জলপাইগুড়ি: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! এবার ডুয়ার্সের অন্যতম জনপ্রিয় ফরেস্ট লাটাগুড়ি, গরুমারা ঘুরে দেখতে আর রেললাইনে আটকা পড়তে হবে না! হবে না গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে দেরি! কিংবা, রেললাইনে আটকা পড়ে কখন রেল আসবে সেদিকে হা করে তাকিয়ে থাকতেও হবে না।
সম্প্রতি এইসব সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে লাটাগুড়ি ফ্লাইওভার মারফত যাতায়াত। এতে করে যেমন রেললাইনে আটকা পড়ে হবে না সময় নষ্ট। অন্যদিকে, জ্যাম ঠেলে রেল লাইন পাড়াপাড়ের ক্ষেত্রও একদম ঝঞ্জাটমুক্ত। যখন তখন হাতির হানার ভয় থেকেও এক্কেবারে ছুটকারা।
পাশাপাশি, লাটাগুড়ি ফ্লাইওভারের আশেপাশের মনোরম দৃশ্য মন কাড়বে নিশ্চিত। ফ্লাইওভারটি বানানো হয়েছে একেবারে আধুনিক ডিজাইনে। চারপাশে গাছপালা, ঝাঁ চকচকে রাস্তা, কালো সাদায় মোড়ানো দু’পাশ… সেও যেন এক অনন্য অনুভূতি। বলা যায় এক টুকরো বিদেশ। পুজোর আগে পর্যটকদের জন্য এটি একটি বাড়তি পাওনা বটে! বর্ষায় প্রজননকালীন বিষয়াদির জন্য ডুয়ার্সের জঙ্গল তথা সারা দেশের জঙ্গল আগামী তিন মাসের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। পুনরায় সেই দরজা পর্যটকদের জন্য খুলবে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখ।
তারপরেই রয়েছে বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। সে সময় বহু পর্যটক এসে ভিড় করেন এই ডুয়ার্স এবং পাহাড়ে। সেই সময়ে তাদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সে কথা মাথায় রেখেই সম্প্রতি পর্যটকদের তথা সাধারন মানুষদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে লাটাগুড়ি ফ্লাইওভারের পথ। এবার অবশেষে সব সমস্যার অবসান হল পর্যটকদের সুবিধার্থে। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া রেললাইনের ওভারব্রিজ দিয়েই সরাসরি লাটাগুড়ি এবং গরুমারা অভয়ারণ্য ঘুরতে যেতে পারবে এই পর্যটকেরা। এতে স্বভাবতই খুশি পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষ সকলে।
সুরজিৎ দে