পূর্ব বর্ধমান: সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী পাঁচ-ছ’মাসের মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানের তালিত রেলগেটের ওপরে উড়ালপুলের কাজ শুরু হয়ে যাবে। মঙ্গলবার পরিদর্শনে এসে এই কথা জানালেন সাংসদ কীর্তি আজাদ। তিনি আরো জানান, রাজ্য সরকারের তরফে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। যারা জমি দিয়েছেন তাদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেওয়া হবে। সেই টাকা দ্রুত দিয়ে দেওয়া হবে। উত্তরবঙ্গের কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার জন্য এ দিন রেলমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করেন কীর্তি।
তালিতে রেল ওভারব্রিজ নিয়ে টানাপোড়েন দীর্ঘ দিনের। বর্ধমান-বোলপুর জাতীয় সড়কের উপর এই রাস্তায় প্রচুর চাপ থাকে। আশপাশের লোকালয়ে বাস করেন অসংখ্য মানুষ। রেলগেট বন্ধ থাকায় বিরাট ক্ষতি এমনকী প্রাণহানিও ঘটেছে।
কয়েক দিন আগেও একবার এখানে এসেছিলেন কীর্তি। আজ এসে রেলের দুই আধিকারিকের সাথে বৈঠক করলেন সাংসদ কীর্তি আজাদ। তিনি জানান, আধিকারিকরা খুব আন্তরিক। রেলের নির্মাণ আধিকারিক প্রলয় চক্রবর্তী জানান, আগামী তিন মাসের মধ্যে জমিদাতাদের পাওনা মিটিয়ে জমি হাতে পেয়ে যাবেন বলে তাদের আশা। তবে এই কাজ শেষ হতে ২০২৬ এর ফেব্রুয়ারী হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
পূর্ব বর্ধমানের তালিতে যানজটে আটকে একাধিকবার প্রাণ গিয়েছে অসুস্থ মানুষের। গুরুত্বপূর্ণ কাজে বেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়েছে অনেকের। এই রেলগেটের ওপর উড়ালপুলের দাবি দীর্ঘ দিনের। সাংসদের আশ্বাস, যত দ্রুত সম্ভব উড়ালপুলের কাজ শেষ করতে তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরে তদ্বির করবেন। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করার দিকে তাঁর লক্ষ্য থাকবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নির্বাচিত হবার পাঁচদিনের মাথায় তালিত রেলগেট পরিদর্শন করেন নবনির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ। তিনি সেই দিন জানিয়েছিলেন, তালিত রেলগেট শুরু থেকেই তাঁর ভাবনার মধ্যে ছিল। এখানকার মানুষ, বিধায়ক, জনপ্রতিনিধিরা তাকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তিনি নিজের প্রচার চলাকালীনও এখানে আটকে পড়েন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর আগেই তালিত রেলগেটের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কিছু সমস্যা ছিল, তা মিটে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থা কাজ শুরু করেছে। মাটি পরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে।