস মেন লাইন দিয়ে চলাচল করেছে। এদিন সকালে রাঙাপানি এলাকা দিয়ে ডাউন লাইনে কামাখ্যা-গান্ধিধাম এক্সপ্রেস সফলভাবেই গিয়েছে। ডিআরএম-সহ ট্রেনের পদস্থকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।


একই লাইনে দুটি ট্রেন কীভাবে চলে এল, তার তদন্তের যেমন দাবি উঠেছে, পাশাপাশি কবচ সিস্টেম ও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলিতে এলএইচবি কোচের দাবিও উঠেছে।

অনির্বাণ রায়

Kanchanjungha Express Accident: কাজের জায়গা থেকে ছুটি নিয়ে ফিরছিলেন পরিবারের কাছে, ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন জীবন-মৃত্যুর লড়াই, গোঙানির শব্দেই বাঁচার আশা দেখছে পরিবার

উত্তর ২৪ পরগনা: একই এলাকায় মাত্র তিন কিলোমিটার দূরত্বে দুই পরিবারই এখন কাটাচ্ছে উৎকণ্ঠার প্রহর। উত্তরবঙ্গে অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার জন্য ঘোলার পার্থসারথি মন্ডলের সঙ্গেই ফিরছিলেন পানিহাটির নাটাগড় এলাকার বাসিন্দা খোকন সেন সহ আরেক সহকর্মী শঙ্কর মোহন দাস। যদিও রাঙাপানিতে দাঁড়িয়ে থাকা সেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে মাল গাড়ি এসে ধাক্কা মারার পরেই, মৃত্যু হয় শঙ্কর মোহন দাসের।

সেই দুর্ঘটনার খবর পৌঁছতেই রীতিমতো কান্নার রোল পড়ে যায় পানিহাটির সেন পরিবারেও। সেই খবরের পরই পরিবারের সকলে ভেবেছিলেন হয়তো তাদের পরিবারের সদস্য খোকনের উপরও নেমে এসেছে চরম দুর্ঘটনা। কি করবেন তারা, যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। রেলওয়ে মেল সার্ভিসে কর্মরত খোকন সেনের স্ত্রী স্বপ্না সেন সহ রয়েছে দুই ছেলে। কেমন আছে বাবা, কি অবস্থায় আছে তা বুঝতে না পেরেই ছোট ছেলে স্বরূপ সেন রওনা দেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে।

ইতিমধ্যেই অন্যান্য সহকর্মীদের থেকে খবর আসে বাড়িতে। গুরুতর আহত অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে খোকন বাবুকে। জরুরী ভিত্তিতে অস্ত্রপচার করা হয় তার। আঘাত লেগে লিভারের রক্ত জমে যাওয়ায় দ্রুত চিকিৎসকরা অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। প্রায় ৫ ঘন্টা ধরে চলে অপারেশন। অবশেষে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন তিনি বলেই জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।

আরও পড়ুন – Turmeric Use Tips: ডায়াবেটিস হাতের মুঠোয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় সেরা, তা বলে রান্নায় মুঠো মুঠো হলুদ নয়, পুরুষরা মেপে মেপে খান নইলে বড় বিপদ

স্ত্রী স্বপ্না দেবীর সঙ্গে ফোনে কথা হলেও কোন কথাই বলতে পারেননি শারীরিকভাবে অসুস্থ খোকন বাবু। শুধু গোঙানি শব্দই শুনতে পেয়েছেন বলে জানালেন পানিহাটির বাড়িতে উৎকণ্ঠার প্রহর গোনা স্ত্রী স্বপ্না সেন। এখনও যেন চোখের জল বাঁধ মানছে না। স্বামীকে এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে তা যেন স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনি। তবে বারংবার এভাবে রেল দুর্ঘটনার জন্য অবশ্য রেলের গাফিলতি রয়েছে বলেই মনে করছেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত খোকন সেনের পরিবার। খোকন বাবুকে বাহাত্তর ঘন্টা অবজারভেশনের রাখা হয়েছে বলে মা কে জানিয়েছে ছেলে। অফিসের তরফ থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সাহায্য মিলছে বলেও জানান স্ত্রী। তবে যতক্ষণ না স্বামী কে স্বশরীরে দেখতে পাচ্ছেন, ততক্ষণ যেন দুশ্চিন্তা কমছে না পানিহাটির সেন পরিবারের এই গৃহিণীর।

Rudra Narayan Roy

 

Kanchanjunga Express Accident: পড়ে রইল কেক, খিচুড়ি-মাছ ভাজা! মেয়ের জন্মদিনেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনায় চিরঘুমে বাবা

বালিগঞ্জ: বাড়ি ফিরে আর খাওয়া হলো না খিচুড়ি মাছ ভাজা। মেয়ের জন্মদিনের আগেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল কলকাতার বালিগঞ্জের বাসিন্দা শুভজিৎ মালীর। বর্তমানে তাঁর নিষ্প্রাণ দেহ পড়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক‍‍্যাল কলেজের মর্গে। বালিগঞ্জের ১৭ জামির লেনের বাসিন্দা শুভজিৎ মালীর বাড়িতে এখন শোকের ছায়া।

আরও পড়ুনঃ ইঞ্জিনে ছিল ‘ভিজিলেন্স কন্ট্রোল ডিভাইস’, তবুও ঘটল দুর্ঘটনা! ঘাতক মালগাড়ি নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন

বাড়িতে রয়েছে ১১ বছরের ছোট মেয়ে, মেয়ের আবদার ছিল বাবা বাড়িতে এলে জন্মদিনের কেক কাটবে। মেয়ের আবদারের কারণেই তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফেরার জন্য তিনি উঠেছিলেন অভিশপ্ত সেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। এর পরেই ঘটে সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, যাতে প্রাণ যায় বালিগঞ্জের বাসিন্দা শুভজিৎ মালির।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুভজিৎ মালিকে কর্মসূত্রে প্রায়ই যেতে হয় ভিন রাজ্যে। সম্প্রতি একটি চারচাকা গাড়ি চালিয়ে সেই গাড়ি ডেলিভারি দিতে গিয়েছিলেন নাগাল্যান্ডে। সেখানে গাড়ি ডেলিভারি দিয়ে ফিরছিলেন কলকাতায়। এই কাজ তিনি দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে করে আসছেন, গাড়ি নিয়ে ভিন রাজ্যে যান, সেখানে ডেলিভারি দিয়ে ফিরে আসেন কলকাতায়। মেয়ের আবদার মেটাতে দ্রুত বাড়ি ফেরার জন্যেই ট্রেনে চেপে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। আর এরপরেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় বালিগঞ্জের বাসিন্দা শুভজিৎ মালি। ইতিমধ্যেই তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে।

সুমন সাহা