অভিনব কায়দায় পঠন-পাঠন সরকারি স্কুলে

Howrah News: গরমের ছুটি পর পড়াশোনায় দারুণ মজা! এই উপায় স্কুলছুট কমছে উলুবেড়িয়ার স্কুলে

হাওড়া:  শিক্ষাদানে অভিনব কৌশল সরকারি এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে! নতুন কৌশলে অতি উৎসাহ ও আনন্দে শিক্ষা লাভ করছে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। এই সময় সরকারি বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলে সমস্যা। এ বিষয়ে সংবাদের শিরোনামে এসেছে রাজ্যের বহু সরকারি স্কুল। সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকের গাফিলতিতে পঠন-পাঠনে সমস্যা এমন অভিযোগ বহু বিদ্যালয়ে। এর ফলে বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা। তবে এবার ভিন্ন ছবি হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সমাজে প্রকৃত মানুষ গড়ার কারিগর হলেন শিক্ষক। তাঁরাই পথ দেখাচ্ছেন পড়াশোনা কি করে মজার করে তোলা‌ যায়।

আরও পড়ুন:  ফল ও ফুল গাছের টানেই উলুবেড়িয়ার এই স্কুলে আসে শবনম-অনুষ্কারা

সরকারি শিক্ষা পর্ষদের নিয়মবিধি মানা ও পাঠ্য বই পড়ানোর পাশাপাশি বিদ্যালয় এর শিক্ষকদের উদ্যোগে বিভিন্ন কৌশলে শিক্ষা দান। যার মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলের অতি আগ্রহে স্কুলমুখী। বেশ কিছু নতুন কৌশল যার মাধ্যমে হাতে কলমে ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা অর্জন করতে পারবে। গরমের ছুটির ফাঁকে, সেই ব্যবস্থা করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। গণিতের যোগ বিয়োগের ধারণা ও ইংরেজি সিবিসি শব্দের স্থান সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সামনে রেখে শিক্ষা। যেখানে পাঠ্য বই পড়ার পাশাপাশি হাতে কলমে শিক্ষা লাভ করতে পারবে এমন টিএলএম বা টিচিং লার্নিং মেটেরিয়াল ক্যালেন্ডার মত তৈরি করা বেশ কিছু জিনিসের মাধ্যমে। এই সমস্ত জিনিস শিক্ষক-শিক্ষিকা নিজে হাতে তৈরি করেছেন।

আরও পড়ুন: এক ‌যুগ ধরে আন্দুল গ্রামে জমা জলে দুর্ভোগের শিকার কয়েক হাজার মানুষ!

ছাত্র-ছাত্রীরা গরমে স্কুল ছুট হয়ে থাকলেও শিক্ষক শিক্ষিকা ছুটির ফাঁকে তৈরি করেছেন শিক্ষাদানের সরঞ্জাম। খুঁজেছেন সহজে শিক্ষাদানের কৌশল। একটানা ছুটির পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় মন বসতে বেশ কয়েকদিন সময় পার। তবে উলুবেড়িয়া বাড় মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দারুন আগ্রহ বিদ্যালয়ে। এ প্রসঙ্গে বাড় মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজদূত সামন্ত জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি স্নেহ এবং আদর্শ শিক্ষা দিয়ে মানুষ গড়া একজন শিক্ষকের মূল লক্ষ্য। সেই দিক ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দিতে আমাদের খুব ছোট ছোট উদ্যোগ কখনও কখনও দারুন কার্যকরী হয়ে ওঠে। তা একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা হিসেবে দারুন আনন্দের।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাকেশ মাইতি