সিঙ্গারা 

Street Food: তিন ঘণ্টায় বিক্রি হয় ১০০০ শিঙাড়া! লম্বা লাইন এই দোকানের সামনে, দাম এত কম?

বাঁকুড়া:বাঁকুড়াতে একটা শিঙাড়ার দোকান আছে, যে দোকানের শিঙাড়া প্রায় তিন থেকে চারটি ব্লকে পার্সেল হয়ে নিমেষের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। যে দোকানে বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে প্রায় বিক্রি হয় ৮০০ থেকে ১০০০ পিস শিঙাড়া। এবং এই শিঙাড়ার দোকানে একবারে একসঙ্গে তেলে ছাড়া হয়, ২০০ থেকে ৩০০ টি সিঙ্গারা।

বাঁকুড়ার স্পেশাল শিঙাড়ার দোকান, কাজলদার শিঙাড়া। বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানার অন্তর্গত বাগুলি গ্রামে রয়েছে এই শিঙাড়ার দোকানটি। কাজল দার শিঙাড়া খেতে মানুষ লাইন লাগান বিকেল চারটে থেকে। গঙ্গাজলঘাটি, শালতোড়া, বেলিয়াতোড় এবং বড়জোড়া ছাড়াও ব্যারেজ পার করে দুর্গাপুর থেকেও লোক আসেন কাজলদার শিঙাড়া কিনতে। প্রতি পিস শিঙাড়ার দাম মাত্র ৫ টাকা।

আরও পড়ুন: ‘প্রার্থনা করুন’, অসুস্থ অলকা ইয়াগনিক! বিরল স্নায়ুরোগে আক্রান্ত গায়িকা, শোনার ক্ষমতা হারালেন

সিঙ্গারা বিক্রেতা কাজল দাসের একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে। সেই দোকানেই সকালবেলা বিক্রি হয় চপ এবং বিকেলবেলা থেকে শুরু হয় সিঙ্গারা ভাজা। দু তিন ঘণ্টার মধ্যে 300 থেকে 400 সিঙ্গারা ভ্যানিশ। কাজল দাস জানান, নিজের বাড়িতেই তৈরি করেন সব মশলা। দিনের দিন ভাজা হয় প্রতিটি শিঙাড়া। প্রায় ৪০ বছরের পুরনো এই দোকান। ১৯৮৭ সালে শুরু হয় কাজলদার শিঙাড়ার অভিযান। জাহাজ ও রমিয়ে চলছে বড়জোড়ার বুকে। দূর দূরান্ত থেকে সিঙ্গারা খেতে আসছেন মানুষ।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন জিনিস শুকনো অবস্থায় ২ কেজি, ভিজে গেলে ১ কেজি, আবার পুড়লে ৩ কেজি হয়ে যায়? ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন

বেলিয়াতোড় এর মেচা সন্দেশ, মালাই চা আর বড়জোড়ার সিঙ্গারা। এই তিন মিলে এক দারুন কম্বিনেশন। বড়জোড়ার উপর দিয়ে নিত্য যাতায়াত হাজার হাজার মানুষের। যে একবার এসেছে এই শিঙাড়ার দোকানে, ফিরে এসেছে বারবার।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী