নিজের বাড়িতে প্রফুল্ল রাজবংশী 

Kanchanjungha Express Accident: এখনও কানে বাজছে বিকট শব্দ, আর্তনাদ! ৭ দিন পরেও কাটেনি আতঙ্ক, এখনও শিউরে উঠছেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস যাত্রী

মালদহ: ঘটনার প্রায় সাত দিন হতে চলল। কিন্তু এখনও ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন পুরাতন মালদহের প্রফুল্ল রাজবংশী। এখনও যেন সেই মুহূর্তের ঘটনা মনে পড়লেই শিউরে উঠছেন তিনি। কিন্তু তিনি ভুলতে চান সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার স্মৃতি।

তিনি যে সুস্থ অবস্থায় বেঁচে ফিরেছেন এটি তাঁর কাছে অনেক। পুরাতন মালদহের বাসিন্দা প্রফুল্ল রাজবংশী। পেশায় স্থানীয় হিমঘরের কর্মী। চলতি মাসের ১০ তারিখে সপরিবারে কোচবিহার জেলার রানীরহাটে শ্বশুরবাড়িতে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে গিয়েছিলেন। সাতদিন থাকার পর গত সোমবার সকালে ধুপগুড়ি স্টেশন থেকে ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের জেনারেল কামরায় ওঠেন একা।

ট্রেনটি প্রায় ঘন্টা তিনেক চলার পর হঠাৎ ছন্দপতন, শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানি রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি অল্প সময়ের জন্য দাঁড়িয়েছিল বলে জানান প্রাণে বেঁচে ফিরে আসা ব্যাক্তি প্রফুল্ল।

জেনারেল কামরার পেছনের দুই নাম্বার বগিতে ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার মুহূর্তে তিনি ট্রেনের শৌচালয়ে ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দ, ঝাঁকুনি শুরু হয়। আতঙ্কে দ্রুত শৌচালয় থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। ট্রেন থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখেন ভয়ঙ্কর সেই দুর্ঘটনার দৃশ্য। মুহূর্তের মধ্যে প্রাণ নিয়ে বেঁচে ফেরার আতঙ্ক গ্রাস করে।

সে মুহূর্তে কি করবেন ভেবে উপায় খুঁজে পাননি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় কোনওরকমে বাসে করে বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফিরতে আতঙ্কের সেই ছাপ এখনও তার মনে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। প্রফুল্ল রাজবংশী জানান, সপরিবারে শ্বশুরবাড়ি গেলেও আমি একা বাড়ি ফিরছিলাম। ধুপগুড়ি স্টেশনে প্রথমে তিনি ট্রেনের সামনের জেনারেল কামরায় উঠেছিলেন।

কিন্তু ভিড় থাকায় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে পেছনের জেনারেল কামরায় গিয়ে ওঠেন। পেছন থেকেই দ্রুত গতিতে একটি মালগাড়ি এসে ধাক্কা মারে। যদিও তিনি জখম হননি। তবে চোখের সামনে ভয়াবহ দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। চারিদিকে কান্নার আওয়াজ, অসহায় যাত্রীদের আর্তনাদ এখনও তাঁর মনে পড়ছে।

হরষিত সিংহ