মালদহে ভয়াবহ নদী ভাঙন, রোজই পাড় ভাঙছে গঙ্গা ও কোশি নদী

মালদহ:  উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়তেই ভয়াবহ নদীভাঙন মালদহে। পাড় ভাঙছে গঙ্গা ও কোশি নদী। মালদহের ভূতনিতে ভাঙন পরিস্থিতি ভয়াবহ। ভাঙন রোধের কাজ নিয়ে ক্ষোভ বাসিন্দাদের। পরিদর্শনে প্রশাসন।

বর্ষার শুরুতেই ভয়াবহ নদী ভাঙন শুরু মালদহে। বিঘের পর বিঘে চাষ জমি নদীগর্ভে। ভাঙনের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি মালদহের মানিকচক ব্লকের ভুতনির উত্তর চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশবপুর কলোনি ও কোশিঘাট এলাকায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গঙ্গা ও কোশী নদীর জোড়া তাণ্ডবে প্রতি মুহূর্তে পাড় ভাঙছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। কোশি নদীর জল হঠাৎ করে অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় সেই জল ঢুকছে গঙ্গা নদীতে। এর ফলে দ্রুত বাড়ছে দুই নদীর জলস্তর। আর এতেই বিপত্তি।

আরও পড়ুন- বৃষ্টির সঙ্গেঝোড়ো হাওয়া, মুহুর্মুহু বাজ! কলকাতা-সহ দক্ষিণের ৬ জেলায় দুর্যোগ

ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে ভাঙন পরিস্থিতি। চোখের সামনে জমি কার্যত গিলে খাচ্ছে নদী। অথচ, নিরুপায় হয়ে দেখা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। এরইমধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ভাঙন রোধের কাজ নিয়ে।

অনেকেই বলছেন, যেসব এলাকায় কাজ করার কথা তা হচ্ছে না। কাজ হচ্ছে অন্য জায়গায়। সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ হলেও নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। এতেই বাড়ছে বিপদ। অবিলম্বে ভাঙন রোধ করা না গেলে নদীবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে জল ঢুকতে পারে বলেও আশঙ্কা।

এদিকে মালদহের ভূতনির ভাঙন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রশাসনিক মহলেও। এলাকায় গিয়ে স্বচক্ষে ভাঙন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মালদহের মহকুমা শাসক সহ ব্লক প্রশাসন ও সেচদপ্তরের কর্তারা।

প্রশাসনিক কর্তাদের পরিদর্শনের সময়ও ভয়াবহ ভাঙন লক্ষ্য করা যায়। নদীপাড়ের পাশাপাশি লঞ্চে চেপেও নদী ভাঙন পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন প্রশাসনিক কর্তারা। হঠাৎ করে নদীর জলের স্রোত বাড়াতেই ভাঙন হয়েছে। ইতিমধ্যেই কিছু স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- টোটো নিয়ে বড় খবর, রাস্তায় দাপাদাপির দিন শেষ, প্রশাসনের বড়সড় সিদ্ধান্ত

দ্রুত সেসব এলাকায় কাজ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মালদহের মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং। এরইমধ্যে ভাঙন পরিস্থিতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

মানিকচক তথা ভুতনিতে ভাঙন ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ এবং বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। তাঁর যুক্তি,  ভাঙন জাতীয় বিপর্যয়।

পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খন্ড এই তিন রাজ্যে মিলে একযোগে কাজ না করলে ভাঙন সমস্যা মিটবে না। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সাহায্য মিলছে না।আর বিজেপি নেতা গৌড়চন্দ্র মন্ডলের পাল্টা দাবি, রাজ্যের দুর্নীতির ফলেই নদী ভাঙন সমস্যা মিটছে না। রাজ্য নিজেও কাজ করছে না। কেন্দ্রকেও কাজ করতে দিচ্ছে না।