Hollong bungalow fire

Hollong Bungalow Fire: পুড়ে ছাই, ফের যদি তৈরি হয় হলং বাংলো, আর কি দেখা যাবে ‘ওদের’? চরম আশঙ্কা পশু বিশেষজ্ঞদের

আলিপুরদুয়ার: হলং বন বাংলোর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দেখেছে জঙ্গলের বন্যপ্রাণীরা। তারা ওই এলাকায় আর আসবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে বনকর্তারা। হলং এলাকার সাফারি রুটটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গিয়েছে হলং বন বাংলো। যা নিঃসন্দেহে একটি বড় ক্ষতি। তার থেকেও বড় ক্ষতি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়া বলে মনে করছেন পরিবেশপ্রেমীরা। জঙ্গলের কোর এলাকায় অবস্থিত বন বাংলোটি। যে কারণে এই বাংলো থেকে দেখা যেত বন্যপ্রাণদের অবাধ আনাগোনা। এই কারণেই হলং বন বাংলো পছন্দ ছিল পর্যটকদের।

এই বিষয়ে বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ ডঃ প্রবীর রায় চৌধুরী জানান, “মানুষের থেকে বন্যপ্রাণীদের স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। যখন হলং বন বাংলো জ্বলছিল, তখন তারা তা দেখেছিল। সামান্য বাজি পটকা দেখেই তারা ভয় পায়। এই আগুনের স্মৃতি তারা ভুলতে পারবে না। আগামী ১০ বছরে ওই এলাকায় বন্যপ্রাণীদের দেখা যাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে।”

জলদাপাড়ায় গণ্ডার (ফাইল ছবি)
জলদাপাড়ায় গণ্ডার (ফাইল ছবি)

আরও পড়ুন: NIRF র‍্যাঙ্কিং ২০২৪, দেশের সেরা ১০০টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নাম প্রকাশিত, বাংলার কোন কলেজ তালিকায়?

নিয়মমাফিক ১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকে জঙ্গল। বর্ষার মরসুমে ব্রিডিং হয়। এবারে ব্রিডিং-এ ব্যাপক প্রভাব পড়তে পাড়ে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে পরিবেশপ্রেমীরা। এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ারের পরিবেশপ্রেমী ত্রিদীবেশ তালুকদার জানান, “এখন বর্ষা এই সময় তিন মাস জঙ্গল বন্ধ কেন না এই সময় বন্যপ্রাণীদের ব্রিডিং-এর সময়। এই সময় জলদাপাড়া কোর জঙ্গলে ভয়াবহ আগুন এতে বন্যপ্রাণীরা দূরে চলে যাবে। স্বাভাবিকভাবে তাদের ব্রিডিং-এ ব্যাঘাত ঘটতে পারে।চেনা জায়গা ছেড়ে অন্য স্থানে এই কাজ হলে কুপ্রভাব পড়বে।”

আরও পড়ুন: ‘বিশ্বের সেরা স্কুলের পুরস্কার’-এ সেরা ১০-এ জায়গা পেল ভারতের এই ৫ স্কুল, তালিকায় কোন কোন স্কুল জানেন?

জলদাপাড়া জঙ্গল মানেই প্রচুর এক শৃঙ্গ গণ্ডার, বাইসন, হাতি, হরিণ থেকে শুরু অনেক পশুপাখির বসবাস।জলদাপাড়া বন বিভাগের ডি এফ ও প্রবীণ কাসোয়ান জানিয়েছেন, “এই আগুনে বন্য প্রাণের কিছু হয়নি এটাই আমাদের কাছে একটা শুভ দিক। ভবিষ্যত জানি না তবে আগুন বন্য প্রাণীরা ভয় পায়।” এদিকে হলং রুটে সাফারি কি বন্ধ হবে? সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি বন বিভাগ।

Annanya Dey